বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি - সার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি

প্রিয় পাঠক আপনি কি বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি এবং সার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন কারণ এই মুহূর্তে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষের সাথেই ঘটে থাকে তাহলে বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে কিছু কথা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব আপনাদের।

তাই আপনি আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি ও সার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি সে সম্পর্কে। তাই আপনি যদি আপনার সাথে বেঈমান করা কোন মানুষকে ইসলামিক উক্তি দিতে চান তাহলে আপনাকে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে জেনে নিতে হবে বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি।

আমাদের জীবনে চলার পথে আমরা অনেক মানুষকে বিশ্বাস করি কাছে টেনে নিয়ে তাকে এতটাই বিশ্বাস করিযে হয়তো বা তাকে নিজের ভাই ও বোনের মত করে। একমাত্র নিজের রক্তের মানুষ ছাড়া এতটা বিশ্বাস করা অন্য মানুষকে যা কখনো সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা আবেগে পরে বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়।

তাই চলো আজকে জানি বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে এছাড়াও আপনাদের সাথে স্বার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি, মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি, ঠকানো নিয়ে ইসলামিক উক্তি, ও বেইমান মানুষ নিয়ে উক্তি এই সমস্ত বিষয়গুলো আপনাদের সাথে আজকে আলোকপাত করব। তাই কোথাও ঘোরাঘুরি না করে আমাদের সঙ্গে থাকুন করছি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মুখোশধারী মানুষ অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে থাকে।কারণ তারা ভালো সেজে কখন অন্য মানুষকে বিপদে ফেলে সেটা বোঝা বড় দায়। আপনাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ পাবেন যারা মুখোশ ধরে আপনার আড়ালে ক্ষতি করে যা আপনি বুঝতে পারবেন না। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব মুখোশধারী মানুষ নিয়ে যে সকল উক্তি আছে সেগুলো নিয়ে বলব।

• যারা মুখোশধারী হয় তারা আড়ালে আপনার ক্ষতি সাধন করবে আপনি বুঝতে পারবেন না।
• মুখোশধারী মানুষ সব সময় সুযোগ থাকে কিভাবে আশেপাশে মানুষকে বিপদে ফেলে নিজে       উদ্ধার হবে।
• মুখোশধারী মানুষরা সব সময় রুপ বদলায়। মুখোশধারী সব সময় দ্বৈত সত্তা নিয়ে চলাফেরা করে।
• একজন মুখোশধারী সব সময় নিজের স্থায়ী রুপে থাকেনা। এরা সব সময় এদের প্রকৃতি বদলাতে   থাকে তাই এদের স্থায়ী রুপ কেউ জানতে পারেনা।
• একটি মানুষের মাঝে দুটি সত্তা রয়েছে যারা মুখোশধারী তারা তাদের আসল সত্তা প্রকাশ করে না   সব সময় লোক দেখানো সত্তা নিয়ে চলাফেরা করে।
• আপনার সামনে থাকা মানুষ কিরুপে মুখোশধারী তা আপনি ভাবতে পারবেন না। নিজেকে রক্ষা  করার জন্য সব সময় প্রতিটি মানুষের কাছে থেকে নূন্যতম দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
• মুখোশধারী মানুষরা সব সময় ধোঁকা দেয় কারণ মুখোশের আড়ালে তাদের আসল উদ্দেশ্য  কখনো বোঝা যায় না।
• মুখোশধারী মানুষ যতই ভাল কাজে জন্য মুখোশ ধরুক না কেন তাকে সব সময় মুখোশ ছেড়ে সকলে সামনে আসতে হবে তবে ভালো কাজে বাহবা পাবে।
• মুখোশধারী মানুষ এমন বহুরুপি হয় যে সে নিজের মধ্যে একটা মিথ্যা আবরণ তৈরি করে যা সহজে অন্যে ধোঁকা দিতে পারে।

আমাদের আশেপাশে এমন বহু মানুষ রয়েছে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে। আপনারা হয়ত অনেকে আপন জন থেকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। বিশ্বাস এমন এক জিনিস যা করে ঘাতকতা করলে মন থেকে চীর জীবন জন্য বিশ্বাস হারিয়ে যায়। বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি জেনে আসি।

• যে ব্যাক্তি নিজের সর্তকতা অবলম্বন করে না সেই ব্যাক্তিকে তার দেহরক্ষী ও রক্ষা করতে পারে না। ( হযরত আলী রাঃ)
• বিশ্বাস তৈরি করতে কয়েক বছর সময় লাগলেও বিশ্বাসঘাতকতা করতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে।
• (ম্যাট মারিস)
• কাউকে বিশ্বাস করার মাধ্যমেই তাকে বিশ্বাসঘাতকতা করার সুযোগ করে দেওয়া তাই সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।
• যখন আপনি অন্য কোন সংশয় মধ্যে পড়ে, তখন আল্লাহ অধীনে কাজ করা ভালো। ( সহী বুখারী হাদিস নং৭৪৭৯)
• সঠিক আকিকা উপর করে চলো মিথ্যা থেকে দূরে থাকো। ( সহী বুখারী হাদিস নং ৪৮)

