গুটকা খাওয়া কি হারাম - সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে
গুটকা খাওয়া কি হারাম এবং সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে তা হয়তো আমরা অনেকেই
জানিনা। তাই আপনি যদি সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে এবং গুটকা খাওয়া কে হারাম সে
সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলে স্বাগতম।
কেননা আমরা আজকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনাদের সাথে আলোকপাত করতে যাচ্ছি
নিচে গুটকা খাওয়া কি হারাম সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে গুটকা খাওয়া কি হারাম
এবং সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই চলুন আর কথা না
বাড়িয়ে গুটকা খাওয়া কি হারাম সে বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃগুটকা খাওয়া কি হারাম - সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে
মূল কথা:গুটকা খাওয়া কি হারাম এবং ধূমপান হারাম না হালাল
আমরা হয়তো অনেকেই কমবেশি জানি গুটকা খাওয়া হারাম নাকি হালাল এবং সিগারেট খেলে
কি নামাজ হবে সে সম্পর্কে। আমরা অনেকেই গুডকা এবং সিগারেট পান করে থাকি কিন্তু
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা সেগুলো হারাম নাকি হালাল তাই আজকে আপনাদেরকে গুডকা এবং
সিগারেট হারাম হারাম হালাল-হারামের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুনঃ
কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে
তাই আপনাকে জানতে হলে নিচের পোস্টগুলো যেমন ধূমপান হারাম না হালাল, সিগারেট
বিক্রি করা কি হারাম, সিগারেট খেলে কি হয়, সিগারেট খেলে কি রোগ হয়, এছাড়া
ধূমপান ছেড়ে দিলে কি হয় সে বিষয় বস্তুগুলো সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ পড়ে জেনে
নিতে হবে। তাই চলুন বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক গুটকা খাওয়া কি
হারাম সে সম্পর্কে।
ধুমপান হারাম না হালাল
ধূমপান করা একটি স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকারক বিষয়। ধূমপান থেকে মৃত্যু হতে পারে
বিষয়টা এমন হতে পারে যে নিজের হাতে মৃত্যুর দিকে নিজেকে টেনে নিয়ে যাওয়া। কারণ
বিশ্বে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে পঞ্চাশ লাখ মানুষ মারা যায় তবুও মানুষ ধূমপান
ছাড়তে রাজি নয়। ধূমপান যক্ষা ফুসফুসের ক্যান্সার সহ নানা রোগের অন্যতম কারণ এটি
স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
ধূমপান ত্বকের একদম বাহিরের দিকে ধমনী গুলোতে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয় ফলে
ত্বকের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছায় না। ইসলামের আইন অনুযায়ী ধূমপান করাকে
মাকরুহ বলে থাকে ( ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত:১১/৪০৬)। এছাড়াও সর্বজনীয় স্বীকৃতি
বিষয় যে ধূমপান কোন ভাল কাজ নয়। পবিত্র কোরআন শরীফে উল্লেখ রয়েছে, হে
ঈমানদারগণ! যে সমস্ত পাক-পবিত্র জিনিস আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দিয়েছি সেগুলো
খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।
আরো পড়ুনঃ মরা মাছ খাওয়া হালাল না হারাম
যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাকো। ( সুরা বাকারা, আয়াত :১৭২)। মহানবী সাল্লাল্লাহু
সাল্লাম বলেছেন, কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতি সাধন করবেন। (আবু দাউদ,
হাদিস : ৩৬৩৫)।এই সকল আয়া থেকেই বোঝা যায় যে সিগারেট খাওয়া একটি হারাম কাজ। যে
সকল খাবার খাওয়া আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন সেই সকল খাবার খেলে হারাম হবে।
এইজন্য সিগারেট খাওয়া হারাম। সিগারেট খাওয়া নিয়ে আলেমদের দীর্ঘ বক্তব্য রয়েছে
তবে সিগারেট খাওয়া মাকরুহ নয় এটি হারাম। মাকরুহ হচ্ছে যেটা অপছন্দনীয় আর হারাম
হচ্ছে যেটা নিষিদ্ধ। সিগারেট খাওয়া উপর থেকে নিষিদ্ধ এই জন্য এটি হারাম।
