জুমার দিনের আসরের পরের আমল - জুমার দিনের ১১ টি আমল

 

জুম্মার দিনের আমল কি কি? জুম্মার দিনের আসরের পরের আমল সহ জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা?তাই হয় তোবা আপনি জানার জন্য অনেক ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করছেন কিন্তু আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেলে জুমার দিনের আসরের পরের আমল সম্পর্কে জেনে নিন।
জুমার দিনের আসরের পরের আমল
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনিও জুমার দিনের আসরের পরের আমল এবং জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। সকল মুসলিমদের জেনে রাখা উচিত জুমার দিনের আসরের পরের আমল সম্পর্কে। তাইতো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি জুম্মার দিনের আমল কি কি সে ব্যাপারে তাই কোথাও না গিয়ে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃজুমার দিনের আসরের পরের আমল - জুমার দিনের ১১ টি আমল

সূচনা:জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল এবং জুমার দিনের আসরের পরের আমল

ইসলামের জুম্মাবার এটি মর্যাদা পূর্ণ দিন এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন দিবস সমূহের মধ্যে জুম্মার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহ তাআলার কাছে অধিক সম্মানিত (ইবনে মাজাহ ১০৮৪) তাইতো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কে এবং জুম্মার দিনের বিশেষ ৬ টি আমল জুমার দিনের আমল কি কি?
হাদিস অনুযায়ী জুম্মার দিনে আসার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ সময় মমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমরা কথা বলা হয়েছে হাদিসে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব জুম্মার দিনের আসরের পরের আমল, জুমার দিনের দোয়া কবুলের সময় এছাড়া জুমার দিনের ১১ টি আমল সম্পর্কে তাই আপনি যদি জুম্মার দিনের আমার গুলোর সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল

জুম্মার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ একটি নেয়ামত। দিনটি অসংখ্য আমলে ভরপুর জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল হলো নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে আগে আগে মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করা। তাছাড়া রয়েছে আরো অনেক আমল চার বছর জুড়ে ইবাদতের সাওয়াবের পাশাপাশি কারণ বটে জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল আছে সে আমল গুলো কি তা আমরা আজকে জেনে নেব।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দুনিয়াতে আমাদের আসার সময় সব জাতির পরে আর কেয়ামতের দিন আমরা সবার অগ্রবর্তী (অর্থাৎ সবার আগে আমাদের হিসাব নিকাশ হবে) অবশ্য আমাদের আগে ওদেরকে ইহুদি ও নাসারাকে আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে আমরা কিতাব পেয়েছি সবার পরে।

এই জুম্মার দিনে তাজিম তাদের উপরে ফরজ করা হয়েছিল।কিন্তু ওরা তাতে মদ ভেদ করে বসে।পক্ষান্তরে আল্লাহ আমাদের তাতে একমত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। তাই আজকে আমরা জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।তোমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল গুলো জেনে যাতে আমাদের জীবনের গুনাহ গুলো মাফ করে নিতে পারি যেন আমাদের সকলকে সে তৌফিক দান করেন।

  • জুম্মা ও সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মর্যাদা পূর্ণ একটি দিন এই দিনে নামাজী সর্বশ্রেষ্ঠ আমল আল্লাহ তা'আলা এই দিনে নামাজের ব্যাপারে এভাবে নির্দেশ দেন যে,
  • হে ঈমানদারগণ যখন জুম্মার দিন নামাজের জন্য আহবান করা হবে তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণ এর জন্য উপস্থিত হও এবং কয় বিক্রয় বর্জন করো এটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা উপলব্ধি করো (সূরা জুম্মা আয়াত:৯ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি জুম্মার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পড়ে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে যদি তার কাছে থাকে তারপর জুম্মার নামাজে আসে এবং অন্য মুসলিমদের গায়ের উপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায় নির্ধারিতভাবে নামাজ আদায় করে।
তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকি তাহলে তার এই আমল পর্ব পূর্ববর্তী জুম্মার দিন থেকে পরে জুম্মা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহ জন্য কাফফারা হবে (আবু দাউদ)
জুমার নামাজের জন্য আরো শ্রেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ আমল:
  • প্রথমে মিসওয়াক করা
  • জুমার নামাজের প্রস্তুতির জন্য ফরজ গোসলের মত উত্তম রূপে গোসল করা
  • জুমার নামাজের জন্য উত্তম পোশাক পড়া
  • সুগন্ধি ব্যবহার করা যদি থাকে
  • মনোযোগের সঙ্গে খুতবা ও সোনা।
  • দ্রুত মসজিদে যাওয়া
  • সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা
  • বেশি বেশি দরুদ পড়া
  • বেশি বেশি দোয়া করা
সুতরাং প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত আগে-আগে জুম্মার পড়ছে দ্বি গ্রহণ করা আযানের সঙ্গে সঙ্গে পায়ে হেঁটে মসজিদে আসা দিনটি ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করা আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুম্মার দিন নামাজ পড়া সহ আমল গুলো যথাযথভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন।আল্লাহতায়ালা জুম্মার দিনে কুরআন সুন্নাহর দিক দিয়ে সেগুলো মেনে চলার তৌফিক দান করুন আমিন।