ইসলামে কখনো বিশ্বাসঘাতকতাকে পছন্দ করে না। এরুপ করা মানুষকে আল্লাহ তা' আলা কঠোর শাস্তি দিবেন। তাদের মাফ করবেন না যারা বিশ্বাস ঘাতকতা করে। এজন্য যারা বিশ্বাস ঘাতকতা করে তাদের দুনিয়া মানুষ পছন্দ করে না তাদের সাথে মিশতে চাই না। বিশ্বাস রক্ষা না করার তাদের বিপদে কেউ এগিয়ে আসেনা। তাদের দুনিয়া ও আখিরাত দুটো খারাপ হয়।

প্রতিটা মানুষ জীবনে চলার পথে কোন না কোন দিন একবার কেউ বহুবার করে ঠকেছে। যার ফলে তার জীবন হয়ে উঠে কষ্টদায়ক। জীবনে চলার পথে না রকম সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় এবং কঠিন দিন কাটিয়ে উঠতে হয়। 

আমাদের ইসলাম ধর্মে ঠকানো নিয়ে কঠোর নির্দেশ আছে। ঠকানো ফলে মানুষের জীবনে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই এর শাস্তি হয় ভয়াবহ। আখিরাত তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। চলুন জেনে আসি ঠকানো নিয়ে ইসলামিক উক্তি।

• একজন মানুষ প্রতারণা করে বিজয়ী হয়েছে মনে করে কিন্তু আসলে তিনি হেরে যায়।
• একবার যখন তুমি প্রতারণা করবে তুমি সব কিছু থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে ফেলবে।
• কাউকে ঠকিয়ে তার বিশ্বাস নষ্ট করা খুব ভয়াবহ শাস্তি পেতে হবে।
• মানুষের কষ্ট জিনিস ঠকিয়ে নিয়ে নিজেকে সফল মনে করলেও আখিরাত তার খারাপ।
• দূর্বলকে মেরে তাকে ঠকিয়ে ভুল না করা মনে করলেও দ্বীন ও দুনিয়া দুটো খারাপ করা হয়।
• একটা কাজ করতে গিয়ে শুধু কাজ করে যাবেন কিন্তু সেই কাজটি উপভোগ করবেন না তখন আপনি নিজেকে ঠকাচ্ছেন।
• কিছু চালাক মানুষ অন্যকে ঠকাতে গিয়ে নিজেই ঠকে যায়।
• পরিশ্রম না করে অন্যকে ঠকিয়ে সেটা নিয়ে নিজেকে বিজয়ী মনে করলেও আপনি হেরে গেছেন।
• যে আমাকে ধোঁকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
• যে কোন ধোঁকা বা ঠকিয়ে অর্জন করা সম্পদ ব্যবহার করা ইসলামে কোন কাজে যেমন নিয়ম নেই তেমনি সেই সম্পদ দিয়ে কোন ইসলামিক কাজ করা নিষিদ্ধ।

আমাদের আশেপাশের প্রায় অনেক মানুষই বেইমানি করে। তারা যে বেইমান আমরা জেনেও অনেক সময় তাদের থেকে দূরে হতে পারি না কারণ এতই আপনজনরা বেইমানি করে যা বলার বাইরে। আজকে আপনাদের সাথে বেইমান মানুষ নিয়ে আলোচনা করব। বেইমান মানুষ নিয়ে উক্তি।

• দুর্ভাগ্য তো আমারই তোমার মতো একজন বেঈমানের সাথে এতদিন ধরে চলতে হয়েছে।
• তোমার সাথে না থাকলে জানতেই পারতাম না বেইমান মানুষ কেমন হয়।
• কিছু কিছু মানুষ বেইমানি করে প্রচন্ড আনন্দ পায় কারণ তাদের মন মানসিকতায় বেইমানি হয়।
• বেইমানির প্রতিশোধ তো একমাত্র বেইমানি দিয়েই নিতে হয়।
• বেইমানের চেয়ে চরম অর্ধমের আর কিছু হতে পারে না।
• বেইমানদের ঠাঁই জাহান্নাম হবে না তাদের ছোয়ায় জাহান্নাম ও অপবিত্র হয়ে যাবে।
• মানুষ বড় স্বার্থপর আর বেইমানি এই স্বার্থের দুনিয়ায় আমার চাওয়ার কিছুই নেই।
• যদি বেইমানি করবে তবে ভালবেসে ছিলে কেন।
• একজন মানুষ বেইমানি করলেও সকলের উপর বিশ্বাস উঠে যায়।
• মানুষ বিশ্বাস অর্জন করতে হাজারো বছর লাগে কিন্তু বেইমানি করলে সেটি এক সেকেন্ডেই উঠে যায়।
• সততার পুরস্কার হয় জান্নাত আর বেইমানির পুরস্কার হয় জাহান্নাম।
• বেইমান কখনো অপরিচিত মানুষগুলো হয় না, খুব পরিচিত মানুষরাই বেইমানি করে।
• বেইমান মানুষগুলো কখনো কাউকে ভালবাসতে পারে না তারা শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুসারে প্রিয়জন বানায়।

