বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় - বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত

 প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় এবংবাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে। তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন। কারণ আপনারা এই আর্টিকেলর মাধ্যমে বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন তাহলে আপনিও জানতে পারবেন বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায়।

কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

আপনি অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন তাহলে আপনি এই আর্টিকেল মাধ্যমে বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায়  এবং বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

সূচনা।বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায়। বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত

আমাদের মধ্য অনেকেই আছি যারা প্রতিনিয়ত কৃমি রোগে আক্রান্ত। দিনের পর দিন আমরা কৃমি রোগে কষ্ট পেয়ে যাচ্ছি তাই আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় একটি সহজ উপায়। আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো যে ছোট বাচ্চারা অনেক সময় কৃমি রোগে ভুগে তাই বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত নিয়ে আপনাদের জন্য কিছু বিশেষ টিপস নিয়ে এসেছে এবং আপনি অতিরিক্ত কৃমি হলে কি করবেন, গুড়া কৃমি থেকে মুক্তির উপায়, কৃমি দূর করার ঔষধ সহ মুক্তির সকল উপায়। তাই আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ

নোংরা পরিবেশ : যখন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ নিজের যত্ন না নিয়ে নোংকা পরিবেশ থাকা পছন্দ করে তখন তার কৃমি হয়। কৃমি হওয়ার অন্যতম কারণ নোংরা পরিবেশ থাকা। সব সময় পরিষ্কার হয়ে থাকতে হবে এবং আশেপাশে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। নোংরা পরিবেশ থাকার ফলে কৃমি সংক্রমণ করে এবং বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ এটায়।

অস্বাস্থ্যকর পানি: পানি অপর নাম জীবন তেমনি পানি যদি নিরাপদ না হয় তাহলে সেই জীবনে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। পরিষ্কার পানি পান না করে যদি অস্বাস্থ্যকর পানি পান করতে থাকে র্দীঘদিন তাহলে কৃমি হয়ে থাকে বড়দের।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস: যখন খাবার খাওয়া হবে তখন অবশ্যই খেয়ার করতে হবে খাবার বাসি পচা নাকি তাজ, টাটকা। স্বাস্থ্যসমত খাবার না খাওয়ার ফলে কৃমি আক্রান্ত হয়। খাবার খাওয়া একটি সঠিক সময় করতে হবে যাকে খাদ্যভ্যাস বলা হয়।এই খাদ্যভ্যাস না থাকলে বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ।
খালি পায়ে চলাফেরা : বড়রা অনেক সময় হেয়ালি করে পায়ে স্যান্ডেল পড়তে চায় না। স্যান্ডল না পায়ে দিলে তার অবশ্যই কৃমি হবে। পায়ে থেকে শরীরে কৃমি প্রবেশ করে। তাই স্যান্ডেল পড়ার অভ্যাস করতে হবে বড়দের। এই সকল কারণ মেনে চললে কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া উপায়।

কৃমি চিরতরে দূর করার উপায়

নিমপাতা: নিমপাতা মধ্যে আছে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যা অ্যাজাডিরাকটিন প্রাকৃতিক কীটনাশক। এটা খাওয়ার ফলে কৃমি ভালো হয়। কুসুম গরম পানি সাথে এক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে খায়লে কৃমি ভালো হয়।

রসুন: কাঁচা রসুনের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা পেটের কৃমি ধ্বংস করে। রসুন থাকা অ্যান্টি- প্যারাসাইটিক খাবার যেটা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে যদি এক সপ্তাহ রসুন কোয়া দুটো করে খাওয়া যায় তাহলে পেট কৃমি সমস্যা ভালো হয়।

