পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি কি বিয়ে করবেন ভাবছেন? কিন্তু পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ
করা উচিত এবং ভালো পাত্রী চেনার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট
ঘুরাঘুরি করছেন।কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তাই আর অযথা সময় নষ্ট না করে আমাদের
এই পোস্টটি পড়ে জেনে নিন পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত এবং ভালো
পাত্রী চেনার উপায়।
পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত এছাড়াও এই পোষ্টের মাধ্যমে পাত্রী
বিষয়ক আরো অনেক তথ্য আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব তাই আপনি যদি পাত্রী দেখার
সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত এমন অজানা তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি এই পোস্ট আপনার অনেক উপকারে আসবে।তো চলুন আর দেরি
না করে আমরা সকলেই জেনে আসি পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত এবং ভালো
পাত্রী চেনার উপায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত।ভালো পাত্রী
চেনার উপায
ভূমিকা।পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত।ভালো পাত্রী চেনার উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা এখনো বিয়ে করেননি তারা মূলত বিয়ের কোন স্বাদ ও
পাইনি।বিয়ে আমাদের সবার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ইসলামে বিয়ে করা ফরজ
তাই একজন মুসলিম ব্যক্তির কোন না একদিন অবশ্যই বিয়ে করতে হবে না হলে ফরজ হক
আদায় করা হবে না।কারণ বিবাহের মাধ্যম দিয়ে সবার জীবনের নতুন সূচনা শুরু হয়
তাই আমাদের সকলের জানা উচিত পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত।
আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ভালো পাত্রী চেনার উপায় এবং
পাত্রী দেখার সময় কি ডেস আপ করা উচিত,বিয়েতে কি ধরনের পোশাক পড়া হয়, বাসর
রাতে যে ১০ টি প্রশ্ন কখনোও ভুলবেন না, ছেলে দেখতে গেলে কি প্রশ্ন করা উচিত এবং
পাত্রী দেখার কৌশল।তাহলে চলুন এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে
আসি।আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে আপনি যদি নতুন পাত্তি দেখতে যান
সে ক্ষেত্রে।
ভালো পাত্রী চেনার উপায়
আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে ভালো পাখি চেনার উপায়
সম্পর্কে।তাই আপনি যদি গিয়ে করবেন ভাবছেন তাহলে আপনি বিয়ে করার পূর্বে আমাদের
এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। বিয়ে প্রত্যেক মানুষের জীবনে একবারই
হয়।তার সাথে থাকতে হয় বাকিটা জীবন তাই বিয়ে করার পূর্বে অবশ্যই ভালো পাত্রী
নির্বাচন করুন যার ফলে আপনি সারা জীবন সেই পাখির সাথে সুখে শান্তিতে থাকতে
পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
কি করলে সংসারে আয় উন্নতি হবে
তবে আপনারা অনেকেই জানেন না ভালো পাত্রী কিভাবে নির্বাচন করতে হয়।তাই হয়তো
আপনারা গুগলে সার্চ করে ভালো পাত্রী চেনার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন
ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করছেন তাই আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনি ভালো পাতি চেনার উপায়
সম্পর্কে সুস্পষ্ট সুন্দর একটি ধারণা পাবেন।ভালো পাত্রী নির্বাচন করার পূর্বে
