ই-বুক কাকে বলে - ই-বুক কিভাবে পড়া যায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান?তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন এবং জেনে নিন ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায়। আমাদের এই আর্টিকেলে ই-বুক সম্পর্কিত সকল তথ্য যেমন ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা, ই-বুক এর কাজ কি, ই বুক কত প্রকার তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ই-বুক কাকে বলে - ই-বুক কিভাবে পড়া যায়
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনিও ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায় এ বিষয় সম্পর্কে সুন্দরভাবে জানতে পারবেন।এছাড়াও আমরা এই আর্টিকেলে ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা এবং ই-বুক এর কাজ কি তা এই পোস্টে আলোকপাত করা হয়েছে।তাই আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ই-বুক কাকে বলে এ বিষয় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায়

ভূমিকা।ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায়

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায় এ বিষয়ে সম্পর্কে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে সঠিক উপায়ে কিভাবে জানবেন ই-বুক কাজ করে, ই-বুক কাকে বলে, ই-বুক কত প্রকার, যা জানলে আপনি বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আপনি ই-বুকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারবেন।হ্যাঁ বন্ধুরা ই-বুক কিভাবে কাজ করে তা যদি আপনি জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আশা করছি এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই আমরা আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি নিচে ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে তা মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিব।তাহলে চলুন বন্ধুরা এক নজরে জেনে নেওয়া যাক ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায়।

ই-বুক কাকে বলে

আপনারা অনেকেই জানতে চান ই-বুক কাকে বলে বা ই-বুক এর পূর্ণরূপ কি। ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক বা ই বই হল মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রুপ। এটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সে কারণে এতে শব্দ অ্যানিমেশন ইত্যাদি জুড়ে দেওয়া হয়। এখানে অনেকে ই-বুক কেবল e book আকারে প্রকাশিত হয় এগুলো মুদ্রিত রূপ থাকে না।

ফলে অনেকেই এরকম এক আর ই বুকের মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রিক সংস্কার বলতে নারাজ। এ ধরনের বই কেবল কম্পিউটার স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডার ই-বুক রিডার ব্যবহার করে পড়া যায় প্রচলিত লিডারের মাধ্যমে (amazon.com) এর টিন্ডল সবচেয়ে জনপ্রিয়। কোন কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে বিরাজ করে প্রকাশিত হয় কিংবা প্রেরিত গৃহীত হয় তাহলে সেটি ডিজিটাল কনটেন্ট তবে সে ডিজিটাল বা অ্যানালক যেকোনো পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
তবে এই ডিজিটাল কনটেন্ট এনালগ বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংস্কার হওয়ার পর ডিজিটাল কনটেন্ট কম্পিউটারের ফাইল আকারে অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত হতে পারে। এই পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত হওয়ার জন্য ই বুকিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ই-বুক কিভাবে পড়া যায়

অনেকেই হয়তো জানে না ইবু কিভাবে পড়তে হয় এটি একটি ইলেকট্রনিক বুকের সেহেতু এটি পড়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডার ব্যবহার করে পড়তে হবে। আপনি যদি লিখিত কনটেন্ট ডিজিটাল মাধ্যমে এখনো পড়তে চান তাহলে আপনি এই কন্টেন্ট গুলো পড়ার জন্য বিভিন্ন রকমের ব্লক পোস্ট, পণ্যবাসী বা তালিকা ও বর্ণনা, পণ্য মূল্যায়ন, ই-বুক সংবাদপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে পড়তে পারেন।

এটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার কারণে এখানে শব্দ অ্যানিমেশন ইত্যাদি যোগ করা হয়। আপনি ইন্টারনেটে সহজে খুব সহজেই ই-বুক পড়তে পারেন। তার জন্য আপনাকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলো থাকতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে ই-বুকের মাধ্যমে যে কোন বই সেখান থেকে পড়তে পারেন।
ইবুকে তথ্য অনুসন্ধান করা খুব সহজ এবং এখান থেকে আপনি সহজে বিতরণ ও বিক্রয় করতে পারবেন বই। যে ই বুক গুলো কেবল অনলাইনে ইন্টারনেটে পড়া যায় এগুলো সচরাচর এইচটিএমএল- এ প্রকাশ করা হয়। এগুলোকে বইয়ের ওয়েবসাইট বলা হয়।

ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা

আপনারা অনেকেই হয়তো ই-বুকের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চান ই-বুক এমন একটি ডিভাইস যার প্রচুর পরিমাণে সুবিধা পাওয়া যায় এটি আপনি ব্যবহার করলে অনেক সুবিধা পাবেন। ই-বুক হেতে তথ্য ও জ্ঞানের ভান্ডার এখান থেকে আপনি অনেক সহজে যে কোন মুহূর্তেই বই পড়তে পারেন। চলুন জেনে আসি ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে।
  • ই-বুক সহজে বিতরণ ও বিক্রয় যোগ্য।
  • এই বুকে তোর তো অনুসন্ধান সহজতর।
  • ই-বুক সহজে স্থানান্তরযোগ্য।
  • ই-বুক ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় বলে কোন ধরনের শিপিং বা প্যাকিং খরচ নেই।
  • ই বুক ডাউনলোড এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া সম্ভব।
  • ব্যবহারিকভাবে ই-বুক সংরক্ষণের জন্য কোন লাইব্রেরী বা কক্ষের প্রয়োজন নেই কম্পিউটার বা রিডিং ডিভাইসে ই-বুক সহজে সংরক্ষণ করা যায় ।
  • ই বুক মুদ্রণযোগ্য বলে চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্ট করা সম্ভব ফলে আর্থিক সাশ্রয় হয়।