নারিকেল : নারিকেল কুচি করে প্রতিদিন সকালে খাওয়ার দুই ঘন্টা পর কুসুম গরম দুধের সাথে ক্যাস্টার ওয়েল মিশিয়ে খেলে কৃমি ভালো হয়।
লবঙ্গ : নিয়মিত প্রতিদিন লবঙ্গ ২/৩ টা খেলে পেট পরিষ্কার থাকে কৃমি হয় না। আবার গরম পানিতে লবঙ্গ দিয়ে ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে কৃমি ধ্বংস হয়। লবঙ্গ থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে যা কৃমি নষ্ট করে।
গাজর: গজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ, সি এবং জিংক যা কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত গাজর কুচি করে সকালে খালি পেটে খেলে কৃমি ভালো হয়।

কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়

  •  রসুনের দুটো কোয়া নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে কৃমি দূর হয়।
  •  কুমরা বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানির সাথে ফুটিয়ে খেলে কৃমি ধ্বংস হয়।
  •  নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গাজর খেলে কৃমিনাশ হয়।
  •  বাসায় থাকা লবঙ্গ ২/৩ টি প্রতিদিন চিবিয়ে খেলে কৃমি ভালো হয়।
  •  কাঁচা হলুদ কৃমি জন্য অত্যন্ত কার্যকারি। কাঁচা হলুদ কুচি প্রতিদিন খেলে কৃমি ভালো হয়।
  •  নিমপাতা গুড়া, বাটা পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কৃমি ধ্বংস হয়।
  •  আদা পেটের সকল সমস্যা ভালো করে কারণ আদা মধ্যে থাকা উপাদান কৃমিনাশ করে।

বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার লক্ষণ।বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত

  •  শিশুদের কৃমি হলে পেট ফুলে থাকে যার ফলে পেট বড় গোল দেখায়।
  •  বাচ্চাদের কৃমি হলে খাবার খাওয়ার প্রতি অনিহা দেখা দেয় এবং খাবার খায় না।
  •  বাচ্চাদের কৃমি হলে খাবার না খাওয়ার ফলে শুকিয়ে যায়।
  •  বাচ্চাদের কৃমি হলে পেট ব্যাথা, পেট ফোলা, রক্তযুক্ত ডায়রিয়া মত সমস্যা দেখা দেয়।
  •  বমিভাব, বমি, ক্ষুদামন্দ্য, ওজন কম হওয়া, জ্বর, ক্লান্তি, শরীরে হাত- পা ব্যথা ও মাথা ব্যাথা হয়।

কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

  •  প্রতিদিন ২-৩ টি লবঙ্গ খায়লে কৃমি সমস্যা হয় না। এক কাপ পানিতে লবঙ্গ ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
  •  নারিকেল কৃমি ভালো করতে কার্যকারি।
  •  রসুন অ্যান্টি- প্যারাসাইটিক খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
  •  মিষ্টি কুমরা বিচিকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে গরম পানি সাথে দশ মিনিট সিদ্ধ করে সেই পানি পান করতে হবে।
  •  মধু ও কাঁচা পেঁপে এক সাথে খেলে কৃমি ভালো হয়।
  • এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে কৃমি দূর হয়। কাঁচা হলুদে থাকে জীবাণুনাশক ও অ্যাসিডিক সমস্যা বিরোধী উপাদান।
  • নিমপাতা বাটা ও কুসুম গরম পানি সাথে মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয় আবার কৃমি সমস্যা দেখা দেয় না। বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় গুলো জানতে পারলেন।

বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায়।বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত


বুকের দুধ ছয় মাস পর্যন্তঃ একটি শিশু জন্মের পর থেকে তার ছয় মাস বা ১৮০ দিন পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার দেওয়া যাবেনা। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় মায়েরা ভাবে শিশুর হয়ত বুকের দুধ যথেষ্ট হচ্ছে না। তখন বাচ্চাকে তারা বুকের দুধ পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেওয়া শুরু করে। যা একদম সঠিক নয়। বাচ্চাদের ছয় মাসে আগে পরিপাকতন্ত্র সঠিক ভাবে তৈরি হয় না যার ফলে শিশু যখন বাড়তি খাবার খায় তখন তার শরীরে নান সমস্যা দেখা দেয় যার মধ্যে অন্যতম কৃমি সমস্যা। তাই ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তাহলে কৃমি সমস্যা দেখা দিবেনা।

