মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

 

প্রিয় পাঠক আপনি কি মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এবং প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান? না জেনে থাকলে এই পোস্ট আপনার জন্য। আপনি হইতো মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় জানার জন্য আপনি গুগলের কাছে প্রশ্ন করছেন তাই আমি আপনাদের সকলের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এই আর্টিকেল সুন্দর ভাবে তৈরি করেছি তাই কথা না বাড়িয়ে এবারে আমরা জেনে নিব মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তা সম্পর্কে।
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
আপনি যদি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাই চলুন মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এক নজরে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা।মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

মেয়েরা বিয়ের পর একটা সময় সবাই গর্ভবতী হয়। কিন্তু আপনারা অনেকে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো অজানা থেকে যায় তাই আমি আপনাদের জন্য মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এবং প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি সহ একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার সকল লক্ষণ গুলি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি।
আপনারা আরো জানতে পারবেন পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ,প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়,মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়,মিলনের সময় নারীর করণীয়,প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয় সহ সকল কিছু জানার জন্য আমাদের সাথে থাকুন।

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

  • মুড সুইং ও মাথা ঘোরা শুরু হয় পিরিয়ড মিস হওয়র আগে থেকে এটা একটা লক্ষণ।
  •  মনিং সিকনেস বা সকাল বেলায় খারাপ লাগা শুরু হয়ে যায় এটা সবচেয়ে বেশি হয় গর্ভবতীর।
  •  অনেকের খাবার খাওয়ার প্রতি অগ্রাহ থাকে আবার অনেক গর্ভবতী খাবার প্রতি রুচি বেড়ে যায়।
  •  গর্ভবতী নারীর শরীরে হরমোন পরিবর্তন হয় যার ফলে শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয় যার মধ্যে ঘন ঘন প্রসাব হয়।
  •  গর্ভবতী মহিলার গলা শুকিয়ে যায় যার ফলে পানি পিপাসা অনুভূত হয়।
  •  গর্ভবতী হওয়ার শুরু থেকে মাথা ব্যথা হয় এবং মাথা ঘোরা শুরু হয়।
  •  সাদা স্রাব বেশি হয় এবং সাদা স্রাব থেকে দূর গন্ধ বের হয়।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

যখন পিরিয়ড মিস হয় তারপর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়। ৪ সপ্তাহে পর টেস্ট করলে কারো রেজাল্ট চলে আসে আবার কারো ৬ সপ্তাহে করলে সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যায়। প্রেগন্যান্সির জন্য ডাক্তারের ফার্মাসি থেকে প্রেগন্যান্সির কিট পাওয়া যায় এটা দ্বারা প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায়। এটা দ্বারা টেস্ট করলে জানা যায় গর্ভবতী হয়েছে কিনা। প্রথমে প্রেগন্যান্সির কিট কাঠি সকালে বাসি প্রসাব একটা কাঁচের পাত্রে নিয়ে কিট দিয়ে পরিক্ষা করতে হবে।
তারপর যদি কাঠিতে দুটো লাল দাগ হয় তাহলে রেজাল্ট পজিটভ আর যদি একটা লাল দাগ হয় তাহলে রেজাল্ট নেগেটিভ। এটা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি প্রেগন্যান্সির পরিক্ষা করার। আবার ঘরোয়া ভাবে যদি করতে চান তাহলে পরিষ্কার পাত্র নিয়ে সেটায় অল্প প্রসাব নিয়ে এর মধ্যে এক চা চামচ চিনি দিয়ে সাত মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। যদি চিনি গলে না যায় তাহলে আপনি গর্ভবতী। যারা গর্ভবতী হয় তাদের শরীরে HCG হরমোন পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাই চিনিকে গলতে দেয় না।

লবণ সাহায্য ঘরোয়া ভাবে প্রেগন্যান্সির পরিক্ষা করা যায় সহজে। একটি পরিষ্কার কাচের গ্লাসে সকালে বাসি প্রসাব নিয়ে তার মধ্যে ড্রপার সাহায্য কয়েক ফোটা প্রসাব দিয়ে লবণ দিতে হবে। গ্লাসে মধ্যে যদি কোন বিক্রিয়া হয় পাঁচ মিনিট অপেক্ষা পর তাহলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী। আর যদি কোন পরিবর্তন না হয় তাহলে রেজাল্ট নেগেটিভ। এভাবে প্রাচীন যুগে লবন, চিনি দিয়ে ঘরোয়া ভাবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করত।