জুমার দিনের আমল কি কি

জুম্মার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের একটি শ্রেষ্ঠ দিন এই দিনে মর্যাদা ও তাৎপরতা অনেক বেশি ফজইলত কারণে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয় জুম্মার দিনকে জুম্মার দিনে ফজিলত সম্পর্কে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন জুম্মার যিনি সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত (ইবনে মাজাহ হাদীস ১০৮৪)

তোমার দিনের বিশেষ কিছু আমল ও সনদ রয়েছে বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত আছে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো ধারাবি ভাবে আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরা হলো:

আগে আগে জুম্মায় যাওয়ার ফজিলত

জুমার দিনে আগেভাগে মসজিদে যাওয়া অনেক ফজিলত এবং গুরুত্বপূর্ণ আমল। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন হে মুমিনগণ জুম্মার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরনে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ(সূরা জুমা আয়াত ০৯)
এক হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন জুম্মার দিন মসজিদে দরজায় ফেরেশতারাও অবস্থান করেন এবং এরা ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন সবার আগে আসে জুম্মার দিন ওই ব্যক্তির মত যে একটি মোটা তাজা ভোট কোরবানি করে। এরপর যে ব্যক্তি আসে সে ওই ব্যক্তি যে একটি গাভী কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি দানকারী নাই।তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন।(বুখারী হাদিস ৯২৯ )

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা জুম্মার দিনে ফজিলতপূর্ণ আরেক গুরুত্বপূর্ণ আমল।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন দিন সমূহের মধ্যে জুম্মার দিনই সর্বোত্তম।এই দিনে আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সৃষ্টি করা হয়েছে এই দিনে তিনি ইন্তিকাল করেছেন এই দিনে সিঙ্গায় ফু দেওয়া হবে।এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে অতএব তোমরা এই দিনে আমার উপর অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ কর কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে।(আবু দাউদ হাদিস ১০৪৭)

বেশি বেশি দোয়া করা

দোয়া কবরে তোমার দিন হল জুম্মার দিন।দোয়া কবুলের বিশেষ একটি মুহূর্ত রয়েছে জুম্মার দিন সূর্যোদয় হওয়ার পর দুনিয়ার মানুষ এবং জিন ব্যতীত প্রত্যেক প্রাণী কিয়ামতের ভয়ে আতঙ্কিত থাকে।তাই জুম্মার দিন এমন একটি বরকতময় সময় আছে যাদের মুসলিম বান্দা নামাজ রত অবস্থায় আল্লাহর কাছে যা প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করবেন হাদিসে এসেছে।

জুম্মার দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে যে তখন কোন মুসলমান আল্লাহর কাছে যে দোয়া করবে আল্লাহ তা'আলা তা কবুল করেন। (আবু দাউদ)

সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা

জুমার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জুম্মার দিন সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত মর্যাদা পণ্য এই দিনের বিশেষ একটি আমল সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা।হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি জুম্মার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুম্মা পর্যন্ত নুর উজ্জ্বল করা হবে।

কেউ যদি পুরো সূরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন সুরাটের প্রথমও শেষ দশ আয়াত তেলাওয়াত করে শেষ দশ আয়াত তেলাওয়াত পাঠ করা প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে।

যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহা পড়বে তার জুমার পর মধ্যবর্তী সময় তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে।যে ব্যক্তি সূরা কাহফ এর শেষ দশ আয়াত পাঠ করবে এরপর দাজ্জাল বের হলে তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।যে ব্যক্তি ওযুর পরেই দোয়া পড়বে তার নাম একটি চিঠিতে লেখা হবে এরপর তাদের সিল দেওয়া হবে যা কিয়ামত পর্যন্ত আর ভাঙ্গা হবে না (তারগিব মুসতাদরাকে হাকেম)।

জুমার দিনের আসরের পরের আমল

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু এরশাদ করেন যে ব্যক্তি জুম্মার দিন আসরের নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় (আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যিল উম্নিয়্যি ওয়ালা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।) আসি বাড়ি দুরুদ শরীফ পাঠ করবে তার আশি বছরের গুনাহ মাফ এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে(আবদালুস সালাওয়াত:২৬)

সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুম্মার দিন সর্বোত্তম।এই দিনে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে (মুসলিম ৮৫৪)
জুম্মা হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী জুম্মার দিনে আসরের সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ সময় মুমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমলের কথা এসেছে হাদিসে আমরা গুলার মধ্যে রয়েছে দোয়া জিকির ইস্তেগফার ইত্যাদি। এছাড়াও আরেকটি আমলের কথা বর্ণিত আছে সেটি হল বিশেষ নিয়মের দুরুদ পাঠ করা। 

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত জুম্মার দিন হাদিস নির্দেশিত সময় দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় চাহিদা গুলো আল্লাহর কাছে তুলে ধরা। আল্লাহর কাছে রোনাজারি করে নিজেদের চাহিদার জন্য বেশি বেশি প্রার্থনা এবং আমল করা।

