ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস কেন হয়
ডায়বেটিস শরীরের এমন একটা রোগ যা আমাদের শরীরের নিজে থেকে ইন্সুলিন তৈরি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যার ফলে আমাদের শরীরের রক্তে থাকা শর্করার মাত্রা বা গুলকোজের মাত্রা সাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। ইন্সুলিন আমাদের শরীরে শর্করা প্রবেশে সহায়তা করে।ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও ডায়াবেটিস কেন হয় বিস্তারিত জানুন আমাদের আর্টিকেল পড়ে। তাই ডায়াবেটিস রোগ কেন ও ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কি হওয়া দরকার সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের জন্য সহজ উপায়ে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়াবেটিস কেন হয় ও ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সুন্দরভাবে আলোচনা করে
হয়েছে। তাই আপনাকে সুন্দর ভাবে পড়ার অনুরোধ রইলো। তাইলে আপনি আপনার ডায়বেটিস থেকে
রক্ষা পাওয়ার উপায় গুলো জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস কেন হয়
ভূমিকা ঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস কেন হয়
যাদের শরীরের ইন্সুলিন কমে যায় আর যদি শরীরে ইন্সুলিন না দেওয়া হয় তাহলে সে রোগী
মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। ডায়বেটিস আমাদের শরীরে সাধারণত চার প্রকার হয়ে
থাকে।ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি কি আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে। আমরা যখন কোন খাবার খায়
তখন শর্করার মাত্রা থেকে ইন্সুলিন নিঃসৃত হতে থাকে । ইন্সুলিন কাজ হল আমাদের
শরীরের গুলোকজের মাত্রা কমিয়ে আনা।
ইন্সুলিন পরিমাণ কমে যায় বা যখন ইন্সুলিন তৈরি হয় আর যখন ইন্সুলিন আমাদের শরীরে
কাজ করতে পারে না তাকেই ডায়বেটিস বলে। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও ডায়াবেটিস
কেন হয় আমরা এই আর্টিকেল মাধ্যমে সহজ উপায়ে ডায়বেটিস দ্রুত ভালো করার নিয়ম গুলো
জানবো। চলুন আর দেরি না করে এখনি জেনে আসি।
ডায়বেটিস লক্ষণসমূহ কি কি
- ডায়বেটিস হয়েছে এটা বোঝার প্রধান লক্ষণ রোগীর ঘন ঘন প্রসাব হওয়া।
- চিনিযুক্ত বা মিষ্টি খাবার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
- শরীর দূবল হয়ে পড়ে ডায়বেটিস রোগীর।
- ওজন কমে যায়।
- চোখে কম দেখতে পায় ডায়বেটিস হওয়ার ফলে।
- সকল খাদ্য প্রতি আকর্ষণ বেশি হয়।
- শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে তা সহজে সুকায় না ঠিক হতে সময় লাগে।
- নিয়ম মত খাবার না পায়লে হায়পো হয়ে উঠে।
- শরীরে চুলকায়, পানি কমে যায় ও শরীর খসখসে হয়ে পড়ে।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ও অল্প কথায় বিরক্ত হয়।
- পানি পিপাসা বেড়ে যায় গা হাত জ্বালা-পোড়া করে পানি কমে যায় সেই জন্য।
এসকল ডায়াবেটিস লক্ষণ দেখলে সাথে সাথে ডায়বেটিস পরিক্ষা করতে হবে। ডায়বেটিস ধরা
পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়াট চার্ট বানিয়ে সেই নিয়ম মত খাবার খেতে হবে।
তাহলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা বানিয়ে খাবার
খাওয়া অপরিহার্য। ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি কি জানতে পারলাম।
ডায়বেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়বেটিস এমন এক রোগ যার কোন ঔষধ এখনো তৈরি হয়নি। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়
