তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার - ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয়
প্রিয় পাঠক আপনি কি তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার এবং ময়েশ্চারাইজার কখন
ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্টটি
সম্পূর্ণ পড়েন আশা করছি এই পোস্ট আপনার অনেক উপকারে আসবে।হ্যাঁ বন্ধুরা আমাদের
পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার এবং
ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয়। তাহলে চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি আমাদের পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি
জানতে পারবেন তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার এবংময়েশ্চারাইজার কখন
ব্যবহার করতে হয় সে বিষয় সম্পর্কে। তাই আমরা আর কথা না বাড়িয়ে এবারে মূল
আলোচনার বিষয় সম্পর্কে ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয়।
পোস্ট সূচিপত্র:তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
উপস্থাপনা:তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার ।
আজকের এই আর্টিকেল আমরা আপনাদের জন্য শীতের কিছু বিশেষ টিপস নিয়ে হাজির
হয়েছি।আপনারা সঠিক তথ্য খুঁজতে নানান ওয়েবসাইট ঘুরাঘুরি করছেন তবুও সঠিক তথ্য
খুঁজে পাচ্ছেন তবে পড়ে নিন তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার এবং
ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে। আমরা ত্বক নিয়ে যতটা চিন্তিত
থাকি আর অন্য কোন বিষয় নিয়ে হইতো এতটা বেশি চিন্তা করি না।তাই আজকে সকল চিন্তা
দূরে রেখে জেনে নিব তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার এবং
ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ
শীতকালে পা ফাটার সমাধান
এছাড়াও আমরা এই আর্টিকেল আরো জানার চেষ্টা করবো তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া
ময়েশ্চারাইজার ,ব্রণের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো,ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহারের নিয়ম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে।তাই আর কথা না
বাড়িয়ে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সম্পর্কে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আশা করছি আপনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারে আসবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের নিয়ম
আপনারা অনেকে হয়তো জানতে চান ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের নিয়ম কি? ময়েশ্চারাইজার
কোন নিয়মে মুখে দিতে হয় কিভাবে দিলে মুখে ত্বক আরো বেশি কোমল হবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার সঠিক নিয়ম জানলে আপনার ত্বকে রুক্ষ ভাব দূর করে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার সাধারণত শীতে করা হয়। কারণ শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ত্বকে
ব্যবহার না করলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।ত্বকের কোমল ও মৃসণ ভাব শীতে পাওয়া
জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ময়েশ্চারাইজার আপনি গোসল পর মুখে ও হাতে পায়ে লাগিয়ে নিবেন। সকালে ও গোসল পর
ব্যবহার করতে হয়। এতে ত্বক নরম ও কোমল হয়ে থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়া আগে ভালোভাবে
পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার রাতে ব্যবহর
করলে সকালে ত্বক সুন্দর থাকে। ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে কারণ
শীতকালে আদ্রতা কমে যায় যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
প্রকৃতিতে শীতের অস্তিত্ব খুব তাড়াতাড়ি জানান দিচ্ছে।এই শীতে ত্বক নিয়ে যতসব
জটিলতার সৃষ্টি হয় কারণ শীতে ত্বক টানটান ভাব থাকে,মুখে লাবণ্য ভাব হারাতে থাকে
এছাড়াও ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে দেখা দেয় ত্বকের নানান সমস্যা।শীতকালে সবচেয়ে
বেশি সমস্যা হয় ত্বকের।শীতল আবহাওয়া ও জলবায়ু কমে যাওয়ার কারণে ত্বক রুক্ষ
হতে শুরু করে।শীতকালে রুক্ষ ও সূক্ষ্ম ত্বক আমাদের নানান সমস্যা পোহাতে হয়।
