বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে - সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা

প্রিয় পাঠক আপনি কি বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে এবং সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্ট পড়ুন। আশা করছি আপনি অনেক উপকৃত হবে। আপনি যদি এই পোস্ট পড়ে জানতে চান বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট করে জেনে নিন বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
উচ্চশিক্ষার- জন্য -কোন -দেশ -ভালো
হ্যা বন্ধুরা আমরা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো আপনাদের বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে এবং সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা। আমাদের সকলের ইচ্ছা থাকে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করার তাই হইতো অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়াশোনা করতে চাই। কিন্ত আমরা এইটা জানি না উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ আমার আপনার জন্য ভালো হবে। তাই এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিব বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে।
পেজ সূচিপত্রঃবিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে - সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা

উপস্থাপনা

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চান তাহলে আর টেনশন কিসের আমরা এখনি আপনাদের জানিয়ে দিব আপনার লিখা পড়ার জন্য কোন দেশ আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিব। যা আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক উপকারে আসবে। তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে এবং সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার সমস্ত টিপস।
এছাড়াও আমরা আপনাদের জন্য আরো গুরুত্বপূর্ণ টপিক রয়েছে বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা,বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে, মাস্টার্স স্কলারশিপ ,কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায় তাই আপনি যদি বিদেশে পড়াশোনা নিয়ে টেনশনে থাকেন তাহলে তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন এবং জেনে নিন উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করার হয়েছে।

কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়

আপনি কি বাইরে দেশে পড়তে চান কিন্তু জানেন না কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়? সহজে স্কলারশিপ পাওয়া জন্য কি কাজ করতে হবে এবং কীভাবে পাবেন স্কলারশিপ সেই বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। চলুন জেনে আসি কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়।প্রতিবছর দেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যায়।

স্কলার্শিপ নিয়ে যদি কোন দেশে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে যাওয়া যায় তাহলে সে দেশে গিয়ে পড়ালেখা করার কিছুটা ব্যয়বহর কম হয় যার ফলে স্কলারশিপে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদেশে যেতে চাই। ইউরোপে পড়াশোনা করতে চাইলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনি যদি স্কলারশিপে পড়াশুনার জন্য যেতে চান তাহলে আপনি যেতে পারেন এগুলোতে সহজে স্কলার্শিপ পাওয়া যায়।
এছাড়াও সুইডেন ইনস্টিটিউট গুলোতে স্কলার্শিপ টিউশন ফি ছাড়াও জীবনযাত্রার ব্যয়, বীমা এবং ভ্রমভ খরচ কভার করে। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া সহ বেশ কিছু দেশের শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ এ লেখাপড়ার জন্য।

এছাড়াও ইতালির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদন করতে পারে এখানে ১ হাজার থেকে ৫০০ ইউরো খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। সেখানে একটি স্কলারশিপ পেলে টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি জীবনযাত্রার খরচে অর্থের যোগানো পাওয়া যায়। স্কলারশিপ পাওয়ার ফলে সেখানে সাধারণত ডিগ্রী কোর্স, পিএসডি কোর্স এবং স্নাতক ডিগ্রী কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো স্কলারশিপ অফার করে।

উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো

অনেকের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরের দেশে গিয়ে লেখাপড়া করতে চাই তারা জানতে চাই যে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন দেশটি ভালো হবে কোন দেশে গেলে তারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা এবং স্কলারশিপের সুবিধা পেয়ে থাকবে। যেহেতু উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরের দেশে পড়ালেখা করতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই আগ্রহী থাকে।
তবে তাদের আর্থিক দিক থেকে সুবিধা ও সহযোগিতা পায়লে তারা সহজে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরের দেশে যেতে আগ্রহী হবে এবং সেখানে যে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে। উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেকগুলো দেশি ভালো হয়ে থাকে তার মধ্যে ইউরোপ কান্ট্রিগুলোতেও তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সকল দেশেই তারা যেতে পারে।
উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে সবচেয়ে বেশি যাওয়ার জন্য প্রথম পছন্দের দেশ হচ্ছে জার্মানি সেই দেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থী যেতে চাই। সে দেশে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় খরচে চলে ব্যাচেলার কোর্স ও বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণ ফ্রি নেই এবং বিভিন্ন রকমের আর্থিক সুযোগ সুবিধা থাকার ফলে সেই দেশে যেতে চাই সকল শিক্ষার্থী। অন্যান্য দেশে তুলনায় সেই দেশে পড়ালেখার ব্যয় ভর কম থাকার কারণে সে দেশে যেতে চাওয়া কারণ।জার্মানিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোপ বা(৬৯ হাজার ৯০০ টাকা) হয়ে থাকে ।

