বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় - বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান। বুক
জ্বালাপোড়া নিয়ে অনেক দিন ধরে জ্বালা সহ্য করছেন কিন্ত বুক জ্বালাপোড়া কমানোর
ঘরোয়া উপায় মুক্তির কোন উপায় খুজে পাচ্ছেন না । বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া
উপায় অনেক ওয়েবসাইট ঘুরাঘুরি করেও কোন জায়গায় মনের মতো তথ্য খুজে পাচ্ছেন না।
তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় ক্লিক করছেন। বুক জ্বালাপোড়া করলে আমরা কোন কিছু করে
শান্তি পায় না। তাই আজকের এই আর্টিকেল মাধ্যমে আপনি আপনার বুক জ্বালাপোড়া কমানোর
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাচার উপায় গুলো কি তা আমরা জানবো।
কিন্তু প্রথমে আপনাদের কে বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাচার জন্য জন্য আমাদের এই
আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। কেননা এই আর্টিকেল আপনাদের জন্য
স্পেশাল কিছু টিপস রাখা আছে যেগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি বুক জ্বালাপোড়া থেকে নিজেদের
সুস্থ রাখতে পারবেন। বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিতে পারবেন আমাদের আর্টিকেল পড়ার
মাধ্যমে।
পোস্ট সূচিপত্রঃবুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় - বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়
সূচনা। বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় । বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়
আমরা এই আর্টিকেল শুরুতে আপনাদের বলেছি যে বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
গুলো মেনন্টেন করলে নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো
বুকের বাম পাশে জ্বালাপোড়া করলে বুক জ্বালাপোড়া করার ওষধ, বুক কেন আমাদের
জ্বালাপোড়া করে বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়।
এই সমস্ত বিষয় গুলো আমরা সুন্দর এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানবো।তাই বুকের
জ্বালাপোড়া কমানো ঘরোয়া উপায়ের জন্য আপনাদের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবারে জেনে
নেওয়া যাক।
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়
- লবঙ্গ: বুকের জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্টিক সমস্যা জন্য লবঙ্গ খাওয়া ভালো। এতে গ্যাস সমস্যা কম হয়।
- সঠিক খাদ্যভাস: নিয়মিত সময় মেনে খাবার খেতে হবে। নিয়ম মত চললে কোন রকম শারীরিক সমস্যা হয় না তাই সঠিক নিয়ম খাদ্য খেতে হবে।
- সবজিঃ খাবার মধ্যে সজনা ডাটা, শিম, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, গাজর ও পেঁয়াজ খায়লে গ্যাস্টিক বা বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা হয় না।
- পুদিনা পাতাঃ বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়ার প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় হচ্ছে পুদিনা পাতা। এই পাতা সেদ্ধ করে পানি মধ্যে মিশিয়ে খেলে অনেক গ্যাস সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
- ধূমপান পরিহারঃ যারা নেশা জাতীয় জিনিস সেবন করেন তাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা হয়। তাই এসকল নেশা জাতীয় জিনিস পরিহার করতে হবে সুস্থ থাকবে শরীর।
- অতিরিক্ত মসলা: বেশি স্বাদের খাবার খাওয়া জন্য অতিরিক্ত ঝাল, লবণ, বিভিন্ন মসলা দিয়ে খাবার খেলে শরীরে জন্য ক্ষতিকর।এতে শরীরে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং গ্যাস্টিক বা অ্যাসিডিটি মত সমস্যা হয়।
