চোখ উঠলে করণীয় কি - চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনি ভালো আছেন। আপনি কি চোখ উঠলে করণীয় কি এবং চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন তা নিয়ে চিন্তিত তাই আমি আপনাদের জন্য চোখ উঠলে করণীয় কি করবেন তার সমাধান নিয়ে সুন্দর ভাবে এই আর্টিকেল আপনার সাথে শেয়ার করবো। তাই আপনি যদি চোখ উঠলে করণীয় কি করবেন তা জানতে হলে আমার সাথে থাকুন। 

চোখ উঠলে করণীয় কি
আপনি যদি এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনিও আমার মতো জানতে পারবেন চোখ উঠলে করণীয় কি এবং চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করে নিজের সমস্যা সমাধান করবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এবারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃচোখ উঠলে করণীয় কি - চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা 

ভূমিকা।চোখ উঠলে করণীয় কি । চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা 

বাংলাদেশে অঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় চোখ ওঠেছে।এই রোগের একটি নাম রয়েছে কনজাংটিভাইটিস। এই রোগ হয় ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণের ফলে চোখে দেখা দেয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ। এই রোগ ছোঁয়াচে যা এক জনের থেকে আশেপাশে সবার হয়। যে মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে সেই সময় এই রোগ বেশি হয়। চোখ উঠলে কি ডিম খাওয়া যাবে।
চোখ উঠলে কতদিন থাকে এবং চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবো চোখ উঠলে করণীয় কি চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না ও চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার সহ সকল বিষয় আপনি নিচে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করছি আপনি আমার সাথে থাকবেন।

চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার

চোখ ওঠার লক্ষণ

  • চোখ ওঠার প্রথম লক্ষণ হবে চোখ লাল হয়ে যাবে একটা ধীরে ধীরে দু চোখ লাল হয়ে যায়।
  • চোখের পাপড়ি ফুলে যায়।
  •  চোখ দিয়ে পানি পড়ে সব সময়।
  • টচোখে ব্যথা অনুভব হয়। 
  •  চোখে খচখচ করে এবং অস্বস্তিকর বোধ হয়।
  • চোখ প্রদাহ হয় এবং চোখে পেচুকি জমে থাকে।

চোখ ওঠার  প্রতিকার

  •  চোখ উঠলে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে চোখ।
  • চোখে চশমা পরতে হবে নাহলে অন্য জনের ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে।
  • সব সময় হাত পরিষ্কার রাখতে হবে তাই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। 
  •  চিকিৎসাকের সাথে পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিব্যায়টিক নিতে হবে। 
  •  চোখে পানি পড়ে তাই সেই সময় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। 
  • ব্যাক্তিগত কোন সামগ্রী অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবেনা।এটি ছোঁয়াচে রোগ। 

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না

চোখ ওঠার কারণ অনেকের এল্যার্জি সমস্যা জন্য হয় আবার ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ ফলে চোখ ওঠে। চোখে যাদের এল্যার্জি রয়েছে তারা যদি এল্যার্জি জাতীয় খাবার খায় তাহলে তাদের চোখে সমস্যা হবে। এটা ছাড়া ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বেগুন, সিম, মসুর ডাল এসব খাদ্য না খাওয়া ভালো। এগুলা ছাড়া অন্য সকল খাদ্য খেতে পারবে। চোখ ওঠলে সব সময় চোখকে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। এটি ছোঁয়াচে রোগ যার ফলে আশেপাশে সবার চোখে এই সমস্যা দেখা দিবে। যার চোখ উঠবে তাকে একটু সর্তক থাকতে হবে। 

চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা

  • পেয়ারা পাতা অনেক রোগের ওষুধি হিসেবে ব্যবহার করা হয় কারণ এই পাতার মধ্যে রয়েছে জীবাণু ধ্বংস করার উপাদান। যার ফলে এই পাতাকে শুকিয়ে আগুনে একটা কড়াইয়ে সেকে নিতে হবে। একটা নরম কাপড় দিয়ে পাতা মুড়িয়ে চোখে স্যাক দিতে হবে। তাহলে চোখ উঠা ভালো হবে চোখের অন্যান্য রোগ হবে না যেমন অনজনি।
  •  একটা লোহার সিককে ভালোভাবে তাপ দিয়ে নরম সুতি কাপড় দিয়ে চোখে স্যাক দিতে হবে দিনে তিন চারবার তাহলে চোখ উঠা ভালো হয়। কারণ চোখের মধ্যে যে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে তা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং চোখের গ্রন্থির তেলগুলো শুকিয়ে যাবে।
  • চোখে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ভাব নিতে হবে। তারপর ক্যস্টার ওয়েল একটি কটন নিয়ে চোখের পাপড়িতে দিতে হবে। চোখের জ্বালাপোড়া কম হয় ব্যথা কমে যায়। ক্যস্টার ওয়েল রয়েছে প্রদাহ দূর করার ক্ষমতা। 

চোখ উঠলে কি চোখে পানি দেওয়া যাবে

 চোখ উঠলে আগে থেকে মানুষ পানির ঝাপটা দেয় বার বার। তবে এই ধারণাটা পুরো ভুল যে চোখে পানি দিলে চোখ উঠা ভালো হবে। চোখে বার বার পানির ঝাপটা দিলে পানিতে যে জীবাণু রয়েছে তা চোখের আরো ক্ষতি করে। চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়, পাপড়ি ফুলে যায়, চোখে ব্যথা হয়, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখে পেচুকি বের হয়।
এসকল কিছু হয় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে যাদের চোখে তাদের হয়।যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা বা এল্যার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের বেশি হয় চোখ ওঠা রোগ। যখন আদ্র আবহাওয়া হয় তখন চোখ ওঠা রোগ বেশি হয়। চোখ উঠলে বার বার পানি না দিয়ে পরিষ্কার থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ নিতে হবে। 