এছাড়াও ইতালি ভালোভাবে পড়ালেখার জন্য সুবিধা দিয়ে থাকে । ইটালিতে যদি আপনি পড়ালেখা করতে চান তাহলে আপনার প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার/২ হাজার/৫০০ ইউরো খরচ হয়। বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য চীন সবচেয়ে ভালো জায়গা পড়াশোনা করার এখানে খরচও খাওয়া যাতায়াত ভাড়া সবকিছু স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
তবে চীনা ভাষা জানতে হবে তবে এই ভাষা যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে কোন ভয়ের কিছু নেই। এছাড়াও পোল্যান্ডের চারশোর বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যা প্রচুর শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে ভর্তি পরীক্ষা হয় না। বাইরে শিক্ষার্থীরা জীবন যাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো হয়ে থাকে।

ফ্রান্সের বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কাজের সুযোগ্য পায়। যে কারণে অনেকেই ফ্রান্সে যেতে চাই এখানে প্রতি মাসে ২৭০ ইউরো খরচ হয় মাস্টার লেভেলে বছরে খরচ হতে পারে ৩৭৭০ ইউরো। তুরস্কের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সবচেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হয়ে থাকে এখানে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো খরচ হয়ে থাকে। তুরস্কের যদি কোন শিক্ষার্থী পড়া লেখা করতে যায় তাহলে মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো খরচ হয় যা সাধারণত অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।

বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিদেশে প্রায় বিপুল পরিমাণ নিয়ে শিক্ষার্থী পড়াশুনার জন্য যায়। বিদেশে পড়াশোনা করতে হলে বা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে এই সম্বন্ধে আপনারা অনেকেই জানতে চান যারা সামনের দিনে বিদেশে যেতে আগ্রহী। যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আগ্রহী সেই শিক্ষার্থীরা আগে জানতে চাই।

যে কতটুকু যোগ্যতার দরকার এবং পড়াশোনার খরচ ভর্তি চাহিদা নানা রকমের তথ্য তারা আগে থেকে জানতে চায় ভর্তি হওয়ার জন্য।যে বিষয়ে পড়তে চান সেই বিশ্ববিদ্যালয় চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে এবং যে দেশে যেতে চান সে দেশে যাওয়ার জন্য যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং আর্থিক সমর্থ এবং পছন্দের সঙ্গে মিলছে কিনা সকল কিছু মিলিয়ে নিতে হবে।
পড়াশুনা করতে হলে সর্বপ্রথম ভাষার দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে আপনাকে সর্বপ্রথম যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষা শিখতে হবে। যেমন আইইএলটিএস টোফেল, স্যাট অথবা জিআরআই এক একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এসব চাহিদার পার্থক্য থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় দেশগুলোতে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএসে ব্যান্ড স্কোর অন্তত ছয় থাকা দরকার।

এছাড়াও আমেরিকা সহ আরও দেশের কোন কোন সাবজেক্ট এ টোফেল, স্যাট বা জিআরই দরকার হতে পারে।সুইডেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নরওয়ের মত ইউরোপীয় দেশে পড়তে গেলে যেমন ইংরেজিতে পড়াশোনা করার সুযোগ আছে আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশের ভাষার দক্ষতা ও দরকার হয়। সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিয়ে থাকে জার্মানি যেখানে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ থাকে এবং জার্মানি ভাষা জানতে হবে।