- ডাবের পানিঃ ডাবের পানিতে থাকা ভিটামিন শরীরে জন্য যেমন উপকার তেমনি রোগ বালাই দূরে করে। ডাবের পানি খেলে গ্যাস সমস্যা হয় না।
- কোমল পানীয়: যে সকল কেমল পানীয় আছে জুস, আরসি এসব না খাওয়া ভালো। শরীর জন্য এটা ভালো নয়।
বুক জ্বালাপোড়া কমানো ঘরোয়া উপায়
- গ্যাসে সমস্যা হলে বাসায় ডাবের পানি খেতে পারেন এতে বুক জ্বালাপোড়া কম হয়।
- কুসুম গরম পানি সাথে লেবু চিপে খেলে বুকের জ্বালাপোড়া কম হয়।
- কলা খেলে বুকের জ্বালাপোড়া কম হয় কারণ বুক জ্বালাপোড়া অম্লে জন্য হয় কলায় অম্ল কম পরিমান রয়েছে এবং ফাইবার রয়েছে প্রচুর যা বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা হতে দেয় না।
- যে সকল খাবার পানি রয়েছে তা খেতে হবে। বুক জ্বালাপোড়া জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে তাহলে বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা কম হয়।
- ঘরে পেঁপে থাকলে সেটা খেতে পারেন। পেঁপেতে থাকা পাপাইন শরীর খাবারকে সহজপাচ্য করতে পারে। এতে খাবার হজম হয় খুব সহজভাবে।
- কুসুম গরম দুধ খেলে শরীর নানা সমস্যা সমাধান হয়। দুধ খেলে বুকের জ্বালাপোড়া কম হয় তবে অনেকের আবার বৃদ্ধি পায় যাদের স্যুট করেনা গরুর দুধ। এসকল খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়।
বুক জ্বালাপোড়া করে কেন
- মানসিক দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপে থাকলে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা হয়।
- যারা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মদ্য, অ্যালকোহল, সিগারেট এসব খেলে বুকে জ্বালাপোড়া সমস্যা তৈরি করে।
- অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার খেলে বুকে জ্বালাপোড়া সমস্যা হয়।
- সহজে হজম হয়না এমন সব খাবার খেলে বুকে জ্বালাপোড়া সমস্যা হয়।
- যারা বেশি পরিমণ চা, কফি, কোমল পানীয় খায় তাদের বুক জ্বালাপোড়া হয়।
- ফাস্ট ফুড খেলে অ্যাসিডিটি সমস্যা সাথে হজম হয় না এটা কম খাওয়া উচিত।
বুকের বাম পাশে জ্বালাপোড়া
বুকের বাম পাশে জ্বালা পোড়া করলে আমরা মনে করি হয়ত হার্টের সমস্যা হয়েছে।
যাদের হার্ট সমস্যা আছে তারা দুই হাত মুষ্টি বেঁধে বুকে দিয়ে বলতে পারবে তার
সেই স্থানে বেথা হচ্ছে। আর গ্যাস্টিক খাবার খাওয়া জন্য বুকে জ্বালাপোড়া
সমস্যা হয়। খাদ্য নালিতে খাবার নিচে না গিয়ে যখন উপরের দিকে চলে আসে এবং এর
ফলে যে সমস্যা দেখা দেয় সেটায় বুক জ্বালাপোড়া।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথা দূর করার উপায়
গ্যাস্টিক সমস্যা হলে মুখ টক টক ভাব হয়ে থাকে। পেট ফুলে থাকে আরো নানন সমস্যা
দেখা দেয়।অনেকের বুকের বাম পাশে হালকা বেথা হয় হাঁটলে হাপিয়ে যায়। এটা
গ্যাস্টিক জন্য হতে পারে আবার হার্ট অ্যাটাক হয়। প্যানিক অ্যাটাক হয়ে থাকে।
বুক জ্বালাপোড়া ও শ্বাসকষ্ট
যখন আমরা খাবার গ্রহণ করি তখন খাবারের সাথে সাথে পাকস্থলীর অ্যাসিড শরীরের
নিচের দিকে নামে। যদি সেটার বিপরীত হয়, তবে পাকস্থলীর অ্যাসিড নিচে না নেমে
বরং ওপরে গলার দিকে উঠে আসে, তখন আমরা গলা থেকে বুক জ্বালাপোড়া অনুভব করি।
এটা গ্যাস্টিক জাতীয় খাবার খাওয়া জন্য হয়ে থাকে। মুখ টক হয়ে থাকে গলা কেমন
জ্বলে আবার পেট ভার হয়ে যায়। এসব কিছু অ্যাসিডিটি সমস্যা জন্য হয়ে থাকে।
যাদের শ্বাসকষ্ট সমস্যা আছে গ্যাস্টিক সমস্যা দেখা দিলে তারা আরো বেশি সমস্যা
অনুভব করে।
আরো পড়ুনঃ শিশুর সাপোজিটরি ব্যবহার করার নিয়ম