নখ পরিষ্কার : বাচ্চাদের এক সপ্তাহ পর পর নখ কাটতে হয়। কারণ এই সময় তাদের শরীরে গ্রোথ হয় বেশি যার ফলে নখ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। শিশুরা বুঝে না ময়লা, মাটি, বালি নিয়ে খেলা করতে গিয়ে নখে ময়লা জমা হয়। যার ফলে সেই নখের ময়লা থেকে শরীরে কৃমি জন্ম নেয়। তাই শিশুদের যত্ন করতে হবে এবং নিয়মিত নখ কাটতে হবে। তাহলে কৃমি হবে না।
খালি পা চলাফেরা: শিশুদের কৃমি অন্যতম কারণ মধ্যে এটা পড়ে খালি পায়ে হাঁটা চলা করা। শিশুরা পায়ে জুতা, স্যান্ডেল পড়তে পছন্দ না করলে তখন তারা খালি পায়ে সব জায়গায় হাঁটা চলা করে। এতে শরীরে কৃমি দেখা দেয়। তাই শিশুদের স্যান্ডেল পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্যান্ডেল পড়লে অনেকাংশ কৃমি সংক্রামণ থেকে রক্ষা পাবে।

পরিষ্কার পানি ও গোসল : শিশুকে কৃমি থেকে দূরে রাখতে প্রথমে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শিশুকে সব সময় পরিষ্কার পানি পান করাতে হবে। পানির মাধ্যমে কৃমি তৈরি হয় শরীরে। তাই শিশুকে ময়লা থেকে দূরে রাখতে হবে এবং পরিষ্কার পানিতে গোসল করাতে হবে পরিষ্কার পানি পান করাতে হবে। তাহলে কৃমি দ্বারা সংক্রান্ত হবে না।

বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় আমরা জেনে গেছি। এইসকল পদ্ধতি মাধ্যমে বাচ্চাদের কৃমি হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। এই ভাবে বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত

  •  বাচ্চাদের কৃমি হলে গাজর খাওয়ানো উচিত কারণ গাজরে থাকা ভিটামিন-এ থাকায় কৃমির বিরুদ্ধে লড়ায় করে।
  • কাঁচা হলুদ খেলে কৃমি ধ্বংস হয়। কাঁচা হলুদে থাকা অ্যান্টিসেপটিক যা কৃমি প্রতিরোধ করে।
  •  বাচ্চা ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পরির্বতে অন্য কিছু না দেওয়া। মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
  • আদার রস বাচ্চাদের কৃমি হলে খাওয়ালে কৃমি ধ্বংস হয়। রসুন কোয়া খেলে ভালো হয় কিন্তু ছোট বাচ্চা খেতে চাইবেনা রসুন একটু ঝাঁঝ আছে।
  • কৃমিনাশক ট্যাবলেট দেওয়া হয় সরকার থেকে আবার ছোট বাচ্চাদের এক বছর হলে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে বলে ডাক্তার। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কৃমি ঔষধ সেবন করতে হবে।

অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয় কি

কৃমি হওয়ার কারণ অপরিষ্কার পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর পানি, খালি পায়ে চলাফেরা এসব থেকে কৃমি হয়। কৃমি হলে ঔষধ খেতে হবে এবং পরিষ্কার থাকতে হবে। পরিষ্কার পানি পান করতে হবে তাহলে কৃমি হওয়ার সম্ভবনা নাই। অতিরিক্ত কৃমি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করলে কৃমি ভালো হয়। কৃমি যেন না হয় সেই জন্য ভালো পরিবেশ থাকতে হবে সঠিক খাদ্যভ্যাস তৈরি করতে হবে। নিজেকে সতেচন হতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং নিরাপদ সুপেয় পানি পান করতে হবে। আদার রস, রসুন কোয়া, নিম পতা বাটা, কাঁচা হলুদ, গাজর ইত্যাদি খাবার খেলে কৃমি ভালো হয়।

