পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা। আপনার নিজের মনের মধ্যে হইতো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে পিরিয়ডের
ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয় এবং আপনি কি বাসাই বসে পিরিয়ডের
ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় টিপস সম্পর্কে জানতে চান। আসলে এই সমস্যা টা
আমাদের বাসার মধ্যে মা- বোনদের প্রতি মাসে হয়ে থাকে।ঘরোয়া উপায় মুক্ত রাখা যায়
তাই আপনাদের আজকে জানাবো কিভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়। তাই এই
আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন।
অনেক বগবগ করলাম তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবারে আলোচ্য বিষয় পিরিয়ডের ব্যাথা
কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনেনি। তাই অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তবেই আপনি জানতে পারবে পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর
ঘরোয়া উপায় ও পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয় বিস্তারিত জানুন।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃপিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় । পিরিয়ডের
ব্যথা কেন হয়
ভূমিকা।পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় । পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
প্রতিটা মেয়ের একটা সময় পর মাসিক বা ঋতুশ্রাব হয়ে থাকে। এটা হলে মেয়েদের
শারিরীক ও মানসিক পরিবর্তন শুরু হয়। একটা মেয়ে ১২/১৩ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়।
প্রতি মাসে শরীরে তৈরি হওয়া খারাপ রক্ত মাসিকের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয় বিস্তারিত জানুন আমাদের আর্টিকেল থেকে ও পিরিয়ডের ব্যাথা
কমানোর ঘরোয়া উপায়। এই সময় মেয়েদের শরীরে নানা পরিবর্তন লক্ষ করা
যায়। মেয়েদের বুকের পরিবর্তন হয়, নানা জায়গায় চুল গজায়, লম্বা হয় কেউ এরকম নানা
পরিবর্তন হয়। এই সময়কে বয়সন্ধিকাল বলা হয়।
মাসিকের সময় করণীয়
- মাসিক হলে সর্বপ্রথম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
- ৬ ঘন্টা পর পর প্যাড পরিবর্তন করতে হবে।
- প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
- ভেতরে অন্তর্বাস পরিষ্কার ও নরম জাতীয় পরিধান করতে হবে।
- কাপড়, তেনা, টিস্যু এসব ব্যবহার করা যাবেনা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য খেতে হবে।
- ব্যথা বেশি হলে সাধারণ ব্যথা ওষুধ খেতে হবে।
- নিজের শরীরে নিজেকে যত্ন নিতে হবে।
- এক সাথে দুইটা প্যাড পরা যাবেনা।
- ব্যাকটেরিয়া জনিত কোন পোশাক পড়া যাবেনা। ব্যথা
পিরিয়ডের ব্যথা কোথায় হয়
একটা মেয়ে ১২/১৩ বছর মধ্যে এখন পিরিয়ড হয়ে যায়। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর
ঘরোয়া উপায় জেনে রাখলে অনেক মেয়ে পিরিয়ড হলে পেট ব্যথাহয় এবং এই
ব্যথা পিরিয়ড শুরু হওয়ার দু এক দিন আগে থেকে শুরু হয়। পিরিয়ড
ব্যথা কে অনেক মেয়ে ভয় পায় এটার নাম ডিসমেনোরিয়ায়। এই ব্যথা শুরু হয়
তলপেটের থেকে শুরু করে কোমর, উরু ও পা সহ ব্যথা চারিপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
পিরিয়ড ব্যথা হওয়া একটা কারণ জরায়ু আয়তন বড় হয়ে গেলে তখন পিরিয়ড হলে
ব্যথাহয়। পিরিয়ডের ব্যাথা কেন হয় বিস্তারিত জানুন আমাদের আর্টিকেল পড়ার
মাধ্যমে। এই ব্যথা পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে থেকে শুরু হয় এবং শেষ হয়
পিরিয়ড ভালো হবার পর। এই অসহ্য যন্ত্রণার শিকার প্রায় অনেক মেয়ে।
মাসিকের সময় কি কি সমস্যা হয়
