জমি খারিজ করার নিয়ম - জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
জমি খারিজ করার নিয়ম এবং জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে হইতো আপনি জানেন না। তাই
আপনি অনেক ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করছেন কিন্ত সঠিক তথ্য খুজে পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি
আমাদের এই আর্টিকেল পড়ুন কেননা আমরা এই আর্টিকেল মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিব জমি
খারিজ করার নিয়ম এবং জমি খারিজ করার পদ্ধিত সকল বিষয় গুলো। তাই কোথাও ঘুরাঘুরি না
করে আপনি আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
আপনি যদি এই আর্টিকেল একবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন
তাহলে আমি আশা করি আপনি জমি খারিজ করার নিয়ম এবং জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে
খুব সুন্দরভাবে জানতে এবং বুঝতে পারবেন। তাই চলুন বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে ঝটপট
করে জেনে নেওয়া যাক জমি খারিজ করার নিয়ম সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃজমি খারিজ করার নিয়ম - জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে
জানুন
ভূমিকাঃ জমি খারিজ করার নিয়ম - জমি খারিজ করার পদ্ধতি
আমি আপনি হইতো সকলে জানি নিজেদের সম্পত্তি থাকলে তা সময় মতো আমাদের খাজনা পরিশোধ
করতে হয়। ভূমি অফিসে সরকারি ভাবে জমি খারিজ করতে হয়। কিন্ত কিভাবে জমি খারিজ করে
তা হইতো আমাদের অনেকের অজানা। তাই আপনি যদি এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে
আপনি জমি খারিজ করার নিয়ম এবং জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এছাড়াও আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন জমি খারিজ ফ্রি ২০২৩ কত ও জমি খারিজ না করলে কি
হয়, জমি খারিজ করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন। অনেক সময় জমির দলিল একজনের নামে আর
রেকর্ড আরেকজনের নামে হলে কি করণীয় আবার জমির দলিল নাই কি করবেন সে সমস্ত
ব্যাপারে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে কিন্তু এই পোস্টটি আপনাকে শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ পড়তে হবে।
জমি খারিজ ফি ২০২৩
প্রিয় পাঠক আপনারা জানেন না অনেকেই বা জানতে চান জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে।
যখনই জমি খারিজ করার বিষয়ে আসে তখনই আমাদের মনে নানা রকমের চিন্তা আসে মনে হয়
অনেক টাকা খরচ হবে।আসলে এই চিন্তাটা ভুল জমি খারিজ করতে বেশি টাকা লাগে না। যদি
কেউ আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা নিতে চায় বলে বুঝবেন সে আপনার কাছ থেকে বেশি
নিচ্ছে। আজকে আপনাদের জানাবো জমি খারিজ করতে কত টাকা ফি লাগে।
আপনারা যদি জমি খারিজ করতে চান তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে
সেখান থেকে সকল তথ্য বলি পূরণ করে আবেদন করতে পারেন সকল ডকুমেন্ট স্ক্যান করে
দিতে হবে।আবেদন করার পরে আপনারা একটি কাগজ হাতে পাবেন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের
অধীনে ইউনিয়ন ভূমি পরিষদ থেকে আপনারা আরেকটি কাগজ সংগ্রহ করতে পারবেন।
যখন আপনাদের হাতের ডিসিআর খতিয়ান এবং অন্যান্য কাগজ চলে আসবে তখন আপনারা টাকা
