ত্বকে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবু এমন একটি খাবার যা আমরা দৈনন্দিন জীবন কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি বিভিন্ন ভাবে। ত্বকে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো রয়েছে। লেবু যেমন আমাদের শরীরে জন্য পুষ্টি সরবরাহ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি ত্বকে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা এছাড়াও চুলে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা ,ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ,খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা,লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ,পাতি লেবু খাওয়ার উপকারিতা ,ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম ,লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ,চুলে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা,লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় , নিয়ে আজকের বিস্তারিত বিষয় জেনে নিন।

•  লেবুর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ভিটামিন-বি ও অন্যান্য
• উপাদান যা রক্তস্বল্পতা দূরে করে খালি পেটে লেবু খেলে।
•  প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল বেলা খালি পেটে লেবুর রস ও কুসুম গরম পানি মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি ভালো থাকে।
•  নিয়মিত খালি পেটে লেবুর রস খেলে ত্বকের লাবণ্য ফিরে আসে ও ত্বক সজীবতা দেখা যায়।
•  প্রতিদিন খালি পেটে লেবুর রস খেলে শরীরে ওজন কম হয় এজন্য যারা ডায়েট করে তাদের খাবার তালিকায় লেবু থাকে।
• খালি পেটে লেবু খেলে পেট সকল সমস্যা ভালো হয় এবং পেট পরিষ্কার থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

•  নিয়মিত লেবু খেলে ওজন কম হয় যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য লেবু অনেক উপকারি।
•  লেবুতে থাকা ভিটামিন- সি যা ত্বক জন্য অনেক কার্যকারি। ত্বকে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে নিয়মিত লেবু খাওয়া।
•  নিয়মিত লেবু রস খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর মন ভালো থাকে।
•  নিয়মিত লেবু খেলে শরীরে ক্যান্সার রোগ হতে বাঁধা দেয় লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন।
•  নিয়মিত লেবু খেলে ব্রণ হয়না মুখের ত্বকে পানির স্বল্পতা দেখা দেয় না।
• যাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা তারা নিয়মিত লেবু খেলে এই সমস্যা হাত থেকে বাঁচবেন।
•  নিয়মিত লেবুর রস খেলে সর্দি, কাশি, লিভার, আলসার ও বুক জ্বালাপোড়া মত সমস্যা হয় না।

লেবু পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুব কম আছে। লেবুর শরবত থেকে ভাত সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া পছন্দ করে প্রায় সব বাঙ্গালী। লেবুর হালকা টক স্বাদযুক্ত হয় যার ফলে ভাত সাথে খেতে স্বাদ লাগে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসের জোগান দেয় লেবু। যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ত্বক জন্য কার্যকারি। 

লেবু খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি দেয় লেবু। লেবু নিয়মিত ভাত সাথে খেলে সর্দি, কাশি বুক জলা, আলসার মত নানা সমস্যা ভালো হয়।তাই নিয়মিত প্রতিদিন ভাত সাথে একটা পাতিলেবু খাওয়া ভালো। ক্যান্সার সৃষ্টি করা জীবাণু ধ্বংস করে লেবু।

•  যাদের মুখে গন্ধ বের হয় তারা লেবুর রস খেতে পারেন তাহলে মুখের দূর গন্ধ বের হবে না।
•  ঠান্ডা পানি সাথে লেবু মিশিয়ে খেলে ত্বক সুস্থ থাকে উজ্জীবিত হয়।
•  ঠান্ডা পানির সাথে লেবু খেলে শরীরে পানি স্বল্পতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
•  যাদের হার্ট সমস্যা আছে তাদের জন্য ভিটামিন-সি খুব সহজে পায় লেবু থেকে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কম হয়।
•  প্রতিদিন সকালে ঠান্ডা পানি সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়।

লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

•  কুসুম গরম পানি সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়।
•  কুসুম গরম পানি লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি ভালো থাকে।
•  কুসুম গরম পানি সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়।
•  হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে লেবুর সাথে গরম পানি।
•  মেধাশক্তি বৃদ্ধি করে এবং তারণ্য ধরে রাখতে পারে লেবুর সাথে গরম পানি মিশিয়ে খেলে।
•  লেবুর রস থাকা ভিটামিন-সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