সিগারেট বিক্রি করা কি হারাম
অনেক মুদি দোকানদারের মনে এই প্রশ্ন জাগতে পারে যে সিগারেট বিক্রি করা কি হারাম।
কি করে অর্থ উপার্জন করছে এটিকে হালাল না হারাম। এই চিন্তায় তারা অনেকেই ভোগেন।
যেহেতু সিগারেটের একটি হারাম। কোরানে বলাই আছে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ যে কোন
নেশা জাতীয় খাবার খাওয়ায় নিষিদ্ধ।
তাহলে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারছেন সিগারেট বিক্রি করাও হারাম কারণ সিগারেট যখন
আপনি বিক্রি করবেন আপনার কাছ থেকে একজন হারাম জিনিস কিনে সেটি সেবন করবে তাহলে
আপনিও সেই পাপের ভাগীদার। সিগারেট বিক্রি করা হারাম এবং সিগারেট বিক্রি করা অর্থ
থেকে আপনারা যে কাজই করুন না কেন সেই কাজটিও হারাম হবে।
আরো পড়ুনঃ
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু জেনে নিন
বিড়ি সিগারেট -জর্দা- তামাক -হুক্কা -গুল সবই খাবীস (খারাপ জিনিস) ও হারাম।
সেহেতু এগুলো পান করা বিক্রি করা উৎপাদন করা ও তার কোন ক্ষেত্রে কোন প্রকাশ
সহযোগিতা করাও হারাম।এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থটিও হারাম। যে সকল খাবার খেলে
আপনাদের শরীরের ক্ষতি করবে এবং ইসলামে যে সকল খাবার খাওয়া থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে
সে সকল খাবার কে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তাছাড়া ধূমপানের কারণে মানুষের মুখে দুর্গন্ধযুক্ত থাকে। ফলে তা অনেকের কষ্টের
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামের আইন অনুযায়ী ধূমপান করাতে হারাম বলা হয়। আল্লাহ
তাআলা মুসলমান উম্মাদের বিড়ি সিগারেট জর্দা ইত্যাদি ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবসা বন্ধ
করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
গুটকা খাওয়া কি হারাম
জর্দা বানানো হয় তামাক পাতার মাধ্যমে আর তামাক পাতা কে নিষেধ দ্রব্য হিসেবে ধরা
হয় কারণ এই তামাক পাতা বা জর্দা খাওয়ার পরে নেশা জাতীয় হয়ে থাকে। গুটকা
খাওয়াও একটি হারাম কাজ কারণ এটিও একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য। গুটকা খাওয়ার ফলে
ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। গুটকা খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে এবং
শরীরের নানা রকমের ক্ষতিসাধন করে।
আর যে জিনিস শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা ভক্ষণ করা থেকে নিজেকে সবসময় বিরত রাখতে
হবে। গুড কার আরেক নাম হচ্ছে জর্দা । চরদা খাওয়া অবশ্যই হারাম যারা বেশি দিন ধরে
জর্দা খেয়ে থাকেন তারা অবশ্যই জানেন এটি একটি নেশার কাজ করে এবং এটি শরীরকে
অসুস্থ করে দেয় ধীরে ধীরে।
আপনি এমনি পান খেতে পারেন তবে পানির সাথে যদি জর্দা মিশিয়ে নিয়মিত খেতে থাকেন
তাহলে এটি আপনার জন্য হারাম কাজ হবে। জর্দা খাওয়ার ফলে মানুষের মাথা ঘুরে এবং
মাতালের মত হয়ে যায় যার ফলে এটাকে হারাম দ্রব্য হিসেবেই ধরা হয়।
আল্লাহ তাআলা আপনার জন্য যা হালাল করেছেন আপনি তা নিজের জন্য হারাম করেছেন কেন ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম,,, আমাদের যা করা নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তার
পরিবর্তন করতে চাই না (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং:১৩১৬, ইফাবা-৩০৪৯)
আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও পান করো আর দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে বেরিও
না। (সূরা বাকারা-৬০)
সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে
আমরা অনেকেই জানিনা যে ধূমপান খেলে কি নামাজ হবে অনেকেই মনে করে যে ধূমপান খেলে
নামাজ হয় না। এমন কোন কিছুই না ধূমপান করলে নামাজ হয় কিন্তু আপনার দোয়া চল্লিশ
দিন পর্যন্ত কবুল হবে না। নেশা জাতীয় যেকোন দ্রব্য ধূমপান গাঁজা-মদ খাওয়ার পরে
আপনার ৪০ দিনের দোয়া কবুল হবে না।
আপনি যদি আসলেই নামাজ পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধূমপান ছাড়তে হবে। আমরা