জুমার দিনের ১১ টি আমল

মহান আল্লাহতায়ালা মুসলিম সমাজে জুমার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে মুসলিম সমাজে জুমার দিনকে পৃথিবীর অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ দিবস হিসেবে বিশেষ মর্যাদায় ঘোষিত করেন। সালাতুল জুমা ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ।জুমু আহা শব্দটি আরবি এবং এর অর্থ হলো একত্রিত হওয়া।

কাতারবদ্ধ হওয়া সম্মিলিত হওয়া যেহেতু সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবার প্রাপ্তবয়স্ক মমিন মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একত্রিত হয়ে জামাতের সাথে সেদিন জোহরের নামাজের পরবর্তী এই নামাজের ফরজ রুপে আদায় করে।তার জন্য মূলত এই নামাজকে জুম্মার বলা হয়। 

সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মদিনায় যাওয়ার পর একবার মদিনার আনসার সাহাবীরা আলোচনায় বসেন তারা বললেন ইহুদীর জন্য সপ্তাহে একটি দিন নির্দিষ্ট রয়েছে যেদিনে তারা সবাই একত্রিত হয়।না ছাড়াও সপ্তাহে একদিন একত্রিত হয়।

সুতরাং আমাদের জন্য সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিন হওয়া প্রয়োজন যে দিনে আমরা সবাই সমবেত হয়ে আল্লাহ কে স্মরণ করব নামাজ আদায় করব।তৎপর দ্বারা আলোচনায় বললেন শনিবারই হাজীদের আর রোববার নাসাদের জন্য নির্ধারিত অবশেষে তারাই আমল বা শুক্রবারকে গ্রহণ করলেন (সিরাতুল মুস্তফা ও দরসে তিরমিজি)

জুমার দিনের ১১টি আমল গুরুত্বপূর্ণ নিচে দেওয়া হল:-

  • আগে আগে ঘুম থেকে উঠা
  • বেশি বেশি করে দরুদ পাঠ করা
  • সবার আগে আগে মসজিদে যাওয়া
  • দোয়া করার কারণে দিনে দোয়া ও অধিক পরিমাণে কবুল হয়
  • কাতার ভেঙ্গে সামনে যাওয়া
  • সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা
  • আগে গোসল করা
  • সুগন্ধি ব্যবহার করা (যদি থাকে)
  • পায়ে হেঁটে মসজিদে প্রবেশ করা
  • মনোযোগ সহকারে খুতবা সোনা
  • তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা
পরিশেষে যাই হোক আল্লাহ তাআলার উম্মতে মোহাম্মদীকে জুম্মার দিনের মধ্যে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন আমীন।এবং আমরা সকলে চেষ্টা করব জুম্মার জিনিস সব কাজ এবং ক্রয় বিক্রয় বাদ দিয়ে জুম্মার দিনে তাড়াতাড়ি মসজিদে আসা এবং নামাজ আদায় করা।

জুমার দিনের দোয়া কবুলের সময়

চাহিদা পড়ে কেউ সাধ্যের বন্দি করে না ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্বাস করে।মহান আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজনে চাহিদার কথা তুলে ধরলে আল্লাহর প্রয়োজন পূরণ করেন।কোন ঘাটতি থাকলে তা দূর করে দিন এজন্য সবাই চায় আল্লাহর কাছে তার কথার গৃহীত হোক আর দোয়া কবুল হোক আজকে আমরা জেনে নেব জুমার দিনের দোয়া কবুলের সময়।
আবু হুরায়রা (রা.)বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারে ফজিলত বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন জুম্মার দিন এমন একটি সময় আছে যে সময়টায় যদি কোন মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চাই আল্লাহ অবশ্যই তার চাহিদাবাদ দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাম তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ত তার ইঙ্গিত দেন। (বুখারী)

আবু দারদা ইবনে আবু মুসা আশআরি (রা.) প্রতিবন্ধিতা তিনি বলেন আমি আমার পিতামাতাকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে বলতে শুনেছি তিনি জুম্মার দিনে বিশেষ মুহূর্তটিকে সম্পর্কে বলেছেন ইমামের মেম্বারে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টি সেই বিশেষ মুহূর্ত। (মুসলিম মিশকাত)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন জুম্মার দিনে ১২ ঘণ্টা রয়েছে তাতে এমন একটা সময় রয়েছে যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন অতএব তোমরা আসরের শেষ সময় এটা তালাশ করুন (আবু দাউদ হাদিস নং ১০৪৮ নাসাঈ নং ১৩৮৯)

শেষ মন্তব্য:জুমার  দিনের আসরের পরের আমল এবং জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলের জুম্মার দিনের আমল কি কি জুম্মার দিনে 11 টি আমল এবং জুম্মার দিনের আসরের পরের আমল ও জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।আমরা সকলে জুম্মার দিনকে অনেক ভালবাসি পছন্দ করি কেউ তো আমাদের সকলেরই উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আমি আশা করছি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে জুমার দিনে আসরের পরের আমল সম্পর্কে এবং জুম্মার দিনের ১১ টি আমল এবং জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আশা করি এই পোস্টে আপনার অনেক উপকারে আসবে।

তাই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।কেননা আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েব সাইটে এ ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। তাহলে আজ এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url