শীতের সময় এলার্জি ,চামড়া উঠা,টক ফেটে যাওয়া,চুলে খুশকি বৃদ্ধি পাওয়া এছাড়াও
চুল রুক্ষ হয়ে যায় তাই এ সমস্যার সমাধান নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করতে
যাচ্ছি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে।তাই আপনিও কিভাবে শীতের
সময় নিজের ত্বককে উজ্জ্বল রাখবেন এ বিষয় সম্পর্কে আপনি যদি অব্যাহত না থাকেন
তবে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ
কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়
শীতকালে তোকে না সমস্যা হতে পারে এ নিয়ে চিন্তার কোন বিষয় নেই।শীতের সময় আবহার
বিভিন্ন পরিবর্তন এবং বাতাসের সঙ্গে ধুলাবালি উড়ে বেড়ায় বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশ
করার পরেই বলার আগে অবশ্যই আপনার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।তবে এক্ষেত্রে সাবান ও
কেমিক্যাল যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির জন্য ময়েশ্চারাইজার যুক্ত ডিপক্লিনজিং ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার ব্যবহার করা
উচিত এক্ষেত্রে আপনি আপনার ত্বকে উজ্জ্বল রাখতে পারবেন।
শীতের সময় প্রতিবার মুখ ও হাত-পা ধোয়ার পরে অবশ্যই লোশন ভেসলিন বা
ময়েশ্চারাইজার শীতের জন্য উপযুক্ত ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে এক্ষেত্রে আপনার ত্বক
শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ত্বকে মৃত কোষের
পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ত্বক স্ক্রাব করে নিতে হবে।প্রতিদিন
নিয়মিত গোসলের পর প্রতিবার মুগ্ধ হওয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লোশন
ব্যবহার করতে হবে।
লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।সেটা আসছে বলে ভাববেন না যে
সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন কমিয়ে দিতে হবে।শীতকালে আপনি যখন বাইরে বের
হবেন বের হওয়ার পূর্বে ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫ থেকে ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে
হবে।এছাড়াও শীতকালে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত মুখে পানির ঝাপটা দিন এটি
করলে সহজে ত্বক শুষ্ক হয় না।
শীত আসলে আমরা গরম পানিতে গোসল করতে বেশি পছন্দ করি কিন্তু এই গরম পানি আমাদের
ত্বকের আদ্রতা কমিয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে গরম পানি দিয়ে গোসল ও ত্বক ধোয়ার জন্য
ব্যবহার করা যাবে না।শীতকালে গরম পানি আপনার ত্বককে রুষ্ক করে তোলে।শীতকালে শুধু
ত্বকের যত্নে করতে গিয়ে ঠোঁটের কথা ভুলে যাবেন না কারন মানুষের জন্য ঠোঁট অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ঠোঁটের সৌন্দর্যই মানুষের টক ও চেহারা কি আরও সৌন্দর্য বাড়িয়ে
দেয়।
আরো পড়ুনঃ
গলা ফর্সা করার উপায় জেনে নিন
শীতকালের সময় শুধু সূর্যের আলো থেকে ত্বক বার্ন হয় না ঠান্ডা হওয়া থেকে ত্বক
জ্বালা করে।সেটিকে বলা হয় উইন্ড বার্ন। শুষ্ক ত্বকে উইন্ড বার্ন অনেক বেশি ক্ষতি
কর এক্ষেত্রে ত্বক রক্ষা করতে পারে পেট্রোলিয়াম জেলি।আপনার ত্বকে যদি খুব বেশি
উইন্ড বার্ন হয় তাহলে ত্বকে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে হবে।
আরও শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাইতে হবে
কারণ ত্বকের জন্য ভেতরের পুষ্টি আসল। আর ভেতরের পুষ্টি জগতে খাবারের দিকে
বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে।আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন তাজা ফল মূল শাক সবজি মাছ
মাংস ডিম দুধ বা শর্তকরা জাতীয় খাবারের দিকে নজর দিতে হবে।
প্রতিদিন ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে প্রতিদিন একটি করে হলেও ফল খাওয়ার চেষ্টা
করবেন। এই দুই সর্বোচ্চ জাতীয় খাবার গুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দাড়ি করতে
হবে।শীতকালে ত্বকের পানি শুকিয়ে আসে সেজন্য পানি পান করতে হবে প্রয়োজনে বাইরে
যাওয়ার সময় সঙ্গে পানি বহন করতে হবে।
শাকসবজি বেশি করে খাওয়া শীতকালে নানা রকম সবজি পাওয়া যায় যেমন পালন মেথি
