আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম এবং ছেলে সন্তান জন্ম নিয়ে স্ট্যাটাস ও প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার অনুভূতি কেমন তা হয়তো যারা প্রথম সন্তানের বাবা হয়েছে তারাই সে অনুভূতি উপলব্ধি করেছেন। তাই আপনিও যদি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম ও ছেলে সন্তানের জন্ম নিয়ে স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে বা জানাতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।

কেননা আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম এই অনুভূতি কেমন এবং ছেলে সন্তান জন্ম নিয়ে স্ট্যাটাস কিভাবে দিবেন ও আপনি প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার অনুভূতি কেমন তা বুঝতে পারছেন না। তার সবকিছু এই আর্টিকেল এর মধ্যে শেয়ার করা রয়েছে। তাই আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন এবং পোস্টটি পড়তে থাকুন।

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম এবং ছেলে সন্তান জন্ম নিয়ে স্ট্যাটাস।আমরা যখন কেউ কোন পুত্র সন্তান বা মেয়ে সন্তানের বাবা হই তখন মনের ভিতর অনুভূতিটা অন্যরকম কাজ করে। একজন বাবা হওয়ার পরেই সে বাবা হওয়ার অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারে আসছি আমরা আপনাদের বাবা হওয়ার আগে অগ্রিম কিছু বাবা হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে শেয়ার করব।

আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়েন তাহলে আপনি প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার অনুভূতি, প্রথম বাবা হওয়ার ইসলামিক স্ট্যাটাস,প্রথম বাবা হওয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাস, ছেলে সন্তান জন্ম নিয়ে স্ট্যাটাস, আলহামদুলিল্লাহ কন্যা সন্তানের বাবা হলাম , এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম সে অনুভূতি কেমন কাজ করে জানতে চান তাহলে আপনি আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এতদিন ভীষণ একা ছিলাম আমি প্রথম বাবা হলাম। আমার ঘরে এখন চাঁদের আলো রয়েছে সৃষ্টিকর্তা আমাকে এক রাজকন্যা উপহার দিয়েছে। তারপরে আমার হাতে হাত রেখে একটি মেয়ে আসার পর আমাকে কঠিন নিয়মের মধ্যে নিয়ে এলো। সেই থেকে শুরু হলো আমার পূর্ণাঙ্গ সংসার জীবন।

মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করি। আজ তিনি মুখ তুলে তাকালেন বলেই আমি কন্যা সন্তানের বাবা হলাম। তার রহমতের দরজা খুলে দিয়ে আমার স্ত্রীর গর্ভে নতুন এক সন্তান আসলো। ডাক্তার যখন আমাদের জানালেন আপনাদের ঘর আলোকিত করতে আপনাদের সন্তান আসছে ঠিক সেই সময় থেকে আমার মনের মধ্যে কেমন পরিবর্তন আসতে শুরু করলো।

চোখের সামনে ধীরে ধীরে আমার সন্তান আস্তে আস্তে স্ত্রীর গর্ভে বড় হচ্ছে তাকে নিয়ে আমাদের দুজনের কত পরিকল্পনা রয়েছে স্ত্রীর কষ্ট ছিল তুমি ছেলে চাও নাকি মেয়ে। কিন্তু আমার একটি কথা ছিল আল্লাহ ছেলেটি আর মেয়ে দিক।সেটা কোন বিষয় না তবে যেটাই হোক না কেন মহান রাব্বুল আল্লামিন যেন তাকে সুস্থ ভাবে এই পৃথিবীতে পাঠাই।

আমি এখন একটি সন্তানের জন্মদাতা পিতা কিন্তু একটি সন্তান পৃথিবীতে আসতে মায়ের ভূমিকা যে কি তা আমি আমার স্ত্রীকে নিজের চোখের সামনে দেখেছি। সন্তান গর্ভে আসার পর থেকে প্রথম তিন মাস সে সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করছে। আমি শুধু সেই সময় চেয়ে চেয়ে দেখেছি, কিছুই করার মত ক্ষমতা ছিল না আমার। 

