আদার রসের উপকারিতা - আদা চাষের উপযুক্ত সময়
আদার কথা বলতে গেলেই মনে পড়ে যাই মামা এক কাপ চা দেন আদা দিয়ে, আমরা প্রত্যেকটি
মানুষ আদা বিভিন্ন খাবারের কাজে এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক কাজে ব্যবহার করে
থাকি।মানুষের প্রতিদিনের দৈনন্দিন চাহিদার সঙ্গে মিল রয়েছে আদা চায়ের
ভালোবাসা।তাই আপনি নিশ্চয়ই আদার রসের উপকারিতা এবং আদা চাষের উপযুক্ত সময়
সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন এবং জেনে নিন আদার
রসের উপকারিতা এবং আদা চাষের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে।
আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েন
তাহলে আপনিও খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন আদার রসের উপকারিতা এবং আদা চাষের
উপযুক্ত সময় সম্পর্কে।বর্তমান সময়ে বাজারে আধার চাহিদা অনেক বেশি এবং এর দাম
আগের থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক আদা চাষের উপযুক্ত
সময় ও আদার রসের উপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা এই আর্টিকেলে আরো জানবো আদা ও
লেবুর উপকারিতা, ওজন কমাতে আদার ব্যবহার, আদার ক্ষতিকর দিক, তাই এই বিশেষ চিপস
গুলো মিস করতে না চাইলে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃআদার রসের উপকারিতা - আদা চাষের উপযুক্ত সময়
উপস্থাপনা :আদার রসের উপকারিতা এবং আদা চাষের প্রযুক্ত সময়
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের আদরের দাম ও বৃদ্ধি পেতে কোন কমতি করেনি। তুলনামূলকভাবে
বাজারজাত এখন আদার অনেকটাই বেশি তাই বেড়েছে আগের থেকে চাষের ও চাহিদা।এতে করে
কৃষকরা আদা ফলনের জন্য উপযুক্ত সময়ে খুশি থাকেন।আপনি যদি উপযুক্ত সময়ের মধ্যে
আদা চাষ করতে পারেন তাহলে আপনি আধা থেকে ভালো উপকারিতা পাবেন।
আরো পড়ুনঃ তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
তাই আসছি আমরা এই আর্টিকেলে নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য আদা চাষের উপযুক্ত সময় এবং
আদার রসের উপকারিতা সম্পর্কে।এছাড়াও আপনাদের জন্য আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
রেখেছি সেগুলো হলো আদা খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে আদার ব্যবহার, আদাও লেবুর
উপকারিতা, আদার ক্ষতিকর দিক।তাই এমন টিপসগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং প্রতিটি লাইন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আদা চাষের উপযুক্ত সময়
আদা এমন একটি সবজি যা আমাদের প্রতিদিনের খাবারের কাজেও ব্যবহার করা হয় এবং এটি
মসলা জাতীয় একটি ফসল। আদা চাষের উপযুক্ত সময় কখনো হয়তো অনেকেই জানেন না চলুন
আজকে আপনাদের জানাবো আধা চাষের উপযুক্ত সময় কখন।
উন্নত জাত : বারি আদা -১ খরিফ মৌসুমে চাষ উপযোগী।
পুষ্টিগুণাগুণ: ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে এনার্জি -৮০ ক্যালরি,
কার্বোহাইড্রেট স-১৭ গ্রাম, ফ্যাট -০.৭৫ গ্রাম, ফসফরাস -৩৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম -
৪১৫ মিলিগ্রাম, আমিষ-২.৩%, শ্বেতসার ১২.৩%, আঁশ ২.৪%, খনিজ পদার্থ ১.২% এবং পানি
৮০.৮% থাকে। একি মসলা জাতীয় খাবার ছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহার
করা হয় যেমন সর্দি-কাশি, অর্থারাইটিস, মাইগ্রেন, ডায়রিয়া, গ্যাস, কনস্টি
সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাই -কোলেস্টেরল সমস্যার মত নানা রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে
আদা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
রোপনের সময় : বৈশাখ - জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল - মে) মাস আদার চারা রোপনের জন্য
সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসেবে ধরা হয়।
