জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ

আপনারা নিশ্চয়ই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ নিয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন আপনি বঙ্গবন্ধু, শৈশবকাল, জেল জীবন, বঙ্গবন্ধু জীবনের ইতিহাস জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ
আপনারা শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে যদি এই আর্টিকেল পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন তিনি কিভাবে ইতিহাস রচনা করছেন এবং তিনি বাংলাদেশের  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ  সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন। তাই চলুন আর দেরি না করে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ 

ভূমিকা।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ 

আপনারা কি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে চিনেন? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন বাংলাদেশী রাষ্ট্রনায়ক, একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ যিনি এই গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা। আপনার যদি রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী নিয়ে জানতে অপেক্ষা করে আছেন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের সকল জানা অজানা তথ্য সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান কোথায়

আমরা প্রথমে আপনাদের কে জানাবো শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান কোথায়। (তিনি এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৭ই মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামে বাংলা প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত যাকে এখন বর্তমানে বাংলাদেশ জন্মগ্রহণ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম এর পর উনার প্রকৃত নাম রাখা হয় শেখ মুজিবুর রহমান। এবং উনার ডাক নাম ছিল বঙ্গবন্ধু । যিনি এখন বাংলাদেশের জাতির পিতা (খোকা)। এবং তিনি ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবকাল

শেখ আব্দুল মজিদ আদর করে নাতির নাম রাখলেন শেখ মুজিবুর নামের এই বালকটি টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামে পল্লিতে জন্ম নেওয়া ছোটবেলা থেকে যেমনি বর্ণিল, তেমনি চমকপ্রদক। তিনি ছোটবেলা থেকে সবাই কে আপন করে ভালোবাসতে বেশি ভালোবাসতেন । গ্রামের কত কাদা-জল মেখে গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠেছেন। 

বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকে ছিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা। শেখ আব্দুল মজিদ আদর করেন নাতির নাম রাখলেন শেখ মুজিবুর রহমান রাখলেও পিতা - মাতা নাম রেখেছিন (খোকা) । আমরা আজ সেই খোকার শৈশবকালের ইতিহাস জানবো।

বঙ্গবন্ধু যখন ক্লাস সপ্তম শ্রেণীতে পড়েন তখন তিনি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন । তিনি ছিলেন তার পরিবারের বড় ছেলে । এবং তিনি তার বাবার কাছে থেকে লেখাপড়া শিখেন। তিনি তার বাবার কাছে থাকতে বেশি পছন্দ করতেন, ও তিনি তার বাবার কাছে ঘুমাতো কারণ তার বাবার গোলা ধরে না ঘুমালে তার ঘুম আসতো না। 
তাই সমস্ত আদর তিনি তার বাবার কাছে নেন। তিনি তার জীবনে শৈশব টা অনেক আনন্দ করে কাটিয়েছেন তিনি নদীতে ঝাপ দিয়ে গোসল করতেন। তিনি অনেক পাখি ভালোবাসতেন বাবুই পাখি, শালিক পাখি, টিয়া, কবুতর, মাছরাঙ্গা কি ভাবে মাছ ধরে খাইতো পাখিরা কোথায় বাসা করে থাকতো এবং পাখি গুলোর সুমধুর সুর তাকে অনেক ভালো লাগতো।

এছাড়া তিনি বাসায় কবুতর, টিয়া, কুকুর, বিড়াল, ময়না পাখি, এগুলো বাসায় লালন পালন করতেন এবং তিনি এদের শিস দেওয়া শিখাতেন।

খোকার শৈশব খেলাধুলা
শেখ মুজিবুর রহমান যখন শৈশব ছিলেন তখন তিনি ফুটবল, ভলিবল, বাস্কটেল বল,হকি নানান খেলা খেলতো, খেলধুলায় খুব একটা ভালো না খেলেও স্কুলের টিমের মধ্যে ভালো অবস্থান থাকতো। তবে তিনি ফুটবল টা একটু ভালো খেলতেন।

এসময় রাজনীতি নি কিছু বুঝতেন না শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি খেলাধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা পড়তেন, আনন্দ বাজার, বসুমতী, আজাদ, মোহাম্মদী ও সওগাতা মাসিক এগুলো ছিলো সেই সময়ের জনপ্রিয় পত্রিকা। সেই সময়ের শিক্ষিত মানুষরা বাসায় এধরনের পত্রিকা রাখতেন।

