শীতকালে পা ফাটার সমাধান - কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে

প্রিয় পাঠক আপনি কি এই কনকনে শীতে পা ফাটা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য হ্যাঁ বন্ধুরা আপনি যদি শীতকালে পা ফাটার সমাধান এবং কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন এবং জেনে নিন শীতকালে পা ফাটার সমাধান সম্পর্কে।

আপনি যদি শীতকালে পা ফাটা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তবে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করছি এ পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে এবং আপনি জানতে পারবেন শীতকালে পা ফাটার সমাধান এবং কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক শীতকালে পা ফাটার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত।

শীত পড়লেই পা নিয়ে নানান সমস্যায় শুরু হয়।গরমের সময় আমাদের পা যেমন মোলায়েম এবং নরম থাকে। কিন্তু শীত পড়ার সাথে সাথে রুক্ষ এবং পা ফাটা শুরু হয়। পা ফাটা দূর করার জন্য আমরা নানান ক্রিম ব্যবহার করে থাকি।তবুও আমরা পা ফাটা দূর করতে সক্ষম হয় না।তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো শীতকালে পা ফাটার সমাধান এবং কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে সে সম্পর্কে।যাতে আপনি খুব সহজেই আপনার পা ফাটা সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

এছাড়াও এই আর্টিকেলে পা ফাটার কারণ, শীতে পায়ের যত্ন, পায়ের তালু ফাটার ওষুধ,পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার পা ফাটা দূর করতে পারবেন।তাই আজকে আমরা আর কথা না বাড়িয়ে এবারে মূল আলোচনার বিষয় শীতকালে পা ফাটার সমাধান এবং কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে জেনে নেব।

পায়ের গোটা গোড়ালি ফাটার কারণ মূলত শুষ্ক মৌসুম ও আদ্রতার ঘাটতিতে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয় পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতেও যন্ত্রণা হতে থাকে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না ভিটামিন ই এর অভাবে পায়ের গোড়ালি ফাটা শুরু হয়। পায়ের গোড়ালি ফাটে মূলত ভিটামিনের অভাবে পা ফাটার ফলে আপনার শরীরে যদি ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি যার ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি যদি অভাব দেখা দেয় তাহলেও আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটতে পারে।

এক্সিমা হলো পা ফাটা রোগের নাম এটি ত্বকের রোগ যার প্রভাবে হাঁটতে পারে বা এই রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপসর্গটি দেখা দেয় সারা দেহে যেকোনো স্থানে এই রোগটি দেখা দিতে পারে। পানি শূন্যতা পা ফাটার আরো একটি বড় কারণ শুষ্ক মৌসুমে বা শুষ্ক পরিবেশে হাঁটাহাঁটির ফলে আপনার দেহের আদ্রতা কমে যাওয়ার ফলে চামড়া শুকিয়ে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে।

শীতকালে সবচেয়ে বেশি পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয় এই সময়ে শুষ্ক আবহাওয়া থাকার ফলে পা ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। মৌসুমী পরিবর্তনের ফলে এই সময়ে বেশি পা খাটে যার কারণে শীতকালে পা ফাটার সমাধান অনেকেই জানতে চাই। পা পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায় শীতের মৌসুমে অনেকে গরম পানি ব্যবহার করে। এতে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো।

শীতকালে পা ফেটে গেলে ফুট স্ক্রাবার দিয়ে পায়ের গোড়ালি ঘসে পরিষ্কার করে চাপ দিয়ে মুছে ভালো করে ফুট ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে সেই ফাটা স্থানে। অন্যান্য মৌসুমে থেকে শীতকালে সবচেয়ে বেশি পা ফেটে থাকে এই জন্য শীতকালে সবচেয়ে বেশি ত্বকের যত্ন নিতে হয়। শুষ্ক মৌসুম হওয়ার ফলে শরীরে পানির ঘাটি দেখা দেয় এবং শীতকালে ঠান্ডা পড়ার কারণে অনেকে পানি কম পান করে থাকে যার ফলে শরীরে চামড়ায় পানির ঘাটি দেখা দেওয়ার ফলে কিন্তু পা ফাটার সমস্যা শুরু হয়।

