বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম - বাচ্চারা মোচড়ায় কেন

আপনি কি বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম এবং বাচ্চারা মোচড়ায় কেন এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন তাহলে আপনিও এক্ষুনি জেনে নিতে পারবেন বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম ও বাচ্চারা মোচড়ায় কেন এ বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম
আপনি এক্ষুনি জানতে চলেছেন বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম এবং বাচ্চারা মোচড়ায় কেন এ বিষয় সম্পর্কে। তাই আপনাকে আমাদের আজকের এই আলোকপাত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর ঘোরাঘুরি না করে এখনই জেনে নেওয়া যাক।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃবাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম - বাচ্চারা মোচড়ায় কেন 

সূচনা : নবজাতকের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় এবং নবজাতকের হেঁচকি কেন হয়

আমাদের এই আর্টিকেলের অস্থির আলোচনার বিষয়টি আপনাদের সকলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর গেলে আপনাদের জন্য থাকছে নবজাতকের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় ও বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম বাচ্চাদের হেঁচকি কেন হয়, বাচ্চারা মোচড়ায় কেন, ও নবজাতকের দুই বমি সম্পর্কে। তাই নবজাতক থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলে খুব সুন্দরভাবে আপনাদের জন্য কিছু পরামর্শ ও টিপস রয়েছে।
যেগুলো ব্যবহার করে আপনি নবজাতকের হেচঁকি বন্ধ করার উপায়, বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম ও বাচ্চারা মোচড়ায় কেন এবং গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হেচঁকি তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে আপনিও খুব সহজে আপনার ঘরোয়া পরিবেশে বাচ্চাদের এ সমস্ত বিষয়গুলো থেকে মুক্তি রাখতে পাবেন।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হেঁচকি

গর্ভাবস্থায় অনেক সময় গর্ভবতী নারী পেটে হেঁচকি নিয়ে থাকে বাচ্চা। গর্ভবতী নারীর পেটে শিশুর বিকাশ হতে থাকে এই জন্য গর্ভবতী নারী শরীরে নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয় যখন সে গর্ব অবস্থায় থাকে। আপনার গর্ভাবস্থা শিশু বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন শিশু অবশ্যই বিকাশিত হয় এবং তার গতি বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী নারী নানা রকমের নতুন নতুন অনুভূতি অনুভব করে। এই অনুভূতিগুলো সব সময় আনন্দের হয়ে থাকে।

অনেক সময় পেটের মধ্যে খিচুনির মতো অনুভব করতে পারবেন সেগুলো তার পাছ ওরা ভেবে ভুল করবেন না এগুলো তার হেঁচকি। গর্ব অবস্থায় নাভির নিচে বাচ্চা যখন হেঁচকি নেয় তখন টিপ টিপ করে অনুভব হয়। গর্ব অবস্থায় এই ছোট ছোট আনন্দ গুলো অভিজ্ঞতা গুলোই আপনার আনন্দ বাড়িয়ে তুলবে এগুলোই শিশুর হেঁচকি যা আপনাকে জানান দিয়ে যাবে তার বেড়ে উঠা।
ব্রণের হেচকি ওঠার সঠিক কারণটি যে কি তা সঠিকভাবে ডাক্তার ও জানে না। গর্ভের মধ্যে সকল শিশুর হেঁচকি উঠে না তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশু-হেকি ওঠে। মেয়েটা বিশ্বাস করে যে ভ্রুনের হেঁচকি ওঠা শিশুর ফুসফুসের বিকাশের সাথে জড়িত তবে এটি কখনো প্রমাণ হয়নি। গর্ভাবস্থায় যদি আপনি গর্ভের মধ্যে শিশুর হেতকে অনুভব করেন সেটি আপনার কাছে কিছুটা চিন্তার হতে পারে তবে জরায়ুর মধ্যে যে সকল কারণে হেঁচকি উঠতে পারে সেগুলো চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।

নবজাতকের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় 

যখন একটি নবজাতক তার মায়ের গর্ভ থেকে পৃথিবীতে নতুন আলো দেখে তখন তার সবকিছুই নতুনভাবে শুরু হয়। গর্ভাবস্থায় সে তার মায়ের পেটের মধ্যে যেভাবে ছিল সে পৃথিবীর আলো দেখার পরও নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় নাই। সে যখন গর্ভাবস্থায়ী তার মায়ের পেটের মধ্যে হেঁচকি নিতো সেই ভাবেই সে পৃথিবীতে আসার পরও হেঁচকি নিয়ে থাকে।

একটি সদ্যনাথ শিশু সময়ে সময়ে ওঠা সেটা একটি সাধারণ ব্যাপার তবে যদি এটি খাবারের সময় উঠে বা শিশু এমন গর্ভেও হেঁচকি ওঠে তবে এটি লক্ষণীয় নয়। শিশুকে যদি বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় হেঁচকি উড়তে থাকে তাহলে সেই সময় খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে এবং তাকে হেঁচকি বন্ধ করার জন্য সময় দিতে হবে।