ছোট বেলা থেকে তিনি এগুলোর সাথে জড়িত থাকাই তিনি পৃথিবীর বিপুলা এক দরজা খুজে পেয়েছিল। ছোট বেলার শেখ মুজিব খেলা দেখতে যাইতেন তার বাবা । মুজিব কি ভাবে খেলাধুলা করে খেলার সময় মাটিতে কি ভাবে গড়াগড়ি খাইতেন সেগুলো দেখে তার বাবা এবং মুজিব দাদা রা হাস্যরস করতেন বাড়িতে।শেখ মুজিবুর রহমান মধুমতী নদী পার হইয়ে মোল্লারহাট গ্রামে খেলতে যেতেন। মাঝে মাঝে তার দাদু যাইতেন খেলা দেখতে এভাবে পরিবারের ভালোবাসার মানুষ ছিলেন তিনি।

খোকার শৈশবে অসুস্থ
শেখ মুজিবুর রহমান ছোট বেলা থেকে নানা রকম রোগে ভুকতেন। শৈশবে তা একবার বেরিবেরি রোগ হয় এবং তিনি হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন ১৯৩৬ সালে চিকিংসা নিতে হয় কলকাতায়। অস্ত্রোপচারের পঅর থেকে তিনি চোখে চশমা ব্যবহার করতেন লাগলেন। চোখের সমস্যার হওয়ার কারণে তিনি আর পড়াশুনা করতে পারছিলেন না । তারপর তিনি ১৯৩৭সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বছর বয়সে বিয়ে করেন

খোকার শৈশবে বিয়ে
সবকিছু থেকে ভালো হয়ে ওঠার পর। সংসার জীবনে পা দেন শেখ মুজিবুর রহমান তিনি । যখন তার বয়স ছিল বারো থেকে তেরো বছর তখন শেখ মুজিব ফজিলাতুন নেছাকে বিবাহ করেন। মজার বিষয় হলো রেণুর বাবা মারা যাওয়ার পর ওর দাদা মুজিব এর বাবা সাথে কথা বলেন যে তোমার বড় ছেলে আমার একটা নাতনির সাথে বিয়ে দিতে হবে ।

কারণ তাদের সকল সম্পতি ওদের দুই বোনের নামে লিখে দিবে। রেনুর দাদা ছিলেন মুজিব এর চাচা। তারপর তাদের পরিবার সবার সাথে কথা হওয়ার পর বিবাহ রেজিট্রেশন করেন ।
তারপর যখন গত শতকের ত্রিশের দিকে স্বদেশী আনন্দলন দেখে ইংরেজবিরোধী ক্ষোব জেগে ওঠে ছোট বালক শেখ মুজিবের মনে প্রাণে । তিনি যখন রাজনীতি নেমে আসেন তখন তিনি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর একজন ভক্ত। ছোট বেলা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে সাক্ষাৎ কার চিল তার জীবনের উল্লেখ যোগ্য ঘটনা ।

বঙ্গবন্ধুর সন্তান কত জন কে কে

শেখ মুজিবুর রহমান যখন বারো তেরো বছর বয়সে বিয়ে করেন ফজিলাতুন নেছাকে। এবং তাদের ৫জন ছেলে মেয়ে হয়। তার মধ্যে ৩ছেলে ২মেয়ে। ছেলেদের নাম হলো শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল। মেয়েদের নাম শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা এবং শেখ হাসিনা তিনি এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল কে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুর পরিবারে হত্যা করে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, পড়াশুনার জন্য আমেরিকা ছিলেন যার জন্য তারা দুই জন বেচে যায়।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় কত সাল থেকে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকলকে হত্যা করেন। এই দিনে মৃত্যুর পর ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি সরকার আবারো ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগষ্ট শোক দিবস পালন করা বন্ধ হয়ে যায়। তার পর প্রায় ৭বছর পর হাইর্কোটের আদেশে বর্তমান সরকার ১৫ আগষ্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পূর্ণ সুচনা করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তার বাবা ছিলেন শেখ লুতফর রহমান ছিলেন একজন গোপালগঞ্জের দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার । তিনি ১৯২৭ সালে গিমাদাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন মাত্র ৭ বছর বয়সে।