প্রদান করে জমি খারিজ করতে পারবেন এবং আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। সর্বশেষ গেজেট
অনুসারে জমি খারিজ করতে মোট ১১৫০ টাকা লাগে। কোন ক্ষেত্রে কত টাকা লাগে তা
land.gov.bd এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া আপনারা যখন জমি
খারিজ করে ফেলবেন তখন খারিজ কৃত কাগজের উপরে 20 টাকা দামের কপি লাগিয়ে দেওয়া
হবে।
আরো পড়ুনঃ বয়স্ক ভাতা আবেদনের শেষ তারিখ ২০২৩
অর্থাৎ অফিসিয়াল ভাবে আপনাদের মোট ১১৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। তাছাড়া অনলাইনে
খরচ এবং ও সামান্য কিছু খরচ হতে পারে। তবে আপনারা এই সকল কাজ যদি মুহুরী অথবা
দালাল মারফত করে থাকেন তাহলে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। অনেক সময় দালাল বা মহরি
কাজ করে দেয় না এবং দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে এবং টাকা বেশি নিয়ে থাকে।
জমি খারিজ না করলে কি হয়
আমরা যখন জমি ক্রয় করি তখন জমি খারিজ আছে কিনা তা জেনে নেওয়া দরকার। জমি খারিজ
না থাকলে নানা রকমের সমস্যায় পড়তে হয়। জমি ক্রয় করার পরে যেমন বিক্রয়ের কাছ
থেকে আমাদের দলিল রেজিস্ট্রি করে নিতে হয় তবেই জমির মালিকানা প্রথম ধাপ সম্পন্ন
হয়।
কিন্তু দলিল রেজিস্ট্রি করার পর সেই মূল দলিল যদি সঙ্গে সঙ্গে না পায় তাহলে
সার্টিফিকেট কপি অর্থাৎ দলিলের সার্টিফিকেট কপি নিয়ে আমাদের যত দ্রুত সম্ভব পারা
যায় জমি খারিজের বিষয়টি করে ফেলতে হয়। তা না হলে জমি যতই নিজের দখলে থাকুক না
কেন পরবর্তীতে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই জমির মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে।
তাই কয় সূত্রে হোক বা পৈতৃক সূত্রে বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যাক না কেন জমি
যখন নিজের হস্তগত হয় তখন অবশ্যই সেই জমির নাম জারি সম্পূর্ণ করতে হয়। আর এই নাম
জারি সম্পূর্ণ করা হলে জমি নিজের হয় বলে মনে করা হচ্ছে। এই নাম জারি ছাড়া
অর্থাৎ খারিষ্ট করা ছাড়া জমি নিজের বলে দাবি করলেও সম্পূর্ণ মালিকানা আসতে পারে
না।
কারণ জমি খারিজ না হলে আসল মালিক আবার দেখা যাচ্ছে যে তার জমি রয়েছে তা চাইতে
বেশি পরিমাণ জমি বিক্রি করে দিতে পারে বা এই সূত্রে জমি যেহেতু তার নামে এখনও
রয়েছে এই কারণে সে জমির দ্বিতীয়বার বিক্রয় করতেও পারে। তাই জমি খারিজ করা
সবচেয়ে বেশি জরুরি।
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন
মানুষ কোন না কোন উপায় বিভিন্ন ধরনের সম্পদ কিনে থাকে জমি খারিজ করার জন্য কি কি
কাগজ প্রয়োজন আজকে সেই বিষয় নিয়েই আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। অনেকেই জানেন
না জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে কখন করতে হয় সেই সকল বিষয় নিয়ে আজকে
বিস্তারিত আলোচনা করব।
রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে কোন জমি পূর্বের মালিকের নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে যিনি
মালিক হবেন বা নতুন মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে জমি খারিজ করা বলা
হয়। অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের কোন সদস্য তার ব্যক্তিগত জমি বা সম্পত্তি অন্য
কোন ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দিতে চাচ্ছে। যখন অন্য কোন ব্যক্তির নিকট জমিয়ে