খাবার খাওয়া মেনে ও নিয়ম মত জীবন-যাপন করে। ডায়বেটিস রোগী সকাল দুপুর রাতে যেসকল
খাদ্য খেতে পারবেন তা জেনে আসি। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা বানিয়ে খাওয়া ছাড়া
উপায় নেই। ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি কি জানার পর খাদ্য তালিকা বানিয়ে খাবার
খেতে হবে।
সকাল: সকালে উঠে হাঁটতে যেতে হবে পানি বোতল নিয়ে পানি পান করতে হবে।
তারপর নাস্তায় রুটি, সবজি ভাজি, চিনি ছাড়া চা, সুগার ফ্রি বিস্কুট ইত্যাদি খেতে
পারবেন।
টিফিন: যেহেতু সকালে তেমন পেট পুরে খাবার খেতে পারবেন না দুটো থেকে
তিনটা রুটির বেশি তাই ১১ সময় একটু হালকা নাস্তা করতে পারবেন। সেসময় বিস্কুট,
পাউরুটি, যে কোন ফল কম মিষ্টি যুক্ত খেতে পারবেন।
দুপুর : দুপুরে খাবার ভাত খেতে পারবেন তবে ভাত থেকে সবজি বেশি খেতে
হবে। ভাত কম খেতে হবে শর্করা পরিমাণ বেশি থাকে চালে।
বিকাল: বিকালে হালকা নাস্তা খেতে পারবেন। নাস্তা চা বিস্কুট, ফল,
মুড়ি, চিড়া এসব খাওয়া যাবে।
রাত: রাতের খাবারে আবার রুটি তরকারি খেতে পারবেন তবে ভাত খাওয়া
যাবেনা। একবার বেশি ভাত খাওয়া যাবেনা।
ডায়বেটিস রোগীকে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি
নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য দিনে দুইবার রুটি ও একবার ভাত খেতে পারবেন। আর মিষ্টি জাতীয়
সকল খাদ্য পরিহার করতে হবে।
ডায়বেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় ফল
ডায়বেটিস এমন একটি রোগ যেখানে মিষ্টি খাবার খাওয়া একদম নিষিদ্ধ। যার ফলে মিষ্টি
খাবার সুক্রোজ জাতীয় খাবার না খেয়ে ফ্রুক্টোজ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে। এই
ফ্রুক্টোজ ফল মধ্যে থাকা এসিড।যেসকল ফল খাওয়া যাবে তার মধ্যে আপেল, কমলা, টক
আঙুর, মাল্টা, পেঁপে, পিয়ারা, আনারস, তরমুজ, ব্লুবেরি, নাসপাতি ইত্যাদি ফল খাওয়া
যাবে। ফলে মিষ্টি খেলে শরীরের তেমন সমস্যা হয়না। চলুন একবার জেনে নেওয়া যাক
ডায়বেটিস রোগী কোন ফল খেতে পারে।
- আনারস: আমরা জানি আনারস প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। এটি শরীর জন্য খুব ভালো। আনারস একটু টক মিষ্টি হওয়ায় এটি খেলে ডায়বেটিস কোন সমস্যা হয়না। আনারস খেলে সুগার বৃদ্ধি পায়না এ জন্য ডায়বেটিস রোগীরা আনারস খেতে পারবেন।
- আঙ্গুর: আঙ্গুর ও টক মিষ্টি ফল এটি খেলে শরীরে অনেক উপকার হয়। এটার ভিটামিন শরীরে নানা সমস্যা সমাধান করে। তাই আঙ্গুর খেলে ডায়বেটিস কোন সমস্যা হয়না খুব সহজে এটি খেতে পারেন।
- পেয়ারা: এটি আমাদের দেশীয় ফল হওয়ায় এটি খুব সহজে পাওয়া যায়। পেয়ারা খাওয়ার ফলে দাঁত ও হাড়ের সমস্যা হয়না কারণ পেয়ারা মধ্যে থাকা ভিটামিন-সি আমাদের শরীরে অনেক রোগ দূরে করে থাকে। ভিটামিন-সি দাঁতের ও মাড়ি সমস্যা খুব সহজে দূর করে। এটি খেলে শরীরের উপকার এবং ডায়বেটিস কোন সমস্যা হয়না।
- পেঁপে: আমাদের দেশে উৎপাদন হয় যেসকল ফল সেসব খেলে আমাদের শরীরে জন্য অনেক ভালো। এসব ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে। পেঁপে মধ্যে থাকা ভিটামিন কোন সমস্যা তৈরি করে না বরং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে তরকারি ও কাঁচা পাকা পেঁপে শরীরের জন্য উপকারী।
- ব্লুবেরি: এই ফল থেকে পাওয়া ভিটামিন শরীর রোগ প্রতিরোধ করবে এবং ডায়বেটিস কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না। যে সকল ফল অতিরিক্ত মিষ্টি বা সুগার বেশি থাকে সেসব কম খাওয়া ভালো। তবে ব্লাক বেরি, ব্লুবেরি, চেরি এসব সমস্যা হয়না।