ই বুক এর কাজ কি

আপনারা হয়তো অনেকেই ইবু কি এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না অবশ্যই ই-বুক এর কাজ কি এটাও হয়তো অনেকে জানতে পারেনি এখনও।এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির এই সময়ে সবকিছুই কম্পিউটারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং এই কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। আপনি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা সবই ডিজিটাল কনটেন্ট আপনি পেতে পারেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

ই বুক হচ্ছে ইলেকট্রনিক বুক বা মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রুপ। এখানে আপনি সকল ধরনের বই পড়তে পারেন কম্পিউটার স্মার্টফোন বা বিশেষ রিডারের মাধ্যমে আপনি সারা বিশ্বের যত রকমের বই আছে আপনি এখান থেকে সার্চ করে পড়তে পারেন যেকোনো সময়ে খুব সহজে আপনি এখান থেকে বই কিনতে পারবেন।ই-বুক হওয়ার ফলে আমাদের যেকোন মুহূর্তে যে কোন বই পড়তে চাইলে আপনি ebook এর মাধ্যমে পড়তে পারেন। 
ই-বুকের অ্যাপস রয়েছে এক্ষেত্রে ই বুকটি নিজেই একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয় অ্যাপ ডাউনলোড করে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে পড়া যায় মুদ্রিত বই এর মত ই বুকো কপিরাইটের আওতায় প্রকাশিত হয়ে থাকে।ডাউনলোডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সকল তথ্য আপনি পেতে পারেন। যেহেতু এটি কম্পিউটারে বা যেকোনো রিডিং ডিভাইসে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন এ জন্য আপনার অন্যান্য কোন জায়গার প্রয়োজন পড়ে না।

ই-বুক কত প্রকার

এখন বর্তমান সময়ে ই-বুকের বিভিন্ন প্রকারভেদ দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-বুক রয়েছে তবে সাধারণভাবে ই-বুক কে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
  • মুদ্রিত বইয়ের হুবহু প্রতিলিপি। এ ধরনের ই বুক গুলো মূলত মুদ্রিত বইয়ের মতই হয়ে থাকে সচরাচর এগুলো পিডিএফ (প্রোটেবল ডকুমেন্ট ফরমেট ) ফরমেটে প্রকাশিত হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ বই একসঙ্গে অথবা অধ্যায় হিসেবে পাওয়া যায়।
  • যে ই বুক গুলো কেবল অনলাইনে তথা ইন্টারনেটে পড়া যায় এগুলো সচরাচর এইচটিএমএল এ প্রকাশিত হয় এগুলো বইয়ের ওয়েবসাইট হিসেবে বলা হয়।
মুদ্রিত বইয়ের মত কিন্তু কিছুটা বাড়তি সুবিধা সহ ই-বুক। এগুলো বইয়ের কনটেন্ট ছাড়াও পাঠকের নিজের নোট লেখা শব্দের অর্থ জানা ইত্যাদি সুবিধা থাকে এগুলো বেশিরভাগই (ই-পাব) ফরমেটে প্রকাশ করা হয়। এ সকল ই-বুকের কোন কোনটির কেবল বিশেষ ডিভাইসে পড়া যায় যেমন ফিল্ড বা আইবুক রিডারে পড়ার উপযোগী ই-বুক তবে ফিল্ড বা আই বুকের ক্ষেত্রে নিজস্ব ফরমেট রয়েছে।
চৌকোস ই-বুক এই বইগুলোতে লিখিত অংশ ছাড়া অডিও /ভিডিও /এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে। এই বইগুলোতে স্মার্ট ই বুক বলা হয়, এগুলো কনটেন্ট মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ যেমন এতে কুইজ থাকে কুইজের উত্তর করার ব্যবস্থা থাকে এবং উত্তর সঠিক হয়েছে কিনা তাও ই-বুকে থেকেই জানা যায়। এমনকি এসবই বুকে তীর মাতৃ ছবি ও সংযুক্ত থাকে তবে এক্ষেত্রে এর উৎপাদনকারী বা নির্মাতারা এ সকল ই-বুক এমন ফরম্যাটে তৈরি করেন যা কেবল নির্দিষ্ট হার্ডওয়ারেই চলে। 

যেমন ওপেন কম্পিউটার্সের এর তৈরি আইবুক কেবল আইপ্যাড বা ম্যাক কম্পিউটারে ভালোভাবে পড়া যায়।ই-বুকের অ্যাপস এক্ষেত্রে ই-বুকটি নিজেই একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয়। অ্যাপস ডাউনলোড করে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে পড়া যায় মুদ্রিত বইয়ের মতই ই-বুক কপিরাইটের আওতায় প্রকাশিত হয়ে থাকে।

লেখকের শেষ কথা।ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায়

প্রিয় সুধীবৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন ই-বুক কাকে বলে এবং ই-বুক কিভাবে পড়া যায় এ বিষয় সম্পর্কে। এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আশা নয় দীর্ঘ বিশ্বাস আমাদের এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনার অনেক উপকারে আসবে।তাই আপনার যদি আমাদের এই পোস্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি সকলের সাথে শেয়ার করুন।
এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে ভালোবাসেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।কারণ আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের অজানা তথ্যগুলো নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।তাই সবার আগে আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।প্রিয় বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আবারও কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url