অনেক সময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাই শ্বাসকষ্ট রুগীদের গ্যাস্টিক জাতীয় খাবার
খাওয়া উচিত নয়। যে সকল খাবারের তেল মসলা বেশি সে সকল খাবার পরিহার করতে হবে।
সব সময় কম তেল মসলা জাতীয় খাবার খেতে হবে। বুক জ্বালাপোড়া কামানোর ঘরোয়া
উপায় থেকে জেনে নিতে হবে কিভাবে জ্বালাপোড়া কম হয়।
শরীর সুস্থ থাকবে সকল রোগ বালাই দূরে থাকবে।নিজের শরীর যত্ন নিজেকে
নিতে হবে। কোন খাবার খেলে সমস্যা হচ্ছে কোনটা খাওয়া উচিত নয় নিজেকে দেখে বুঝে
খেতে হবে।
গলা বুক জ্বালা করলে কি করা উচিত
- বুক জ্বালাপোড়া করলে প্রথমত গলা বুক জ্বলে সে সকল খাবার পরিহার করতে হবে।
- নেশা জাতীয় জিনিস সেবন থেকে দূরে থাকতে হবে এসকল খাবার খেলে গলা বুক জ্বালাপোড়া করে।
- ফাস্ট ফুড খেলে গ্যাস্টিক সমস্যা দেখা দেয় তাই সেগুলো খাওয়া যাবে না বেশি।
- সে খাবার সহজে হজম হয়না সে সকল খাবার কম খেতে হবে।
- চা, কফি, কোমল পানীয় খাওয়া পরিহার করতে হবে।
- ডাক্তার পরামর্শ ছাড়া গ্যাস্টিক ঔষধ সেবন করা যাবেনা।
- বেশি সমস্যা হলে ডাক্তার দেখাতে হবে।
বুক জ্বালাপোড়া কমানো দোয়া
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে আমরা দোয়া করতে পারি৷ রোগ
বালাই যাই হোক না কেন আমরা মুসলিমরা সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া জন্য আল্লাহ কাছে
দোয়া করে থাকি। একজন মুমিন যখন অসুস্থ থেকে সুস্থতা লাভের আশায় আল্লাহ কাছে
দোয়া চাই তখন আল্লাহ আমাদের কখনো ফিরিয়ে দেয় না। তাই অসুস্থ থেকে সুস্থ হবার
দোয়া হল:
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা'সি, ইশফি আনতাশ-
শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফায়ান লা য়ুগাদিরু সুকমা।
অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কস্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য
দিন, আপনি আরোগ্যকারী ; আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন
কোন রোগ অবশিষ্ট না থাকে।
বুক জ্বালাপোড়া ঔষধ
যখন কোন মানুষ অতিরিক্ত তেল মসলা জাতীয় খাবার খায় পাকস্থলীর জন্য এটা ভালো নয়
তখনই অ্যাসিডিটি সমস্যা দেখা দেয়।এই সমস্যা হলে বমিবমি ভাব, পেট ভার হয়ে
থাকা, মুখে টক ভাব নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। বুকে জ্বালাপোড়া করে
গ্যাস্টিক সমস্যা দেখা দিলে।
আরো পড়ুনঃ চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় মাধ্যমে ভালো করার
চেষ্টা করতে হবে। যদি ভালো না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে
হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা ঠিক নয়। চলুন জেনে আসি বুক
জ্বালাপোড়া জন্য কোন ঔষধ ডাক্তার দিয়ে থাকে।
এন্টাসিড ঔষধঃ যখন বুকের জ্বালাপোড়া হয় এটা মূল কারণ অ্যাসিড
উৎপাদন করা তাই এন্টাসিড খেলে অ্যাসিড উৎপাদন কমে যায়।
হিস্টামিন-২ রিসেপ্টার ব্লকার (H2ব্লকার) : এসকল ঔষধ গ্যাস কম করে।
প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPl): এই ঔষধ সম্পূর্ণ ভাবে এসিড উৎপাদন বন্ধ করে
দেয়। বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা কমিয়ে দেয়।
সূচনার শেষ কথা
আপনারা নিশ্চয় এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে বুঝতে পারলেন যে বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে এবং বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাচার জন্য কি করতে হবে। তাই আমি আশা করবো আপনারা আমার এই পোস্ট পড়ে উপকৃত হবেন। আপনাদের যদি আমার এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url