পায়ের গোড়ালি ত্বক শুষ্ক বেশি হয় গোড়ালি টপ মোটা হয়ে যাওয়াকে বলে ক্যালোসেস।শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায় বলে ক্যালোসেস আরো শুষ্ক হয়ে পড়ে। এছাড়াও যারা দীর্ঘ সময় খালি পায়ে হাঁটেন বা পিছনে উন্মুক্ত স্যান্ডেল ব্যবহার করে, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকে বা বাইরে কাটান গোসল বা ওযু করার সময় খুব গরম পানি ব্যবহার করে বা রুক্ষ সাবান ব্যবহার করে তাদেরও এই পা ফাটা সমস্যা দেখা দেয় এসব কারণে। এ সকল কারণ মেনে চললে আপনার পা ফাটা থেকে অনেকটাই সমাধান পাবেন।

শীতের মৌসুম না আসলেই দেখা দেয় সবচেয়ে বেশি এই সমস্যাটি তার কারণ হলো শীতের মৌসুমে আদ্রতা কম থাকার কারণে পা ফাটতে শুরু করে। ভিটামিনের অভাবে, সোরিয়াসিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, ছত্রাক সংক্রমণ, গর্ভাবস্থা, স্থূলতা, পামোপ্লান্টার কেরাটোসিস ইত্যাদি থাকলে অনেক সময় পা ফাটা সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সমস্যা থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে পায়ে ফাটার সমস্যা।

ভিটামিনের অভাবের কারণে নয় অনেক সময় পা ফাটা সমস্যা দেখা দেয় ত্বকের জন্য ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি-এর দরকার এই ভিটামিন গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে না থাকলেও পা ছাড়তে পারে। পায়ের গোড়ালিতে ফাটা ভাব, চুলকা নিয়ে চামড়া উঠা, সাদা গুঁড়ো বের হওয়া, লালচে ভাব ধারণ করা, ব্যথা রক্তপাত ইত্যাদি হতে পারে কারো কারো সংক্রমণ হয়ে ঘা বা আলসারও হতে পারে।

সাধারণত পা ফাটে পানি শূন্যতা জন্য এবং পরিবেশের আদ্রতা কম থাকা কমপানি পান করা এবং শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ হাঁটাহাঁটির ফলে পায়ের ত্বকের আদ্রতা কমে যায় যার ফলে পা ফাটা শুরু হতে থাকে। পায়ের চামড়া মোটা হওয়ার কারণে পায়ে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় বা গোড়ালি ফেটে যেতে শুরু করে একে এক্সিমা রোগ বলা হয়। পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ করতে আপনাকে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে এবং শুষ্ক মৌসুমে পায়ের যত্ন নিতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

শীতকাল আসলেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয় পায়ের তালু ফাটে যার ফলে পায়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করে। এর তালু ফাটার কারণে অনেকেই ওষুধ খেতে চান পায়ের তালু ফাটার কারণ অনেকে হয়তো জানেন না ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যা হয়ে থাকে। পায়ের তালু ফাটলে আপনি ঘরোয়া ভাবে একটা বাটিতে পানি আধা চামচ নারিকেলের তেল সামান্য লবণ দিয়ে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে এবং পায়ের তালু ফাটা স্থানে ভালোভাবে খোসা দিয়ে ঘুষে পাতলা করতে হবে।

ফাটা স্থানে যে ময়লা গুলো জমে আছে সেগুলোকে দুই তিন চামচ চালের গুড়া দিয়ে এক চামচ মধু মিশিয়ে ভিনেগারের সাথে দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে রাখতে হবে। তাহলে পায়ের তালু ফাটার ময়লা গুলো চলে যাবে এবং আস্তে আস্তে পায়ের যত্ন নিলে পায়ের তালু ফাটাও ভালো হয়ে যাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার থেকে ভালো ঘরোয়া ভাবে সমস্যার সমাধান করা।

যে সকল ভিটামিনের অভাবে এই পায়ের তালু ফেটে থাকে সে সকল ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং শুষ্ক মৌসুমে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। অনেক সময় ত্বকের যত্নের অভাবের কারনেও এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। পায়ের তালুতে সবসময় নরম করে রাখার জন্য ক্রিম ব্যবহার করতে হবে ও স্যান্ডেল পরিধান করতে হবে।