গুড়া কৃমি থেকে মুক্তির উপায়

গুড়া কৃমি সুতা কৃমি এগুল আমাদের শরীরে বেশি দেখা যায়। গুড়া কৃমি সাধারণত দূষিত অপরিষ্কার খাবার ও পানি পান জন্য হয়। নিয়ম মত খাদ্যভ্যাস করতে হবে। পরিষ্কার পানি দ্বারা গোসল করতে হবে। সুপেয় পানি পান করতে হবে এবং পরিষ্কার ও তাজা শাক সবজি খাবার খেতে হবে। নখ পরিষ্কার করতে হবে। ময়লা পরিবেশ ও ময়লা নখ থেকে গুড়া কৃমি হয়। গুড়া কৃমি হলে শরীর থেকে তৈরি হয়। গুড়া কৃমি থেকে মুক্তির উপায়।
  •  রসুন ও আদা রস খেলে গুড়া কৃমি ধ্বংস হয়।
  • নিম পাতা বেটে পানির সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে কৃমি হয় না।
  • কাঁচা হলুদ কুচি নিয়মিত খেলে গুড়া কৃমি ধ্বংস হয়ে যায়।
  • শসার বীজ ও মিষ্টি কুমড়া বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানি সাথে মিশিয়ে খেলে কৃমি ভালো হয়।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিজেকে ও যে পরিবেশ থাকা হয় সেটা রাখতে হবে।

গুড়া কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। প্রতি তিন মাস পর পর কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করতে হবে পরিবারে সবাইকে এক সাথে। বাচ্চাদের কৃমি নাশক সিরাপ একবার খাওয়ার সাত দিন পর আবার আরেক ডোজ খাওয়াতে হবে। এভাবে কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করতে হয়।

মানুষের পেটে কৃমি হয় কেন

মানুষের পেটে কৃমি হওয়ার অন্যতম কারণ অপরিষ্কার পরিবেশ ও অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানি। মানুষ যখন অতিরিক্ত ময়লা পরিবেশ থাকে তখন পেটে কৃমি হয়। খালি পায়ে হাঁটা কারণে পা থেকে কৃমি হয় পেট। কৃমি মল দ্বার মাধ্যমে বের হয়। পরিষ্কার পানি পান না করলে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে। নখ কাটতে হবে পরিষ্কার করতে হবে। বাসি, পঁচা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাজা পরিষ্কার করে শাক-সবজি খেতে হবে। নিজেকে সতেচন হতে হবে তাহলে অনেকাশ কৃমি হবে না। পেটে কৃমি হয় ময়ল পরিবেশ থাকার জন্য দায়ী।

কৃমি দূর করার ঔষধ

আমাদের দেশে কৃমি দূর করার ঔষধ এর মধ্য Albendazole, Mebendazole,Eastazol,Durazol,almex নামক দুইটি প্রচলিত ঔষধ কৃমির ঔষধ হিসেবে পাওয়া যায়। আপনারা চাইলে কৃমির ঔষধ খালি পেটে খেতে পারেন। তবে খুব বেশি প্রয়োজন হলে আপনারা ভরা পেটে খেতে পারেন। বিঃদ্রঃ শিশুর মলদ্বার যদি চুলকায় তাহলে শিশুর মলদ্বার পরিস্কার ভ্যাসলিন লাগিয়ে দিতে হবে। এবং শিশুদের কৃমির পরিমাণ বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখকের কথা।বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় । বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত

প্রিয় পাঠক আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি বাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় এবং বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত সম্পর্কে বিস্তারিত খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এ ক্ষেতে বলা যায় আপনি আমাদের পোস্ট পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে। তাই আপনি এখনবাচ্চাদের কৃমি দূর করার উপায় জেনে গেছেন। আপনার যদি আমাদের এই আর্টিকেল ভালো লাগে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করুন। সবাই কে কৃমি থেকে বাচাতে সহায়তা করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url