প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত - শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করছেন। কিন্ত সঠিক তথ্য খুজে পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন আশা করছি আপনি এই আর্টিকেল মাধ্যমে প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত তা সুন্দরভাবে জানতে পারবেন। ঘুম আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। তাই চলুন আর দেরি না করে প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত তা জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেল পড়েন তাহলে ঘুম সম্পর্কে আপনি সবগুলো তথ্য জানতে পারবেন।তাই আরটিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত। এই বিষয় সংক্রান্ত সকল তথ্য গুলো আমাদের সকলের জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে এই পোস্টটি।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃপ্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত - শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

ভুমিকা।প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত - শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

আপনি এই আর্টিকেল পড়ে জানতে পারবেন যে ঘুম আমাদের দেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন কোন সময়ে ঘুমানো উচিত এছাড়াও আপনাদের জেনে রাখা দরকার,দুপুরে কতক্ষণ ঘুমানো উচিত,সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিত, কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয় ,সকালে ঘুম থেকে উঠার উপায, রাতে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত ,প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত ,কখন ঘুম থেকে উঠা উচিত ,কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয় ,সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত, এই সবগুলো আমাদের আর্টিকেল পড়ে জানতে পারবেন তাই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। 

দুপুরে কতক্ষণ ঘুমানো উচিত

ঘুম মানুষকে মানসিক শান্তি দেয়। ঘুম ফলে শরীরে ক্লান্তি ভাব, মাথা ব্যথা, শরীরের ব্যথা ভালো হয়। তাই দৈনিক দুপুরে ৬০ মিনিট থেকে ৯০ মিনিট ঘুমানো ভালো। সারাদিন ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরকে ফ্রেশ ও তরতাজা করতে সাহায্য করে। ঘুম মানুষের শরীরে অনেক রোগ নিরাময় করে। মানুষ যখন মানসিক অশান্তি মধ্যে থাকে তখন একটা সুন্দর ঘুম মানুষের মানসিক চাপ কমায় দেয় এবং মানুষের ব্রেনকে স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম।  তাই দুপুরে সময় পেলে একটা সুন্দর ঘুমানো উচিত এতে শরীর ও মন দুটো ভালো থাকবে।

রাতে দেরিতে ঘুমালে কি হয়

রাতে ঘুম মানুষের সারাদিন কাজ করে আসার পর শরীরের উপর যত চাপ পড়ে সব কিছু কমায় দেয়। সকল থেকে রাত পর্যন্ত যারা বাইরে থাকে কাজ করে তাদের জন্য রাতের ঘুম অনেক জরুরি। রাতে একটা শান্তির ঘুম সারাদিন পরিশ্রম দূর করতে সাহায্য করে। রাতে খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার পর ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত। রাতে দেরিতে ঘুমানে ব্রেন চাপ পড়ে যার মাধ্যমে মাথা ব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকে। মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে রাতে দেরিতে ঘুমানো যাবেনা।
রাতে দেরিতে ঘুমালে নান রকম অসুখ হয় যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা,  হার্টের সমস্যা ইত্যাদি নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রাতে দেরিতে ঘুমানোর ফলে ত্বকে ব্রণ, মেসতা, চোখের নিচে কালো দাগ মত সমস্যা হয়। আবার রাতে দেরিতে ঘুমালে অনেকের স্বাস্থ্য বেড়ে যায় বা মোটা হয়ে যায়। তাই রাতে দেরিতে ঘুমানো উচিত নয়। তাড়াতাড়ি ঘুমালে শরীর মন ভালো হয়।রাতে ঘুম স্বাভাবিক মানুষের জন্য অনেক উপকারী। 