জানি যে পেঁয়াজের গন্ধ মুখ দিয়ে বের হলে নামাজ হয় না।তাহলে ধূমপান করলেও তো
মুখ দিয়ে বিশ্রী দুর্গন্ধ বের হয় এই দুর্গন্ধ নিয়েও নামাজ হবে না । এজন্য
আপনাকে ভালোভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে হবে তবেই আপনার নামাজটি কবুল হবে কিন্তু
আপনার মনের দোয়া কবুল হবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ধূমপান করা বা তার আদেশ অমান্য করা কোন ব্যক্তিকেই তিনি পছন্দ
করেন না। ধূমপান করা নিষিদ্ধ বা হারাম করলে আপনার জন্য ক্ষতি এবং ইসলামের
শরীয়তেও ধূমপান করা নিষিদ্ধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মত কেউ
যদি মদ পান করে তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ৪০ দিনের নামাজ কবুল করবেন না। আমি যদি
কেউ অজু করে ধূমপান করে তাহলে তার ওযু ভঙ্গ হবে না।
ধূমপান করলে নিজের শরীরের জন্য ক্ষতি ধূমপান থেকে ধীরে ধীরে শরীরের ফুসফুসে
ক্যান্সারও হতে পারে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও হতে পারে। এই জন্য ধূমপান করা থেকে বিরত
থাকাই উত্তম। ধূমপান করার ফলে জান -মালের ক্ষতি করা হয় যার ফলে এটি একটি গুনাহ।
ধুমপান করে যদিও নামাজ হবে তবে দুর্গন্ধ সহ মসজিদে প্রবেশ করা তো মাকরুহ।
সিগারেট খেলে কি হয়
আমরা অনেকেই জানিনা সিগারেট খেলে কি হয় অজান্তে আমরা সিগারেট খাই। আপনারা যদি
জানতে পারেন যে সিগারেট খেলে কতটা ক্ষতি হয় আমাদের শরীরে তাহলে অনেকেই সিগারেট
খাওয়া ছেড়ে দিবেন। সিগারেট খাওয়ার ফলে কোন উপকার হয় না বরং শরীরের ক্ষতি হয়
একপর্যায়ে মৃত্যু হতে পারে। চলুন জেনে আসি সিগারেট খেলে কি হয়।
- সিগারেট খাওয়ার ফলে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়।সবচেয়ে বেশি ফুসফুস কে ক্ষতিগ্রস্ত করে সিগারেট।
- সিগারেট খাওয়ার ফলে রক্ত জমাট বাধার প্রবণতা বেশি দেয় রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- সিগারেট খাওয়ার ফলে মানুষের দেহে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- একজন সুস্থ মানুষের স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে ৩০% পর্যন্ত সিগারেট সেবন করার কারণে।
- সিগারেট থেকে ফুসফুসের রোগ হতে পারে এরপরে ক্যান্সারের মতো ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
- মানুষের মৃত্যু হতে পারে যা সিগারেটের কারণে অনেকেরই মৃত্যু হয়ে থাকে।
বাড়িতে ধূমপান করলে বাড়ির সদস্যরা ও স্বাস্থ্যের যোগিতা পড়তে পারে । ফ্যান এসি
চালিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে এই বাতাস বিশুদ্ধ করা যায় না এমনকি বারান্দা কিংবা
পৃথক ঘরের ধুমপান করলেও অন্যরা ঝুঁকিমুক্ত থাকে না। সিগারেটের ধোঁয়া থাকে চার
হাজারের বেশি রাসায়নিক উপাদান যার অন্তত ২৫০ টি ক্ষতিকর। পরোক্ষ ধূমপান কেবল
স্বাস্থ্যগতই বিষয় নয় বরং এর সঙ্গে অন্যের স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায় এটি
নৈতিক এবং সামাজিক সমস্যা হিসেবেও ধরা পড়েছে।
সিগারেট খেলে কি কি রোগ হয়
ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষতিকর।ধূমপান করার ফলে হার্ট
অ্যাটাক স্ট্রো ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) ( এমফাইসিমা ও ক্রনিক
ব্রংকাইটিস সহ) ও ক্যান্সার বা ফুসফুসের ক্যান্সার , প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার,
ল্যারিংস ও মুখগহ্বরর ক্যান্সার এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। এছাড়াও তামাক সেবনের ফলে
উচ্চ রক্তপাত ও প্রান্তীয় রক্তনালীর রোগ ও হতে পারে। সিগারেট খাওয়ার ফলে প্রায়
পুরো বিশ্বে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় প্রতিবছর।
আরো পড়ুনঃ
এলোভেরার ক্ষতিকর দিক কি তা জানুন
তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড লিভার ও ফুসফুসে আক্রান্ত করে।এর প্রভাব নির্ভর করে একজন
ব্যক্তি দৈনিক কতটা ও কয় বছর ধরে ধূমপান করে তার ওপর। অল্প বয়স থেকে ধূমপান করে