কষ্টগুলো শুধু নিজের মধ্যে অনুভব করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমার আর কি ভাই করব তা বুঝে উঠতে পারিনি। তারপর যতটুকু সম্ভব পেরেছি বাচ্চার মায়ের যত্ন নেওয়া, বাচ্চার সঙ্গে খেলা করা, বাচ্চাকে আযান শোনানো, কোরআন তেলাওয়াত শোনানো, শুরু থেকে আমাদের চিন্তা ছিল একজন ভালো চিকিৎসক দিয়ে আমার স্ত্রীকে সঠিক সেবা প্রদান করা। সেজন্য ঢাকার দামি একটি মেডিকেলে চিকিৎসা চলছে।

সন্তান গর্ভে আসার পর কিছুটা মাস পর তাকে তার মায়ের বাসায় রেখে আসি কারণ এই সময়ে মায়ের পাশে থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তবে এ সময়ে স্ত্রী পাশে স্বামী থাকতে পারলে অনেক ভালো। কিন্তু আমাদের জীবনটা চলমান বিচিত্র তাই বাস্তবতায় দুজনকে দূরে রেখেছিল। এভাবে একটি পর একটি মাস পার হতে হতে সন্তানের জন্ম হওয়ার সময় চলে আসে।

প্রথমের দিকে আমরা চেয়েছিলাম যাতে নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান প্রসব করে কিন্তু বাচ্চার পজিশন ভালো না থাকায় তাকে সিজারে নিতে হয়। তাকে ভালো একটি ডাক্তারের কাছে সিজারে নেওয়ার পর আমার জন্য কেমন সময় কাটছে না মনে হচ্ছে আজকে ৩০-৪০ টা রোগীর একসাথে সিজার করা হচ্ছে। আমার মনের মধ্যে চিন্তা হলো আমার সন্তান কি আবার বদলে না দেয়। মনে হতে লাগলো এ যেন কোন সন্তান জন্ম দেওয়ার কারখানা।

কাপড় দিয়ে মোড়ানো ফুটফুটে সব সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছে, আর তখন আমার মনে হচ্ছে আমার সন্তান কখন আসবে, সবাই যেন আমার কিছুতেই পার হতে চাচ্ছিল না।কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট শিশুদের যখন আত্মীয়স্বজনের হাতে তুলে দিচ্ছিল আমার যেন আর ধৈর্য সইছিল না। অবশেষে আমি আমার সন্তানকে আমার কাছে পেলাম। ফুটফুটে শিশুকে এনে নাম ধরে ডাকতে সবাই ছুটে এলো। এবং তারা জানালো আমাদের একটি ফুটফুটে সুন্দর কন্যা।

সবার চোখে মুখে তখন আনন্দের বন্যা বইছে। মেয়েকে সবার আগে আমার কোলে দেওয়া হয় তারপর আমার কন্যাকে নিয়ে আজান দেওয়া হয়। সেই সময় যে আমার অনুভূতি কেমন কাজ করছিল তা আপনি বাবা না হওয়া পর্যন্ত হয়তো উপলব্ধি করতে পারবেন না। কারণ আমি একজন বাবা হয়েছি তাই আমি সেই প্রথম সন্তান হওয়ার অনুভূতি কেমন ছিল তা বুঝতে পেরেছি।

সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজারো শুকরিয়া ও দোয়া করি আমাদের ঘরে কন্যা সন্তান দিয়ে আলোকিত করার জন্য। আমার সন্তান হওয়ার জার্নিতে সৃষ্টিকর্তার পরে আমার আত্মীয়-স্বজন অফিসের সহকর্মী বন্ধু-বান্ধব পারাপ্রতি বেশি এবং চিকিৎসকদের সবার প্রতি আমার অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো।

প্রথম বাবা হওয়ার উক্তি স্ট্যাটাস সন্তানের প্রতি ইসলামের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুরআন ও হাদিসের আলোকে বর্ণিত আছে যে সন্তান লাভ করা আল্লাহর একটি দায়িত্ব কর্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের উপর সমস্ত লালন প্রসঙ্গে প্রতিনিধিত পিতার জন্য অনেক বড় দায়িত্বের একটি বিষয়। তাই ইসলাম সন্তান উন্নয়নের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নীতি মালা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিচে আমরা প্রথম বাবা হওয়ার ইসলামিক স্ট্যাটাস সম্পর্কে জেনে নিব।

