জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে - শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

 

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে  গুগলে সার্চ করে খুঁজছেন এবং আপনি জানতে চান যে জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে এবং শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবারের মূল আলোচনার বিষয় জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে
আমরা অনেকে এই বিষয়ে জানি আবার অনেকে জানিনা তাই আপনি যদি আমার এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি ঘরে বসে শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে এবং জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে  জানুন খুব সহজে এই আর্টিকেল থেকে। বাসার শিশুদের নিজেরাই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে খুব সহজে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃশিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

ভুমিকাঃজ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে ।শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

একটা মায়ের যখন বাচ্চা জন্ম নেয় তখন সে মা তার মনে অনেক কিছু ভাবে। নানান ভাবনা মধ্যে প্রশ্ন জাগে তার মনে কিভাবে সে সব কিছু করবে। মেয়ে থেকে মা হওয়ার পর অনেক কিছু সেই মেয়ের জীবনে বদলে যায়। বাচ্চা হওয়ার পর মায়ের সকল চিন্তা তার সন্তানকে ঘিরে তৈরি হয়
বাচ্চা যখন অসুখ হয় তখন নতুন মায়ের মধ্যে শুরু হয়ে যায় নানা দুশ্চিন্তা। যখন শিশুর জ্বর হয় তখন জ্বর কমানো জন্য শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে মাকে এবং জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে  জানুন আমাদের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে খুব সহজে। 

শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটার দেয়া যায়

একটা বাচ্চা যখন অসুস্থ হয় তখন বাসা সবাই চিন্তায় পড়ে যায়। ছোট শিশু যখন অসুস্থ হয় সবার মনে দুশ্চিন্তা হয়। বাচ্চার বয়স অনুযায়ী সাপোজিটর দিতে হয়। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম জানা না থাকলে এই আর্টিকেল মাধ্যমে খুব সহজে জেনে যাবেন।বাচ্চা ছোট হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাপোজিটর দিতে হবে। ছোট শিশুদের সাপোজিটর না দিয়ে মুখে খাওয়ার মাধ্যমে ঔষধ সেবন করাতে হবে। বাচ্চাদের কত মাস থেকে কত বার সাপোজিটর দেওয়া যায় চলুন জেনে আসি।
  •  ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী বাচ্চাদের ১২৫ মি.গ্রা. মাত্রার প্যারাসিটামল সাপোজিটরি পায়ুপথে দিতে হয়।
  •  ২ বছর হতে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের ২৫০ মি.গ্রা. মাত্রার সাপোজিটরি দিতে হবে।
  •  ৬ বছর থেকে বেশি বড় শিশুদের ২৫০-৫০০ মি. গ্রা. মাত্রার সাপোজিটরি দিতে হবে। যারা এর থেকে বড় সবার জন্য ৫০০ মি. গ্রা সাপোজিটরি দিতে হয়।
  • সাপোজিটর দিনে ২ থেকে ৩ বার বেশি দেওয়া যাবেনা।

শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

  •  যেহেতু শিশুর জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার হবে তাই সেটা নিয়ম মত ব্যবহার করা উচিত। বড় সাইজের কোন সাপোজিটরি শিশুদের দেওয়া যাবেনা সব সময়ে ছোট সাইজের নির্বাচন করতে হবে।
  • সাপোজিটরি গুণাগুণ ও মান ভালো সেই সাপোজিটর বাছাই করে নিতে হবে। সাপোজিটরি প্লাস্টিক তৈরি করা গুলো ভালো।
  •  সাপোজিটরি শিশুকে দেওয়ার আগে একবার যাচাই করে নেওয়া উচিত। ভাঙ্গা থাকলে সেটা ব্যবহার করা যাবেনা।
  •  শিশুর ইচ্ছে বিরুদ্ধে জোর করে সাপোজিটরি দেওয়া যাবেনা। তাকে বুঝিয়ে ভুলিয়ে এটা ব্যবহার হবে।
  •  সাপোজিটরি ব্যবহার পর ভালোভাবে সেই জায়গা পরিষ্কার করতে হবে।
  • বাচ্চাদের সাপোজিটর ব্যবহার করার সময় প্রাকৃতিক রক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে।
  • যে কোন সাপোজিটরি ব্যবহার না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাপোজিটর দিতে হবে।

