কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন
বাঙালিরা সেই প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কালোজিরা দ্বারা নানা রোগের উপসম হয় ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম কিছু আছে। কালোজিরা মধ্যে যেসকল উপাদান রয়েছে তা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কালোজিরা মধ্যে থেকে আমরা যেসকল উপাদান পেয়ে থাকি তা হল প্রোটিন, ভিটামিন-বি,
নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, তামা, দস্তা এবং ফোলাসিন এর সম্পূর্ণ উৎস
পায়। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম জানতে
পারবেন আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।
কালোজিরা নামটি সাথে সবাই পরিচিত। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
রয়েছে। এটি প্রতি গ্রামে এই সকল উপাদান আমরা পেয়ে থাকি। আমরা নানা রকম
খাদ্য সাথে কালোজিরে মিশিয়ে খেয়ে থাকি। এতে খাদ্য স্বাদ বৃদ্ধি পায়। কালোজিরা
ভর্তা কালোজিরা চপ, সাদা আলুর সরষে ইলিশ ঝোল ইত্যাদি নানা রকম খাদ্য আমরা কালো
জিরা ব্যবহার করে থাকি।
পোস্ট সূচিপত্রঃকালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরা উপকারিতা
- মাইগ্রেন নিরাময়ে: মাথা ব্যাথা খুব সুন্দর ও সহজে নিরাময় করে কালোজিরা তেল খুব উপকারী এটি মাথায় দিলে অনেক তাড়াতাড়ি মাথা বেথা থেকে নিরাময় হয়। মাথা ঠান্ডা থাকে কালোজিরা তেল।
- সর্দি ওষুধ: যখন আগে কোন ওষুধ ছিলনা তখন বিভিন্ন গাছের শিকড় ও কালোজিরা দ্বারা ওষুধ তৈরি করে রোগ নিরাময় হত। সর্দি হলে কালোজিরা তেল এক চামচ সাথে মধু মিশিয়ে খায়লে খুব তাড়াতাড়ি উপসম হয় সর্দির। গলাবেথা জ্বর সারতে ও এটা কাজ করে। তুলসি পাতা মধু ও কালোজিরা তেল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এটি কাশি ও জ্বর সারতে তাড়াতাড়ি কাজ করে।
- মেধা শক্তি বাড়াতে: কালোজিরা তেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি এসিড, দস্ত এবং আয়রন যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং মেধা শক্তি বিকাশ হয়। কালোজিরা প্রাচীন কাল থেকে নানা রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
- চুলপড়া রোধ করে: কালোজিরা তেল মাথায় দিলে চুল পড়া বন্ধ হয় মাথা ঠান্ডা থাকে। কালোজিরা থাকা আয়রন, ফ্যাটি এসিড, দস্ত চুলের গোঁড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। চুলকে গোঁড়া থেকে মজবুত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- চর্মরোগের চিকিৎসা: নানা রকম ঘরোয়া উপায়ে চর্মরোগ সারানো যায়। তার মধ্যে কালোজিরা তেল দিয়ে সেই স্থান মালিশ করে চর্মরোগ ভালো হয়।আবার দিনে তিনবার হলুদের রস, মধু, কালোজিরে তেল দিয়ে একটি ঔষধ তৈরি করে সেবন করলে চর্মরোগ ভালো হয়।
- ব্লাড প্রেশার পরিচালন: যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং নিয়ন্ত্রণ আনতে অনেক কষ্ট হয় তাদের জন্য খুব উপকারী কালোজিরা। কালোজিরা প্রতিদিন গরম চা বা গরম পানি সাথে মিশিয়ে খায়লে খুব সহজে ব্লাড পেশার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কালোজিরা ব্লাড প্রেশার রোগীর জন্য খুব উপকারী ঔষধ।
- ডায়বেটিস কন্ট্রোল: ডায়বেটিস একটি মরণব্যাধী রোগ। এটি ঔষধ এখনো বাজারে আসেনি তবে এটিকে কন্ট্রোল রাখা জন্য নানা উপায় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কালোজিরা তেল। কালোজিরা তেল প্রতিদিন সকাল বেলায় এক কাপ চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করলে ডায়বেটিস কন্ট্রোল থাকে।
- হাঁপানি রোগ নিরাময়: বয়স্ক ও শিশুদের সাধারণত হাঁপানি রোগ হয়ে থাকে বেশি। এটি নিরাময়ের কার্যকারী ঔষধ কালোজিরা। কালোজিরে গুড়া করে গরম পানি সাথে পান করলে খুব দ্রুত কাজ করে। কালোজিরা তেল বুকে মালিশ করলেও তাড়াতাড়ি উপসম হয়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা সজীব রাখে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে খুব কার্যকারী ভূমিকা রাখে কালোজির। কালোজিরা বেটে হলুদ লেবুর রস দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগ ও উজ্জীবিত করে চেহারা। এটি পেস্ট ব্যবহারে মুখের ব্রণ সমস্যা সমাধান হয়।
- শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ: শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি জন্য কালোজিরা তেল দ্বারা মালিশ করতে পারেন এতে শিশুর শরীর বেথা ভালো হয় এবং শারিরীক বৃদ্ধি হয় বেশি। বিভিন্ন খাবারে সাথে কালোজিরে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে শিশুর মানসিক বিকাশ হয়। বাচ্চা ব্রেন বৃদ্ধি হয়।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
আপনারা হইতো প্রাচীনকাল থেকে জানেন মরণ ব্যাতীত সকল রোগের মহা ঔষধ কালোজিরা। আমরা
সকল রোগের সেবা ও প্রতিরোধে কালোজিরা ব্যবহার করে থাকি। কালোজিরার প্রচুর ভিটামিন
প্রোটিন, ক্যালসিয়ান, আয়রন, ফসফরাস নিয়াসিন, বি, দস্তা, তামা, ইত্যাদি পাওয়া যায়
কালোজিরায় । তাই কালোজিরা নামটি আমদের সকলের পরিচিতি। আজকে আমরা এই আর্টিকেল
ম্যাধমে জানবো কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আছে।
কালোজিরা সাধারণত অনেক ভাবে খেয়ে থাকি। তার মধ্যে সহজ ২টি উপায় হলো কালোজিরা
কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া আর একটি হলো যেকোন খাবার সাথে কালোজিরা পিষিয়ে খাওয়া। আবার
আমরা অনেকে সময় ,মধু রসুন, পুদিনা পাতা, তুলসি পাতা, এছাড়া আমরা অনেক কিছুর
সাথে মিশিয়ে খায়।
গর্ভবতী বা জন্ম নেওয়া মা থাকেলে কালোজিরা ভর্তা করে খাইতে পারবে। ভর্তা করার
জন্য কালোজিরা সুন্দর করে ধুয়ে মরিচ, লবণ, মাপ মতো নিয়ে বানিয়ে ভাতের সাথে
খাইতে পারবে। এভাবে খাইতে পারলে মায়েদের জন্য অনেক অনেক উপকারি হবে।
কালোজিরা থেকে যে তেল হয় সেই তেলের সাথে পুদিনা পাতার রস এক কাপ পরিমাণ নিয়ে বা
অল্প একটু কমলালেবুর রস নিয়ে সুন্দর করে মিশিয়ে খাইতে পারি। তাহলে অনেক
দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই নিয়মে খাওয়া যাবে কালোজিরা।মধু ও কালোজিরা
একসাথে মিশিয়ে আমরা অনেক খায়। কালোজিরা ও মধু খেলে জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা
ব্যাথা এগুলো কিছুটা হলেও ভালো হয়।
তাছাড়া আমরা কালোজিরার তেল মধু সাথে মিশিয়ে দিনে কয়েক বার খেলে শরীরের জন্য
অনেক উপকারি।কালোজিরা আমরা আটার সাথে, বিস্কুট, নিমকি, রুটি, সিংগারা, বিভিন্ন
বেকারি খাদ্য ব্যবহার করে থাকে। তাতে করে খাবারের টেস্ট বাড়ে। এভাবে আমরা এই
নিয়মে কালোজিরা খেতে পারি।
কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
গ্যাস ছোট বড় সবার কাছে পরিচিতি খুঁজে পেছেয়ে। গ্যাসের সম্যসা নেই এমন মানুষ
খুঁজে পাওয়া বড় দায়। আমরা জীবন যাত্রায় চলতে ফিরতে নানান খাবার খায়। এতে গ্যাস
যেন বাসার ঘোরয়া রোগ হয়ে পড়েছে। কারো বাসাই গেলে কিছু পাওয়া যায় আর না যায়
গ্যাসের পাতা পাওয়া যাবে। গ্যাসের গাদা গাদা ঔষধ খেলেও গ্যাস যেন পিছুই ছাড়ে
না।
তাই আবারো কি কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয় টেনশন লেগেই থাকে। কালোজিরায় বা তেল
হ্রদরোগজনিত সম্যসার কমাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
শরীরের ত্বক হাড় ও মাংসপেশির ব্যথাসহ সকল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গ্যাস দূর
করে। তাই কালোজিরা খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভবনা নেই।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা কিন্তু ফসল ক্ষেতে উৎপাদন করা একটি প্রাকৃতিক ফসল। কালোজিরা একটি মসলা
জাতীয় ফসল। আমরা অনেকে ভাবিই না এই মসলাটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।
যাই হোক আমরা নিচে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে সুন্দর ভাবে
আলোচনা করা হল। আমরা কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখিনি।