সন্তানের শিক্ষা সুষম ইসলামী মানবতার দিকে করানো উচিত। কোরআন বলে আমাদের পাশে একটি কোরআন আছে যার সাহায্যে আমরা জ্ঞান পাই। (আল - ইস্রা ১৭:৮৯)

পবিত্র কুরআনের ইরশাদ রয়েছে যখন লোকমান তার ছেলেকে বলল সে ছিল তার কল্যাণকামী (সূরা লোকমান আয়াত ৩১)

প্রিয় পুত্র ক্ষুদ্র বস্তুটি যদি সরিষার দানা পরিমাণ হয়ে থাকে এবং তা যদি তাকে শিলা গর্ভে বা আকাশে কিংবা মাটির নিচে আল্লাহ তাআলা উপস্থিত করবেন আল্লাহর সূক্ষ্মদর্শী সম্যক অবগত (সূরা লোকমান আয়াত ১৬)

হে পুত্র তোমার উপর আসার বিপদ ধৈর্য ধারণ কর নিশ্চয়ই এগুলো দৃঢ় সংকল্পের কাজ(সূরা লোকমান আয়াত ১৭)

প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় একজন নারীর কাছে কতটা যে আনন্দদায়ক তা বলে বোঝানো যাবে না। প্রথমে একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন প্রথম প্রথম তার ভিতরে অনেক ভয় কাজ করে কিন্তু সেই ভয় গুলো আস্তে আস্তে কেটে যায় এবং দীর্ঘ নয় মাস, ১০ মাস গর্ভে ধারণ করে যখন সে সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে তখন বাবা মায়ের কাজ কাছে যে কতটা আনন্দদায়ক তা একমাত্র বাবা মা না হওয়া পর্যন্ত সে অনুভূতি কখনোই বোঝানো সম্ভব নয়।

আমরা প্রথম বাবা হওয়ার খুশিতে মেতে উঠি তখন হয়তো বুঝতেই পারি না কি করব না করব তাইতো সবার আগে সেই আনন্দের কথাটি জানানোর জন্য প্রথম বাবা হওয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাস না দিলে অনেক বড় কিছু মিস করবো এমনটাই মনে হয়। তাই আজকে আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানিয়ে দিব প্রথম বাবা হওয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পর্কে ।

• পৃথিবীতে একটি মেয়েকে তার বাবার চেয়ে কেউ বেশি ভালোবাসতে পারবে না।
• প্রথমবার বাবা বাবা হলে অবশ্যই সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানো উত্তম
• সন্তান ঠিকমতো ওষুধ খেয়েছি কিনা সেদিকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে
• সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর সময় অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কবিতা ছন্দ শোনাতে হবে।
• দিনের হোক বা রাতে হোক যখন সন্তান জেগে থাকবে তখন সন্তানের সাথে বাংলা ভাষায় শুদ্ধ করে তার সাথে কথা বলা শেখাতে হবে।
• দিতে আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা শিখিয়েছে সবকিছু ফিরিয়ে দেওয়ার গুরুত্ব কি অনেক শক্তিশালী করেছে এবং আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠা যাই।
• বাবা হওয়ার অর্থ হল আপনাকে ছেলের জন্য একদিন আদর্শ বাবা হতে হবে এমন একজন বাবা যা সে দেখতে পারে।
• আমি কখনোই ভেবেছিলাম না যে আমাকে একটা পরিবার তৈরি করতে হবে। এ বিষয়টি আমার সাথে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে স্বাভাবিক জিনিসটি অনুভব করছিল। কারো সাথে দেখা করার এবং একজন বাবা হওয়া একটি নিয়ামত।
• বাবা মায়ের মত আপন পৃথিবীতে আর কেউ দ্বিতীয় হয় না।
• একজন বাবার কাছে প্রত্যেক সন্তানই জন্য সমান অধিকার রয়েছে।
• প্রথম সন্তানকে নিয়ে প্রত্যেক বাবা মারি অনেক স্বপ্ন থাকে।

