পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় - ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে

প্রিয় পাঠক আপনি কি পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় এবং ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাই হয়তো আপনি অনেক ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করছেন কিন্তু পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না।তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় ক্লিক করছেন কেন আপনি এক্ষুনি জেনে নিতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায়।
পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায়
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করেন তাহলে আপনি পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় এবং ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে। এছাড়া আপনি ইলিশ মাছ কোন রোগ প্রতিরোধ করে, ইলিশ মাছের প্রকারভেদ, ইলিশ মাছের উপকারিতা, ও ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সহ আপনি, পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় জেনে নিতে পারবেন।
কনটেন্ট সূচিপত্র:পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় এবং ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে

উপস্থাপনা।কনটেন্ট সূচিপত্র:পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় এবং ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে

আপনারা হয়তো অনেকেই আছেন যে এখনো পদ্মার ইলিশ মাছ চেনেন না। পদ্মার ইলিশ খেতে আপনার খুব মন চাচ্ছে কিন্তু আপনি কিভাবে পদ্মা ইলিশ মাছ ক্রয় করবেন। সঠিক পদ্ধতি ইলিশ মাছ কিভাবে যাচাই করবেন তাই আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের জন্য। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনি শুধু পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় সম্পর্কেই নয় ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে,
এবং ইলিশ মাছ কোন রোগ প্রতিরোধ করে, ইলিশ মাছের প্রকারভেদ, ইলিশ মাছের উপকারিতা, ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য, এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ পড়তে হবে তাহলে আপনিও জেনে নিতে পারবেন পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে।

ইলিশ মাছ কোন রোগ প্রতিরোধ করে

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মাছটি সাধের সঙ্গে পুষ্টিগুনো ভরপুর রয়েছে। ইলিশ মাছ খেতে বাঙালিরা খুব বেশি পছন্দ করে । বর্ষার সময় সবচেয়ে বেশি খিচুড়ি ও ইলিশ খেয়ে থাকে বাঙালিরা। ইলিশ মাছের যে সকল রোগ প্রতিরোধ করে আজকে সেই নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব চলুন জেনে নেওয়া যাক ইলিশ মাছ কোন কোন রোগ প্রতিরোধ করে।

  • ইলিশ মাছের প্রচুর পরিমাণে থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে এটি হার্ট সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকারী একটি উপাদান। ইলিশ মাছের কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এতে সম্পৃক্ত চর্বি কম থাকে যার ফলে হার্ট ভালো রাখে।
  • ইলিশে ভিটামিন এ ডি এবং ই রয়েছে ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং ডি শিশুদের রিকেট রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এইজন্য শিশুদের জন্য ইলিশ মাছ প্রচুর পরিমাণে উপকারী।
  • ইলিশ মাছের রয়েছে আয়োডিন, সেলিনিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংক, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম এর মত একাধিক খনিজ উপাদান যা আমাদের শরীরের দাঁত এবং আহারের পুষ্টি যোগান দেয়।
  • ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে খনির উপাদান থাকার কারণে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখে ।
  • ইলিশ মাছ ফুসফুসের জন্য খুব ভালো। যারা নিয়মিত ইলিশ খায় তাদের ফুসফুস অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং হাঁপানির রোগ শিশুদের রোধ করে ইলিশ মাছ।
  • যাদের পেটের নানা রকমের সমস্যা যেমন আলসার কোলাইটিসের মতো রোগ থেকে বাঁচায় ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছের মধ্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যার ফলে পেটের সমস্যা কম হয় এবং এই মাছটি তেলমুক্ত মাছ থাকলে পেটের সমস্যা অনেক কম হয়।
  • ইলিশ মাছের ভিটামিন ই এবং ওমাগো থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা চোখে দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে পারে এবং ইলিশ মাছ খেলে যাদের চোখ সমস্যা দেখা দেয় এটিও দূর হতে পারে।
  • ইলিশ মাছের ইপিএ ও ডিএইচএ নামক ওমেগো থ্রি ফ্যাটি এসসিটি রয়েছে সেই কারণে ইলিশ মাছ খেলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
  • ইলিশ মাছ ত্বক ভালো রাতে সাহায্য করে কারণ এর মধ্যে প্রোটিন কোলাজিনের অন্যতম উপাদান রয়েছে যা আমাদের ত্বককে নমনীয় রাখতে পারে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
  • নিয়মিত ইলিশ মাছ খেলে অবসাদের মোকাবেলা করতে পারবেন নেক্সিজেনাল এফেক্টেড ডিসঅর্ডার পোস্ট ন্যাটাল রেশনের মত মানসিক সমস্যাগুলো কাটাতে পারি ইলিশ মাছ কারণ এর মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা অবসাদের জন্য কার্যকরী।

পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায়

আমরা অনেকেই পদ্মার ইলিশ মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি পদ্মার ইলিশ মাছ খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। বাজারে কিনতে গেলে অনেকেই বলে এটা পর্দা রিলিস আর না চেনার কারণে সেই মাছটা নিয়ে এসে আসল স্বাদ উপভোগ করতে পারা যায় না। তাই আপনাদের জন্য আজকে পদ্মারইলিশ মাছ চেনার উপায়গুলো নিয়ে হাজির হয়েছি চলুন আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন পদ্মা ইলিশ মাছ চেনার উপায়।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপকরা বলেন, কম চর্বিযুক্ত ইলিশ দেখে কিনতে হবে। এছাড়াও মা মাছের পেটটা একটু চওড়া হবে ও উজ্জ্বল হবে। এ ধরনের ইলিশ খেতে স্বাদ হয় তবে বাজারে এখন বড় বড় যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে এগুলো সবই সাগরের ইলিশ মাছ।
সমুদ্রের ইলিশ মাছের চোখের চারপাশ একটু কালচে লাল ধরনের হয় তাছাড়া মাছটা আকারে লম্বাটে এবং ইলিশের চিরচেনা রুপালি রং এর বদলে কিছুটা ফ্যাকাসে ধরনের হয়। নদীর মাছ কিছুটা মোটা ও চওড়া হয়, এছাড়া মাথা ও লেজ হয় তুলনামূলক ছোট।এই পার্থক্যগুলি দেখে আপনারা চিনে নিতে পারবেন নদীর মাছ এবং সমুদ্র ইলিশ মাছের তফাৎ। 

পরিমাণ থাকে বেশি নদীর জলজ উদ্ভিদ খাওয়ায় ইলিশ মাছের শরীরে এই ধরনের চর্বি হয়। বড় আকারের ইলিশের স্বাদ এ কারণে ভালো চাঁদপুরের ইলিশ ও জনপ্রিয় কারণ সমুদ্র থেকে এ এলাকায় আসার সময় নদীর জল উদ্ভিদ খাওয়ায় ও পানির ধরনের প্রভাব এই চর্বি তৈরি হয়।

ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে

ইলিশ মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি মাছ যার মধ্যে চর্বি পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকে তবে অন্যান্য ও উপাদান থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। বাঙালি ইলিশ প্রিয় আদি অকৃত্রিম চিরন্তন থেকেই যাবে। অন্যান্য মাছের তুলনায় ইলিশ একটু বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে। তাই হাই কোলেস্ট্রল এর রোগীরা ইলিশ মাছ খাওয়া এড়িয়ে চলুন খুব বেশি হলে মাসে ১০০ গ্রামের বেশি ইলিশ খাওয়া যাবে না।

কারণ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে আপনার নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন ইলিশ মাছের প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে যা হয় কোলেস্টেরলের রোগীর জন্য উপকারী নয়। ডায়াবেটিসের রোগীরাও ইলিশ খাবেন না রক্তে শর্করার মাত্রা তারা অনেক বেশি তাড়াতাড়ি করে বৃদ্ধি করে ফেলে ইলিশ মাছ।

বেশি ইলিশ খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, গায়ে গোটা বেড়ানো, নাক দিয়ে পানি পড়া,অবিরাম হাঁচি, পেটে বেথা লাগা, ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় সামুদ্রিক মাছের বেশি হিস্টামিন থাকায় এমন এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এজন্য যাদের কোলেস্টেরল বেশি রয়েছে তারা ইলিশ মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য