নয় বছর বয়সে তিনি গোপালগঞ্জের পাললিক স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি খেলাধুলায় অনেক ভালো ছিলেন। স্কুলের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অংশ নিতেন । ১৯৪২ সালে এইচএসসি পাশ করার পর তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে যার বর্তমানে নাম রাখা হয় মাওলানা আজাদ কলেজ। ১৯৪৭ সালে তিনি বি এ পাশ করেন ।

তিনি কলেজে পড়া কালীন সময়ে কলকাতার সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নাম্বার রুমে থাকতেন। বর্তমানে সে ঘরটিকে এখন জাদুঘর ১৯৯৮বানানো হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতায় পড়াশুনা চলাকালীন সময়ে রাজনীতি শুরু করেন । এবং তিনি ইসলামিয়া কলেজে ১৯৪৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসবে পদও মর্যদা পান।
তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী হয়েছিলেন.।১৯৪৬ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিব মুসলিম লীগের জন্য গুরুত্বরপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।তিনি পাকিস্তানে আলদা মুসলিম রাষ্ট্র গঠন করার জন্য বেঙ্গল মুসলিম লীগের হয়ে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফ্রেবুয়ারি
১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। এবং ৪জানুয়ারি তিনি মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২৩ ফ্রেবুয়ারি প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন আইন পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানকে উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে মেনে নিতে বললে বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ জানায়। খাজা নাজিম উদ্দিন বক্তব্যে কারণে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠতে থাকে । বঙ্গবন্ধু মুসলিম লীগের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য তিনি সবার হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। 

এবং সাথে সাথে তিনি ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলেন। ২মার্চ তিনি মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সংগঠিত করার জন্য তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন।ফজলুর হক মুসলিম হলে অনুষ্ঠিত বৈঠক এর মাধ্যমে জানায় বঙ্গবন্ধু প্রস্তাব সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম গঠিত হয়। এবং সংগ্রাম পরিষদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা নিয়ে মুসলিম লীগের ষড়ন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ১১ মার্চ সাধারণ ধর্মঘাট করেন। 
এবং তিনি ১১ই মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘাট পালন করতে গিয়ে সচিবলায়র সামনে বিক্ষোভ তাদের সহকর্মীদের সাথে থাকা অবসস্থায় বুঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হলে সারাদেশে ছাত্র সমাজ বঙ্গবন্ধু মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে। আন্দোলনের প্রতিবাদ ফুটে ওঠাই বঙ্গবন্ধু মুক্তি পায়। বঙ্গবন্ধু মুক্তি লাভের পর ১৬ ই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা দাবিতে ছাত্র জনতার সভার আয়োজন করা হয়। 

বঙ্গবন্ধু এই সভায় সভাপতি করেন। সভায় পুলিশ হামলা চালালে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ১৭মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘাট পালন করার নির্দেশ দেয়। এবং তাকে ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়।
১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি
২১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীরা তাদের দাবি আন্দোলনের আদায়ের উদ্দেশ্য ধর্মঘাট ঘোষাণা করলে তাদের দাবিতে বঙ্গবন্ধু সহমত জানায়। কর্মচারীদের এই আন্দোলনের উপদেশ দেওয়ায় তাকে ২৯ মার্চ তাকে তাকে বিনা অপরাধে তাকে জরিমাণা করা হয়। ১৯ এপ্রিল উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ধর্মঘাট করার কারণে তাকে আবার ও গ্রেফতার করা হয়। 

২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ গঠিত করা হলে তিনি জেল খানা থেকে সেই দলের যুগ্ন সম্পাদক পদে জয় পাই। তারপর তিনি জুলাই মাসের শেষের দিকে মুক্তি পায়। এবং তিনি বের হয়ে দেখে দেশে খাদ্য সংকট তখন তিনি আবারো আন্দোলন করেন। তাকে আবারো ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে গ্রেফতার হলে কিছু দিন পর আবারো বের হয়ে আসেন । 