ফুলকপি,শিম, পাতাকপি, টমেটো, গাজর ইত্যাদি। সবজি আমাদের শরীরের নানান রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য এ সমস্ত বিষয়গুলো
আপনাকে নিয়মিত মেনে চলতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
তৈলাক্ত ত্বক যদি কারো থাকে তাহলে সে ত্বকের সমস্যার কোন শেষ নেই গ্রহন রায়ের
পোস্ট করি লেগেই থাকে সবসময় সারা বছরই কিছু না কিছু সমস্যায় থাকতে হয়।এমন
ধরনের সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজে পাওয়া বড়ই মুশকিল তৈলাক্ত ত্বক যত্ন রাখা সহজ
করেও কথা নয় বিশেষ করে ত্বক যদি আদ্রতা হালাতে শুরু করে তাহলে তাকে নানান সমস্যা
বাড়তে থাকে।তাই আজকে আমরা তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার সম্পর্কে
জানব কারন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আপনারা অনেকে আছেন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারজার ব্যবহার করেন কিন্তু সেগুলো বাজার
চলিত।তৈলাক্ত গুপ্ত অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে থাকে যার ফলে ইচ্ছামতো সব ধরনের
প্রসাধনী ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। বাজার চলতি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে আবার
হিতে বিপরীতে হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাদের সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আজকে আমরা
আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি।
গোলাপ ফুলের পাপড়ি স্ক্রাব
গোলাপ ফুলের পাপড়ি বানাতে প্রথমে একটি পার্টের অল্প পরিমাণ গোলাপ জল ও গোলাপ
ফুলের পাপড়ি নিয়ে বেশি কিছু কোন সময় ধরে ফুটিয়ে নিন।ফোটানো হয়ে গেলে
মিশ্রণটি সেকেন্ডে ঠান্ডা করে নিন তারপরে মিশ্রণটির সাথে দুই টেবিল চামচ এলোভেরা
জেল মিশিয়ে নিন ।ভালো একটি কাঁচের পাত্রে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন ১৫ থেকে
২০ দিন পর্যন্ত এ ময়েশ্চারাইজার ভালো থাকে। গোলাপ ফুলের এই ময়েশ্চারাইজার ব্রণ ও
ফুসকুড়ি সমস্যা সমাধান করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলাতে বৃদ্ধি করতে কাজ করে আপনি এটি
নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও কমে যাবে।
দুধ এবং অলিভ অয়েল স্ক্রাব
প্রথমে সুন্দর একটিপরিষ্কার কাচের বাটি নিন এরপরে আপনি অল্প দুধ লেবুর রস 2 চামচ
টেবিল পরিমাণ অলিভ অয়েল নিয়ে এটি ভালো করে মিশ্রণ করতে হবে।আপনি খুব সহজেই এই
ময়েশ্চারাইজার তৈরি করে নিতে পারবেন।এই মিশ্রণটির দুধ তোকে কোমল করবে ও অলিভ
অয়েল ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করবে।লেবুর রস ত্বকের
দাগ ও সব দূর করতে সহায়তা করে।আপনার টৈলাককে ত্বকের জন্য এই ময়েশ্চারাইজার অনেক
উপকারী।
অ্যালোভেরা দিয়ে স্ক্রাব
অ্যালোভেরা আপনার ত্বকে শুধু ময়েশ্চারাইজার করে না একই সঙ্গে অতিবেগুনি রশ্মি
থেকে রক্ষা করে ন্যাচারাল একটা হিউমেক্ট্যাক্ট হিসেবে কাজ করতে ভূমিকা পালন করে।
অ্যালোভেরা তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ কারনাউবা ওয়াক্রস্ক্র ২-৩ টেবিল চামচ জজবা
অয়েল, এবং ১ টেবিল চামচ পানি নিতে হবে।
এই মিশ্রণটি মেশানোর সময় স্টিম দিয়ে মেশাতে হবে ঠান্ডা হওয়ার জন্য সময় দিতে
হবে এবং দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল দিতে হবে এবং ভালোভাবে তা মিশ্রণ করতে হবে।এই
ময়েশ্চারাইজার আপনার মুখে এবং ঘাড়ে লাগাতে পারেন।যা আপনার তৈলাক্ত ত্বক নরম ও
মোলায়েম রাখতে অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের উপকারিতা।তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের উপকারিতা ও ব্যবহার যদি সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রায়
সবারই রয়েছে। কেননা সবাই চায় গ্লো ত্বক ঝকঝকে এবং সুন্দর পেতে।তাই আমরা আপনাদের
সামনে হাজির হয়েছি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জানা বিস্তারিত
জানানোর জন্য।
আরো পড়ুনঃ
রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন শিখে নিন
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা কি স্কিন কেয়ার করতে চান এবং এই সিমকে সুন্দর