শিশুর ঢেকুর তোলা হলে এটি গলা থেকে খাবারকে নিচে ঠেলে দেয় এবং শিশুটি যেকোন রকম গ্যাস তৈরি থেকে মুক্তি পাই। এজন্য অবশ্যই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পরে ঢেকুর তোলার অভ্যাস করতে হবে। গ্রাইপ ওয়াটার হল এমন একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যা আপনার শিশুর হিস্ট্রি বন্ধ করতে খুবই সাহায্য করে।
শুধু মাত্র খাওয়ানোর কারণ হয় এমন কোন কিছু নয় এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুর মুখে একটি প্যাসিফায়ার লাগানো থাকলে তা আপনার শিশুর ডায়াফ্রাম কে শিথিল করতে এবং হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করবে। নবজাতক দুনিয়াতে আসার পর অবশ্যই তার যত্ন বেশি নিতে হবে কারণ সবকিছুই তার কাছে নতুন হবে।

বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম

যারা নতুন মা হয়ে থাকে তারা অনেক কিছুই জানে না। বাচ্চাদের অবশ্যই ঢেকুর তুলতে হবে এই জন্য বাচ্চাকে খাবারের পরে কিভাবে ঢেকুর তুলতে হয় এ বিষয়ে অনেক নতুন বাবা-মাই হয়তো জানে না। বাচ্চাকে যখন দুধ খাওয়ানো হয় তখন তার পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে যার ফলে শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে পেট ফোলা থাকতে পারে। ডাক্তার সবসময়ই বলে থাকেন বাচ্চাদের ঢেকুর তোলা অভ্যাস করতে হবে। বাচ্চাদেরকে ঢেকুর তোলার নিয়ম রয়েছে।

বাচ্চাকে যখন দুধ খাওয়ানো হবে মায়ের এরপরে শিশুকে কোলে নিয়ে ঘাড়ের এক সাইডে নিয়ে তাকে থাবা দিতে হবে পিঠের মাঝখানে। এভাবে করে কিছুক্ষণ ধরে থাকলে শিশুর ঢেকুর নিতে সুবিধা হয়। যেকোনো সদ্য জাত শিশু থেকে শুরু করে বুকের দুধ পান করা প্রতিটি শিশুকে ঢেকুর তোলার অভ্যাস করতে হবে। শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পরে অবশ্যই কাঁধে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরতে হবে তাহলেই শিশুর ঢেকুর উঠে যাবে।

যা নতুন মায়েরা অনেকেই জানে না এই জন্য শিশুকে ঢেকর তুলতে পারেনা এবং বাচ্চার পেটের মধ্যে নানা রকমের অস্বস্তি হতে থাকে। বাচ্চার ঢেকুর তোলার ফলে তার পেটের গ্যাস থেকে পেটের ব্যথা সব কিছুই ভালো হয়ে যায় এবং পেট হালকা থাকে। এতে শিশুর খিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং শিশু আবার খেতে চায়।

নবজাতকের হেঁচকি কেন হয়

অনেক অনভিজ্ঞ মায়েরাই হয়তো জানে না যে শিশুদের হেঁচকি উঠে থাকে। নবজাতক জন্মের পর যখন হেঁচকি নিতে থাকে তখন অনেক মায়েরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। হেঁচকি,সর্দি, কাশি নেওয়া এগুলো একটি স্বাভাবিক বিষয়। যদি কোন কারণে আমাদের বুক ও পেটের মধ্যবর্তী ঝিল্লির পর্দা বা মধ্যচ্ছদা (ডায়াফ্রাম) নামের বেশির আকস্মিক সংকোচন হলে হেঁচকি উঠে। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন নবজাতকের হিস্ট্রি কেন হচ্ছে।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে এটা থেমে যায়। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে এই হঠাৎ সংকোচন বা হেঁচকি ওঠার প্রধান কারণ হলো খাওয়ার সময় বেশি বাতাস পেটে ঢুকে যাওয়া। নবজাতকের মায়েরা অনেকেই জানে না যার ফলে তারা খাবার সময় পেটের মধ্যে বেশি বাতাস প্রবেশ করে যায় যার ফলে পেটে হেঁচকি ওঠা শুরু হয়।

নবজাতকরা বুকের দুধ খাওয়ার সময় এটা বেশি হয়ে থাকে এই কারণে নবজাতকের হেঁচকি হয়। এর মধ্যে বাতাস ঢুকে যাওয়ার ফলে শিশুর পেটে ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয় আবার শিশুরা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেও বাতাস ঢুকে যায়। অবস্থায় থাকতেও শিশুরা হেঁচকি তুলে থাকে মায়ের গর্ভে থেকেই এটি কোন চিন্তার বিষয় না এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা আবার থেমে যায়।