থাকে তাহলে তার যদি কোন নানা রকমের সমস্যা দেখা দিবে শরীরে। গর্ভবতী নারীদের
তামাকের প্রভাব প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ছাড়াও গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের অনেক
ক্ষতি হয় যেমন অকালে শিশুর জন্ম হয় জন্মের সময় নবজাতকের ওজন আদর্শের ওজন
তুলনামূলক কম হয়।
ছোট শিশুদের ধূমপান করার ফলে অল্প বয়সেই তাদের নানা রোগে আক্রান্ত হয়। কিছু
কিছু দেশে তামাকের ব্যবহার ও বিক্রয় কমানোর জন্য নানা রকমের পদক্ষেপ নিয়েছে তবে
আমাদের দেশে সিগারেট ব্যবহারের জন্য কোন নিষিদ্ধ পদক্ষেপ নেই। তবে তামাক জাতীয়
গাঁজা মদ এসব পান করার জন্য ন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তামাকে নিকোটিন নামেন আরেকটি
উপাদান রয়েছে যা আসক্তির সৃষ্টির জন্য দায়ী ধূমপান করলে নিকোটিন শারীরিক ও
মানসিক নির্ভরশীলতাকে তৈরি করে এবং শরীরের মধ্যে নেশার প্রভাব পরে।
ধূমপান ছেড়ে দিলে কি হয়
অনেকেই অল্প বয়স থেকে ধূমপান করে থাকে তারা যখন বড় হয় হওয়ার পর যখন বুঝতে
পারে ধূমপান করা একটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তখন অনেকেরই সিদ্ধান্ত
পরিবর্তন করে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। ধূমপান করার ফলে শরীরের
স্বাস্থ্যের বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। স্বাস্থ্যের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে
তামাক সেবনের ফলে ক্যান্সার হতে পারে।
ক্যান্সার থেকে মৃত্যু হতে পারে অনেক মানুষের ধূমপান সেবন করার ফলে ফুসফুসের অনেক
ক্ষতি করে দেয় ধূমপান। এইজন্য ধূমপান ছেড়ে দিলে অনেক রকমের রোগ বালায়ের হাত
থেকে রক্ষা পাবে এবং সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবে। একটা স্বাস্থ্যকর এবং পরিপূর্ণ
সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য ধূমপান বা যেকোনো নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা থেকে
বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জুমার দিনের আসরের পরের আমল
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার কারণে সমাজের জন্য দেশের জন্য প্রতিটি মানুষের জন্য
কল্যাণময় ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।ধূমপান সেবন করা ছেড়ে দিলে তার
পরিবারের সমাজের প্রতিটা মানুষের জন্য ভালো। ধূমপান করার ফলে শরীরে নানা রকম
সমস্যা হয় এটা যে শুধু ধূমপান সেবনকারী জন্য সমস্যা এমনটা নয় ধূমপানের ধোঁয়া
ছড়িয়ে পড়ে সবার জন্য ক্ষতি সাধন করে।
দেশ জাতির কল্যাণ হবে এবং নিজেকে মৃত্যু দিকে থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে ধূমপান
ছেড়ে দিলে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় এই জন্য
ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শেষ কিছু কথা:গুটকা খাওয়া কি হারাম এবং সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে
আপনি নিশ্চয়ই গুটকা খাওয়া কি হারাম এবং সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে ও সিগারেট
বিক্রি করা কি হারাম সম্পর্কে এয়ার আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে জানতে
পেরেছেন। এছাড়াও আপনি ধূমপান হারাম না হালাল, ধূমপান ছেড়ে দিলে কি হয় এ
বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন। এখন নিশ্চয়ই গুড খায় এবং সিগারেট খেলে নামাজ
হবে কিনা সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি জেনে উপকৃত হতে পারলেন।
আরো পড়ুনঃ
এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন
যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকেতাহলে আপনি সকলের সাথে শেয়ার
করুন। পরিশেষে আপনাদের বলতে চাই এতক্ষণ সময় আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ আজকে এ পর্যন্তই আবারো কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে এ পর্যন্ত
সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url