অবশ্যই যে বিষয়গুলো আপনাদের মনে রাখতে হবে মেয়েকে অবশ্যই সশচরিত ও ধার্মিক
হতে হবে।
আপনি যদি ইসলামী শরীয়তে অনুযায়ী বিয়ে করতে চান তাহলে অবশ্যই পর্দাশীল
ধার্মিক সাদাচরণ সততা ধারে মেয়েকে বিয়ে করার নির্দেশনা দিয়েছে তাই আপনারা
যারা বিয়ে করতে চান তাদের অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা অনেক জরুরী।
এছাড়াও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে মেয়ের পরিবার ধার্মিক সে মেয়ে আর যাই হোক
উশৃংখল হতে পারে না।
যার ফলে আপনি যদি একটি ধার্মিক মেয়ে বিয়ে করেন তাহলে আপনি সারাটা জীবন সুখে
শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারবেন কারণ একজন ধার্মিক মেয়ে বোঝে সংসার জীবন
কেমন।যারা সংসার জীবনে হাজারো কষ্ট হলে মেনে নিতে পারে তাদের মধ্য সেই শক্তি ও
ক্ষমতা রয়েছে। একজন ধার্মিক মেয়ে বিয়ে করলে আপনার বাকিতে জীবন সুখময় হবে
এবং আপনার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ ভালো হবে কারণ সে ধার্মিক মেয়ে কোরআন তেলাওয়াত
থেকে শুরু করে সুশিক্ষায় সন্তানকে লালন পালন করতে পারবে।যার ফলে আপনার পরিবার
সুখী পরিবার হিসেবে গঠিত হবে।
আরো পড়ুনঃ
টাকা না থাকলে কেউ পাশে থাকে না কেন জানুন
একটি ভালো পাত্রী আপনি যখন দেখতে যাবেন সেই পাত্রীর মধ্যে আপনি ভয় অনুভব করতে
পারবেন, চক্ষু লজ্জা থাকবে, মাথা উঁচু করে তাকাতে পারবেনা, পর্দার মাধ্যমে
আপনার সামনে আসবে,সবার সাথে সালাম বিনিময় করে কথা বলবে শান্ত ও নিবিড় হবে।
তাই পাত্রী খোঁজার আগে পাত্রীর পরিবার ধার্মিক কিনা তা জেনে পাত্রী দেখুন তাতে
করে আপনি ভালো পাত্রীর সন্ধান পাবেন।আশা করছি আপনি ভালো পাতি চেনার উপায় বুঝতে
পেরেছেন।
পাত্রী দেখার কৌশল
আপনিও হয়তোবা ভাবছেন আজকালকার যুগে আবার পাত্রী দেখার কোন চল আছে নাকি আজকাল
তো বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে-শাদী করছে। আর জানাশুনার মূল
গুরু দায়িত্বটা ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।বর্তমান সময়ে অনলাইনের
মাধ্যমে বিভিন্নভাবে পাত্রী দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ
জীবন সঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি
কিন্তু ছবিতে কি আর আপন মানুষটি দেখে মন ভরে তাইতো আমরা এখনো আগের নিয়মে
পাত্রীর বাসায় গিয়ে পাত্রীকে দেখে আসি। তাই হয়তো আপনিও পাত্রী দেখতে যাবেন
ভাবছেন কিন্তু জীবনে প্রথম বুঝে উঠতে পারছেন না পাত্রী দেখবেন কিভাবে তাই জেনে
নিন আমাদের কাছ থেকে পাত্রী দেখার কৌশল।
- পাত্র পাত্রীর সাথে দেখা করার পূর্বে অবশ্যই ভালো একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে এমন কোন জায়গায় যাবেন না যেখানে সে অস্থিরতা বোধ করে।সব সময় চেষ্টা করুন তার পছন্দের কোন জায়গায় যাওয়া যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে খোলামেলা ও শান্ত নিবিড় পরিবেশে।
- দেখতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই পারলে একবার ফোনে কথা বলে নিন। কারণ এতে করে একেবারেই অপরিচিত ভাবটা আর থাকবে না তখন নিজের মনের মধ্যে একটু হলেও সাহস কাজ করবে।কারণ প্রথমে পরিচিত হতে গিয়ে অনেক সময় লজ্জা ও বিপ্লব বিব্রতবোধ চলে আসে।সবার সামনে সুন্দর করে তাকিয়ে দেখা যায় না।
- আপনি পাত্রী যখন দেখে যাবেন তখন যতদূর সম্ভব আধুনিক ডিজাইনের পোশাক পড়ুন দামি এবং ভালো মানের মিষ্টি হতে করে নিয়ে যেতে ভুলবেন না।