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেঃ আমরা লক্ষ করলে দেখতে পাবো অনেক
সময় শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটতে সমস্যা হয়ে থাকে। এইসব সমস্যার কারণে
শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে শিশুরা মৃত্যুর মুখে পড়ে। তাই এইসব সকল সমস্যা
থেকে মুক্তির উপায় ২বছরের উপর সকল শিশু কে কালোজিরা খাওয়াতে পারেন।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেঃ আপনারা সবাই জানলে অবাক হয়ে হাঁ করে
তাকিয়ে থাকবেন। মনে হবে যেন এতো দিন কথাই ছিলাম কারণ কালোজিরা চিবিয়ে খাইলে
ডায়বেটিস কমানো সম্ভব । আপনি যদি আপনার রক্তের গ্লূকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে চান
তাহলে প্রতিদিন সকালে ওঠে এক চা চামচ কালোজিরা গরম পানিতে ভালো করে মিশিয়ে
খাইতে পারেন । অব্যশই খালি পেটে খাবেন। আর যদি আপনি লাল চা বা প্রতিদিন গরম
ভাতের কালোজিরা মিশিয়ে চিবিয়ে খাইতে পারেন তাহলে ডায়বেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ
হবে।
গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধের সমস্যায়ঃ কালোজিরা কে বলা হয় দুধের মহা
ঔষধ। আমরা যারা গ্রাম এলাকার মানুষ তারা অবশ্যই শুনে বা যেনে থাকবেন কালোজিরা
ব্যবহার কথা। তাছাড়া আগের মানুষ গাভীর দুধ বেশি হওয়ার জন্য গাভীকে কালোজিরা
ব্যবহার করতেন। তাই অনেক সময় মায়েদের যদি বুকের দুধ কম হয় তাহলে যেটা করতে
পারেন প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ৬ থেকে ১২গ্রাম কালোজিরা বেটে নিয়ে ভাতের সাথে বা
ভর্তা করে ১৫থেকে ২০ দিন খাইলে একজন মা বুঝতে পারবে কালোজিরার গুন।
সর্দি কাশি জ্বর নিরাময় করতেঃ আমরা অনেকেই সর্দি কাশি জ্বর নিয়মিত
রোগী। এগুলো থেকে কি ভাবে ভালো থাকা যায় আমরা চিন্তা করি । অনেক ঔষধ খেয়েও ভালো
করতে পারি না । তাই আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করবো কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার
মাধ্যমে কি ভাবে সামান্য এই অসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
আমরা রং চা বা মধুর সাথে কালোজিরার তেল ১চা চামচ মিশিয়ে নিয়ে দৈনিক ৩থেকে ৪বার
খেতে পারি।এবং কালোজিরার তেল এর সাথে তুলসি পাতা মিশিয়ে খাইতে পারি। কালোজিরার
তেল প্রতিদিন খাওয়ার পাশাপাশি শরীরে মাখতে হবে যতদিন রোগ ভালো না হয়।
দৈনিক কালোজিরা কি পরিমাণ খাওয়া উচিত
কালোজিরা তেল একজন সুস্থ সবল ব্যাক্তি দিনে হাফ থেকে এক চা চামচ খেতে পারে। সব
কিছু একটা নিদিষ্ট পরিমাণ থাকে তাই সেই পরিমাণের বাইরে খাওয়া উচিত না। প্রতিদিন
২ থেকে ৩ গ্রাম কালোজিরা খাওয়া যায়। এতে শরীরে অনেক উপকার হয়। ক্যান্সার ব্যতিত
সকল রোগের ঔষধ কালোজিরা। এটি মানুষের দেহে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে এবং দেহের
মধ্যে তৈরি হওয়া রোগ সারতে সাহায্য করে।
কালোজিরার ঔষধি গুন কি কি
কালোজিরা নানা রকম গুণ রয়েছে। কালোজিরে খাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর, বাতের
বেথা ইত্যাদি খুব সহজে ভালো হয়। কালোজিরা তেল শরীরে মালিশ করলে শরীরে বেথা
সর্দি কাশি খুব তাড়াতাড়ি সরাতে সাহায্য করে। কালোজিরা প্রতিদিন সকালে পানি সাথে
মিশিয়ে খায়লে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।রক্ত হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক থাকে
কালোজিরা তেল খেলে। কালোজিরা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ত্বকের উজ্জীবিত করে।
কালোজিরা তেল চুলের জন্য খুব কার্যকারী।এটি মাথায় দিলে চুলের গোড়া শক্ত করে।
পেটের সকল সমস্যার সমাধান কালোজিরা।কালোজিরা মধ্যে থাকা প্রোটিন, লিনোলিনিক,
এসিড, আয়রন, জিংক, কপার, গ্লুটামিক, অলিক ও স্টিয়ারিক ইত্যাদি। আরো অনেক উপাদান
থাকার ফলে এটি যে কোন রোগ সারতে খুব কাজ করে। ক্যান্সার ছাড়া সকল রোগের ঔষধ
কালোজিরা। কালোজিরা ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