ডায়বেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় সবজি
ডায়বেটিস রোগীরা অনেক খাদ্য খাওয়া থেকে মানা করা হয়। কারণ ডায়বেটিস এমন একটি রোগ
যার নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয় সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য কিন্তু এই রোগ কখনো ভালো হয়না।
তাই নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে ডায়বেটিসকে কন্ট্রোল রাখতে হবে। এটিকে কন্ট্রোল
করার জন্য খাদ্য তালিকা, নিয়ম শৃঙ্খলা মানা, সময়ানুবর্তিতা ও ব্যায়ম করা খুব
জরুরি।
এখন ডায়বেটিস এমন একটি রোগ হয়ে গেছে সকল পরিবারের এক জন দু জনের ডায়বেটিস আছে।
এখন শুধু বৃদ্ধ ডায়বেটিস হয় এমন না যুগ সাথে রোগ ও পাল্টে গেছে এখন ছোট বাচ্চার ও
ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে। এজন্য সঠিক খাদ্য খাওয়া জরুরি। চলুন এক নজরে জেনে আসি
ডায়বেটিস হলে যে সকল সবজি খাওয়া যায়।
- পেঁপে
- পালংশাক
- বিটরুট
- ফুলকপি/ বাঁধা কপি
- মুলা
- লাল শাক / সবুজ শাক
- লাউ/ চাল কুমড়া
- করলা
- মটরশুঁটি
এসকল সবজি ডায়বেটিস রোগীরা খেতে পারেন ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য
করে।তেঁতো সবজি খেলে তাড়াতাড়ি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডায়বেটিস রোগী কি খেজুর খেতে পারবেন
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জন্য সকল মিষ্টি খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। তবে খেজুর থাকা
মিষ্টি শরীরের ক্ষতি করে না। খেজুরে থাকা ভিটামিন শরীরকে রোগ প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে। খেজুর খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি খেজুর
খাওয়া যাবে একজন ডায়াবেটিস রোগীর।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে অনেক সময় শরীর সুগার নিল হয়ে যায় সেজন্য প্রতিদিন
অন্য সকল খাদ্য পাশাপাশি খেজুর খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং নিল ও হয়না।
খেজুর সকল রোগের ঔষধ। প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খেলে অনেক রোগ হবেনা। শরীর সুস্থ
রাখতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেজুর কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
ডায়বেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার
ডায়বেটিস হলে সেই রুগীকে অনেক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। করতে হবে তাহলে
কোন খাবার খাওয়া যাবেনা সেটা বুঝতে পারবে। কারণ সুগার জাতীয় সকল খাদ্য তাদের
খাওয়া মানা। তাই আগে তাদের একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করে নেওয়া প্রয়োজন।
খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে আবার সুগার বৃদ্ধি হয় সে সকল খাবার খাওয়া
যাবেনা। তাদের মিষ্টি জাতীয় সকল খাবার খাওয়া যাবেনা। যেমন: চিনি, গুড়, খেজুরে রস,
আখের রস, আলু, মিষ্টি জ্যাম, জেলি, মিষ্টি বিস্কুট, চকলেট, মিষ্টি ইত্যাদি খাবার
খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা জেনে নিন
যে সকল খাদ্য মধ্যে শর্করা, সুক্রোজ পরিমাণ বেশি সেসকল খাদ্য খাওয়া যাবেনা ।
এসকল খাদ্য খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেড়ে যাবে এবং শরীর খারাপ হয়ে
পড়বে। যেহেতু ডায়বেটিস এমন রোগ যার ঔষধ এখনো কেউ তৈরি করতে পারেনি তাই এটাকে
নিয়ন্ত্রণে রাখা এক মাত্র উপায় সুস্থ থাকার ।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করার উপায়
