কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনি কি কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানার জন্য আপনি গুগলে সার্চ করে অনেক ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করছেন কিন্তু কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত সে সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন।আপনি আর সময় নষ্ট না করে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন এবং জেনে নিন কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত।
কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত
আপনি যদি আমাদের এই পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন আশা করছি আপনিও কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আরো জানতে পারবেন কুয়েতে হোটেল ভিসা আবেদন কত তারপর কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত, ও কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত এবং বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয় সম্পর্কে। নিচে আর্টিকেলের টপিক সমূহ সূচিপত্র গুলো এক নজরে দেখে নিন।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃকুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

ভূমিকা: কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত এবং বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে

আপন মানুষদের ভালোবাসার কারণে আমরা তাদের সুখের জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়।বছরের পর বছর পরিবারের সাথে দেখা না করে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে।তাই আপনিও নিশ্চয়ই আপনার জীবিকা নির্ভর জন্য বিদেশে বা কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন।আপনি যদি কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এ বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমরা আপনাদের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর চেষ্টা করি সব সময়।তাই এবারে আমরা জানবো বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে,বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে,কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত, কুয়েতে হোটেল ভিসা বেতন কত সম্পর্কে।তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে এবারে মূল আলোচনার দিকে এগিয়ে যাওয়া যাক এবং নিচে জেনে নেওয়া যাক কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত নিয়ে।

কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত

আপনি যদি কুয়েত যেতে চান হোটেল ভিসা নিয়ে তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে জানতে হবে কুয়েতে হোটেল ভিসার বেতন কত। আপনি যে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করছেন সেই কোম্পানির মাধ্যমে আপনি আগে বেতন নিয়ে কথা বলে তারপরেই যাবেন। কোম্পানি ভিসা বাংলাদেশ থেকে কিভাবে আবেদন করবেন এবং বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক কুয়েতে কোম্পানির হোটেল ভিসার মাধ্যমে কুয়েত যায়।
কুয়েতে আপনি যদি লেবার বা শ্রমিকের কাজের জন্য যেয়ে থাকেন তাহলে আপনি ১০০ কুয়েতি দিনার বেতন পাবেন প্রতিমাসে। যা বাংলাদেশী ৩৫ হাজার টাকার মতো। আপনি যদি কুয়েতে হোটেল ভিসার মাধ্যমে যে থাকেন আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ১২০ দিনার কুয়েতি পাবেন।
যা বাংলাদেশী টাকার ৪২ হাজার টাকা কাছাকাছি হবে। কুয়েতে যদি আপনি শ্রমিক হিসেবে যে থাকেন তাহলে আপনি কুয়েতি ১০০ দিনার পেয়ে থাকবেন। কুয়েতের বাংলাদেশীরা প্রাইজে থাকে কারন তাদের নিয়ে থাকে দিন দিন চাহিদা বাড়তে আছে।

কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত

কুয়েতে বাংলাদেশ শ্রমিকরা প্রতিবছর যায়।কুয়েতে কাজের ধরন অনুযায়ী সেখানে তাদের টাকা নির্ধারণ করা হয় বা বেতন নির্ধারণ করা হয়। কুয়েতের শ্রমিক হেলপার ক্লিনার অদক্ষ যারা তাদের কুয়েতি ১০০ দিনার দেওয়া হয় প্রতি মাসে বেতন। যা বাংলাদেশী ৩৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। কসাই আধা দক্ষ ১১০ কুয়েতি দিনার তাদের দেওয়া হয়।

ডেলিভারি বয় আদ্যাপা দক্ষ 125 কুয়েতি দিনার দেওয়া হয় লন্ড্রি ম্যান ধোয়াই আধা দক্ষ ১০০ দিনার দেওয়া হয়। এছাড়া নিরাপত্তা প্রহরীদের ১১০ দিনার দেওয়া হয় এসি মেকানিক দক্ষ ১৩৫ দিনার দেওয়া হয়। যা বাংলাদেশী টাকার ৪৭ হাজার টাকার উপরে। দেখো মানুষ যদি কুয়েতে যায় তাহলে তাদের এ বেতন একটু বেশি দেওয়া হয়।
কুয়েতে আপনি কোন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে অনেক সময় বেতন দেওয়া হয়। এছাড়া হাউস বয়, রান্না, গৃহ পরিচালিকা, ওয়েল্ডার, দোকানদার, কার ওয়াশার, নিমার্ণ শ্রমিক ও প্লাম্বার এদের বেতন ১১০-১২০ দিনার কুয়েতি হয়ে থাকে।

কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত

কুয়েতি কোম্পানির ভিসা এর জন্য আবেদন করার আগে আপনার জানা উচিত খুব এটি কোম্পানির ভিসাটা আসলে কিভাবে করতে হয় এবং এই ভিসা টা কি জিনিস। কম খরচে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে তারা শ্রমিক নিয়ে থাকে বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করে থাকে।
প্রতিবছর কুয়েতের কোম্পানিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নিয়ে কুয়েতের কোম্পানিগুলো কাজ করার সুযোগ পাই এই একেই কুয়েত কোম্পানির ভিসা বলা হয়। কুয়েত কোম্পানির ভিসা নিয়ে আপনি যদি দক্ষ থাকেন তাহলে আপনি অনেক ভালো ভালো পজিশনেও কাজ করতে পারবেন।
আপনার দক্ষতা থাকলে কুয়েত কোম্পানির ভিসা নিয়ে আপনি ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ বা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতনেও কাজ করতে পারবেন। কুয়েতে ক্লিনার এর বেতন ১০০ কুয়েতি দিনার দেওয়া হয় প্রতি মাসে যা বাংলাদেশী টাকার ৩৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। টিনা রাজেহ হতো অদক্ষ হয় সেজন্য তাদের বেতন একটু কম হয়ে থাকে। শ্রমিক হেল্পার ক্লিনার এদের সকলের বেতনী ১২ কুয়েতি দিনার হয়।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে যারা কুয়েত যেতে চান তাদের অবশ্যই জেনে রাখতে হবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের বিমান ভাড়া কত।এজন্য অনেকে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে জানার জন্য অনুসন্ধান করেন।তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে নিয়ে নিয়ে এসেছি বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে। তাই আপনি কুড়িয়ে যাওয়ার আগে জেনে রাখুন বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ও বিমান ভাড়া কত।
  • কুয়েত এয়ারওয়েজ বিমান ভাড়া মূল্য সর্বনিম্ন ১,১৬,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২,৩৮,০০০ টাকা।
  • কাতার এয়ারওয়েজ বিমান ভাড়া মূল্য তালিকা সর্বনিম্ন ৬৫,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২,১০,০০০ টাকা।
  • তুর্কি এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়া সর্বনিম্ন মূল্য ১,২০,০০ টাকা থেকে ২,৩৮,০০০ টাকা
তাহলে আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে চান আশা করছি আপনারা বিমান ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে বুঝতে পারছেন।এখন নিশ্চয়ই এই পোস্টটি আপনার বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে খরচের তালিকায় নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

আপনি যদি কোম্পানি ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে চান তাহলে আপনার কাজের এক্সপেরিয়েন্স প্রয়োজন হবে।আপনার যে ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে আপনি সেই ধরনের কাজই করতে পারবেন। আপনি যদি কুয়েত কোম্পানির ভিসা নিয়ে কুয়েতে যান তাহলে আপনার প্রথম মাসের স্যালারি হবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
আর আপনার যদি ভালো কোন কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা বেশি থাকে তাহলে আপনি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বেতন পাবেন। এছাড়াও আপনি যদি কোন কোম্পানির কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য জান তাহলে বেতন হবে প্রথমে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো।নিচে আপনারা কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত কোন কাজে তা জেনে নিন।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে

আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের সবকিছু মধ্যে সেরা জনপ্রিয় সূচিপত্র হল বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত কত সময় ও কত কিলোমিটার তা আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানব।মধ্যপ্রাচীরের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র হল কুয়েত যার দক্ষিণে রয়েছে সৌদি আরব এবং উত্তরে রয়েছে ইরাক। কুয়েতে রাজধানীর নাম কুয়েত সিটি।
মধ্য প্রাচীরের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছে কুয়েত শহরে কাজের উদ্দেশ্যে।তাছাড়াও কুয়েতের টাকার মান অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। আর এভাবেই বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কুয়েত ছুটে যাচ্ছে প্রবাসী হয়ে জীবন যাপন করতে।তাই চলুন কুয়েত যাওয়ার আগে একবার জেনে নেই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যে যেতে দুই ধরনের বিমানের ফ্লাইট রয়েছে। ওয়ান স্টপ ফ্লাইট এবং ননস্টপ ফ্লাইট। ওয়ানস্টপ ফ্লাইটে যেতে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে 12 ঘন্টা 25 মিনিট সময় লাগে। আর আপনি যদি ননস্টপ ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত চান তাহলে আপনার সময় লাগবে 6 ঘন্টা 40 মিনিট। এবং বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ৪২৮৬ কিলোমিটার।আর আপনি যদি মাইলের হিসাব ধরেন তাহলে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ২৬৩৮ মাইল, আর নটিক্যাল মাইল হিসাব করলে ২২৯২ নটিক্যাল মাইল।

শেষ কথা: কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

নিশ্চয়ই আপনি এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের বেতন কত এবং কুইজ কোম্পানি ভিসা আবেদন সম্পর্কে।তাই আপনার যদি আমাদের এই পোস্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি সকলের সাথে শেয়ার করুন।আমাদের সাথে আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।আপনি যদি নিয়মিত আর্টিকেল করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url