কালোজিরা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধি করে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে তোলে। ছোট
বাচ্চা কালোজিরা তেল মালিশ করলে শরীর বৃদ্ধি পায় শারীরিক ও মানসিক ভাবে বেড়ে
উঠে। বাচ্চা হবার পর মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে কার্যকারী খাদ্য
কালোজিরা। কালোজিরা খাওয়া ফলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
কালোজিরা একটি ঔষধি যা প্রাচীন কালের মানুষ তাদের রোগ হলে ঔষধ বানিয়ে খেয়ে
সুস্থ হয়ে উঠত। রাতে কালোজিরা খেলে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চলন ঠিক থাকে এবং রক্তের
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পায়। শিশুদের রাতে কালোজিরা তেল মালিশ করলে তাদের শারীরিক ও
মানসিক বৃদ্ধি পায়। বাচ্চাদের শরীরে ব্যথা দূর করতে খুব কার্যকারী কালোজিরা
তেল। বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে কালোজিরা তেল বুকে মালিশ করলে আরাম পায়।
কালোজিরা ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার হয়। এটি প্রতিদিন রাতে খেলে নানা
রকম রোগ থেকে রেহায় পাবে।
খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারীতা
খালি পেটে কালোজিরা খায়লে হজম শক্তি বেড়ে যায়। সকালে কালোজিরা খেলে গ্যাসের
সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়া যায়। কালোজিরা মধ্যে থাকা ফ্যাটি এসিড শরীরে রোগ
প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং বুকের জালা পোড়া কমায় সকাল বেলা এক গ্লাস পানি
সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খায়লে শরীর জালাপোড়া কম হয়। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে জন্য
প্রতিদিন সকালে মধু সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খাওয়া ভালো। কালোজিরা খাওয়া দেহের
জন্য অনেক উপকারী যার ফলে শরীর থাকা নানা রোগ ধ্বংস করে দেয়।
টানা ৭ দিন দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
কালোজিরা ১ সপ্তাহ খেলে শরীরে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি হওয়া, স্তন্যদান কারী
মায়ের দুধ বৃদ্ধি পায় এবং বাতের বেথা কমায়, চুল পড়া বন্ধ হয়। কালোজিরা মধ্যে
থাকা উপাদান শরীরকে রোগ প্রতিরোধ করার উপযোগী করে তোলে। গ্যাসের সমস্যা, বুকের
জ্বালা পোড়া ও প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় নিয়মিত কালোজিরা। কালোজিরা শরীরকে রাখে
রোগমুক্ত।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
কালোজিরা অনেক উপকারী একটা উপাদান আমরা আগেই জেনেছি। কালজিরা একটা নিদিষ্ট
পরিমাণ খাওয়া উচিত তার বাইরে খাওয়া যাবেনা। হাফ থেকে এক চা চামচ কালজিরা তেল
প্রতিদিন খাওয়া যাবে। এর বেশি খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিটি জিনিসের ভালো দিক রয়েছে
আবার অতিরিক্ত খায়লে তার বিফলে যায়।কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
তাই কালোজিরা নিদিষ্ট হারে সেবন করতে হবে তাহলে কোন ক্ষতি হবেনা শরীরে।
ক্যান্সার ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ কালোজিরা।
কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভবতী নারীরা অনেক কিছু খাওয়া থেকে মানা থাকে তার মধ্যে কালজিরা তেল খাওয়া
যাবেনা এসময়। নবজাতক শিশু ও ২ বছরে নিচে বাচ্চাদের তেল খাওয়ানো যাবেনা। তবে
বাহ্যিকভাবে গায়ে মাখানো যাবে। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি আপনি আমাদের পুরো পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে আজকের আলোচ্য বিষয় কালোজিরা
খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই যদি আমাদের এই পোস্ট
ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। যাতে করে পরবর্তীতে
আপনি নতুন সব আর্টিকেল পাবলিশ হওয়ার সাথে সাথে পড়তে পারবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url