মৌসুম পরিবর্তন হওয়ার সাথে যখন শীতের প্রভাব শুরু হয় সেই সময় প্রতিটা মেয়েই তার পায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে। শীতকালে প্রতিটা মানুষেরই পায়ের পাতা চামড়া রুক্ষ হয়ে যায় এবং সেইসাথে পায়ের গোড়ালি ফারতে শুরু করে যার কারণ একটি হলো শীতকালে আবহাওয়া আদ্রতা শুষ্ক থাকে। সাধারণ তো পরিষ্কার রাখা অযত্ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার ফলে পা ফাটে।

পুরো শরীরের মধ্যে পাওয়া এর তলটাই সবচেয়ে বেশি শুষ্ক থাকে কেননা দেহের অন্যত্র ত্বকের মাঝে তৈল গ্রন্থি থাকলেও পায়ের তালুতে নেই। যার ফলে তা শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ত্বক ফেটে যায় যখন অল্প বয়স থাকে তখনই সব সমস্যা দেখা দেয় না তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ সকল সমস্যা শুরু হয়। শীতকালে পায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন।

কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লেবুর রস মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন এবং এরপর পার্টিকে ভালোভাবে তুলে মুছে নিয়ে স্ক্রাব ব্যবহার করুন। দারুচিনি, লেবুর রস, খাটি নারিকেলের তেল পরিমাণ মতো মিশিয়ে দুই পায়ে লাগিয়ে নিন চিনি যতক্ষণ না গলে যাচ্ছে ততক্ষণ হালকা হাতে ঘষতে থাকুন এরপর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার পায়ের কতটা উন্নতি হচ্ছে।

শীতকালে পায়ের যত্ন নিতে আপনি করতে পারবেন যে প্যাকটি তৈরি করতে বেসন সঙ্গে হলুদ মধু এলোভেরা জেল মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে পায়ের গোড়ালিতে লাগাতে হবে। এরপর পায়ের গোড়ালিতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ঘষে তুলে ফেলুন ফাটা জায়গাতে সুন্দর ভাবে তেল মালিশ করে রাখুন।

আপনারা হয়ত অনেকে জানেন না বাংলাদেশে পা ফাটা দূর করার ক্রিম পাওয়া যায়। আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন পা ফাটা ক্রিম বাংলাদেশে কোন কোন কোম্পানির পাওয়া যায় সেই সম্বন্ধে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। পা ফাটার বিভিন্ন রকমের ক্রিম বা মহলম পাওয়া যায় এটি শীতকালে পা ফাটার সমস্যা দূর করতে পারে।

স্কয়ার ক্রিম: অগ্রিম কি যাদের পা ফাটা রয়েছে তাদের জন্য ব্যবহারের উপযোগী তবে এই ক্রিম সম্পর্কে তাদের প্যাকেটের ওপরে লিখা রয়েছে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং তাদের জন্য ব্যবহারযোগ্য সেটা দেখে ব্যবহার করতে হবে।

পতঞ্জলি ক্রাক হিল ক্রিম: পা ফাটা দূর করতে আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে আপনার পায়ের গোড়ালি নরম কোমল মিশ্রণ হয়ে উঠবে এবং ফাটা গুলো দূর হবে।

গ্রীন টি হারবাল ফুড ক্রিম: আপনাদের যাদের পা ফাটা নিয়ে অনেক চিন্তিত এবং সমস্যা মনে করছেন তারা পা ফাটার এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার পা ফাটা সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি দূর করবে।

হিমালয়া ওয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিম: এই ক্রিমটি রাতে ব্যবহার করতে পারেন পা ফাটা সমস্যা দূর করে এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা দূর করে। পা ফাটা দূর করে পায়ের গোড়ালি কোমল ও মসৃণ করে তোলে।

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে এই পোস্টটি সম্পন্ন করে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন শীতকালে পা ফাটার সমাধান এবং কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে  সে বিষয় সম্পর্কে।আশা করছি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে আপনার পা ফাটা দূর করতে।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি সকলের সাথে শেয়ার করুন।

যাতে করে এই কনকনে শীতে সকালে পা ফাটা দূর করতে সঠিক সমাধান পাই।এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে ভালোবাসেন তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন।কারণ আমরা প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি সবার আগে আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।