শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ - শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি
প্রিয় পাঠক আপনি কি আপনার শিশুর জ্বর নিয়ে চিন্তিত তাই আপনি গুগলের কাছে জানতে
চেয়েছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরাঘুরি করছেন কোন সঠিক তথ্য খুজে পাচ্ছেন
না। তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
২০২৩ ও শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি আপনি ইনশাআল্লাহ এই আর্টিকেল পড়ে আপনার চিন্তার
সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। তাই আপনাকে আমি সবার আগে বলতে চাই অবশ্যই আপনি এই
আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কেননা অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে শিশুর জ্বর
কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ সম্পর্কে।
মহান আল্লাহ যেমন অনেক রোগ বালাই দিয়েছে তেমনি আবার সকল রোগের সমাধান ও করেছেন।
আমি হইতো আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবো। বাকি টুকু আপনি আর্টিকেল পড়ে নিয়মিত
আপনার মতো করে আপনি অবলম্বন করবেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনাকে সমস্যার সমাধান করে
দিবেন। শিশু জ্বর হলে করণীয় কি ও শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ কি কি তথ্য
আছে জানতে পারবেন। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবারে জেনে নেওয়া যাক। পোস্ট
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃশিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ - শিশুর জ্বর হলে
করণীয় কি
সূচনা।শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ - শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি
প্রিয় পাঠক আপনি আজকে এই আর্টিকেল মাধ্যমে জানতে পারবেন শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি
এবং জ্বর কমানোর ঘরোয়া পরিবেশে বসে থেকে কিভাবে শিশুর জ্বর কমানো যায় তার সঠিক
একটি পরার্মশ পাবেন। আপনি এই আর্টিকেল পড়ে অতিরিক্ত জ্বর হলে এবং শিশুর জ্বর যদি
১০২ ডিগ্রির জ্বর হলে কি করবেন এছাড়া আপনি ৮মাসের বাচ্চাসহ ৫বছরের বাচ্চার
জ্বরেরে কি সিরাপ খাওয়াতে হবে শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ এবং শিশুর
জ্বর হলে করণীয় কি এই সমস্ত বিষয়ে জানতে হলে আমাদের পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে
থাকুন।
দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
ছোট বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জ্বর হলে তার শরীর নেতিয়ে পাড়ে। শরীর কোন
সমস্যা হলে মানসিক ভাবে ভালো লাগে না। দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য অবশ্যই ভিটামিন-সি
ও টক স্বাদযুক্ত ফল খেতে হবে। তাজা শাক-সবজি, ফল খেতে হবে যেমন: মাল্টা, কমলা,
আনারস, লেবু, আপেল জুস, কামরাঙ্গা, পেয়ার আমরা ইত্যাদি ফল প্রচুর পরিমাণ
ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। জ্বর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে পড়ে।
আরো পড়ুনঃ মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধির উপায়
যার ফলে শরীর দূর্বল হয়ে যায়। তাই সেই সময় প্রোটিন ও ক্যালরি পাওয়া যাবে সে সকল
খাবার খেতে হবে। চিকেন স্যুপ, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবার রাখতে হবে জ্বর আক্রান্ত
ব্যাক্তির খাদ্য তালিকায়। তাহলে দ্রুত জ্বর কমে যাবে ঘরোয় ভাবে। তারপর যদি জ্বর
না কমে তাহলে ঔষধ সেবন করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩
- জ্বর হলে ঘরোয়া ভাবে সুস্থ করার জন্য খাবার তালিকায় সুষম রাখতে হবে।
- রুগীকে যত্ন নিতে হবে জ্বর যেন বেড়ে মাথায় না উঠে। মাথায় পানি দেওয়া জল পট্টি দেওয়া এসব কাজ করতে হবে। শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ এসব বাসায় করে শিশুকে সুস্থ করে তোলা যায়।
- জ্বর হলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে তাই সেই সময় প্রোটিন ও ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে।
- জ্বর হলে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যা থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- জ্বর হলে রুগীকে ঘরোয়া ভাবে চিকেন সবজি স্যুপ দিতে হবে এটায় প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে
- এ সময় মসলা চা, আদা চা, হারবাল চা জ্বর ব্যাক্তি জন্য অনেক উপকারি কারণ এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল অনেক কাজে আসে।
অতিরিক্ত জ্বর কমানোর উপায়
যখন জ্বর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তখন দেহের তাপমাত্রা কামানো জন্য রুগীকে মাথায় পানি
দিতে হবে। পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। এতে শরীর তাপমাত্রা কমে
আসে এবং রুগী শরীর একটু হালকা হয়। তারপর জ্বর আক্রান্ত ব্যাক্তিকে চিকেন স্যুপ,
ভেজিটেবল স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। তাহলে শক্তি পাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
তৈরি হবে।
ভিটামিন-সি যুক্ত সবজি ফল খেতে হবে। সবুজ আপেল রস, আনারস রস, কমলা, মাল্টা,
বাতাবিলেবু এসব জ্বর কমাতে অনেক বেশি কার্যকারি ভূমিকা পালন করে। তাই অতিরিক্ত
জ্বর হলে রোগী ব্যাক্তির খাবার তালিকায় এসকল খাবার রাখতে হবে এবং তার যত্ন নিতে
হবে।
শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়
শিশুর জ্বর যখন অল্প থাকে তখন শিশুকে স্বাভাবিক ঘরোয়া ভাবে সুস্থ করার চেষ্টা করা
হয়। জ্বর যখন ১০২° ফারেনহাইট হয় তখন শিশুকে অবশ্যই ডাক্তার পরামর্শ নিতে হবে।
অল্প জ্বর হলে সাধারণ প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ানো যাবে। তবে জ্বর পরিমাণ বৃদ্ধি