বাচ্চারা মোচড়ায় কেন

শিশুরা মোচরায় তার নানা রকমের কারণ থাকতে পারে। জন্মের পর যখন মায়ের বুকের দুধ খায় তখন নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীর মোচড়ানোর পিছে নানা রকমের কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো।
  • পেটের মধ্যে গ্যাসের সৃষ্টির কারণে ও বাচ্চারা মোচরাতে পারে।
  • শিশুর শরীরে জন্ডিসের থাকলে বাচ্চা মোচড়ায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বা পানি কম হওয়ার কারণে ও শিশুরা মোচড়াতে পারে।
  • শরীরে অস্বস্তিবোধ হলে বাচ্চারা বিরক্ত থাকলে শরীর ভালো না থাকলেও তারা মোচড়ায়।
নবজাতক যেহেতু প্রথমবার পৃথিবীতে আসার পর অনেক কিছুর সাথে নতুনভাবে পরিচয় হয় সেই জন্য তাদের শরীরে নানা রকমের পরিবর্তন হতে থাকে। ঘুমের সময়ের পরিবর্তন হয় খাবারের পরিবর্তন হয় নতুনভাবে মায়ের বুকের দুধ সে পান করা শুরু করে যার ফলে নানা রকমের পরিবর্তন হয় তার শরীরে। নবজাতকের মা যদি এমন কোন খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা দুধের মাধ্যমে শিশু পান করলে শিশুরা শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিবে। গ্যাসের সমস্যা পেটব্যথা নানা রকমের অসুবিধা হতে থাকবে মায়ের থেকে শিশু শরীরে। এই জন্য নবজাতকের মাকে যেকোনো খাবার খাওয়া থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

নবজাতকের দই বমি

নবজাতক জন্ম নেয়ার পর থেকে তার শুরু হয় মায়ের বুকের দুধ পান করা। যেহেতু নবজাতক জন্মের পর থেকে ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুটি পান করতে পারে। মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার সে খেতে পারে না এই জন্য শিশু যদি দই এর মত বমি করে সেটাও তার মায়ের বুকের দুধ। নবজাতকের পেটে যদি গ্যাসের সমস্যা বা পেটব্যথা পেট ফোলা এরূপ সমস্যা দেখা দেয় তখন তারা সবচেয়ে বেশি দই বমি করে থাকে।
কারণ পেটের মধ্যে যখন দুধ খাওয়ার সঙ্গে বাতাস প্রবেশ করে তার ফলে তার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। যা অনেক নতুন মাই জানতে পারেনা এবং শিশু তখন বমি করে ফেলে। অতিরিক্ত পরিমাণে বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলেও অনেক সময় শিশুর দই বমি করে থাকে। আবার অনেক সময় শিশু যদি অসুস্থ থাকে ঠান্ডা জনিত কোন সমস্যা থাকে যার ফলে সে গিলতে পারে না ঢেকুর তুলতে পারেনা তখনও শিশু দুই বমি করে ফেলে।

গলাতে কফ জমে থাকার কারণে কষ্ট হয় সেই দুটি উপরে উঠে আসে এবং বমি হয়ে যায়। নবজাতক জন্মের পর নানা রকমের নতুন জিনিসের সাথে পরিচিত হয় এই জন্য তার নানা রকমের সমস্যা হতে থাকে আস্তে আস্তে পরিবেশের সাথে মিশতে শুরু করে। নবজাতকের যেহেতু তার মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে পারে না সেজন্য তার মাকে যে কোন ঝাল খাবার বা গ্যাস জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু মায়ের থেকে দুধ খায় মায়ের খাওয়া সকল খাবারই শিশু দুধের মাধ্যমে পেয়ে থাকে এতে মায়ের সকল পুষ্টি এবং সকল সমস্যা ও শিশুর পেটে যায়।

শেষ বার্তা: বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম এবং নবজাতকের হেচঁকি বন্ধ করার উপায়

প্রিয় বন্ধুগণ আপনি নিশ্চয়ই আমাদের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন বাচ্চাদের ঢেকুর তোলার নিয়ম এবং নবজাতকের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সহ বাচ্চারা মোচড়ায় কেন, নবজাতকের হেচঁকি কেন হয় এবং বাচ্চাদের দুই বমি সম্পর্কে।এখন নিশ্চয়ই এই আর্টিকেল আপনার অনেক উপকারে আসবে। আপনার যদি আমাদের এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে এবং আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করুন।
কেননা তারা এই পোস্ট করে তাদের বাচ্চার এ সমস্ত বিষয়গুলো থেকে খুব সহজে মুক্তি রাখতে পারবে আপনি যদি নিয়মিত আর্টিকেল করতে ভালোবাসেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কেননা আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি তাই আর্টিকেলগুলো সবার আগে পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url