ইংরেজি দক্ষ তাই ব্যান্ড স্কুলে ভর্তি বা বিষয়ে পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখে বাংলাদেশে পড়াশোনা ফলাফলের ওপর ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারটি অনেক সময় নির্ভর করে। বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় বাছাই করার পরে অনলাইনের মাধ্যমে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে হবে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবসাইট থেকে সকল ভর্তির তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় পড়াশুনা সকল সম্মানিত কাগজপত্র স্ক্যান করে তুলে দিতে হবে পাশাপাশি এসকল কপির ফটোকপি করে কুরিয়ারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকানায় পাঠাতে হয়। আবেদনপত্র গ্রহণ করা হলে ভিসা আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এই জন্য সাধারণত কয়েক সপ্তাহ আবেদন করার পরে জানতে পারবেন ইমেলের মাধ্যমে যে আবেদন গ্রহণ হয়েছে নাকি বাতিল হয়েছে।
যখন বিদেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার জন্য আপনি আগ্রহী হবেন তখন অবশ্যই আপনাকে আর্থিক স্বচ্ছতার প্রমাণ দেখাতে হবে ভিসা তৈরীর সময়। প্রায় সব দেশে শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে দূতাবাস কর্মকর্তারা দেখতে চাইবেন যে শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও থাকা খাওয়ার খরচের বহন করতে সক্ষম কিনা এই জন্য সেই দেশে ভেদে টিউশন ফি হিসেবে অন্তত বছরের 10 থেকে 12 লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা খরচের সামর্থ্য থাকতে হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থী থাকা খাওয়া, যাতায়াত, পোশাক, হাত খরচ, চিকিৎসা যোগ করতে হবে। কেউ যদি লন্ডনে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা প্রমাণ দেখাতে হবে যে আপনার ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিস্টার ফি অগ্রিম পরিষদ করতে বলে যেন তারা কোন প্রতারণা শিকার না হয় এবং স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক পরিষদ করতে হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ এজেন্সি করে থাকে যেসব এজেন্সির নাম দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।

মাস্টার্স স্কলারশিপ।

অনেকেই বাংলাদেশ থেকে বিদেশে মাস্টার্স করতে বাইরে যেতে চায় সেখানে তারা গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই এই জন্য মাস্টার স্কলারশিপ এ অনেকেই দেশের বাইরে পড়ালেখার জন্য যেতে চাইছে। মাস্টার্স স্কলারশিপ নিয়ে বাইরের দেশে যেতে হলে অবশ্যই সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে হাজারো বিশ্ববিদ্যালয় আপনার সামনে থাকলে আপনাকে বুঝতে হবে।
যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়লে আপনার জন্য সঠিক হবে সেটা জানতে হবে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাজ্য জার্মানি ইটালির কানাডা যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি ইউরোপীয় কিছু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সকল বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা হয় নিজের পরিস্থিতি, আর্থিক সমার্থ্য, পড়াশোনার বিষয়, ভবিষ্যতে চাকরির সম্ভাবনা এবং অগ্রাধিকারের উপর নির্ভর করেই যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় চয়েস করতে হয় লেখাপড়ার জন্য।
আপনি এমন বিশ্ববিদ্যালয় বা এমন দেশে যাবেন যেখানে গেলে আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি সেই দেশে গিয়ে ব্যবসা বা কোন চাকরি করতে পারেন পার্ট টাইম হিসেবে এতে আপনার আর্থিকভাবে সচ্ছলতা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি হবে। বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে এটাও নজরে রেখে যেতে হবে এবং স্কলারশিপ বা টিউশনি ফি কোন দেশে বেশি এবং কোন দেশে কম সেটা জানার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে।

কিছু ইউরোপীয় দেশের টিউশনি ফিনেট বা খুবই কম ফ্রি দিতে হয় সে সকল দেশে যাওয়ার চিন্তা করতে হবে যাদের আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে এবং পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে সঠিকভাবে যাচাইয়ের মাধ্যমে যেতে হবে। বিনা খরচে মাস্টার্স করার চেষ্টা করতে হবে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়।

বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে

আপনারা যারা বিদেশে মাস্টার্স করতে যেতে চান এবং অনেকেই জানতে চান বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে। আপনাদের আগে জানতে হবে যে বিদেশে মাছ চাষ করতে হলে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে টিকতে চাইছেন বা কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে আপনি চান এবং কোন দেশে যেতে চান সেই দেশের টিউশন ফি বা অন্যান্য খরচ কতটুকু হতে পারে সেই সম্বন্ধে আগে আপনাকে জানতে হবে।

তবেই আপনি আপনার খরচ সম্বন্ধে বুঝতে পারবেন যেমন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের খরচ হওয়ায় সেখানকার পড়ালেখার খরচ ও পার্থক্য থাকে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে আপনি যদি স্কলার্শিপ নিয়ে মাস্টার্স করতে চান তাহলে আপনাকে সেই দেশের পড়াশোনার খরচ এবং অন্যান্য ফ্রিসহ সকল খরচের একটি হিসাব বানাতে হবে।
সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ইউরোপের যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, কানাডা, যুক্তরাজ্য মতো দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ভালো হলে সেখানে স্কলারশিপ বা টিউশন ফি ছাড়ের মত সুযোগ খুব কম হয় তবে অন্যান্য দেশে এর থেকে বেশি সুযোগ পাওয়া যায়।

কেউ যদি আমেরিকাতে মাস্টার্স করতে যায় তাহলে মাস্টার্স করতে প্রতি ট্রাম এর জন্য সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা দিতে হয় এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যার প্রতি ট্রামের জন্য ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমেরিকাতে মাস্টার্স করতে মোট ২২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে তবে এর থেকে কমও হতে পারে ১৬ লাখ টাকাও লাগতে পারে টাকার অংক সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে কমবেশি হয়।

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা

অনেকে সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করতে চাই আসলে কি সরকারি খরচে কোন দেশে পড়ালেখা করা যায়। কেউ যদি সরকারি ঘর রয়েছে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে প্রতিবছরে এক দেশ থেকে প্রায় অনেক শিক্ষার্থী সেই সুযোগ সুবিধা পাবে তবে এই সুবিধা সাধারণত স্কলারশিপ এর মাধ্যমে দেওয়া হয়। স্কলারশিপ ছাড়াও অনেক উন্নত দেশে একেবারে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ রয়েছে তবে নামমাত্র খরচের পড়ার ও সুযোগ থাকে।

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনা খরচে পড়ালেখা সুযোগ রয়েছে কারণ দেশটিতে সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভর্তুকি দিয়ে থাকে তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে কোন টিউশনি লাগে না এটি জার্মান এবং আন্তর্জাতিক উভয় শিক্ষার্থীর জন্য প্রযোজ্য। জন্য বিদেশে যেতে চাইলে সবচেয়ে বেশি জার্মানি নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেতে আগ্রহী হয় সেখানে সরকারী ও বেসরকারি বৃত্তীয় দেওয়া হয়ে থাকে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের।
বিনা খরচে পড়ার জন্য জার্মানির পরে সবচেয়ে বেশি যে থাকে ফ্রান্সের কারণ ফ্রান্সের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোন টিউশন ফি নেয় না এবং এই দেশে গিয়ে পার্ট টাইম জবের মাধ্যমে কাজ করে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবে শিক্ষার্থীরা। নরওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ ছিল কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সুইজারল্যান্ড ছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি দিতে হবে।

গ্রিসের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের বিনামূল্যে পড়াশোনা সুযোগ তৈরি করা হয়েছে এছাড়াও দেশটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপের সুযোগ দেওয়া হয়। এসকল দেশে বিনা খরচে পড়ার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তবে অন্যান্য দেশে স্বল্প খরচেও পড়ার সুবিধা রয়েছে।

উপসংহার।সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা। বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা

আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণ এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে এবং সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা সম্পর্কে। এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য এবং আমাদের পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায়। এখন নিশ্চয়ই আমাদের পোস্ট আপনার কাছে উপকৃত বলে মনে হচ্ছে।
আমাদের পোস্ট আপনার ভালো লাগলে আপনার বন্ধু এবং আত্নীয়দের সাথে শেয়ার করুন। এতে যারা বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানতে পারবে ও তারাও উপকৃত হবে। নিয়মিত আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।আজ এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url