মানুষ বিবাহের পর যখন একটি সন্তানের বাবা হয় তখন সে মানুষটির চারিদিকে শুধু সন্তানরাই বসবাস করে। একজন নব দম্পতি বিবাহ করার পর নিজেদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কের যে মুহূর্তগুলো থাকে সেগুলো উপভোগ করে। ঠিক যখনই একজন যখন সন্তানের বাবা-মা হয় তখন নিজেদের সবকিছু দিয়ে সন্তানকে বড় করার চেষ্টা করা।

তখন সন্তান মানুষের জন্য বাবা মা নিজেদের সব শখ বিলীন করে সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হয়। একজন বাবা আমায় ভালো জানে যে একজন সন্তান মানুষ করতে কতটা কষ্ট উপলব্ধি করতে হয়। একটি সন্তান একজন বাবা মায়ের মানসিকভাবে সম্পন্ন পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাই একজন বাবার কাছে ছেলে সন্তান অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

বাবা মা যখন শেষ বয়সে আর আয় রোজগার করে খাওয়াতে পারবেনা তখনই সেই সন্তান যেন তার বাবা-মাকে বাকিটা জীবন ভালো রাখতে পারে। একজন বাবা মায়ের কাছে ছেলে সন্তান হোক বা মেয়ে সন্তান হোক দুজনেই সমান তাই আজকে আপনাদেরকে সাথে ছেলে সন্তান নিয়ে স্ট্যাটাস জানানোর চেষ্টা করব।

• অশিক্ষিত সন্তান থাকার চেয়ে নিঃসন্তান হওয়া ভালো। একজন কু সন্তান থাকার চেয়ে একজন পুত্র সন্তান না থাকাই ভালো সন্তানের জন্য বাবা মা সারা জীবন কষ্ট করল আর সেই সন্তানের কাছে তার বাবা মায়ের কোন দামই থাকলো না।
• একজন সন্তানের প্রতি একজন বাবা মায়ের অবদান কতটুকু তা কি আমরা কি উপলব্ধি করতে পারি? একজন বাবা তার সবটুকু দিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বৃষ্টিতে ভিজে আক্রান্ত রোধে পরিশ্রম করে নিজের সন্তানদের খুশির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
• বাবা মা হলো আমাদের সকলের চোখের মনি অসীম তোমার দান হে মেহেরবানী অসীম তোমার ত্যাগ। এই ত্রিভুবনে তোমার মত হবে না যে কারো মন। দুনিয়ার সব কিছু বদলাতে পারে কিন্তু বাবা-মায়ের ভালবাসা কখনো বদলায় না। তাইতো আল্লাহর পরে তোমার আসন।
• সন্তানরা আপনার জীবনকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে
• আপনার সন্তানের জীবনকে সহজ করে দেওয়া মানে তার চলার পথে আরো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা।
• আপনি আপনার সন্তানকে সবচেয়ে বড় যে উপহারটি দিতে পারেন সেটি হল দায়িত্ব শেকড় ও স্বাধীনতার ডানা।
• পৃথিবীর কোন বাবা-মা তার সন্তানকে কুৎসিত এবং অবহেলা করে না।
• সন্তানের মান উন্নয়ন করা মানবজাতির জন্য একটি প্রবল দায়িত্ব।
• সন্তান হলে সুখের মূল উৎস।যার তুলনা আর অন্য কোন কিছুর সাথে হয় না।
• একজন সন্তানের মাধ্যমে নিজের জীবনকে খারাপ পথে থেকে ভালো পথে নিয়ে আসা যায় একজন সন্ধান পারে তার বাবা মাকে দায়িত্ববোধ বোঝা থেকে রক্ষা করতে।
• সন্তানের জীবনের উন্নয়ন করতে হলে তাদের সমস্যায় এবং প্রশ্নগুলি আপনি কি শুনতে হবে। যা আপনার সন্তানের উন্নয়ন করতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা লাভ করবে।