ইলিশ মাছের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে মাছের রাজা ইলিশের জন্য আজকে আপনাদের সাথে মজাদার ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব। ইলিশ মাছ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার সকলের জন্য এই ইলিশ মাছ রান্না করতে খুব কম তেলের প্রয়োজন হয় এবং ইলিশ মাছের প্রচুর পরিমাণে তেল থাকে। এটি ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি এসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, দস্তা, ভিটামিন সি ছাড়া আরো নানা রকমের পুষ্টি রয়েছে।

অন্যান্য মাছের মত ইলিশের ও পারদ রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তাই আপনাদের মাছ খাওয়ার সময় এটি মাথায় রাখতে হবে। যাদের কিডনি রোগ বা অন্য কোন জটিল সমস্যা রয়েছে তারা কমিউনিস্ট খাওয়া উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়া উচিত। ইলিশ মাছ বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় তবে আপনি কিভাবে রান্না করেন না করেন এর পুষ্টিগুণ কিভাবে বজায় থাকে এটা আপনাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
ইলিশ মাছ নিয়মিত সেবন করলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি হ্রাস পায় কারণ ইলিশ মাছের মধ্যে চর্বি শরীরের প্রদাহার বিরুদ্ধে লড়াই করে।গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী মায়ের কোন শারীরিক সমস্যা না হয় তাহলে ইলিশ খেতে পারে ইলিশের মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে যা ভ্রুনের মস্তিষ্ক এবং দৃষ্টিশক্তি বিকাশিত করতে পারে অন্যান্য সমুদ্রিক এবং তেলক্ত মাছও খাওয়া ভালো গর্ভ অবস্থায়। ইলিশ মাছ নিয়মিত সেবন করলে বয়সের সাথে ডিমেনশিয়াল হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। ইলিশ মাছের ওমেগা থ্রি ফাটিয়ে সিটি স্টকে ঝুকি কমায়।

ইলিশ মাছের প্রকারভেদ

বাংলাদেশে তিন প্রজাতির সাধারণ তে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ্মার ইলিশ যা ইলিশ নামে অধিক পরিচিত। এছাড়া চান্দিনা ইলিশ ও গুর্তা ইলিশ। এই তিন প্রজাতির মধ্যে একমাত্র পদ্ম ইলিশ বা পদ্মার ইলিশি নদীতে বেশি পাওয়া যায়। বিশেষ করে পদ্মা মেঘনা ও যমুনা নদীতে এই পদ্মার ইলিশ আসে।

এছাড়া অন্য প্রজাতির দুটি সম্পূর্ণরূপে সামুদ্রিক অর্থাৎ কখনোই নদীতে পাওয়া যায় না এগুলো সমুদ্র থেকে পাওয়া যায়। ইলিশ মাছ মূলত নীল সবুজ শৈবাল, ডায়াটম, ডেসমিড, কপিপোড, রটিফার ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এদের খাদ্য অভ্যাস বয়স ও ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত তাই এরা খাবারের পরিবর্তন করে থাকে। ইলিশ মাছ সাধারণত সমুদ্র মোহনা ও নদীতে পাওয়া যায় সমুদ্রে এরা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর ইত্যাদিতে থাকে।

যে সকল ইলিশ ছোট বা অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদেরকে জটকা বলা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী ইলিশ পদ্মা-যমুনা ও মেঘনা সহ কতগুলো বড় বড় নদীর উজানে গিয়ে স্রোত প্রবাহের ডিম ছাড়ে। ভাসমান ডিম থেকে রেনু বেরিয়ে এসব এলাকায় কিছুদিন থাকে এবং এখানেই খায় ও বড় হয়। এভাবে তাদের বংশবৃদ্ধি করে এবং জাটকা থেকে বড় ইলিশে পরিণত হয়।