তারপর তিনি ১১ অক্টোবরে এক অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সভায় নূরুল আমিনের বিরুদ্ধে পদত্যাগ দাবি জানায় । পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের আগমন আওয়ামী লীগ একটি বিশাল মিছিল বের করে পরে বঙ্গবন্ধু কে আবারো গ্রেফতার করলে এবারে প্রায় দু বছর ৬মাস তাকে জেলে থাকতে হয়।
১৯৫০সালে ১জানুয়ারিঃ তিনি আন্দোলনের কারণে গ্রেফতার হয়।
১৯৫২ সালের ১৪ফেব্রুয়ারিঃ জেল থেকে বের হয়ে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে তিনি অনশনে থাকেন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিঃ রাষ্ট্র ভাষার দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবাদে মিছিলে গুলি চালানো হয়। এসময় শহীদ হন সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক সহ অনেকে শহীদ হন । তিনি জেল খানা থেকে এ ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানায়। একটানা তিন দিন সবকিছু অব্যাহিত রাখেন।
১৯৫২সালের ২৭ফেব্রুয়ারিঃ বঙ্গবন্ধু একটানা অনেক দিন অনশনে থাকার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন তাকে মুক্তি দেয় আবারো।
১৯৫৩সালের ১৬ নভেম্বরঃ তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি আবারো সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়।

১৯৫৪সালের ১০মার্চঃ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসনে বিজয়ী লাভ করেন। এবং শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের হয়ে বিজয় লাভ করেন।
১৯৫৪সালের ২এপ্রিলঃ বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা গঠিত করা হয়।
১৯৫৪সালের ১৪মেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রীসভার কনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করেন।
১৯৫৪সালের ৩০মেঃ এই দিনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী যুক্তফ্রন্ট থেকে মন্ত্রীসভা বয়কট করেন দেন। তার পরে বঙ্গবন্ধু ঢাকা থেকে করাচি যাওয়ার সময় আবারো গ্রেফতার করা হয়।
১৯৫৪সালের ২৩ নভেম্বরঃ বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে জামিনে বের হলে তাকে নিরাপত্তা আইন আবারো গ্রেফতার করেন এভাবেই তিনি লড়াই করে গেছেন।

১৯৫৫সালের ২১ অক্টোবরঃ আওয়ামী মুসলিম লীগ বিশেষ অধিবেশনে ধর্ম নিরপেক্ষতা আদর্শবান হিসাবে গ্রহণ করে দলের নাম রাখা হয় আওয়ামী লীগ। তারপর বঙ্গবন্ধু দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
১৯৫৮সালের ৭ই অক্টোবরঃ প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মীর্জা সামরিক আইন জারি করেন, তিনি দায়িত্ব নিয়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হলো ১৬৫৬সালের সংবিধান বাতিল করেন। ১৯৫৯ সালের সাধারণ নির্বাচন বাতিল করা হয়। দূর নিতি ও চোরা চালান বন্ধ করার বক্তব্য দেন। এবং রাজনৈতিক দলের উপর নিষেধ বহাল রাখতে।
১৯৬৫সালেরঃ ৮০হাজার কাউন্সিল সদস্যের ভোটে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

১৯৬৬সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি
লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের এক সম্মেলনে যোগদান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে করে পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে জনগনের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনি ৬দফা আন্দোলন জারি করেন। ৬দফায় ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের অর্থনৈতিক ,রাজনৈতিক, সামরিকসহ সকল অধিকারের কথা তুলে ধরেন।
১৯৬৯সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি
আইয়ুব খান শেখ মুজিবুর রহমান কে নিঃশত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এবং অন্য নেতৃবৃন্দকে মুক্তি করে দেওয়া হয়। আগরতলা মামলা প্রত্যহার করে নেওয়া হয়.২৩শে ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেখানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

১৯৭০সালেরঃ জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭০সালের নতুন সামরিক সরকার নির্বাচিত করতে বাধ্য হয়।বাঙালি জাতীয়তাবাদী প্রয়োজনীয়তা তাদের কাছে স্পট হয়ে ওঠে।

১৯৭০সালের নির্বাচনের ঘটনা
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে পূর্ব বাংলার জন্য নির্ধারিত ১৬২ টি আসনের মধ্যে ১৬০টি আসন লাভ করেন।সংরক্ষিত মহিলা আসন ৭টিসহ আওয়ামী লীগ মোট ১৬৭ টি আসন লাভ করে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে।