- কনের শারীরিক গঠন বোঝার জন্য পাত্রীকে শাড়ি পরা অবস্থায় দেখতে হবে তবে এজন্য অবশ্যই আপনাকে পাত্রীকে দেখতে যাওয়ার পূর্বে তাদের পরিবারকে আগে থেকে বলে রাখতে হবে।
- যতটা সম্ভব পাত্রী দেখার সময় নিজেকে ভদ্রতা বজায় রাখবেন কখনো অভদ্র আচরণ করবেন না।কোন প্রশ্নের প্রতি প্রশ্ন ও বেশি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
- আপনি যখন কনে দেখবেন তখন কোনের সবার প্রথম দেখবেন হাত।কারণ হাত দেখে আপনি তার শরীরের আসল রঙের কালার বুঝতে পারবেন।কারণ বর্তমান সময়ে মেয়েরা একটু বেশি আটা ময়দা মেখে থাকে।
- যদি পারেন সবার অনুমতি নিয়ে মেয়ের সাথে একলা কথা বলুন কারণ এটি শুধু আধুনিকতার ছোঁয়া নয় এটি করলে দুইজনের জন্যই ভালো কারণ মেয়েটিকে জোরপূর্বক ভাবে তার পরিবার বিয়ে দিচ্ছে কিনা,মেয়েটির আগে কোথাও সম্পর্ক ছিল কিনা, মেয়েটির আচার ব্যবহার, ও মন মানসিকতা বুঝতে পারবেন।
বিয়েতে কি ধরনের পোশাক পরা হয়
বিয়েতে কি ধরনের পোশাক পড়া হয় এ নিয়ে আমরা অনেকেই জানার চেষ্টা করি তাই
আমরা এই আধুনিক সময়ে আপনারা বিয়েতে কি ধরনের পোশাক করবেন তা নিয়ে আমাদের
আজকের এই আর্টিকেল। প্রতিটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পোশাক অথবা সাজসজ্জা নিয়ে
মেয়েদের আগ্রহ একটু বেশি থাকে। বিয়ে মানুষের জীবনে একবারই হয় তাই বনের পোশাক
আশ্চর্য নিয়ে সবারই সচেতন হওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ
বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভালোবাসার উক্তি
বেশিরভাগ বিয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায় শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি, নাগ রাজ জুতা,পাগড়ী
এগুলোই বলেরা বেশি ব্যবহার করে কিন্তু এগুলোর মধ্যে কোনটি কেমন হওয়া উচিত তা
আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিত।কারণ বিয়ের দিন বর নিজেকে সবার মাঝে উপস্থাপনা
করবে তাই পোশাক এর মান অবশ্যই ভালো হওয়া উচিত।
বিয়েতে শেরোয়ানী
শেরোয়ানী বাংলাদেশের বিয়েতে সর্বাধিক বেশি প্রচলিত। অধিকাংশ বিয়ের ক্ষেত্রে
শেরওয়ানি বেশি ব্যবহার করা হয় বাহারি ডিজাইনের কারুকাজ ও দামি কাপড়ের
শেরোয়ানী মূলত বেশি ব্যবহার করা হয় বিয়েতে।শেরওয়ানি কিনার পূর্বে আপনাকে
অবশ্যই রং এবং ডিজাইন দেখে কিনতে হবে।শেরওয়ানি কিনার পূর্বে আপনার হবু স্ত্রীর
বিয়ের শাড়ি অথবা লেহেঙ্গা যেটাই হোক না কেন তার সাথে মিল করে আপনি শেরোয়ানী
ক্রয় করতে পারেন এতে করে নব দম্পতিকে একসঙ্গে দেখতে বেশ ভালো লাগবে।
শেরওয়ানি কিনার আগে অবশ্যই ফেব্রিক্স এর মান দেখেই কিনবেন কারণ নিম্নমানের
শেরোয়ানী ফেব্রিক্স এর কাপড় ভালো হয় না তা আপনি ব্যবহার করে শান্তি পাবেন না।
প্রয়োজনে আপনি ভালো মানের কাপড় কিনে ভালো একটি দর্জির কাছে বানিয়ে নিতে
পারেন।আপনি শেরোয়ানী সোনালী, অফহোয়াইট, মেরুন কালার রং এর শেরওয়ানি বিয়েতে
বেশি ব্যবহার করা হয়।চাইলে আপনি আপনার পছন্দমত কালার ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি
বিয়েতে পাঞ্জাবি: বিয়েতে অনেকেই আছে যারা শেরওয়ানি না পড়ে পাঞ্জাবি
পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। আপনি যদি বিয়েতে পাঞ্জাবি পড়ার রেফার করেন
তাহলে সেগুলো আর আট দশটা পাঞ্জাবির মতো হলে কিন্তু চলবে না। বিয়েতে পাঞ্জাবি
হতে হবে গর্জিয়াস আর ফেব্রিক্সের দামি পাঞ্জাবি। মনে রাখবেন বিয়েতে কিন্তু