কখন ঘুম থেকে উঠা উচিত

ঘুম মানুষকে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সারাদিন পরিশ্রম পর ঘুমালে সকালে ঘুম ভাংতে চাইনা। একটা স্বাভাবিক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে জন্য ৭/৯ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট। তাই এ সময়ের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়লে কোন সমস্যা হবে না। রাতে ১০ মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং সকাল ৬ সময় ঘুম থেকে  উঠে নামাজ, ব্যয়াম, মেডিটেশন,  হাঁটতে যাওয়া ইত্যাদি করতে হবে।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা স্বাস্থ্য জন্য ভালো। সকালের প্রাকৃতিক আবহাওয়া পাওয়া যায় শরীর মন ভালো হয়ে যায়। যার ফলে সারাদিন ভালো কাটে। যাদের শরীরে বেশি ক্লান্তি ভাব থাকে তারা হাতে সময় থাকলে আরো একটু ঘুমাতে পারবে। তবে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে অনেক রোগ হয় না।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা

  • সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে শরীর ও মন দুটো ফ্রেশ থাকে কারণ ভোরে মুক্ত পরিবেশ বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায়।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠলে কাজের জন্য সময় বেশি পাওয়া যায় এবং কাজের গতি বেশি হয় অন্যদের তুলনায় ভোরে উঠা ব্যাক্তি সারাদিন বেশি কাজে সক্রিয় থাকে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠলে আবার রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমতে হয়।তখন কিছু দিন সমস্যা হলেও পরে শরীরের সাথে অভ্যাস হয়ে যায়। 
  • মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে সকালে ঘুম থেকে উঠলে। 
  •  এক গবেষণা দেখা গেছে সকলে ঘুম থেকে উঠা শিক্ষার্থী অন্যদের নতুলায় ভালো ফলাফল করে। 
  •  সকালে যে মানুষ ঘুম থেকে উঠে সে অন্যদের তুলনায় সারা জীবন সুখী থাকে। 
  • যারা ভোরে উঠে তাদের দীর্ঘ জীবন লাভ করে অকাল মৃত্যু হয় না তাই সকালে ঘুম থেকে উঠা ভালো।

সকালে ঘুম থেকে উঠার উপায়

সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য নিজেকে আগে প্রস্তুত করতে হবে। শরীর যখন অভ্যাসে সাথে মানিয়ে নিবে তখন এমনি এমনি সকালে ঘুম থেকে উঠাতে পারবেন। এই অভ্যাস তৈরি করার জন্য আপনি কয়েকদিন অ্যালার্ম ঘড়ি দিয়ে খাটে থেকে একটু দূরে রাখুন। সকালে অ্যালার্ম বাজলে উঠে গিয়ে বন্ধ করবেন। এভাবে কিছু দিন করতে থাকলে অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে। অ্যালার্ম দেওয়ার ৩০ মিনিট মধ্যে উঠার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আস্তে আস্তে ঘুম থেকে সকালে উঠার অভ্যাস হয়ে যাবে। 

শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

১-৩ মাসের শিশুর দিনের বেলায় ৬/৭ ঘন্টা ঘুমাবে দিনে ৩ বার। মোট সারা দিনে ১-৩ মাসের শিশুর ঘুমাবে ১৩/১৪ ঘন্টা এর বেশি ও ঘুমায়। শিশুরা তখন নতুন পৃথিবীতে আসে যার ফলে তারা তখনো মায়ের গর্ভে ঘুমিয়ে থাকা অনুভব করে ঘুমায়। আবার ৩-৬ মাসের শিশুর দিনের বেলায় ৪/৫ ঘন্টা ঘুমাবে দিনে ৩ বার সারাদিন রাতে মোট ঘুমাবে ১৩/১৪ ঘন্টা।
৬-৯ মাসের শিশুর দিনের বেলায় ৩ ঘন্টা ঘুমাবে দিনে তিন বার আর সারাদিন রাত মিলে ১২ ঘন্টা ঘুমায়। ৯-১২ মাসের শিশুর দিনের বেলায় ২:৩০ মিনিট করে ২ বার ঘুমাবে এবং দিন রাত মিলায় ১২ ঘন্টা ৩০ মিনিট ঘুমায়।