আবার পূর্ব পাকিস্তানে পরিষদের সংরক্ষিত ১০টি মহিলা আসন লাভ করে। মহিলা আসনসহ মোট ৩১০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতআ অর্জন করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এক নজরবিহিন বিজয় লাভ করেন।
১৯৭১সালের ২৫শে মার্চ
১৯৭১সালের ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু তার কাছের সহযোগীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। যদি কোন ভাবে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করার চেষ্ঠা করে তাইলে প্রতিঘাত করার নির্দেশ দেয়। এবুং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন মুক্তিযুদ্ধের সময় কি করতে হবে তা নিয়ে পরার্মশ দেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামে মেহেরপুর জেলায় বৈদ্যতলাকে নামকরণ করে রাখা হয় মুজিবনগর। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের প্রতিনিধিদের জন্য ১৯৭১ সালের ১০এপ্রিল মাসে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়। 

এটিই ছিল প্রথম বাংলাদেশ সরকার গঠন।আর এইদিনে শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায় বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষনা আর্দেশ। এবং মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন ১৯৭০ সালের ১৭ই এপ্রিল। আর সেই শপথ গ্রহণ মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুজিবনগর স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার কাঠামো তালিকা
  • প্রথম রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের নায়কঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
  • উপ- রাষ্ট্রপতিঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম( বঙ্গবন্ধু অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন)
  • প্রধানমন্ত্রীঃ তাজউদ্দীন আহমদ
  • অর্থমন্ত্রীঃ এম,মুনসুর আলী
  • স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীঃ এ,এইচ,এম, কামারুজ্জামান
  • পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীঃ খন্দকার মোশতাক আহমেদ
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস হিসাবে বাংলাদেশ পতাকা উত্তলন করেন। এভাবেই কাটতে থাকে বঙ্গবন্ধুর জীবন কাহিনী, আরো অনেক বিস্তারিত আছে সেগুলো আপনাদের জন্য আর একটি আর্টিকেল নিয়ে আসবো।

বঙ্গবন্ধুর জেল জীবন কত বছর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পুরো জীবনে ৪হাজার ৬৮২ দিন কারাগার ভোগ করছেন । তিনি স্কুল জীবন থেকে শুরু হয় তার কারাজীবন। স্কুল জীবনে তিনি ৮দিন কারাগার ছিলেন। এবং বাকি ৪ হাজার ৬৭৮ দিন কারাগার থাকেন পাকিস্তান সরকারের আমলে। বঙ্গবন্ধু ৫৫ বছর জীবনের এক অংশ কারাগারে থাকতে হইছে বঙ্গবন্ধুকে। তিনি জীবনে ১৪ বছর কারাগারে পার করেন । যখন পাকিস্তান শাসনকাল ছিল তখন ১৯ বারের বেশি জেলে যেতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে।

বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬-৬৯ সালে কারাগার থাকাকালে তিনি তার জীবনের অসমাপ্ত আত্নজীবনী রচনা করেন। এবারে আপনারা জানতে পারবেন বঙ্গবন্ধু ছাত্র জীবন থেকে কতবার কি ভাবে জেলে ছিলেন। ছাত্র থাকাকালে ১৯৩৮সালের প্রথমবার জেলে যায়।

তিনি প্রথমে ৭দিন কারাগার ছিলেন। তারপর ১৯৪৮ সালের ১২মার্চ থেকে ১৭মার্চ পর্যন্ত আবারো ৫দিন জেলে ছিলেন। একই বছরে আবারো ১২সেপ্টেম্বর তিনি আবার জেলে গেলে এবারে জেল থেকে ছাড়া পায় ১৯৪৯সালের ২১জানুয়ারি। এবছরে তিনি আবারো প্রায় ১৩২দিন কারাভোগ করেন।