একটা মেয়ে মাসিক শুরু হলে সে নানা রকম সমস্যা সম্মুখীন হয় আর সেই সন্মুখীন থেকে
রক্ষা পেতে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া সম্পর্কে সমাধান কি তা
এক নজরে জেনে আসি।
- মাসিক হলে অনেক মেয়ে তল পেট, কোমর, উরু ও পা যন্ত্রণা শুরু হয়।
- মাসিক হলে মেয়েরা শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে।
- মাসিক হলে মেয়েরা অনেক সময় মানুষিক বিশ্বাদগ্রস্ত ও বিরক্তি ভাব চলে আসে।
- মাসিক হলে হজমে সমস্যা হয়।
- মাসিক হলে শরীরে ক্লান্তিভাব থাকে আসল লাগে।
- মাসিক সময় শরীর দূর্বল থাকায় ক্র্যাম্প লাগে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- পিরিয়ড শুরু হলে পেট ব্যথা শুরু হয় অনেক মেয়ের সেই সময় সুষম খাবার খেতে হবে।
- পিরিয়ড ব্যথা হলে পেট গরম পানি সেক দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
- পিরিয়ড সময় আদার রস খেলে ব্যথা কম হয়।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে পিরিয়ড হলে তাহলে আরাম পাওয়া যায়।
- পিরিয়ড ব্যথা হলে পেট ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে পেট মালিশ করতে হবে।
- মধু, অ্যালোভেরা রস এক সাথে একটা জুস বানিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
- পিরিয়ড হলে তাজা সবজি খাওয়া ভালো পেঁপে খেলে ব্যথা নিরাময় হয়।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায়
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় আপনি কিছু ইসলামের পরিভাষায় পিরিয়ড
ব্যথা কমানো কিছু আমল রয়েছে। এসকল আমল করে আল্লাহ কাছে দোয়া করলে ব্যথা
ভালো হয় ইনশাআল্লাহ। চলুন আমল তিনটা জেনে আসি কিভাবে করতে হবে।
দোয়া ১: আল আজীমু
আমল করার পদ্ধতি : একটি পরিষ্কার গ্লাসে বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে।
তারপর দুরুদে ইব্রাহিম একবার পাঠ করতে হবে। এর পরে আল্লাহর গুণবাচক সিফাতি নাম
৭টা পড়তে হবে। তারপর পানিতে তিনবার ফু দিতে হবে। আবার দুরুদে ইব্রাহিম একবার
পাঠ করে বিসমিল্লাহ বলে পানি পান করতে হবে। ইনশাআল্লাহ পানি পান করার পরে আস্তে
আস্তে আপনার পিরিয়ড পেট ব্যথা কমে যাবে।
দোয়া ২: ইয়া মুতাআল
আমল কারার পদ্ধতি : পিরিয়ড ব্যথা হলে আল্লাহ গুণবাচক
নাম ১২১টি পাঠ করে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি পান করতে হবে। এই রকম ভাবে পিরিয়ড
চলাকালীন প্রতিদিন একবার পাঠ করে পানি খেতে হবে ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে
ব্যথা।
দোয়া ৩: লা ' ফিহা' গওলুন ওয়া লা'হুম আনহা'
আমল করার পদ্ধতি : আল্লাহ উপর ভরসা রেখে উপরে আয়াতটি ৩/৭/১১ বার
পাঠ করে তিনবার ফু দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে পানি পান করতে হবে যত দিন পিরিয়ড ব্যথা
থাকবে প্রতিদিন এভাবে একবার পানি পান করলে ইনশাআল্লাহ ব্যথা ভালো হয়ে
যাবে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- পিরিয়ড হলে প্রচুর পরিমাণ সুষম খাদ্য ও পানি পান করতে হবে।
- বাসায় গরম পানি সেঁক দিতে হবে ওয়াটার ব্যাগে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম করতে হবে।
- পেট তেল দিয়ে মালিশ করা যাবে।
- আদার রস বাসায় বানিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
- অ্যালোভেরা ও মধু দিয়ে জুস বানিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
- সবজি মধ্যে পেঁপে খেলে পিরিয়ড ব্যথাকমানো কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা করে কেন
পিরিয়ডের ব্যথা কম বেশি বহু মেয়েদের হয়। এই ব্যথা শুরু হয় পিরিয়ড শুরু
হওয়ার আগে থেকে এবং পিরিয়ড ভালো হবার পর ভালো হয়। পিরিয়ড ব্যথা হয় জরায়ু