শর্ট পাঞ্জাবি ভালো দেখায় না বরের জন্য পাঞ্জাবি লম্বা হতেই হবে।বিয়ের জন্য
বরের পাঞ্জাবি অ্যাসিমেটিক সাইড স্লিট ম্যান্ডারিন, ফেব্রিক্স ইত্যাদি কাঠের
পাঞ্জাবি পড়তে পারেন।
এছাড়াও আপনারা সিল্ক ভেলভেট অথবা সাটিন জাতীয় ফেব্রিসের পাঞ্জাবি পছন্দ করে
বরের জন্য কিনতে পারেন। তবে হ্যাঁ কটনের ক্ষেত্রে গর্জিয়াস পাঞ্জাবি বাছাই
করতে একটু কষ্টকর হয়ে যায়।যদি পাঞ্জাবি খুব অসাধারণ ডিজাইন আর কারো কাজ না
থাকে তাহলে কটনের পাঞ্জাবি বাছাই করার প্রয়োজন নেই।পাঞ্জাবি সঙ্গে চুরিদার
পাজামা গলায় একটা ছোট দোপাট্টা থাকতে পারে ও আপনি পাঞ্জবির সাথে কোটিও ব্যবহার
করতে পারেন।
বিয়েতে বরের জন্য নাগরা জুতা
বিয়েতে পাঞ্জাবি এবং শেরওয়ানির সাথে নাগরাজিতা ছাড়া বরকে মোটেও মানায়
না।বিয়ের সাথে বরের নাগরা জুতার রীতিমতো এই নাম্বারের অতপ্রতভাবে জড়িত
রয়েছে।কারণ কোনে পক্ষ থেকে দুষ্টুমি করে বরের নাগরা জুতা লুকিয়ে রেখে টাকা
আদায়ের রীতি অনেক আগে থেকেই দেখা যায়।তবে যাই হোক বিয়েতে পাঞ্জাবি এবং
শেরওয়ানির সাথে করার জন্য জুতার দিকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।
আরো পড়ুনঃ
একতরফা ভালোবাসা নিয়ে উক্তি হুমায়ন আহমেদ
আপনি পাঞ্জাবি এবং শেরওয়ানির সাথে নাগরা জুতা বাছাই করতে পারেন।তবে নাগরা জুতা
কিনার পূর্বে অবশ্যই একটু ভালো মানের জুতা কেনার চেষ্টা করবেন কারণ অনেক সময়
জুতা পড়ার কারণে পায়ে ফোসকা পড়ে যায়।আপনি ভালো মানের সেরা নাগরাজিতা পড়তে
চাইলে ভেলভেটের তৈরি নাগরা জুতা বেছে নিতে পারেন।কারণ এগুলো করতে বেশ আরাম এবং
দেখতে অনেক সুন্দর্য ময়।
বিয়েতে বরের পোশাক স্যুট
বড় শাস্তি হলেই যে আপনাকে ভালো মানের শেরওয়ানি করতে হবে এমন কোন কথা নেই।বরের
পোশাক হিসেবে ফুল আর পাখির নকশা করা প্রিন্স কোর্ট পড়েও ভিন্ন ভিন্ন বেশে
সাজতে পারবেন।যেমন সিঙ্গেল ব্লেজার, ডাবল ব্লেজার, ওয়েডিং স্যুট ইত্যাদি পড়তে
পারেন। ব্লেজার পড়ার সময় শার্ট নির্বাচন করুন সুর বা ব্লেজারের সঙ্গে সামান্য
মিল রেখে।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন
কোর্ট ব্লেজার কোট যাই পড়ুন না কেন কাপড়ের মান এবং সেলাইয়ের মান হতে হবে
উন্নত। আপনি যখন বিয়েতে ব্লেজার সেট পড়ার চিন্তাভাবনা করবেন তখন অবশ্যই আপনি
পাত্রীর শাড়ি অথবা লেহেঙ্গার সঙ্গে মিল রেখে আপনি কোর্ট স্যুট বানানোর চেষ্টা
করবেন। বিয়ের পোশাকের জন্য সবকিছু চাকচিক্যময় নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ইসলামী পাত্রী দেখার নিয়ম
বিয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হলো বিয়ের আগে প্রথমে মনে মনে দ্বীনদারি নারী ও
পরিবার এবং জীবন যাপন সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া। এ ব্যাপারে আপনার যদি আশা বাগান
চোখ কোন সংবাদ পাওয়া যায় তাহলে আপনি মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট সাহায্য
চেয়ে আপনি পাত্রী পরিবারে পাত্রীকে দেখার জন্য ওহি পাঠাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
ব্যবসার পরিকল্পনার ধাপ কয়টি
পাত্রীপক্ষ যদি আপনার পাঠানো বার্তার কোন সংবাদ আপনার নিকট প্রেরণ করে সম্মতি
প্রকাশ করে তাহলে আপনি পাত্রীকে দেখতে যেতে পারেন।পাত্রী দেখতে যাওয়ার পূর্বে
আপনার বিশ্বস্ত কোন নারী মা-বোন ভাবি এমন কাউকে সাথে করে নিয়ে যাওয়া যাতে করে
ওই মেয়ের চরিত্র ও শারীরিক গঠন সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন নারীর চারটি বিষয় দেখে পুরুষরা বিয়ে