পেলে ১০২° ফারেনহাইট হলে দ্রুত ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে হবে। ডাক্তার হয়ত জ্বর
কমানো জন্য শিশুর বয়স অনুযায়ী সাপোজিটর দিতে বলতে পারে। শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি
এটা আগে প্রতিটা মাকে জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
শিশুর জ্বর কমানোর উপায় জেনে নিন
শিশুদের বয়স অনুযায়ী সাপোজিটর মাপ রয়েছে। সাপোজিটরি দিলে জ্বর কমে যায়। বাচ্চাদের
জ্বর ১০২° হলে ডাক্তার কাছে নিয়ে যাওয়া ছাড়া ও বাচ্চার যত্ন নিতে হবে। বাচ্চাকে
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে দিতে হবে। তাকে প্রোটিন ও ক্যালরি খাবার খাওয়ানো
চেষ্টা করতে হবে। নাহলে শিশু দূর্বল হয়ে পড়বে।
বাচ্চাদের জ্বর হলে কি খাওয়ানো উচিত
- শিশুদের জ্বর হলে প্রোটিন ও ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার শিশুর খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
- বাচ্চার জ্বর হলে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাল্টা, কমলা, সবুজ আপেল রস, আনারস, ডাবের পানি ইত্যাদি খাবার খাওয়া হবে।
- জ্বর হলে চিকেন স্যুপ ও ভেজিটেবল স্যুপ খুব উপকারি ও ক্যালরিযুক্ত খাবার যা সকল জ্বর আক্রান্ত রুগী খাবার তালিকা রাখতে হবে।
- জ্বর হলে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে এবং স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাওয়াতে হবে নিজে থেকে যে কোন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবেনা।
বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
- জ্বর কম থাকলে নরমাল প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে কিন্তু নিদিষ্ট একটা মাত্রার।
- জ্বর তাপমাত্রা বাড়লে কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা ও পুরো শরীর মুছে দিতে হবে এতে শরীর হালকা হবে
- যে শিশুরা জ্বর সাথে খিচুনি সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে হব।
- জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণ শরীর দূর্বল থাকে এবং প্রোটিন, ক্যালরি ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে।
- জ্বর ১০২° ফারেনহাইট উপরে হলে সাপোজিটরি পায়ুপথে দিতে হয় নিদিষ্ট একটা মাত্রা রয়েছে যা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দিতে হবে।
৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
ছোট ৮ মাসের শিশুর যখন জ্বর হয় তখন মায়েদের মনে অনেক দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে। জ্বর
হলে শিশুকে গা মুছে দিতে হবে। ছোট বাচ্চা হওয়ায় তাকে অল্প অল্প করে তরল খাবার
খাওয়ানো চেষ্টা করতে হবে। তরল খাবার মধ্যে ফলের রস, স্যুপ, ডাবের পানি, পানি,
ইত্যাদি খাওয়ানো চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চাকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে
এবং শিশুকে বেশি দৌড় ঝাপ করতে দেওয়া যাবে না।
শিশুর সকল কর্মকান্ডে নজর রাখতে হবে। শিশুর জ্বর না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
ঔষধ খাওয়াতে হবে। শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ অবলম্বন করে শিশুকে সুস্থ
করে তুলতে পারবেন। আট মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এটা জানতে পারলেন আপনারা
আমাদের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে।
৫ বছরের বাচ্চার জ্বর হলে করণীয়
৫ বছরের বাচ্চার জ্বর হলে অবশ্যই ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে
যত্ন নিতে হবে এবং স্যুপ জাতীয় তরল খাবার খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে পুষ্টিকর ভিটামিন
ক্যালরি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। দুধ, ডিম, চিকেন স্যুপ, ভেজিটেবল স্যুপ, ফলের
রস, লেবুর শরবত ইত্যাদি খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে বাচ্চার। চা খেলে বাচ্চাকে
মধু মিশিয়ে চা খাওয়াতে হবে।
জ্বর তাপমাত্রা বাড়লে বাচ্চাকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গা মুছে দিতে হবে। বাচ্চার
মাথায় পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। তারপর সাধারণ প্যারাসিটামল খাওয়ানো যাবে। জ্বর
বৃদ্ধি পেলে বাচ্চাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ দিতে হবে।
বাচ্চাদের জ্বরের সিরাপ
- ছোট শিশু জন্য - প্যারাসিটামল ১২৫ এমজি সিরাপ
- প্রাপ্তবয়স্ক জন্য - প্যারাসিটামল ট্যাবলেট
এটা ছাড়া যদি জ্বর বেশি হয় তবে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই
অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। নিজে থেকে কখনো কোন অ্যান্টিব্যায়টিক খাওয়ানো যাবেনা।
এতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করতে হবে।
কিছু কথাঃ শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩
আপনি নিশ্চয়ই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়েছেন এবং আপনি জানতে পারলেন আপনার বা আপনার
সন্তানের জ্বর থেকে কিভাবে সুস্থ হয়ে উঠবেন। শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
২০২৩ ও শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি আপনি এই টিপস গুলো বা আপনার জ্বর পরিমাণ বেশি হলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভবতী মায়ের রক্ত শূন্যতা দূর করার উপায়
জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার করণীয় গুলো আপনি অবশ্যই সঠিক ভাবে ব্যবহার করবেন। আর হ্যাঁ
আমাদের আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। নিয়মিত আপডেট খবর পেতে
ওয়েবসাইট ভিজিট করে রাখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url