রাখতে চান আপনারা যদি মময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ইচ্ছুক এবং ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে এ টু জেড জানতে চান তাহলে শুভেচ্ছা জানাই আমাদের
আজকের এই আলোচনার পর্বে আপনাকে পেয়ে।
- আপনার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলবে
- ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখবে
- বয়সের ছাপ দূর করবে
- সূর্যের রশ্নি থেকে সুরক্ষা প্রদান করবে
- স্কিনকে সবসময়ই স্মুথ ও প্রশমিত রাখতে সহায়তা করবে
- ব্রণের সকল সমস্যার সমাধান করবে
- ত্বকে মৃসণ রাখতে ময়েশ্চারাইজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে
বি:দ্র: নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে অনেক বেশি
জরুরী।কেননা এর উপকারিতা রয়েছে অনেক।আপনি যদি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ভালো
ফলাফল পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়মে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
করতে হবে।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয় সে
বিষয় সম্পর্কে জানেন না আপনারা পরবর্তী স্টেপে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সম্পর্কে জেনে নিন।
ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয়
আপনারা অনেকেই জানতে চান ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয় এবং ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহারের সঠিক সময় কখন। সকালে মুখ দেওয়ার পর বা গোসলের পর এবং রাতে ঘুমানোর
আগে অবশ্যই তোকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আপনারা যখন ফেসওয়াশ ব্যবহার
করেন তারপর আপনি যদি ময়েশ্চারাইজার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন তাহলে আপনার
ত্বকের রুক্ষ ভাব থাকবে না এবং ত্বক সুন্দর কোমল হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুনঃ
আমলকির রস চুলে দেওয়ার নিয়ম
ঠান্ডা আবহাওয়াতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয় কারণ তখন তাও শুষ্ক হয়ে যায়
এবং তা খসখসে থাকে। তাই শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয় গরমকালে নয়।
ব্যবহার করে নিন তাহলে সারাদিনের তর্ক কোমলতা বজায় থাকে এবং টক কমুল ও প্রাণবন্ত
হয়ে ওঠে। শীতকালে সবচেয়ে বেশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের অনুভব হয়।
আপনাকে অবশ্যই সঠিক এবং ভাল পণ্য বাছাই করতে হবে যখন আপনি ময়েশ্চারাইজার কিনবেন
তখন আপনাকে আসল পণ্যটি খুঁজে বের করে কিনতে হবে কারণ বাজারে প্রচুর পণ্য রয়েছে
যা নকলও হতে পারে। আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেই অনুযায়ী
আপনাকে ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে এবং সেই ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার
করতে হবে।
উপসংহার।তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যেই এই পোস্টটি সম্পন্ন করে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন
তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার এবং ময়েশ্চারাইজার কখন ব্যবহার করতে হয় সে
সম্পর্কে। আশা করছি এই পোস্টটি আপনার শীতে ত্বকের উজ্জ্বলা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক
উপকারে আসবে।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই পোস্টটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার যদি আমাদের এই পোস্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাথে
শেয়ার করুন এতে করে সবাই শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়তৈলাক্ত ত্বকের
ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার সম্পর্কে জেনে নিজেদের ত্বকের যত্ন করতে পারবে
ঘরোয়া উপায়ে।
আরো পড়ুনঃ
লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
এছাড়াও আপনি যদি শিখে ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে আরো পোস্ট করতে চান তাহলে আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।কারণ আমরা প্রতিনিয়ত
নিত্য নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকে।আজ এ পর্যন্তই আবারও কথা হবে অন্য কোন টপিক
নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url