করতে আগ্রহী হয়
- পাত্রীর ধন-সম্পদ
- তার মর্যাদা ও আভিজাত্য
- পাত্রীর দ্বীনদার জীবনযাপন
- পাত্রীর রূপ ও সৌন্দর্য
একদা বুখারী ও মুসলিম তিরমিজি সহ আরো অন্যান্য বর্ণনায় হযরত মুগিরা বিন শোবা(
রা.) বলেন আমি রাসুল আল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে
বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করলাম তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন আগে যাও কনে কে দেখো কারণ এই দেখাদেখি তোমাদের বন্ধুত্বের
সম্পর্ককে সারা জীবন অটুট রাতে সহায়ক হবে।বুখারী ৪৮৩৩,তিরমিযী ১০৮৭,মুসলিম
১৪৩৪)
সাহাবী আবু হুরায়রা রা.উনার বর্ণনায় এসেছে এক ব্যক্তি মহানবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন আমি একজন আনসারী নারীকে বিয়ে করতে আগ্রহ
প্রকাশ করেছি তাই আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি তার এ কথা শুনে মহানবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন মেয়েটিকে আগে দেখে নাও কেননা আনসারী মেয়েদের চোখের
সমস্যা থাকে। (মুসলিম হাদিস ১৪২৪)
খাওয়াবি হযরত জাবির রা. বন্যা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এরশাদ করে বলেন তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কোন নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দাও তার জন্য
যদি বিয়ের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী নারীর অঙ্গ গুলো দেখার সুযোগ হয় তাহলে সে
অঙ্গগুলো তোমরা দেখে নিতে পারো।(আবু দাউদ ১/ ২৮৪ হাদীস ২০৮২) উপরোক্ত
হাদিসগুলোর ভাষায় এক ও অভিন্ন।
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিয়ের পূর্বে বরের পাত্রী কে দেখে নেওয়া।পাত্রী দেখা
শরীয়ত সম্মত নিয়ম হলো দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিয়ে আনুষঙ্গিক সকল বিষয় প্রথম
দেখে নেওয়া।দুজনার মধ্যে মনপুত হলে বিয়ের ইরাদা নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে
পাতির মুখ ও উভয় দুই হাত গোপনীয়তার সহিত দেখে নিতে হবে।মনে রাখবেন বড় ছাড়া
অন্য কোন পুরুষের পাত্রী দেখা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে দেখার নিয়ম অনুযায়ী পাত্রীকে পরিবারের সবার মধ্যে
শুধুমাত্র পাত্রই
শর্তসাপেক্ষে পাত্রীকে দেখতে পারবে সেই শর্তগুলো নিচে দেওয়া হলো
- পাত্র-পাত্রী একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারবে কিন্তু কোন স্পর্শ করতে পারবে না।
- পাত্রী দেখার সময় পাত্রের পরিবারের কোন পুরুষ যেমন বাপ, ভাই, বন্ধু-বান্ধব, মামা এক কথায় কোন পুরুষ পাত্রীর প্রমুখ দেখতে পারবে না।ইসলামে তা সম্পন্ন নিষিদ্ধ এবং কবিরা গুনাহ।
- পাত্রীর শুধু কব্জি পর্যন্ত হাত টাখনু মুখমণ্ডল দেখা পাত্রের জন্য বৈধ।এছাড়া শরীরের কোন অংশ আবরণ ছাড়া দেখতে পারবেনা।
- নির্জনে পাত্র-পাত্রী একত্র হওয়া বিয়ের পূর্বে সম্পূর্ণভাবে ইসলামী নিষিদ্ধ তাই কেউ কখনো এ কাজ ভুলেও করবেন না।আপনারা সকলেই চেষ্টা করবেন নিজের ধর্ম ইসলাম মেনে সঠিকভাবে বিয়ে করতে ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহর আমাদের সকলের জন্য ভালো কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছে।
পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত
পাত্রী দেখতে যাওয়া মানে নিজেকে যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক সুন্দর ড্রেস পরা