ছেলে হোক বা মেয়ে হোক একজন বাবা মায়ের কাছে দুজনেই সমান। তাদের অধিকার ভালোবাসা সব কিছু সমান থাকে। অনেকেই চাই একজন ছেলে সন্তান আবার অনেকেই চাই একজন মেয়ে সন্তান মহান আল্লাহ তার ভাগ্যে কোন সন্তান লিখে রেখেছে তা সেই মালিক ভালো জানে। কিন্তু আপনারা কি জানেন  কন্যা সন্তানকে জান্নাত বলা হয়।

বাবা যদি তার কন্যা সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে ইসলামের পথে এবার আল্লাহর সকল দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে সেই মেয়েকে লালন পালন করতে পারেন তাহলে একদিন তার সেই মেয়ে আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।একজন কন্যা সন্তান তার বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসাটা অনেক বেশি থাকে বাবা মায়ের শেষ বয়সে একজন কন্যা সন্তান তার বাবা-মায়ের সকল দায়-দায়িত্ব দেখভাল করে। কন্যা সন্তানরা বাবা মাকে কখনো কষ্ট দিতে পারে না। তাই আপনাদের যাদের কন্যা সন্তান জন্ম নিবে আপনারা সবাই আলহামদুলিল্লাহ কন্যা সন্তানের বাবা হলাম বলবেন। একজন কন্যা সন্তানের বাবা হওয়া অনেক সৌভাগ্য ব্যাপার। 

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে দশ মাস দশ দিন গর্ভে থাকার পর আল্লাহর মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে হাজারো শুকরিয়া আদায় করি যেন আমার এই পুত্র সন্তানকে মহান রাব্বুল আলামিন সব সময় সুস্থ এবং ভালো রাখেন। মহান আল্লাহ আমাদের দুজনের জীবনের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন বলেই আজ আমি পুত্র সন্তানের বাবা হতে পারলাম।

আসলে প্রথমবার বাবা হওয়ার আনন্দটা যে কতটুকু শুধুমাত্র একজন বাবা সব একটি সেই উপলব্ধি টুকু করতে পেরেছে।এখনো যারা বাবা হয়নি আপনারা হয়তো সেই অনুভূতিটুকু এখনো বুঝতে পারবেন না কিন্তু আপনার যখন একজন ছেলে সন্তান হোক বা মেয়ে সন্তান হোক সেটা কোন ব্যাপার নয় মূল কথা হলো প্রথম সন্তান জন্ম হওয়ার যে অনুভূতি কাজ করে তা দাঁড়ি পাল্লায় ওজন করে ও মুখে বলে কখনো বোঝানো সম্ভব নয়।

সত্যিই আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম এমন সৌভাগ্য যেন সত্যিই অনেক ভাগ্যের বিষয়। হে আল্লাহ তুমি আমার সন্তানকে এবং আমার পরিবারকে সব সময় সুস্থ এবং হেফাজতে রকম। আমি যেন আমার সন্তানকে মহান রাব্বুল আলামিনের রাস্তায় একদিন প্রকৃত ঈমানদার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

আর আপনারা যারা প্রথম সন্তানের বাবা হবেন অবশ্যই আপনি আপনার সন্তানের মঙ্গলের জন্য আপনার ঘরে গর্ভবতী নারীকে সব সময় যত্ন এবং খেয়াল রাখুন। একজন নারী এক পা কবরে এক পা জমিনে রেখে অনেক কষ্ট সহ্য করে একটি সন্তান জন্ম দেয়। তাই হয়তো মহান আল্লাহ বাবা হওয়ার অনুভূতি এত মায়া মমতা জড়িয়ে দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম।

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে জানতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম এবং ছেলে সন্তান জন্ম নিয়ে স্ট্যাটাস সম্পর্কে। তাই আপনি এখন অল্প হলেও অনুভব করতে পারবেন। যে একজন বাবা হওয়ার আনন্দ কতটুকু। আশা করছি এই পোস্ট আপনার অনেক উপকারে আসবে। আমাদের পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন। আজ এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।