চাষ পদ্ধতি : আদা চাষ করার জন্য পানি নিষ্কাশন করা যায় এমন উঁচু জায়গা ও
মাঝারি উচু জায়গায় জমি নির্বাচন করতে হবে। আদা চাষ করার জন্য বেলে দো-আঁশ থেকে
দো- আঁশ মাটিতে ৪-৬ টি চাষ ও মই দিতে হবে। প্রথমে চার্জ গভীর হওয়ার দরকার নাই
লাইন থেকে লাইন ২০ ইঞ্চি এবং চারা থেকে চারা ১০ ইঞ্চি দূরে লাগানোর চেষ্টা করতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বীজের পরিমাণ : ৭.৫-৮ কেজি। ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম ওজনের ২.৫-৫ সেন্টিমিটার
দৈর্ঘ্যের দুটি চোখ বিশিষ্ট কন্দ খন্ড।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
এই শার্টগুলো গোবর এবং টিএসপি, জিপসাম, দস্তা এবং অর্ধেক এমওপি(পটাশ) সকল স্যার
শেষে চাষের সময় এগুলো প্রয়োগ করতে হবে।এরপর অর্ধেক ইউরিয়া ও বাকি পটাশের
অর্ধেক ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট ইউরিয়া ও পটাশ ৮০ দিন ও একশ দিন পর
সমান ২ ভাগে উপরে প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ: আদা লাগানোর পর বৃষ্টি হলে শীতের প্রয়োজন হয় না তবে বৃষ্টি না হলে
মাটিতে পানির অভাব হতে পারে তার জন্য শেষ দিতে হবে এবং ২-৩ ঘন্টা পর নালার
অতিরিক্ত পানিও বের করে দিতে হবে না হলে আদার খেতে পানি জমার কারণে সমস্যা সৃষ্টি
হতে পারে এইজন্য বৃষ্টির পরে পানি যেন জমতে না পারে বানিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা
রাখতে হবে। আশেপাশের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং শেষ দেয়ার পরে চারা গজানোর বিষ
থেকে ২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে এছাড়া ঘন ঘন পাতলা করে দিতে হবে।
আদা ও লেবুর উপকারিতা
আপনারা কি জানেন আধা ও লেবু একসাথে খেলে কি হয় এটার কি উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন
রকমের ঔষধি গুনাগুন রয়েছে আদা ও লেবুতে এই দুইটাই একসাথে মিশ্রণ করে খেলে অনেক
উপকারিতা পাওয়া যায়। জেনে আসি আদা ও লেবুর উপকারিতা।
- পেট ফোলা ভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে পারে আদা ও লেবুর একসাথে মিশ্রণ করে খাওয়া।
- রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
- শক্তিশালী করে তোলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- সর্দি এবং সাইনোসাইটিস এর মত সমস্যাগুলোর কার্যকরী হিসেবে কাজ করে আদাও লেবুর মিশ্রণ।
- বমি বমি ভাব দূর করতে অত্যন্ত কাজ করে আদা ও লেবুর রস।
- শীতে কাশি গলা ব্যথা এবং বুকে কফ জমে যায় তাদের জন্য আদার রস বা লেবুর পানি খাইলে অনেক রোগ নিরাময়ে কার্যকরী হিসেবে কাজ করে
- যে সকল গর্ভবতী মায়েদের দুধ কম আসে তারা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য নানা রকমের ওষুধ খায় কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতি মাধ্যমে লেবুর রসের মাধ্যমেও মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি হয়।
- রক্ত সঞ্চালন কে তারান্বিত করে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে।
- আদা ও লেবুর রস একসঙ্গে খেলে বিভাগের তারুণ্নিত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে এটি।
ওজন কমাতে আদার ব্যবহার
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ওজন কমাতে আদার ব্যবহার করা হয় এই আদা যদি নিয়মিত
আপনি খান তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ওজন কমতে
কার্যকরী হিসেবে কাজ করবে। আদার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ভাবে খনিজ উপাদান
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রয়োজনীয় যৌগমূল্যে ভরপুর যার কারণে এটি ওজন কমাতে এবং
পেটের মধ্যে তৈরি হয় চর্বি গলানোর জন্য প্রচুর কাজ করে।
তারা নিয়মিত আদা চা পান করে তাদের হজম শক্তি ও বৃদ্ধি পায় আদায় থাকা এন্টি
ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের অতিরিক্ত পানি জমতে দেয় না। আপনি যদি নিয়মিত আদার
রস খান তাহলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমতে সহযোগিতা করে। এই সমস্যা ভালো করতে
সহযোগিতা করে আদার রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে।কমানোর জন্য কিভাবে আদা খেতে হবে চলুন
জেনে নেওয়া যাক।
আদা চা : আপনি আপনি যদি নিয়মিত সকাল বিকাল আদা চা খাওয়ার অভ্যাস করেন
তাহলে আপনার ওজন অবশ্যই এক মাসের মধ্যে কমে যাবে এবং মেয়ের ছড়াতে এটি সবচেয়ে
বেশি কার্যকরী। যাদের ওজন বেশি তারা আদা চা খেতে পারেন।
লেবু -আদার পানি: যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
খাবারের মধ্যেই হচ্ছে লেবু অন্যতম। যাদের অন্তরে স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে এবং
পেটের মধ্যেকার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য নিয়মিত সকাল বিকাল লেবুর রস পান করা
উচিত এর সাথে যদি সামান্য পরিমাণে আদার রস যোগ করা হয় তাহলে শক্তিশালী মসলাদার
মিশ্রণ হবে যা আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে এবং পেটের সকল সমস্যা দূর করতে পারে।
আদার ক্যান্ডি: আটা মোটা টুকরা করে কেটে নিতে হবে এতে লেবুর রস গোল মরিচের
গুড়া আমচুর গুড়া এবং লবণ মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তাহলে আপনার তৈরি হয়ে
যাবে আদার কেন দিয়ে এইটা দিনে দুই থেকে তিনবার আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন
কমাতে সাহায্য করবে।
আদার ক্ষতিকর দিক
একটি উপকারী উপাদান যা আমাদের শরীরের নানা রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে।
এই আদারও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে
হবে। চলুন জেনে আসি আদার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
- আদা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে পারে এজন্য আদার খাবারকে দ্রুত বর্জ্যে পরিণত করে এবং তা একপর্যায়ে ডায়রিয়া পরিণত হয়।
- আদায় রয়েছে অ্যান্টি প্লাটিলেট উপাদান জাগ অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে ও রক্তপাত ঘটাতে পারে এই জন্য লবঙ্গ বা রসুনের সাথে অতিরিক্ত আদা খেলে আপনার রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।
- একজন গর্ভবতী নারী দৈনিক বেশি পরিমাণে আদা খেলে তার গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় তাই এই সমস্যাগুলো থেকে এড়াতে আ গর্ভাবস্থায় আদা না খাওয়াই ভালো।
- অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খাওয়ার ফলে গ্যাস ও পেট ফোলা অভাবে সৃষ্টি হয় এবং হজমের সমস্যা ও দেখা দেয়।
- আদাতে আছে শক্তিশালী উপাদান তবে এই আধা যদি খালি পেটে খাওয়া হয় তাহলে গ্যাসের সমস্যার সাথে পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- আদা খাওয়ার ফলে রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যার ফলে আদা খাওয়ার রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে হিসেবে ধরা হয়। অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের গতি সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আদার রসের উপকারিতা
আপনারা কি জানেন আদার রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না যে আদার রস এ
কি কি গুনাগুন রয়েছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে আদার রসের বহু গুণাগুণ রয়েছে যার
রোগ নিরাময় করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আদার রসের উপকারিতা
নিচে দেওয়া হল।
- আদার রস এমন সকল প্রতিরোধক রয়েছে যা আমাদের রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের রাখতে উপকারী আদার রস এটি লোয়ার ব্লাড সুগারের মাত্রা কে কম করে।
- বমি বমি ভাব হলে আদার রস খেলে বা আদার কুঁচি মুখে দিলে বমি বমি ভাব দূর হয়।
- যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের জন্য হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে নিয়মিত আদার রস খাওয়া উচিত এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- অনেকেরই পিরিয়ডের ব্যথা হয় সেই সময় যদি আদার রস বা আদার কুচি খাওয়া যায় তাহলে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে আদার রস।
- আদা রসের মধ্যে এমন উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এই জন্য নিয়মিত আদা খাওয়া উচিত।
আদার খাওয়ার নিয়ম
আপনি কি জানতে চান আদা খাওয়ার নিয়ম আদা খাওয়াতে হয় কি নিয়মে সেটা জানেনা যার
ফলে তারা আদা খাওয়ার ফলেও সেই পুষ্টিগুণ পায় না। আপনি যদি আদা খেতে চান তাহলে
সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে আদা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার রুটি আসবে এবং
পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। অনেকে আদা রত্ন করে মধু মিশিয়ে গরম পানির সাথে
ঘাইঘাটে বুকের কফ, সর্দি ও কাশি দূর করতে পারে। আদার রসের মধ্যে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে রোগ প্রতিরোধে কার্যকারি।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয়
আদার গুড়া মধু ও আমলকির গুড়া একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে তিনবার চার হিসেবে খেতে
পারেন। সকাল বিকাল আদার রসের সাথে চা বানিয়ে খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরে অন্যান্য রোগ তৈরি হতে পারবেনা। আদার রস নিয়মিত খেলে
আপনার ওজন কম হবে এবং এটি আপনি মেদ কমানোর জন্য খেতে পারেন। যারা ওজন কমাতে চান
তারা লেবুর রসের সাথে আদার রস মিশিয়ে পান করলে খুব দ্রুত ওজন কম হবে।
এছাড়াও আদার রস এ প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের অ্যাসিডিটি
দূর করে, ওজন কমাতে কাজ করে, মর্নিং সিকনেস দূর করে, ক্যান্সার রোগ থেকে দূরে
রাখে, ইনফেকশনের ভয় কমায়। প্রতিদিন সকালে আদার গুড়া বা আদা বাটা ব্যবহার করতে
পারেন যে কোন খাবারে আবার কাঁচা আঁধাও খেতে পারেন আপারা এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ
হয়।অনেক গর্ভবতী নারীদের প্রথম তিন মাস মর্নিং সিগনেস দেখা যায় এই সময় বমি বমি
ভাব ও দূর করতে পারে সামান্য পরিমাণ আদা চিবিয়ে খেলে।
আরো পড়ুনঃ কলার খোসার উপকারিতা - কলার ফেস প্যাক
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে আদর্শবান করতে হবে। যে কোন খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নাই এই
জন্য আদার রস অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না।
আমাদের শেষ বার্তা: আদার রসের উপকারিতা এবং আদা চাষের উপযুক্ত সময়।
আপনারা নিশ্চয়ই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে জানতে পেরেছেন আদার রসের উপকারিতা এবং
আদা চাষের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে।তাই এখন নিশ্চয়ই এই আর্টিকেল আপনার আদা চাষের
উপযুক্ত সময় জন্য আদা চাষ করতে আপনার অনেক উপকারে আসবে। ছাড়াও আপনি আদার রসের
উপকারিতা, ক্ষতিকর দিক, আদা ও লেবুর উপকারিতা, আদা খাওয়ার নিয়ম ও ওজন কমাতে
আদার ব্যবহার জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল গাছে সার প্রয়োগ
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার যদি
আমাদের এই পোস্ট ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার নিকটেস্ট মানুষদের সাথে শেয়ার
করুন। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজ এ পর্যন্তই যদি কোথাও কোন ভুল কথা বলে থাকি তাহলে
আমাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং ভুলটি কমেন্ট করে জানাবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url