শেখ মুজিবুর রহমান আবারো ১৯৪৯সালের ১৮এপ্রিল আবারো জেলে যায়, তারপর ৮০দিন পর আবারো মুক্তি পায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।তারপর একই বছরে ১৯৪৯ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি আবারো ৬৩ দিন কারাগার ভোগ করে আসেন। তারপর ১৯৫০ সালে ১জানুয়ারি থেকে শুরু হয় তার জীবনের দীর্ঘসময় জেলের জীবন ১৯৫২সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ৭৮৭ দিন।
আইয়ুব খান মার্শাল জারির পর ১৯৫৮সালের ১১ অক্টোম্বর তাকে আবারো গ্রেফতার করা হয়। তিনি এসময় একটানা ১৫৩দিন তাকে জেলে আটকে রাখা হয়। এ দফায় তিনি তার অনেক মূল্যবান সময় কারাগারে পার করেন।
তারপর আবার ১৯৬২ সাল থেকে ৬ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর আবারাও গ্রেফতার হয়। এবং সে একই বছরে ১৮জুন মক্তি পায়। এসময় কারাগার জীবন পার করেন আরোও ১৫৮দিন। বেশ কিছুদিন থাকার পর ১৯৬৪সালে আবারো নেমে আসে বঙ্গবন্ধু কারাজীবন ১৯৬৫সালে বিভিন্ন কারনে ৬৬৫দিন কারাগার জীবন পার করেন।
বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন স্থানে মুক্তির ৬ দফা সনদ সমাবেশ করতে গেলে আবার তাকে পাকিস্তানি সরকার বিরুদ্ধে ৩২টি জনসভা করলে বিভিন্ন মেয়াদে ৯০দিন কারাগারে বন্দী ছিলেন। ১৯৬৬সালে ৮ই মে আবারো গ্রেফতার হয়। ১৯৬৯সালের গণঅভ্যুস্থানের কারণে ২২ফেব্রুয়ারি এক কথায় তিনি দ্বিতীয় রের্কড ক রে ১হাজার ২১দিন কারাগারে আটকে ছিলেন। 

১৯৭১সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার একটু পর পাকিস্তানি সরকার তাকে আবারো আটক করেন। তারপর তাকে তৎকালীন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানি মিয়ানালি কারাগারের একটি সেলে তাকে ২৮৮ দিন কারাগারে পার করতে হয়।

সর্বশেষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে বুকে ফিরে আসেন। তারপর বাঙালি জাতিকে সঠিক ভাবে গড়ে তোলার চেষ্ঠা করেন।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ই মার্চ ১৯২০ সালের গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়ায় এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৭ বছর বয়সে তিনি গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালিখা করেন।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এবং তিনি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ রাজনিতিবিদ ছিলেন।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পাঁচ সন্তান ছিলেন তারা হলেন ঃ শেখ জামাল, শেখ কামাল, শেখ হাসিনা , শেখ রেহেনা, ও শেখ রাসেল।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হিসাবে থাকা কালীন তিন ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলন যোগদান করেন।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মাতৃভাষা অর্জন এর জন্য তিনি মোট ১৪বছর কারাগার থাকেন এবং সব মিলে প্রায় ১৯বারের বেশি কারাগার গেছেন।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষাণ দেন। এবং ইউনেস্কো ২০১৭সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে উপাধি পান।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১সালের ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরুর পূর্বে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সাথে আলোচনা করেন।
  • ববঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় বিজয়ী প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা সবাই মিলে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন ২৬শে মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে পূরর্ণতা পায়।

৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসর্কোস ময়দানে অর্থাৎ বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ১০ লক্ষ মানুষের সামনে স্বাধীনতার জন্য ভাষণ দেন। তিনি এ সময়ে বলেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর শোষণ -শাসন বঞ্চনার ইতিহাস নির্বাচনে জয়ের পরে বাঙালির সাথে প্রতারণা করেন বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের কথা বলেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০১৭ সালে ইউনেস্কো শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণকে ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ বিশ্ব প্রামাণ্য হিসাবে উপাধি পায়।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণ থেকে বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের অনুমতি পায়। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। বঙ্গবন্ধু আরো বলেন তোমাদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর সাথে মোকাবিলা করতে হবে। 
তিনি আরো বলেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব তবুও এদেশের মানুষকে স্বাধীন করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার এই নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবনের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ সোনার দেশ।

মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেন কে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ  জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পালন করা হয়। বাংলাদেশ সরকার (২০২০-২১) সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মুজিববর্ষ ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাই ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ১০০ বছর পূর্ণ হয় তাই এই জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়। এবং ২০২১ সালের ২৬ই মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার অর্ধশত বছর পূর্ণ হওয়ায় ২০২০-২০২১ সাল ২টি বছর স্মরণীয় দিন।

লেখকের মন্তব্য।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ 

আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে থাকেন তাইলে আপনি ও আজকে জানতে পারলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ মুজিববর্ষ বঙ্গবন্ধু জন্ম,মৃত্যু, শৈশবকাল, বঙ্গবন্ধু জীবনী, জেল জীবন তাই আমাদের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তাইলে অন্যকে পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট শেয়ার করবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url