হস্তান্তর হয় তখন অবশ্যই মালিকানা পরিবর্তন করতে হয়।
জমি খারিজ করতে যে সকল কাগজ পাতি লাগে তা নিচে বলা হলো -
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- নির্দিষ্ট এক কপি ছবি
- ডকুমেন্টস অথবা দলিল পত্র
- খতিয়ানের ফটোকপি
- ব্যক্তিগত স্বাক্ষর
- জমি উন্নয়ন কর পরিষদ কপি
এ সকল ডকুমেন্ট নিয়ে গেলেই জমি খারিজ সকল কাজে লাগে। এসকল তথ্য দেওয়া লাগবে জমি
খারিজ করার সময়।
জমির দলিল একজনের নামে আর রেকর্ড আরেকজনের নামে হলে কি করণীয়
আমরা বেশিরভাগ সময়েই এই সমস্যার মধ্যে পরি জমির দলিল একজনের নামে আর রেকর্ড
আরেকজনের নামে হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। জমির দলিল হল একটি আইনি দলিল বা
দলিল কাগজ যা জমির মালিকানার মালিকানা প্রমাণ করে। এটি জমির অবস্থান আয়তন সীমা
মালিকানার নাম এবং অন্যান্য বিবরণী উল্লেখ করে।
জমির দলিল হল একটি আইনি দলিল যা নির্ধারিত করে থাকে যে জমি কারে কারের
মালিকানাধীন রয়েছে এবং এর ওপর বধির সম্পত্তির অধিকার উভয়ই রয়েছে। অন্যদিকে
জমির রেকর্ড হলো জমি সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ বা তথ্যের সংগ্রহ স্থল। এটি জমির
মালিকানা, তারিখ, মালিকের নাম এবং অন্যান্য বিবরণী গুলির ধারণ করে।
জমির রেকর্ড একটি প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় যেন জমির
মালিকানাধীন রাখা যায় এবং সংগ্রহকৃত তথ্য পরিচালনা করা যায়। জমির দলিল একজনের
নামে আর রেকর্ড আরেকজনের নামে হলে কি করনীয় আইনি গত পদক্ষেপ সমূহ। যদি জমির দলিল
একজনের নামে আর রেকর্ড আরেকজনের নামে হয় তবে লিখিত আইনিগত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আইনগত প্রক্রিয়া :প্রথমে কেউ যদি জমির দলিল একজনের নামে আর রেকর্ড আরেকজনের নামে
হয় তাহলে সর্বপ্রথম জমির মালিকানা ও রেকর্ড সংগ্রহকারী ব্যক্তিদের মধ্যে সংযোগ
স্থাপন করা উচিত।এটা আপনাকে আইনিগত প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করবে। ন্যায়
বিচারকের সামনে এই সমস্যার তথ্য উপস্থাপন করতে পারেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য
আইনে কত প্রাপ্ত নিতে হবে
অনুমান সমূহ সম্পর্কে আলোচনা :যার সম্পদের অবস্থান সম্পর্কে যদি কোন সন্দেহ থাকে
তবে অনুমান সমূহ সম্পর্কে বিচারকের সামনে আলোচনা করতে হবে।যে পথের বিচারক আপনার
পক্ষে নিষ্পত্তি দেবেন সেই পক্ষে প্রমাণ সাদা করতে পারেন। এটি জমির দলিলের
মালিকানা প্রমাণ ও রেকর্ডের বৈধতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
আইনিগত নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া: জমির দলিল একজনের নামে আর রেকর্ড
আরেকজনের নামে হলে আইনিগত নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। যার একটি
আহ্নিগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালিকানাধীন দলিলের প্রমাণ ও সংরক্ষণ করতে পারেন। এ
সকল বিষয় একজন উকিলের মাধ্যম দিয়ে আইনি নিষ্পত্তি আনতে পারেন।
আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ: যখন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন যেন জমির দলিল
বিধিমালার মাধ্যমে সঠিকভাবে সংরক্ষিত থাকে। এছাড়াও যদি আপনি প্রতিষ্ঠিত নিয়ম
অনুসরণ করে যেমন জমির দলিলের উপর মালিকানাধীন রেকর্ড মেলানোর সময় প্রয়োজনীয়