জ্বর কত হলে সাপোজিটর দিতে হবে

শিশুদের একটু অযত্ন বা অনিয়ম আবহাওয়া পরিবর্তন বা জায়গা পরিবর্তন নানা বিষয়ে সমস্যা হয়। শিশুদের খুব সহজে ভাইরাস, ব্যবকটেরিয়া সংক্রমিত হয়ে পড়ে কারণ তখন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেনি ভালোভাবে।
তাই ছোট বাচ্চাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা বেশি হয়। এসকল সমস্যা জন্য বাচ্চার মায়েরা অনেক দুশ্চিন্তা ভোগে। যখন জ্বর কম থাকে তখন বাচ্চাকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বড়দের আর ছোট শিশুদের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ দিতে হয়।
সিরাপ খেয়ে যদি অসুখ ভালো না হয় তবে সাপোজিটরি দিতে হবে। যে কোন ঔষধ সেবন আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। ডাক্তার সাধারণত বাচ্চাদের ১০০° উপরে জ্বর আসলে তাদের সাপোজিটরি দিতে বলে। বড়দের ১০২° হলে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হবে। এই সাপোজিটরি পায়ুপথে মাধ্যমে দিতে হয়।

শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি

শিশুদের জ্বর হলে প্রথমে কম পাওয়ার প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়াতে হবে। সিরাপ খেলে যদি জ্বর না কমে শিশুর তখন অবশ্যই ডাক্তার পরামর্শ নিতে হবে। তারপর ডাক্তার যদি বাচ্চাকে সাপোজিটরি দিতে বলে তাহলে সাপোজিটরি দিতে হবে। বাচ্চার জ্বর ১০২° হলে সাপোজিটরি দিতে হয়।সাপোজিটরি যেহেতু পায়ুপথে দিতে হয় তাই ওটা শিশুদের না দেওয়া ভালো।

শিশুদের ১২৫ মি. গ্রা নাপা সাপোজিটরি  দিতে হবে। বয়স অনুযায়ী সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হয়। শিশুদের জ্বর জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করা কিছু নিয়ম আছে মেনে নিয়ম মত করতে দিতে হবে। শিশুদের নাপা ১২৫ সাপোজিটরি ব্যবহার খুব সহজ।

সাপোজিটরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হয়

জ্বর হলে যে সাথে সাথে সাপোজিটরি দিতে হবে তা নয়। প্রতিটা ঔষধ সেবন করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সাপোজিটর থেকে ত্বকে এলার্জি সমস্যা হয়। আবার অনেকের বমি বমি ভাব হয়। অ্যানিমিয়া বা রক্তসল্পতা হতে পারে। পেট সমস্যা গ্যাস সমস্যা সৃষ্টি হয়।

শরীরে ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়। বেশি পাওয়ারফুল ঔষধ খেলে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। বাচ্চাদের গায়ে লাল র‍্যাশ হয়ে ফুলে যায়। বুকে আট শাট হয়ে থাকে মনে হয় ধম বন্ধ হয়ে আসে। আবার শ্বাস প্রশ্বাস সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এসকল নানা সমস্যা হয়ে থাকে।

পায়খানা নরম করার সাপোজিটরি।জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে 

পায়খানা সাপোজিটরি কখন ব্যবহার করতে হয় জানেন কি এবং কেন ব্যবহার করতে হয় না জানলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য তাই আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। সাপোজিটরি সাধারণত অনেক জ্বর বা ব্যথা কমাইতে ব্যবহার করা হয় কিন্ত যাদের পায়খানা কোষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পায়খানা দারের আশেপাশে রক্তনালি বেশি থাকে তাই সাপোজিটরি ব্যবহার করলে দ্রুত রক্তে মিশে পায়খানা নরম করতে জ্বর বা ব্যথা কমাতে সহয়তা করে।
জ্বর সাধারণত ১০২ ডিগ্রির বেশি না হলে সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত নয়।
  •  জ্বরের শুরুতে সাপোজিটরি ব্যবহার না করে জ্বরের ওষধ প্যারাসিটামল এমন জাতীয় ওষধ খাওয়াতে পারেন। যদি ১/২ ঘন্টার মধ্য জ্বর না কমে এবং জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রির উপরে উঠে যায় তাহলে আপনি সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন।
  •  দিনে তিনটি অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় তিনটির বেশি সাপোজিটরি ব্যবহার করা যাবে না ।
  • তাই জ্বর হলে বা পায়খানা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে নিজের ইচ্ছে মতো এন্টিবায়োটিক না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে আপনি পায়খানা নরম করার জন্য গ্লিসারিন সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষধ বা সাপোজিটরি ব্যবহার করবেন না।

নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার

নাপা ১২৫ মিঃগ্রাঃ সাপোজিটরি ব্যবহার করা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ এবং অনেক বেশি ব্যবহৃত অ্যানালজেসি এবং অ্যান্টিপাইরেটিক গুলোর মধ্য অন্যতম। এটি আমাদের মানবদেহের জন্য হাইপোথ্যালামি তাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরিতা রয়েছে। এটি মানবদেহের ব্যথা দূর করতে এন্টিপাইরেসিসের মাত্রা কমার মাধ্যমে শরীরে অ্যানালজেসিক ক্রিয়া গঠন করে। তবে মনে রাখবেন সব ওষধ এর কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকে।
প্যারাসিটামল কোন কোন রোগে ব্যবহার করতে পারবেন নিচে এক নজরে পড়ে নিন
  • জ্বর
  • মাথা ব্যথা
  • ঠান্ডা
  • জয়েন্টগুলোর ব্যথা
  • মাসিকের ব্যথা
  • দাঁতব্যাথা
  • মাঝে মাঝে ব্যথা
  • মাইগ্রেন ব্যথা
  • অস্ত্রোপচার ব্যথা
  • প্রদাহজনিত ব্যথা
  • শরীর ব্যথা

প্রাপ্ত বয়স্ক দের জন্য ট্যাবলেট

৫০০ মিলিঃগ্রাঃ একটি ট্যাবলেট করে - প্রতি ৪-৬ ঘন্টায় একবার
৫০০ মিলিঃগ্রাঃ দুটি করে ট্যাবলেট - প্রতি ৬ ঘন্টায় একবার
৬৬৫ মিলিঃগ্রাঃ দুটি ট্যাবলেট করে প্রতি ৬-৮ ঘন্টায় - বয়স অবশ্যই ১২ বছরের বেশি হতে হবে।

সিরাপ এবং সানপেশন

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪- ৮ চা চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
শিশুদের ৩মাস থেকে ১ বছর হলে ১/২ চা চামচ থেকে ১ চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
১-৫ বছর শিশুদের জন্য ১-২ চা চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
৬-১২ বছর শিশুদের জন্য ২ থেকে ৪ চা চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার

পেডিয়াট্রিক ড্রপ

০ থেকে ৩ মাস বয়সে-০.৫মিলি- প্রতিদিন ৩থেকে ৪ বার
৪ থেকে ১১ মাস বয়সে- ১.০মিলি- প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
১ থেকে ২ বছর বয়সে-১.৫ মিলি - প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।

প্যারাসিটামল শুধু মুখে এবং পায়খানা দ্বারে ব্যবহার করা হয়। নাপা ১২৫ মিঃগ্রাঃ অস্টিও আর্থারাইটিস এটি পেশী ব্যথা থেকে পিঠেব্যথা এবং খুব বেশি অতিরিক্ত ব্যথা দূর করে এবং জ্বর এর জন্য এটি একটি কার্যকারী ওষধ।
সতর্কতা যদি কারো লিভার বা কিডনি রোগ থাকে তাহলে নাপা ১২৫ মিঃগ্রাঃ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এবং গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপর সেবন করতে হবে। আর অবশ্যই ওষধ ঠান্ডা এবং সুল্ক স্থানে এবং ছোট শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।

নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার

নাপা জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথা, দাঁত ব্যথা, মাসিকের ব্যাথা, শরীরের ব্যথা, ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা, প্রসব পরবর্তী ব্যাথা মাইগ্রেন ব্যাথা, জয়েন্টগুলোর ব্যাথা সহ শিশুদের টিকা পরবর্তী ব্যথার কার্যকারী ওষধ। এটি শরীরে বাত জনিত রোগ এবং অস্টিওআর্থাইটিস ব্যথা দূর করার জন্য কার্যকারী।
  • জ্বর
  • মাথা ব্যথা
  • ঠান্ডা
  • জয়েন্টগুলোর ব্যথা
  • মাসিকের ব্যথা
  • দাঁতব্যাথা
  • মাঝে মাঝে ব্যথা
  • মাইগ্রেন ব্যথা
  • অস্ত্রোপচার ব্যথা
  • প্রদাহজনিত ব্যথা
  • শরীর ব্যথা
  • সেরিব্রাল ব্যথা
  • স্নায়বিক ব্যথা
  • ক্লান্তি

মাত্রা এবং সেবনবিধিঃ

ট্যাবলেট  প্রাপ্ত বয়স্কঃ যারা প্রাপ্ত বয়স্ক তাদের জন্য ১-২ টি ট্যাবলেট ৪- ৬ ঘন্টা পর দিনে মোট ৮টি ট্যাবলেট এর বেশি না খাওয়া উচিত।
শিশু ৬-১২বছরঃ অর্থেক থেকে ১টি দিনে ৩-৪ বার

সাপোজিটরি

  • ৩মাস থেকে ১ বছরের নিচে ৬০-১২০ মিঃগ্রাঃ দিনে ৩-৪বার।
  • ১-৫ বছর ১২৫-২৫০ মিঃ গ্রাঃ দিনে সর্বচ্চ ৪বার
  • ৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ২৫০-৫০০ মিঃগ্রাঃ দিনে ৪বার ।
  • প্রাপ্ত বয়স্ক ১২ বছরের বেশি বয়স ০.৫০-১ গ্রাম দিনে ৪বার

সিরাপ এবং সানপেনশন

  • প্রাপ্তবয়স্কঃ প্রতিদিন ৪-৮ চা চামচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার
  • শিশু ৩মাস থেকে ১ বছরঃ প্রতিদিন ১/২ বা ১ চা চামচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
  • ১-৫ বছর বয়সঃ প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার
  • ৬-১২ বছর বয়সঃ প্রতিদিন ২/৪ চা চামচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার।

পেডিয়াট্রিক ড্রপ

  • ০ থেকে ৩ মাস বয়সে-০.৫মিলি- প্রতিদিন ৩থেকে ৪ বার
  • ৪ থেকে ১১ মাস বয়সে- ১.০মিলি- প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
  • ১ থেকে ২ বছর বয়সে-১.৫ মিলি - প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।
শিশুদের ৭ থেকে ১১ বছর বয়স হলে ১/২ বা ১ ট্যাবলেট সেবন করতে পারবে। ২৪ ঘন্টার মধ্য বা সারাদিনে ৪টির বেশি ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। ৭ বছরের কম শিশুদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নাপা ২৫০মিলি গ্রাম সাপোজিটরি দাম ৫ টাকা।
সতর্কতা যদি কারো লিভার বা কিডনি রোগ থাকে তাহলে নাপা ২৫০ মিঃগ্রাঃ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এবং গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপর সেবন করতে হবে। আর অবশ্যই ওষধ ঠান্ডা এবং সুল্ক স্থানে এবং ছোট শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

জ্বর আমাদের শরীরের এমন একটি রোগ যা প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরে রোগ হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলো শরীরে উপকার করে বিভিন্ন রোগ বাহিত জীবাণু থেকে রক্ষা করে। তাহলে শিশুদের জ্বর হলে আমাদের কতটা সাবধান হওয়া উচিত আপনারা সকলে ইতেমধ্যে জানতে পেরেছেন। জ্বর এর কারণে আমাদের শরীরের ক্ষতিকর জীবাণুর মোকাবেলা করে।

