তেঁতুল খেলে কি বীর্য পাতলা হয় - তেতুল খেলে কি ওজন কমে

আপনারা কি জানেন প্রতিদিন তেঁতুল খেলে কি হয় এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করে কিনা, আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও এই ফলটির কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে এটি হচ্ছে তেঁতুল। তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি  উপাদানটি  আমাদের দেহে প্রদাহ কমাতে এবং একাধিক রোগ দূর করতে সহযোগিতা করে। এছাড়াও তেঁতুল খাওয়ার ফলে ত্বকের পরিচর্যা হয় এবং চুলের উন্নতিও হয়।

নিয়মিত তেতুল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ভালো করেলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত তেঁতুল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে তাহলে তাদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। নিয়মিত তেতুল খাওয়ার ফলে রক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কারণ তেতুলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

তেঁতুল খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও আপনি যদি সকালবেলায় খালি পেটে তেঁতুল খেয়ে থাকেন তাহলে এতে আপনার উপকারের থেকে বেশি উপকারী হবে। তেতুলের মধ্যে এসিড থাকার ফলে আপনি যদি খালি পেটে তেঁতুল খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার এসিডিটি সমস্যা কম হয়। যাদের প্রেসারে সমস্যা রয়েছে তাদের প্রেসারও কম হতে পারে এই জন্য সকালবেলায় খালি পেটে তেঁতুল খেতে পারবেন আপনার যদি তেতুল খাওয়ার দরকার হয়।

তাহলে আপনি সেই তেতুলটি ভরা পেটে খাবেন। এতে উপকার হবে  বরং শরীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং নানা রকমের সমস্যা দেখা দিবেনা। যারা ওজন কমাতে চান তারা তাদের ডায়েট যাতে তেঁতুল রাখতে পারেন তেতুল খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কম হবে কারণ তেতুলের মধ্যে থাকা উপাদান খারাপ কোলেস্টেরল   বৃদ্ধি পেতে দেয় না এবং ভালো কোলেস্টেরল  বৃদ্ধি করে যার ফলে আপনার ওজন দ্রুত কম হয়।

এছাড়াও তেতুলের অনেক উপকারী গুনাগুন রয়েছে ত্বক ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করাতে কারণ এই বিচুলেরও জন্য উপকার করে। তেতুলের মধ্যে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মতো উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী উপাদান। তেঁতুল খাওয়ার ফলে এটি ক্যান্সার রোগের সাথে লড়াই করে আমাদের শরীরকে ক্যান্সারের মুক্ত রাখে কারণ তেঁতুলের মধ্যে যে সকল উপাদান রয়েছে যা তা আমাদের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। 

আপনারা অনেকেই সবচেয়ে বেশি প্রশ্নটা করে থাকেন যে তেঁতুল খেলে কি বীর্যপাত করা হয় আসলে কি এই কথাটি সত্য?  আসলে তেতুল খাওয়ার ফলে কখনোই বীর্য পাতলা হয় না কারণ তেতুলের মধ্যে এমন সকল উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নতি করে তবে কিছু উপাদানের কারণে প্রভাব পড়তে পারে। তেঁতুল খাওয়ার ফলে যে বীর্য পাতলা হয় এমনটি ধারণা ভুল তবে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের অন্যান্য কোন কারনেও  বীর্য পাতলা হতে পারে।

তার জন্য আপনার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করে জানতে হবে কারণটি বের করতে হবে তবে তেতুল খাওয়ার কারণে এটি হয় না। তেতুলের খাবারে যে সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেগুলো মোটামুটি বীর্য ইত্যাদির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে তবে এটি প্রধানত শারীরিক অবস্থা খাবার ও স্বাস্থ্যের জন্য নির্ভর করে। এছাড়াও তেতুলের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সেবনের ফলে প্রসাবতন্ত্র বা হরমোনাল স্তরে পরিবর্তন হতে পারে এর জন্য কোন সমস্যা হয় না।

এই ধারণাটি আদিকাল থেকে চলে আসছে তেঁতুল খাওয়ার ফলে ছেলেদের বীর্য পাতলা হয় এই জন্য অনেকেই এটি মনে করে থাকেন তবে এই ধারণাটি ভুল কারণ এখনো কোন  বিজ্ঞানী এটি প্রমাণ করতে পারেনি যে তেঁতুল খাওয়ার ফলে বীর্য পাতলা হয়।। এটি আমাদের ধারণা যার কারণে অনেকেই এই ভুল ধারণাটি মনে পোষণ করে রাখে 

আপনারা অনেকেই জানতে চান তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক নিয়মে তেঁতুল খেলে সকল পুষ্টি শরিলে পাওয়া যাবে এবং তেঁতুল খাওয়ার উপকার পাওয়া যাবে। যেকোনো খাবার সঠিক নিয়মে খেলে সেটা সকল পুষ্টি উপাদান আপনি আপনার দেহে পাবেন তবে আপনি যদি নিয়মের বাইরে করে থাকেন তাহলে এটা হীতের বিপরীতেও যেতে পারে। চলুন জেনে আসি তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। 

এক লিটার পানিতে দুই মুঠ তেতুল দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লিন করে তৈরি করে নিন। পানি সাথে সারাদিন এই তেতুলটি খেতে থাকুন যদি স্বাদ ভালো না লাগে তাহলে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। আবার আপনি যদি চান তাহলে তেতুলের শরবত বানিয়েও খেতে পারেন। এছাড়াও তেঁতুলের চা পাওয়া যায় এই চাও খেয়ে আপনি তেঁতুল খেতে পারেন অনেকেই নানাভাবে তেতুল খেয়ে থাকে।

নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে তার বেশি তেতুল খাওয়া উচিত নয়। যেকোন অনেকে ফলের সাথে মিশিয়ে তেঁতুল খেতে পছন্দ করে যে কোন চাটনি তৈরি করেও তেঁতুল খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম তেঁতুলের ক্বাথে ৫১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে যা কোলনকে নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিন উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও তেঁতুলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলিনিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, থিয়ামিন, নিয়াসিন,  ফোলিক অ্যাসিড ইত্যাদি। 

তেঁতুল খাওয়ার ফলে ওজন কম হয় এটি আসলেই সত্যি কারণ তেঁতুলের মধ্যে রয়েছে এক প্রকারের এন্টাইম যার রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে সহযোগিতা করে। তেতুলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার যা একই সঙ্গে এটা সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রী। তেঁতুল খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং মেদ জমতে দেয় না এছাড়াও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা কমে যায়।স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধ ও কৃষি হিসেবে তেঁতুল খাওয়া বা টক মিষ্টি শরবত খেলে আরাম পাওয়া যায়। যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত তেতুলে শরবত বা তেতুলের ক্বথ তৈরি করে খেলে ওজন কম হবে খুব দ্রুতই।

তেতুলের মধ্যে হাইড্রিক্সাইট্রিক এসিড রয়েছে যা শরীরের চর্বি জমতে দেয় না। এই এসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রাবারিয়ে খিদে কমায় খাবারের রাস টানলে ওজন বাড়বে না এই ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় তেতুলের শরবত রাখতে পারেন গরমের দিনে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবে। যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত ডায়ের্ট চার্টে তেঁতুল রাখুন এবং তেঁতুল খেয়ে ওজন কমাতে পারেন।