দলিলপত্র গুলি উপস্থাপন করা হয় তাহলে আপনি আইনগতভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন
এবং আপনার জমি আপনি ফিরে পাবেন।
জমি খারিজ করার নিয়ম
আমরা অনেকেই এখনো জানিনা জমি খারিজ কিভাবে করতে হয় এইজন্য আমরা নানা রকম
বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ি যখন জমি খারিজ করতে যায়। আজকে আপনাদের সকল চিন্তা দূর
করে দিব জমি খারিজ করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের আজকে বিস্তারিত জানাবো। চলুন জেনে
আসি কিভাবে জমি খারিজ করতে হয় কত টাকা খরচ হয় এবং কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আমরা
তুমি খারিজ করব।
রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে কোন জমি পূর্বের মালিকের নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে যিনি
মালিক হবেন বা নতুন মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে জমি খারিজ করা বলা
হয়। এখন অনলাইনের মাধ্যমে যেহেতু নাম জারি নিজেই ঘরে বসে করা সম্ভব তাই কোন
দালাল বা মোহরীর মাধ্যমে না করে নিজেই বাসায় বসে কম্পিউটার ল্যাপটপের মাধ্যমে
ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সহজে আমরা বাসায় বসেই আবেদন করতে পারব জমি খারিজ
করার।
এই নাম যদি আবেদন করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি যে সকল লাগবে :
- ছবি
- জমির দলিল
- স্বাক্ষর এর ছবি
- ক্রয় কি তো জমি/ প্রাপ্ত জমির সর্বশেষ খতিয়ান
- জাতীয় পরিচয় পত্র
এ সকল তথ্য দিয়ে আপনি প্রথমে google chrome মাজিলা ব্রাউজার থেকে নিচের লিঙ্কে
ক্লিক করে পেজটি ওপেন করুন। এই নাম যারই আবেদনের জন্য ক্লিক করুন। ক্রয় সূত্রে
বা হেবা দলিলের জন্য।
সেখানে যা যা তথ্য চাইবে সেই সকল তথ্য পুরন করে দিন।
আরো পড়ুনঃ ব্যবসা চক্রের ধাপ কয়টি
আবেদন পূরণ করার পর মনে রাখতে হবে আপনি নিজে বা অন্য কারোর প্রতিনিধি হিসেবে করলে
তাহলে উপরের ছবিগুলো বৃত্ত ঘর সকল ফরম পূরণ করতে হবে। সবশেষ দাখিল বাটনে ক্লিক
করে আবেদনটি সাবমিট করে দিতে হবে। আপনাকে একটি আইডি নাম্বার দেওয়া হবে যেটা আপনি
নিজের কাছে রাখতে পারেন।
জমির দলিল নাই কি করবেন
আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে আরেকটি সমস্যা হল আমাদের জমির দলিল হারিয়ে
যাওয়া বা জমির দলিল নাই তখন কি করা দরকার এই মূল্যবান কাগজপত্র যদি হারিয়ে যায়
বা না থাকে তাহলে। আমাদের আজকের আলোচনা জমির দলিল নাই তখন কি করবেন। জমির দলিল
হারানোর সাথে সাথে একটি পরিবার তার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার হারানো শিকার হয়।
জমির দলিল যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে জমির দলিল মিস তোর জমির মালিকানা মিস হবে
আপনার জমির দলিল রয়েছে দখল নাই। আপনি উচ্ছেদ বা দখল পূর্ণরূপের জন্য মামলা করতে
পারবেন এবং দখল আছে কিন্তু জমির দলিল নেই সে ক্ষেত্রে আপনাকে জমির দলিল প্রস্তুত
করতে হবে।
জমির মালিকানা প্রমাণ করার জন্য জমির দলিল এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এটা না থাকলে
আপনার জমি আপনি হাটাতে পারেন। জমির দলিল হারানো ব্যক্তি নিজের মালিকানা প্রমাণ
করা থেকে শুরু করে জমির খতিয়ান প্রস্তুত দখল নির্ধারণ থেকে শুরু করে জমি বিক্রির
ক্ষেত্রেও জমির দলিলের অভাবে সবকিছু থেকে বঞ্চিত হবে। যারা দলিল হারিয়ে
বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে তারা বা অনেক সময় বিপদে পড়ে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে
দিনের পর দিন হয়রানি শিকার হয়।
জমির দলিল হারিয়ে গেলে দলিল হারিয়ে গেছে এই কথাটি কাউকে না বলে দলিলটা প্রস্তুত
করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রসহ আরো অন্যান্য কিছু কাগজপত্র
রয়েছে যেগুলো হারিয়ে গেলে উত্তোলনের জন্য আপনাকে থানায় জিডি করতে হয়। তবে
জমির দলিল হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করা যায় না।
জমির দলিল তুলতে হলে আপনাকে রেজিস্ট্রি করা থাকলে জমি উপজেলা সব রেজিস্ট্রি অফিসে
যোগাযোগ করতে হবে। আপনার জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রি করার দলিল সম্পাদন নিজের ঘরে বসে
বা কোন দলের লেখকের অফিসে বসেও করা যায়। আপনি এক উপজেলা অবস্থান করে অন্য উপজেলা
হস্তান্তর করলে রেজিস্ট্রেশন কিন্তু করতে হবে জমি যে উপজেলা বা যে উপজেলা সাব
রেজিস্টার।
আরো পড়ুনঃ
জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করার উপায়
জমির রেজিস্টার অফিস থেকে তথ্য নিতে হবে এবং সেই দলিল আপনি সেই সব রেজিস্টার
অফিসে গিয়ে তল্লাশি দিলেই পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি নিজে উপজেলা সাব রেজিস্টার
অফিসে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানান আপনার দলিল হারিয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে তারা
তল্লাশি করে আপনাকে নতুন দলিল প্রদান করতে পারে।
জমি খারিজ করার পদ্ধতি
এখন জমি খারিজ করার জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি অনলাইনের মাধ্যমে জমি খারিজ করা
হচ্ছে। আপনি হয়তো অনলাইনের মাধ্যমে জমি খারিজ করার পদ্ধতিতে জানেন না। আজকে আপনি
আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে জমি খারিজ করা
যাচ্ছে। খুব সহজেই ঘরে বসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে
আপনারা জমি খারিজ করতে পারবেন।
জমি খারিজ করার এই পদ্ধতিটি হল গুগলে ই নামজারি আবেদন লিখে সার্চ করলেই পেয়ে
যাবেন জমি খারিজ করার পত্র। অনলাইনে জমি খারিজ করার পদ্ধতিকে ভূমি সংক্রান্ত
ভাষায় ই-নামজারি, জমি খারিজ, মিউটেশন বলা হয়। চলুন জেনে আসি অনলাইনে জমি খারিজ
করতে কি কি তথ্য দিতে হবে।
- আবেদনকারী সদ্য তোলা ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- আবেদনকারী স্বাক্ষরের ছবি
- ওয়ারিশ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- জমি কা করার দলিল
- সর্বশেষ খতিয়ান (ক্রয়কৃত জমির খতিয়ান)
জমি খারিজ করার নিয়ম :অনলাইনে জমি খারিজ করতে গেলে এই সকল উপরের কাগজ পাতিকে
স্পষ্টভাবে স্ক্যান করে সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তীতে স্ক্যান কৃত কাগজ পাতি
অনলাইনে ই- নামজারি আবেদনের নির্ধারিত স্থানে আপলোড করে দিতে হবে। ফাইলগুলো
অবশ্যই জেপিজি পিডিএফ ফাইল আকারে সংরক্ষণ করতে হবে না হলে আপলোড হবে না। এই নাম
জারিতে সকল তথ্য পূরণ করে আবেদন ফর্ম টি পূরণ করে সাবমিট করে দিতে হবে।
জমির খারিজ বাতিল করার নিয়ম
অনেক ক্ষেত্রে জমির খালির বাতিল করতে হয় সেই নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। বিভিন্ন