এবং মানবদেহে গড়ে তোলে স্বাভাবিক প্রতিরোধ। জ্বর শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জীবাণুর ছড়াতে প্রতিরোধ করে। তাই যদি শিশুর কোন ভাবে ১০২ ডিগ্রির বেশি ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কম থাকে এবং শিশু যদি বেশি অসুস্থ না থাকে এবং শিশুর যদি আগে থেকে শরীরে রোগ থাকে যেমন জ্বর, খিচুনি, হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তাকে নিয়ম মাফিক সেবনের কথা বলা হয় না।
শিশুর বয়সে প্যারাসিটামল সিরাপ ১০-১৫ মি গ্রাম। শিশুদের যেকোন ওষধ মুখে খাওয়ার মাধ্যমে প্রয়োগ করা উচিত। একই ধরনের ওষধ যদি শিশু না খায় তাহলে আপনি অন্য ব্রান্ড ওষধ খাওয়াতে পারেন। যদি কোন ভাবে শিশুকে মুখে ওষধ খাওয়ানো না যায় বা এমন অনেক সময় শিশু অতিরিক্ত ভমি করে সেই কারণে আপনি সাপোজিটরি মলদ্বারে দিয়ে প্রয়োগ করতে পারন।

Ace 125 Suppository for baby শিশুর জন্য Ace 125 সাপোজিটরি

আপনারা ইতেমধ্য জানতে পেরেছেন নাপা ১২৫ সাপোজিটরি ব্যবহার করার নিয়ম এবং ২৫০ নাপা সাপোজিটরি কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সকল বিষয়ে আমরা সুন্দর ধারণা পেয়েছেন এবারে আপনারা Ace 125 Suppository for baby জন্য কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং তার সঠিক নিয়ম কি তা সুন্দর মতো আলোচনা করা হলো তাই আপনি মনোযোগ সকারে পড়তে থাকুন।

প্রাপ্ত বয়স্ক দের জন্য ট্যাবলেট

  • ৫০০ মিলিঃগ্রাঃ একটি ট্যাবলেট করে - প্রতি ৪-৬ ঘন্টায় একবার
  • ৫০০ মিলিঃগ্রাঃ দুটি করে ট্যাবলেট - প্রতি ৬ ঘন্টায় একবার
  • ৬৬৫ মিলিঃগ্রাঃ দুটি ট্যাবলেট করে প্রতি ৬-৮ ঘন্টায় - বয়স অবশ্যই ১২ বছরের বেশি হতে হবে।

সিরাপ এবং সানপেশন

  • প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪- ৮ চা চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
  • শিশুদের ৩মাস থেকে ১ বছর হলে ১/২ চা চামচ থেকে ১ চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
  • ১-৫ বছর শিশুদের জন্য ১-২ চা চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
  • ৬-১২ বছর শিশুদের জন্য ২ থেকে ৪ চা চামচ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার

পেডিয়াট্রিক ড্রপ

  • ০ থেকে ৩ মাস বয়সে-০.৫মিলি- প্রতিদিন ৩থেকে ৪ বার
  • ৪ থেকে ১১ মাস বয়সে- ১.০মিলি- প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার
  • ১ থেকে ২ বছর বয়সে-১.৫ মিলি - প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।
প্যারাসিটামল শুধু মুখে এবং পায়খানা দ্বারে ব্যবহার করা হয়। এইচ ১২৫ মিঃগ্রাঃ অস্টিও আর্থারাইটিস এটি পেশী ব্যথা থেকে পিঠেব্যথা এবং খুব বেশি অতিরিক্ত ব্যথা দূর করে এবং জ্বর এর জন্য এটি একটি কার্যকারী ওষধ। সতর্কতা যদি কারো লিভার বা কিডনি রোগ থাকে তাহলে এইচ ১২৫ মিঃগ্রাঃ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এবং গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপর সেবন করতে হবে। আর অবশ্যই ওষধ ঠান্ডা এবং সুল্ক স্থানে এবং ছোট শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।

লেখকের শেষ কথাঃ জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে।শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

আপনি নিশ্চয় আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারলেন কিভাবে শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম এবং জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে  এগুলো কিভাবে আপনার শিশুর জ্বর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুস্থ রাখবেন। আশা করছি আপনাদের এই পোস্ট ভালো লেগেছে তাই সত্যি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এতে করে সবাই জানতে পারবে শিশুদের জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার নিয়ম। এরকম আরো নতুন নতুন পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে রাখুন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url