সংকোচনের কারণে তলপেটে বেথা শুরু হয় এটা স্বাভাবিক কিন্তু এই ব্যথা যখন
সহ্য বাইরে হয় তখন ওটা অস্বাভাবিক।
আরো পড়ুনঃ রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
জরায়ুর সংকোচন হয় প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন হরমোন জন্য এই হরমোন যাদের শরীর বেশি
থাকে তাদের বেশি ব্যথা হয়। আবার অনেক মেয়েদের কোন কারণ ছাড়া পিরিয়ড ব্যথা
অনুভব হয়। কারো আবার এই ব্যথা ভেতরে কোন সমস্যা থেকে ও হয়।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানো ঘরোয়া উপায় ঔষধের নাম
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় যদি আপনার সমস্যার সমাধান না করতে পারেন
তখন আপনাকে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ করে ওষধ সেবন করতে হবে। পিরিয়ড ব্যথা কমানোর
কিছু ঔষধ পাওয়া যায়। যাদের তিব্র ব্যথা অনুভব হয় তাদের এই ঔষধ সেবন করতে
দেয় ডাক্তার।
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যে কোন ঔষধ সেবন করতে হবে। চলুন জেনে নি কোন ঔষধ দেওয়া
হয়। পিরিয়ড সময় ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেতে দেওয়া যাবে। তবে অন্য কোন
ব্যথা নাশক ঔষধ খেতে হলে অবশ্যয় ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
যে কোন ঔষধ খেলে সেটার সাইড ইফেক্ট পড়তে পারে এবং বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে
শরীরে। পিরিয়ড ব্যথা ভালো করার জন্য কোন ব্যথা নাশক না খেয়ে ঘরোয়া
পদ্ধতিতে ব্যথা ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা করণীয়
- মাসিক সময় পেট ব্যথা হলে গরম পানি সেঁক দিতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।
- সুষম খাদ্য খেতে হবে এবং শাক সবজি খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
- খাবারের পেঁপে রাখতে হবে এটা মাসিকের ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে।
- আদার রস খেতে হবে।
- অ্যালোভেরা ও মধু মিশিয়ে জুস বানিয়ে খেতে হবে।
- পেট তেল মালিশ করতে হবে।
পিরিয়ড সময় কি কি খাওয়া যাবেনা
এসব বাসায় বসে করতে হবে বেশি ভারী কাজ করা যাবেনা। এতে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
যে সকল খাবার খেলে ব্যথা বাড়তে পারে সে সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে
বলে ডাক্তার। শসা, তরল পানীয়, শ্যাম্পু এসব খাওয়া ও করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
খেলাধুলা করা যাবেনা এই সময় শরীর দূর্বল থাকে বিশ্রাম নিতে হবে। এই সময় শরীরে
নানা পরিবর্তন হয় তাই শারীরিক ও মানসিক ভাবে পরিবর্তিত থাকে। এই সময় আলস্য ও
বিশ্বাদগ্রস্ত থাকে।
আরো পড়ুনঃ
মানসিক চিন্তা দূর করার উপায়
শরীর দূর্বল থাকায় মাথাগোড়ে, শক্তি পায় না তাই বিশ্রাম নেওয়া উচিত। প্রচুর
পরিমানে ভিটামিন- সি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু এই সময় চুলের গোড়া নরম
থাকায় শ্যাম্পু করা যাবেনা নাহলে সব চুল ঝড়ে পড়বে। দুধ, ডিম মাসিক কয়েক দিন
খেতে দিতে হবে এতে শরীরের দূর্বলতা কম আসে।
আলোড়ন আইটি মন্তব্য
নিশ্চয় আপনি আমার এই আর্টিকেল শুরু থেকে পর্যন্ত পড়ছেন। এবং আপনি সুন্দর ভাবে
জানতে পেরেছেন কিভাবে পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও পিরিয়ডের ব্যথা কেন
হয় বিস্তারিত জানুন এটা ভালোভাবে জানতে পারলেন।
তাই আপনাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার আপন মানুষদের
পড়ার সুযোগ করে দিবেন এবং আমার ওয়েবসাইটটি শেয়ার করুন, আর হ্যাঁ আমাদের
ওয়েবসাইট সাবক্রব করে রাখবেন এমন আরো অনেক পোস্ট আছে নিয়মিত পড়তে পারবেন। নতুন
কিছু আপডেট নিউজ পেতে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url