অবস্থায় তাদের সামনে পরিবেশন করা।কারণ একজন মানুষের পোশাক-আশাক তার চরিত্রের
বাকি অংশটুকু সৌন্দর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে।যে সমস্ত ড্রেস শরীরের সাথে
শক্তভাবে লেগে থাকে এবং যে সমস্ত ড্রেস কুসংস্কারের কোন চিহ্ন বহন করে এই সমস্ত
দেশ শুধু পাঁচটি দেখার সময়ই নয় এমনিতেও ওই সমস্ত ড্রেস না পড়াই উচিত।
আপনি যদি করোনার মধ্যে মেয়ে দেখতে যান তাহলে অবশ্যই মার্কস পড়বেন আর সাথে
স্যানিটাইজার নিয়ে যাবেন। এটি শুধুমাত্র করোনা কালীন সতর্কবার্তা। পাখি দেখতে
যাওয়ার পূর্বে আপনি এমন পোশাক পরবেন যা আপনার ব্যক্তিত্বর সাথে সামঞ্জস্য ও
মানানসই। আপনি হয়তো সবসময় এই জিন্স প্যান্ট ও পোলাও টি-শার্ট ব্যবহার করেন আর
আপনি যখন মেয়ে দেখতে যাবেন তখন অবশ্যই ফরমাল প্যান্ট আর ফুল স্লিপ শার্ট পরে
যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার বিয়েতে কোন কিছুই লুকানো উচিত না এদের
সম্পর্কটা অনেক লম্বা ও অতিক্রম করতে পারে না।তাই আপনাকে বিয়ে করার পূর্বে
আপনার নিজের ব্যক্তিত্বের সাথে মিল রেখে আপনি অবশ্যই পাত্রী দেখতে যাবেন।পাখি
দেখার পূর্বে অবশ্যই নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে উপস্থাপনা করবেন।
- আপনি যদি চাকুরীজীবী হন তাহলে আপনি কোট প্যান্ট ও স্যুট পড়ে যেতে পারেন।
- আপনি যদি দ্বীনদার ইসলামী মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি পাঞ্জাবি জব্বা এমন ধরনের পোশাক পরেই সেখানে উপস্থিত হতে পারেন।
- আপনি পাত্রী দেখতে যাবার সময় ফর্মাল ড্রেস সাথে ভালো মানের টি-শার্ট করে ইন করে এবং পায়ে সু ব্যবহার করে পাত্রী দেখতে যেতে পারেন।
এমন কোন অশালীন ড্রেস পড়ে যাওয়া যাবে না যেখানে গিয়ে আপনি তাদের সামনে
লজ্জিত হয়ে পড়েন।কারণ আপনি যেখানে পথটি দেখতে যাচ্ছেন সেই জায়গাটা আপনার
সারা জীবনের জন্য লিখিত হয়ে যেতে পারে।তাই অবশ্যই ভদ্রতার সহিত ভদ্র পোশাক
পড়ে হাজির বাসায় উপস্থিত হবেন।এতে আপনার সম্মান বৃদ্ধি পাবে।পাত্রী দেখতে
যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই হাতে করে কিছু মিষ্টি নিয়ে যাবেন।
শেষ কথা:পাত্রী দেখার সময় কি ড্রেস আপ করা উচিত এবং ভালো পাত্রী চেনার উপায়
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন পাত্রী দেখার সময়
কি ড্রেস আপ করা উচিত ও ভালো পাতি চেনার উপায় সম্পর্কে।আশা করছি এই পোস্টটি
আপনার পাত্রে নির্বাচন করতে অনেক উপকার আসবে।এছাড়াও আপনি এই পোস্টে আরো পাত্রী
দেখার কৌশল, বিয়েতে কি ধরনের পোশাক পড়া হয়, ইসলামে পাত্রী দেখার নিয়ম,
সম্পর্কেও খুব সুন্দরভাবেও জানতেও বুঝতে পেরেছেন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের পোস্ট
করার জন্য আপনি কি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার যদি আমাদের এই পোস্ট ভালো লেগে
থাকে তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ বন্ধু ও আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করুন।
আরো পড়ুনঃ
কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত
এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হন তাহলে আপনি আমাদের
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।এবং সবার আগে আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজ এ পর্যন্তই আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url