প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়

যখন কেউ নতুন বা প্রথমবার গর্ভবতী হয় তখন তার মনে নানা রকম প্রশ্ন জাগে। তারা মনে করে কখন বুঝতে পারবে সুসংবাদ কবে আসবে কিভাবে বুঝবে গর্ভবতী হয়েছে কিনা। এসকল প্রশ্ন উত্তর এখনি পেয়ে যাবেন। যখন কেউ গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করে তখন সেই চেষ্টা করার পর থেকে পরবর্তী মাসিক হওয়ার সময় মানে এক মাস বা চার সপ্তাহ পর ফলাফল জানা যায় তিনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা।

মাসিক যদি সেই সময় না হয় তারপর পরিক্ষা করে দেখতে হবে। যদি রেজাল্ট পজিটিভ হয় তাহলে জেনে যাবেন।আর নেগেটিভ হলে আবার চেষ্টা করতে হবে। অনেকে অনিয়মিত মাসিক কারণে নানা সমস্যা দেখা দেয়। মাসিক বন্ধ হওয়ার ৩০ দিন পর জানা যায় প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছে কিনা।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বোঝার জন্য ৩০ দিন বা চার সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়। মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে থেকে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। তবে সব লক্ষণ দেখা দেয় এক মাস পর থেকে। শুরু দিকে মাথা ঘোরা, মাথা বেথা, বমি ভাব, প্রসাব পরিমাণ বৃদ্ধি, মনিং সিকনেস, মুড সুইং ইত্যাদি হতে শুরু করে। আস্তে আস্তে এসব সাথে আরো নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয়। 
এই সময় রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীরে নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। শরীরে হরমোন পরিবর্তন হয় যার ফলে শরীরে নানা সমস্যা হয়। কনসিভ হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে যায় লক্ষণ।

প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়

একজন মহিলা অনেক আশা নিয়ে একটা সন্তানের জন্য চেষ্টা করে। অনেকে অনিয়মিত মাসিক জন্য বাচ্চা কনসিভ হয় না। অনেকের শারিরীক নানা সমস্যা জন্য বাচ্চা কনসিভ হতে চাইনা। যার ফলে মনে নানা রকম হতাশা সৃষ্টি হয়। যাদের অনিয়মিত মাসিক তাদের কোন নিয়ম মত বোঝার উপায় নাই। 

তবে যাদের স্বাভাবিক মাসিক হয় তারা যখন থেকে চেষ্টা করে তারপর শেষ মাসিক ডেট পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। মাসিক যদি না হয় তখন পরিক্ষা করতে হবে।পরিক্ষা করার পর ফলাফল পেয়ে যাবে। বাচ্চা কনসিভ করার চেষ্টা করা থেকে এক মাস বা শেষ মাসিক যে ডেট সেই দিন পর মাসিক না হলে পরিক্ষা করতে হবে। তাহলে রেজাল্ট পাওয়া যাবে। আপনি মা হতে যাচ্ছেন কিনা।

পিরিয়ড মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

যারা মা হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে চেষ্টা করছেন তাদের জন্য পিরিয়ড মিস হলে অনেক খুশি হয়। অনেকে মনে হয়ত আশা করে ফেলে হয়ত এবার সুসংবাদ পাবেন। পিরিয়ড মিস হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহে মধ্যে প্রেগন্যান্সির পরিক্ষা করা যায়। অনেকের দেরিতে বোঝা যায় তাই একটু সময় নিয়ে কয়েক দিন পর করলে সঠিক ফলাফল পেয়ে যাবেন। অনেকের এক মাস পর ফলাফল পায় আবার অনেকের ছয় সপ্তাহে সময় করলে ফলাফল পাওয়া যায়। এভাবে যারা চেষ্টা করছেন মা হবার জন্য তারা পিরিয়ড মিস হবার পর টেস্ট করে দেখেন হয়ত এবার আপনার জন্য সুসংবাদ আসছে।

মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

সঠিক নিয়ম মেনে সহবাস করলে আল্লাহ যদি চান তাহলে অবশ্যই আপনিও মা হতে পারবেন। প্রতিটা মেয়ে অনেক আশা নিয়ে বুক বেধে থাকে মা হবার। অনেকে হয়ত সঠিক নিয়ম জানেনা তাই আবার ভাগ্য না থাকার কারণে মা হতে পারে না।সবটা আল্লাহ ইচ্ছা হয় তাই হতাশ না হয়ে সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। মিলনের ২৩ দিন পর প্রেগন্যান্সির পরিক্ষা করলে জানা যায়। 

তবে এক মাস পর টেস্ট করা ভালো। ভালোভাবে বোঝা যায় বাচ্চা কনসিভ হয়েছে কিনা। গর্ভবতী মহিলার প্রসাবে একটি হরমোন উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। গর্ভবতী মহিলার ইউরিন এই হরমোনের পরিমাণ শুরু দিকে কম হয় আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হবার এক থেকে দুই সপ্তাহে মধ্যে আপনি পরিক্ষা করলে সঠিক ফলাফল পেয়ে যাবেন। তাড়াতাড়ি না করে একটু অপেক্ষা করে টেস্ট করতে হয় তাহলে সঠিক ফলাফল পাবেন। যদি এত দিন অপেক্ষা করতে না পারেন তাহলে সহবাসের এক থেকে দুই সপ্তাহে পর টেস্ট করলে ফলাফল পেতে পারেন। এই সুসংবাদ সবাই আশায় থাকেন অনেকে। তাই ধর্য্য ধারণ করে কিছু সময় পর টেস্ট করা সঠিক ফলাফল পাবেন। মাসিক মিস হবার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এসকল তথ্য জানতে পারলেন।

মিলনের সময় নারীর করণীয়

যখন স্বামী স্ত্রী মিলন হয় তখন নারীর করণীয় কি সেটা অনেকে জানে না। যখন স্বামী সহবাস জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করবে সেই সময় নারীকে তার ডাকে সাড়া দিয়ে তার কাছে যেতে হবে। পুরুষ মানুষের উত্তেজনা বেশি থাকায় অনেক নারী সহবাস করতে অগ্রাহ প্রকাশ করে না। নারীর মিলনের সময় তার স্বামীকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং স্বামী ডাকে সাড়া দিয়ে তার সাথে মিলন হতে হবে।
তাকে আকর্ষণ করার জন্য নিজেকে পরিপাটি থাকতে হবে এবং সুন্দর ভাবে সেজেগুজে তার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। নিজেকে স্বামীর পছন্দ মত সাজিয়ে তার যৌন মিলন করতে ডাকতে হবে। স্বামী স্ত্রী মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশ করতে হবে মিলনের মাধ্যমে যার জন্য নারীকে তার স্বামীকে হাসি খুশি রেখে গল্প করে নানা ভাবে আকর্ষণ করতে হবে।

মিলনের সময় মেয়েরা ব্যথা পায় কেন

যখন কোন মেয়ে প্রথমবার মিলন হয় তখন সে ব্যথা অনুভব করে। যে সকল মেয়ের দেহে যোনির পেশি অতিরিক্ত কঠিন হয় তাদের যৌন মিলন সময় ব্যথা হতে পারে। যৌন উত্তেজনা কমে গেলে মেয়েদের যৌনসঙ্গমের সময় ব্যথা হতে পারে এবং এটা যে কোন বয়সের মেয়েদের হয়। মেনোপজের কারণে ও যৌনিদ্বারে ব্যথা হয়। যৌনরোগ যেসকল মেয়েদের আছে যেমন গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া, হারপিস ইত্যাদি কারণে ব্যথা হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য।মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা।প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

আশা করছি আপনারা পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এবং প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি সহ একজন নারী গর্ভবতী হতে হলে কি কি করতে হবে তা সবকিছু সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন। আশা করছি আমার এই আর্টিকেল আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আপনাদের যদি এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকে তাহলে সবাইকে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url