আচ্ছা আপনাদের সাথে বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামে কি বলেছে সেই বিষয়ে আলোচনা করব। বেইমান স্বার্থপর ধোকাবাজ মানুষদের ইসলামে জায়গা দেয় না। তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে আখিরাতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি।

• বেইমান হওয়ার সাথে তুমি নিজেকে হারাতে শুরু করছো।
• সত্য বলো সত্যের পথে চলো সততা আপনাকে সুখী ও মঙ্গলময় করবে। (কোরআন, সূরা আল মায়িদা, আয়াত ১৯১)
• মুসলমানের লক্ষ্য হলো সততা এবং ন্যায় বিচারে থাকা, বেইমান থাকা নয়। (হাদিস)
• বেইমান লোকের মতো হতে চাইও না কারণ বেইমান কখনো সফল হয় না। (হাদিস)
• বেইমানি থেকে দূরে থাকো এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে চলো। (কোরআন, সূরা আল হাশর, আয়াত ১২)
• এমন ব্যক্তি যার কথা এবং আচরণ সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাস পায়, সেই মুসলিম নয় (হাদিস )
• বেইমান লোক হওয়ার সাথে মুসলমান লোক হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। (হাদিস )
• মুসলিম ব্যক্তির কথা ও আচরণও সত্য ও ন্যায়ের মান থাকতে হবে। ( হাদিস)
• মুসলিম হওয়ার সাথে সাথে তোমার বক্তব্য আচরণে প্রত্যাশিত সত্য এবং ন্যায় বিচারের অংশ থাকবে। (হাদিস)
• মুসলিমের চরিত্রে বেইমানি ব্যাপারটি সম্পূর্ণ অপ্রচলিত হয়ে যায়। (হাদিস )
• এমন মুসলিম যে নিজেকে এবং অন্যদের ভরসা বিচ্ছিন্ন কর, তার ঈমান সম্পূর্ণ নয়। (হাদিস )

আমাদের আশেপাশে অনেক স্বার্থপর মানুষ রয়েছে যারা শুধু নিজের স্বার্থের জন্য অন্যর ক্ষতিসাধন করে। যে মানুষটা সব সময় নিজের স্বার্থর কথা চিন্তা করে আশে পাশের মানুষের কথা চিন্তা করে না তাকেই আমরা স্বার্থপর হিসেবে গণ্য করি। চলুন জেনে নেয়া যাক স্বার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি।

• স্বার্থপর মানুষগুলো শুধু অন্তর ভাঙ্গে না সাথে কলিজাটাও পুড়িয়ে দিয়ে যায়।
• যতক্ষণ অন্তরে স্বার্থপরতা রয়েছে ততক্ষণ আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা অসম্ভব।
• স্বার্থপরতা আত্মাকে কুৎসিত করে দেয়।
• স্বার্থপরতা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অভিশাপ।
• অবিচল থাকুন হিংসা ও স্বার্থপরতা এড়িয়ে চলুন।
• স্বার্থপরতা হলো মানবজাতির জন্য সর্ব শ্রেষ্ঠ অভিশাপ।
• অবশেষে তারাই সফল যারা স্বার্থপর।
• স্বার্থপর মানুষ কখনো কারো আপন হতে পারে না।
• স্বার্থপর মানুষকে কেউ পছন্দ করে না কারণ স্বার্থ দিয়ে সে সব কাজ করে।
• পোড়া মনে দাগ লেগেছে কি দিয়া তারে মোছে বিরহ যন্ত্রণাতে এ মন লুকিয়ে কাদে।
• অর্থ আর স্বার্থ দুইটাই মানুষকে পশু বানিয়ে দেয়।
• সব আঘাতের প্রতিশোধ নিতে নেই কিছু আঘাতের বিচার সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিতে হয়।
• পৃথিবীতে মা ছাড়া সবাই স্বার্থপর।
• স্বার্থ দিয়ে বিবেচনা করতে নেই কারণ সবাই স্বার্থ দিয়ে কাজ করে না।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি বেইমান মানুষ নিয়ে ইসলামিক উক্তি এবং স্বার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি এ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন। এবং আশা করছি এই পোস্টের আরো বিশেষ কিছু টিপস যেমন বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি, মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি, ঠকানো নিয়ে ইসলামিক উক্তি, সহ বেইমান মানুষ নিয়ে উক্তি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

নিশ্চয়ই আর্টিকেল আপনার অনেক উপকারে আসবে। যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করুন। আপনি যদি এমন আর্টিকেল পড়তে ভালবাসেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন। আমরা প্রতিদিন নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।