চোখ উঠলে করণীয় কি।চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা  

চোখ উঠলে রোগীকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে তাহলে অনেকাংশ রোগ ভালো হয়ে যাবে। ময়লা, ধুলোবালি,  অপরিছন্ন পরিবেশ থেকে দূরে থাকতে হবে। চোখ দিয়ে পানি পড়ে যেহেতু সব সময় চোখ পরিষ্কার করার জন্য পরিষ্কার নরম সুতি কাপড় হাতে রাখতে হবে নাহয় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। হাত সব সময় পরিষ্কার করতে হবে সাবান ব্যবহার করে।

চোখে চশমা ব্যবহার করতে হবে কারণ বাইরে গেলে চোখে রৌদ লাগবে এই সময় এমনি চোখ জ্বালাপোড়া করে আর এটি ছোঁয়াচে রোগ তাই সব সময় চোখে চশমা ব্যবহার করায় ভালো হবে। নিজের ব্যবহৃত পোশাক পরিষ্কার করে পরিধান করতে হবে। এই সময় নিজেকে ও আশেপাশে পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে হবে। 

চোখ উঠলে কোন ড্রপ ।চোখ উঠলে করণীয় কি 

চোখ ওঠার সকল লক্ষণ দেখা দিলে তারপর ৪/৫ দিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তারপর যদি ভালো না হয় ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে ঔষধ নিতে হবে। (Engatt o.5% Eye Drops) এটি চোখের একটি অ্যান্টিব্যায়োটিক ড্রপ যা শুধু মাত্র চোখ ওঠার জন্য ব্যবহার করে হবে। আগে অবশ্যই ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। চোখ খুব সেনসিটিভ জিনিস যে কোন ঔষধ ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে আবার চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

চোখ ওঠার উপকারিতা

চোখে যখন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ করে তখন চোখ ওঠে। চোখ ওঠার ফলে চোখে ব্যথা অনুভব হয়, চোখ খচখচ করে,  চোখ ফুলে যায়, চোখ লাল হয়ে যায়। এই রোগটি ছোঁয়াচে যার ফলে এই রোগীর আশেপাশে থাকলে বা রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার করলে তার চোখ ওঠবে। চোখ দিয়ে পানি পড়ার ফলে চোখের ময়লা বের হয়ে চোখ হালকা হয়ে যায়।
চোখে যে এ্যান্টিব্যায়োটিক ড্রপ দেয় সেটা ব্যবহার করলে চোখ পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই চোখ ওঠার ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিজের যত্ন নিতে হবে তাহলে দ্রুত সুস্থ হবে। 

চোখ উঠলে কি ডিম খাওয়া যাবে

যখন মৌসুমি বায়ু পরিবর্তন হয় এবং আদ্র আবহাওয়া থাকে সেই সময় সবচেয়ে বেশি চোখ উঠে। চোখ উঠলে সব সময় পরিষ্কার থাকতে হবে। ময়লা, নোংরা সকল পরিবেশ ও জামাকাপড় পরিষ্কার করতে হবে। চোখের জন্য ডিম অনেক উপকারী। ডিমের কুসুমে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থগুলো থাকে আবার ভিটামিন-এ ও জিংক থাকে যা চোখের জন্য ভালো। তাই চোখ উঠলে ডিম খাওয়া যাবে এতে কোন সমস্যা হবে না। চোখের সংক্রমণ জন্য নিয়মিত গাজর খেতে পারেন তাহলে চোখে সমস্যা কম হবে। 

চোখ উঠলে কত দিন থাকে।চোখ উঠলে করণীয় কি 

চোখে সমস্যা হলে চোখ সাথে পুরো শরীর অচল হয়ে পড়ে। চোখ উঠলে এটি ভালো হয় কারো ৩ দিন সময়ে হয় আবার কারো দুই সপ্তাহে ভালো হয়না। এর একটি কারণ সেটা হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কারো বেশি কারো কম। আবার কাকে কোন ভাইরাস দ্বারা চোখ আক্রান্ত হয়েছে এটা জন্য সময় লাগে। বেশি দিন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এ্যান্টিব্যায়োটিক চোখে ব্যবহার করতে হবে। 

চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে

মৌসুমি আবহাওয়া যখন পরিবর্তন হয় তখন আর্দ্র আবহাওয়া ফলে এই রোগ দেখা দেয় বেশি। সেই সম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে বেশি। যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা আর এল্যার্জি সম্যসা রয়েছে তাদের চোখ ওঠে বেশি। চোখ ওঠার একটি ছোঁয়াচে রোগ কারণ একজন চোখ থেকে আরেক জনের চোখে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে অন্য মানুষের সহজে এই রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগ হলে সব সময় চশমা পরতে হবে চোখে। পরিষ্কার থাকতে হবে এবং রোগীর ব্যবহৃত কোন জিনিস অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবেনা। 

লেখকের মন্তব্য : চোখ উঠলে করণীয় কি । চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা

আশা করি আপনার আমাদের আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন চোখ উঠলে করণীয় কি ও চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা কি কি করতে হবে। নিজে সচেতন থাকুন অন্যকে সচেতন করুন। মহান আল্লাহ তালা সকলকে রোগ বালাই থেকে দূরে রাখুন এই কামনা করি। আমাদের এই পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু ও আত্নীয়দের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যদি নিয়মিত পোস্ট পড়ুতে ভালোবাসের 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url