রকম টেনশন বা চিন্তায় পড়তে হয় যে কিভাবে জমির খারিজ বাতিল করব। জমির খারিজ
বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। জমি বিক্রির পর
জমির মালিক যখন পরপর দুইটি জাহাজ দুইটি দলিল তৈরি হয়ে যায় তখন জমির ছাড়িয়ে
দুইজনের নামে হয়ে যাওয়ার ফলে এই বিভ্রান্তি শিকার হয়।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া
জমির খারিজ বাতিল করার জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এসিল্যান্ড তার
প্রদত্ত নাম জারি খতিয়ান নিজ উদ্যোগ বা কারো আবেদনের প্রেক্ষিতে বাতিল করে দিতে
পারেন। এটিকে এসিল্যান্ড কর্তৃক রিভিউ বলা হয়। এ ধরনের আবেদন কে মিস মামলা বলা
হয়। এক্ষেত্রে একজন ভূমি আইনজীবীর প্রয়োজন হতে পারে।
- প্রথমে আপনাকে দরখাস্ত দাখিল করতে হবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড অফিস বা ভূমি অফিসে নামজারি খতিয়ান বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। কচি ২০ টাকা দিয়ে বাদী বিবাদীর নাম তফসিলভুক্ত সম্পত্তির বর্ণনা এবং নামজারীর ফলে আপনার কি স্বার্থ ক্ষুর্ণ হয়েছে এবং কিভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে আবেদন পত্রে লিখে জমা দিতে হবে।
- আবেদন পত্র দেখে এসিলেন্ট যদি আবেদন পত্রিক গ্রহণ করে তাহলে তিনি বিবাদী বরাবর নোটিশ পাঠাবেন। পরবর্তীতে অনেক তারিখে বিরোধী ও সম্পত্তির পক্ষে দলিল পত্র নিয়ে হাজির করার জন্য অবশ্য তাম্বির বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হবেন। আবেদন গ্রহণ করলে একটি নাম্বার দিবেন যাকে মিসকিন নাম্বার বলে।
- উভয় পক্ষের পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এসিল্যান্ড পত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন।
- এসিল্যান্ড উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনার পর প্রয়োজন মনে করলে সার্ভেয়ার জমির মালিকানার বিষয়ে সরে জমিনে গিয়ে তদন্ত করবেন।
- তাহসিলদার সরো জমিনে তদন্ত করে এসিল্যান্ড অফিসে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন।
- এরপর আবার রিপোর্ট হাতে পেয়ে এসিল্যান্ড উভয় পক্ষের সাথে বসে বক্তব্য শোনাবেন।
- উনার সোনালী শেষে তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এসিলেন্ট রায় ঘোষণা করবেন। যদি প্রথম মালিকের পক্ষে নামজারি আসে তাহলে পরের মালিকের পক্ষের নামজারি বাতিল করে প্রথম মালিকের নাম জারি করার সুযোগ দেওয়া হবে।
শেষ কথাঃ জমি খারিজ করার নিয়ম - জমি খারিজ করার পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক নিশ্চয়ই এই আর্টিকেল আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে জানতে এবং বুঝতে
পেরছেন। জমি খারিজ করার নিয়ম এবং জমি খারিজ করার পদ্ধতি ব্যাপারে। চাইলে আপনি
বাসাই বসে অনলাইনে জমি খারিজ করতে পারবেন অনলাইনে জমি খারিজ কিভাবে করবেন তা
জানতে আরো পড়ূন সেকশন থেকে অনলাইন জমি খারিজ নিয়ম পড়ে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম
নিশ্চয়ই এই আর্টিকেল আপনার অনেক উপকারে আসবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এতক্ষন
সময় আমাদের সাথে থাকার জন্য। আপনার যদি আমাদের এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবে। আজ এই পর্যন্ত আবারো কথা হবে অন্য কোন
টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url