মৎস্য আইনে জাটকা ধরার অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে জাটকা আহরণ করা হচ্ছে যা ইলিশ মাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অসাধু ব্যবসায়ী এবং জেলেরা এই জাটকা ধরে ইলিশ মাছের ক্ষতি করছে।
ইলিশ মাছের উপকারিতা বাঙ্গালীদের সবচেয়ে প্রিয় মাছ ইলিশ। পান্তা ভাতের সাথে বৈশাখ মাসে ইলিশ থাকলে তো কোন কথাই নেই।
এই ইলিশ মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুনেও অতুলনীয়। অনেকগুলো খাদ্য উপাদানের এক বিরাট উৎস হলো ইলিশ মাছ।১০০ গ্রাম ইলিশ মাছের আনুমানিক ৩১০ ক্যালোরি থেকে ২২ গ্রাম প্রোটিন ১৯. ৫ ৩.৩৯ গ্রাম শতকরা, ২.২ গ্রাম খনিজ ও ১৯. ৪ চর্বি থাকে। এছাড়াও ইলিশ মাছের তেলে থাকে পলিআনস্যাচুরেটেড ওমেগা ৩ ফাটি এসিড ইপিএ ডি এইচ এ যেগুলো হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস,আর্থাইটিসহ,আ্যারিথেমিয়া সব ব্রেন ডেভেলপমেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকরী বলে কিছু গবেষণা তথ্য থেকে জানা যায়।

ইলিশ মাছের উপকারিতা

ইলিশ মাছের অন্যান্য মাছের তুলনায় স্যাচুরেট চর্বির পরিমাণ কম থাকায় ওমেগা তিন ফ্যাটি ইপিএ ও ডি এইচ এ এসিড বেশি পরিমাণে থাকাই যার রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে দিয়ে দ্রুত ভালো চর্বি বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে হৃদপিণ্ড ভালো থাকবে।

বহু গবেষণা করে দেখা গেছে সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা।শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁপানি রোধ করতে পারে এই ইলিশ মাছ। আপনারা যারা নিয়মিত মাছ খান তাদের ফুসফুস অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। ইলিশ মাছের ভিটামিন ডি এর ভালো একটি উৎস রয়েছে ভিটামিন টি মানবদেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট এর কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের ৬০ ভাগই চর্বি ও ফ্যাট থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ওমেগা তিন ছাড়াও ইলিশ মাছের ভিটামিন বারো থাকে সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও স্মৃতি ভ্রমের ঝুঁকি কমায়। ইলিশ মাছ রান্না করা যায় অসংখ্য পদ্ধতিতে তবে ইলিশ মাছ রান্না করতে গেলে পরিমাণ খুব কম প্রয়োজন হয় কেননা ইলিশ মাছের মধ্যেই অনেক পরিমাণে তেল থাকে।

ইলিশ মাসে থাকা প্রাপ্ত মিনারেল ফসফরাস ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। সোডিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন দেহের গঠনে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশে রয়েছে ভিটামিন এ ডি ও ই। খুব কম খাবারের মধ্যে এই ভিটামিন ডি পাওয়া যায় ভিটামিন এ রাগ করার ও প্রতিরোধ করে ও ভিটামিন ডি শিশুদেএ রিকেট রোগ প্রতিরোধ করে।

সর্তকতা বাণী: আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের ইলিশ মাছ খেলে এলার্জির সমস্যা হয়। এমন ব্যক্তি যাদের ইলিশ মাছ খেলে এলার্জির সমস্যা হয় তাদের ইলিশ মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

উপসংহার: পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় - ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে

প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যেই আপনি পদ্মা ইলিশ মাছ চেনার উপায় এবং ইলিশ মাছের কি কোলেস্টেরল আছে সে সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে এসে আপনি জানতে পেরেছেন। এখন নিশ্চয়ই এই আর্টিকেলটি পদ্মার ইলিশ মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে আপনার ইলিশ মাছ ক্রয় করতে উপকারে আসবে।
তাই আমাদের আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করুন। এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের সঙ্গে আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য। আপনি যদি এমন আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে ভালোবাসেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন কেননা আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 

তাই আপনারা সকল অজানা তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। তা বন্ধুরা অনেক বকবক করলাম আজ এই পর্যন্তই আবারো কথা হবে অন্য কোন বিষয়ে সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url