প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য নিয়মিত ঘুম খুবই প্রয়োজন। ১৮-৬৫ বছর বয়সী ব্যাক্তিরা বাইরে বাসায় বেশি কাজ করে তাই তাদের জন্য শরীরে আরাম প্রয়োজন। এই আরাম পাবে ঘুমের মাধ্যমে। প্রতিদিন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৭-৯ ঘন্টা ঘুম দরকার। এতে সারাদিন পরিশ্রম ফলে শরীরে ক্লান্তি দূরে করে। শরীর তরতাজা হয়ে যায় আবার পরের দিন কাজ করার কর্মক্ষমতা মানসিকতা তৈরি হয়।

মানুষের ঘুম না হলে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে শরীর মন খারাপ থাকে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কম করে হলেও ৬-৭ ঘন্টা ঘুমাতে হবে যদি সময় না থাকে। আগে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে তবে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন। এর থেকে কম ঘুমালে স্বাস্থ্য ক্ষতি হবে নান রকম সমস্যা তৈরি হবে শরীরে। 

সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

একজন মানুষকে ঘুম পারে মানসিক ও শারিরীক চাপ থেকে দূরে রাখতে। এসকল চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রাতে ঘুম সবচেয়ে বেশি জরুরি। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৮-৯ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন আর যারা নিয়মিত ঘুমায় তারা কমপক্ষে ৬ ঘন্টা রাতে ঘুমাতে হবে প্রতিদিন। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু অনেকে দিনে বেশি ঘুমিয়ে রাতে ৫ ঘন্টা ঘুমায়। তবে সর্বনিম্ন একজন মানুষের ৬ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।

রাতে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

যাদের বয়স ১৮-৬৫ বছর তারা রাতে ৬ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।এর থেকে কম ঘুমালে আস্তে আস্তে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিবে। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ জন্য অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে ঘুম।শিশুদের জন্য ১২ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন নিয়মিত।  মধ্যে বয়সী ও বৃদ্ধা জন্য একটানা ঘুমিয়ে থাকা এবং দীর্ঘ সময় সুয়ে থাকা কঠিন।  এর ফলে মানুষের নানা মানসিক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। ঘুম মানুষকে মানসিক ও শারিরীক চাপ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। সুস্থ সুন্দর জীবন জন্য রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে  হবে এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে। 

কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয়

রাতে ঘুমানোর স্বাস্থ্য জন্য ভালো তবে কোনটি সঠিক সময় সেটা জেনে নিয়ে রাতে ঘুমানো উচিত। রাত ১০-১১ টা সময় যারা নিয়মিত ঘুমায় তাদের চেয়ে যারা রাত ১০ আগে বা ১১ টা পরে ঘুমায় তাদের হার্টের সমস্যা প্রবণতা বৃদ্ধি পায় ও নানা রকম রোগ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। গভীর রাতে ঘুমে আমাদের শরীরের বডি ক্লক বিঘ্নত হয়। যার ফলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য খারাপ হয়। সঠিক নিয়ম না ঘুমালে মানসিক ভাবে ভালো লাগে না। ঘুম মানুষের শরীরকে আরাম দেয়। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে কি খাওয়া উচিত

  •  সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবারের আগে হালকা কুসুম গরম পানি সাথে আপনারা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে ওজন কম হয়।
  •  প্রতিদিন সকালে জন্য রাতে ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম খেতে পারবেন এর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন আছে যা সারাদিন কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • পেঁপে সকালে খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান হয়।
  •  প্রতিদিন সকালে খেজুর খাওয়া ভালো নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে খেজুর। 
  •  তরমুজ খাওয়া ভালো সকাল বেলায় কারণ তরমুজ থাকা পানি শরীরে জন্য উপকারী। 
  •  যারা ডয়েট করে তাদের জন্য ওটমিল খুব ভালো একটা খাবার সকালে খাওয়ার জন্য এটা শরীরে থেকে টক্সিন দূর করে। 

লেখকের কথা।প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত - শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

আশা করছি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পেরেছেন প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং উপরের সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারা সুন্দরভাবে জেনে গেছেন। আশা করছি আমাদের এই আরটিকেল আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এই বিষয়টি জানানোর জন্য আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url