•  পাতি লেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা কম হয়।
•  ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে পাতি লেবুর রস নিয়মিত খাওয়া।
•  পাতিলেবু রস খেলে কিডনি সুস্থ থাকে ও হজম শক্তি উন্নত হয়।
•  পাতি লেবু রস খেলে মেদ কমায়। পানির সাথে লেবুর রস হলে ওজন কম হয়।
•  যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য পাতিলেবুর রস খেলে পেট সমস্যা ভালো হয়।
•  পাতি লেবু রস খেলে মুখের ত্বক সুস্থ থাকে ও ব্রণ উঠা কম হয়।
•  যাদের হার্ট সমস্যা আছে তাদের জন্য পাতিলেবুর রস অনেক কার্যকারি।
•  রক্তের সমস্যা সমাধান করে পাতি লেবুর রস।

লেবুর রস ত্বকের জন্য অনেক উপকারি আবার অনেকের সমস্যা থাকলে তাদের জন্য অপকারি। ত্বকে লেবুর রস দিলে মুখের ব্রণ ভালো হয় এবং ব্রণ থেকে যে দাগ সৃষ্টি হয় সেই সকল দাগ দূর করে লেবুর রস। যাদের ত্বক ট্যান থাকে তা দূরে করতে সাহায্য করে লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান।

লেবুর রস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক সুস্থ থাকে কারণ ভিটামিন-সি রয়েছে লেবুর মধ্যে। লেবু মুখে দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় আছে। লেবু ত্বকে মাখার অপকারিতা মধ্যে যাদের ত্বক সেনসেটিভ তাদের জন্য লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড যা ত্বকে চুলকানি, শুষ্ক করা, পিগমেন্টশনের মত নানা সমস্যা সৃষ্টি করে।

যাদের ওজন বেশি মেদ কামতে চান তারা অবশ্যই আমাদের এই অর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। ওজন কামতে নিয়মিত পাতি লেবুর রস সাথে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে এক গ্লাস নিয়মিত প্রতিদিন খেতে হবে। মধু থাকলে সেটাও মিশিয়ে নিতে পারেন আরো দ্রুত কাজ করে। এই মিশ্রণ আপনার বিপাক ক্রিয়া হার বৃদ্ধি করে এবং সারাদিন যে খাবার খাওয়া হোক না কেন তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং ক্ষুধা কম হয়।খালি পেটে লেবু পানি মধু খেলে মেদ কম হয়। লেবুতে থাকা উপাদান শরীরে মেদ ঝরাতে সহায়তা করে।

লেবু থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি যা ত্বকের জন্য ভালো। ত্বকে সুস্থ রাখে সজীবতা ফিরিয়ে দেয়। ফর্সা হওয়ার জন্য লেবুর রস সাথে মধু ও উদ্ভিজ্জ তেল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। হাফ চামচ লেবুর রস ১ চামচ মধু ও ২ চামচ বাদাম গুড়া এক সাথে মিশিয়ে মুখে মাখিয়ে রাখলে তারপর ১৫ মিনিট হলে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। 

লেবুর রস সাথে হলুদ গুঁড়া, মধু, মধু, তেঁতুল সব উপাদান প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে মুখের ত্বকের জন্য। পিগমেন্টেশন কম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত সপ্তাহে ২/৩ বার এভাবে একটা পদ্ধতি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ফলাফল ভালো পাওয়া যাবে।

চুলের জন্য লেবুর রস অনেক উপকারিতা রয়েছে। লেবুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলে গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন-সি চুলকে বৃদ্ধি করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায়্য করে। চুলের ফলিকলগুলোকে উদ্দীপিত করে যা চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুলকে সিল্কি করে।

যাদের চুলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রান্ত হয়ে আছে তাদের জন্য লেবুর রস ভালো হলেও তাদের মাথা চুলকায় এবং জ্বালাপোড়া করে মাথার ত্বকে। চুলে ত্বক শক্ত হয়ে থাকলে চটা চটা হয়ে যায়।

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চায় পুরো আর্টিকেল পড়ে জানতে পারলেন ত্বকে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লেবু দিয়ে ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি এই পোস্ট আপনার অনেক উপকারে আসবে। এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায়। আমাদের পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন। নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।