ডায়বেটিস এমন এক রোগ যাকে একমাত্র নিজের খাদ্য খাওয়া দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা
সম্ভব। খাবার সঠিক ডায়েট চার্ট, ব্যায়ম/ মেডিটেশন, নিয়ম/শৃঙ্খলা জীবন যাপন
করা।এই তিনটি মেনে চললে খুব দ্রুত ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা যায়। ডায়বেটিস
রোগের কোন চিকিৎসা নাই এটার একটা চিকিৎসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধান কাজ খাবার খাওয়া মেনে চলা। ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে করার জন্য ডায়াবেটিস রোগী খাবার তালিকা করা উচিত।সকল মিষ্টি খাবার
পরিহার করতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে যেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে
হবে। ব্যায়াম ও মেডিটেশন করতে হবে এতে শরীর মন দুটো ভালো থাকে। সময় মত খাবার
খেতে হবে এবং ঘুমাতে হবে। নিয়ম শৃঙ্খলা মধ্যে জীবন- যাপন করলে ডায়বেটিস খুব
দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
ডায়বেটিস কমানোর জন্য কি কি খাওয়া উচিত
ডায়বেটিস রোগের কোন ঔষধ নাই তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় এমন খাবার খাওয়া
যা খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মিষ্টি জাতীয় নয় সেসকল খাবার খাওয়া যাবে।
করলা, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা কলা, লাউ, পালংশাক, মটরশুঁটি, লালশাক/ সবুহ শাক
ইত্যাদি সবজি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করবে এবং রোগ
প্রতিধোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে কিন্তু পরিমাণ মত এর বেশি খাওয়া যাবেনা।
প্রতিদিন নিয়মিত দুইবেলা রুটি খেতে হবে। ভাত একবার বেশি খাওয়া যাবেনা। তাহলে
ডায়বেটিশ কমে যাবে। সবুজ ও টাটকা মৌসুমি ফল খেতে হবে কম মিষ্টির। ডায়াবেটিস
রোগী খাবার তালিকা বানিয়ে খাবার দিতে হবে।
ডায়বেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
শরীরে রক্তে যখন অতিমাত্রায় গ্লুকোজ বেড়ে যায় এবং তা ভাঙে রক্তের সাথে মিশতে
পারেনা তখন হয় ডায়বেটিস। বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া ফলে ডায়াবেটিস হয়। এই
ডায়বেটিস রক্তে সুগার পরিমাণ বেশি হবার ফলে হয়। ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ না
রাখতে পারলে অনেক সময় মৃত্যু হয়ে যায় রোগীর। ডায়বেটিসের কোন ঔষধ নাই তাই
এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে একমাত্র উপায়। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে শরীর
সুস্থ থাকবে।
- ডায়বেটিস বেশি বেড়ে গেলে ব্রেন স্টোক করে।
- শরীরে অতিরিক্ত সুগার বেড়ে গেলে কিডনি সমস্যা হয় অনেক সময় কিডনি নষ্ট হয়ে য়ায়।
- অতিরিক্ত ডায়বেটিস ফলে চোখ কানা হয়ে যায়।
- ডায়বেটিস ফলে হার্টের সমস্যা হয় এবং হার্ট অ্যাটাক করে।
- ডায়বেটিস বেশি হলে মাঝে মাঝে ব্রেন সমস্যা দেখা দেয়।
ডায়বেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
ডায়বেটিস রোগীকে সব সময় খাবার খাওয়া সময় গ্লুকোজ ছাড়া খাবার নির্বাচন করতে
হবে। একটা ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিতে হবে। খাবার খাওয়া সাবধানতা রাখতে হবে
যেন ডায়বেটিস বেড়ে না যায়। ডায়বেটিস রোগীকে ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকায়
রাখতে হবে। ফাইবার সহজে গ্লুকোজ পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। তাই এই খাবার ডায়বেটিস
রোগী জন্য খুব ভালো।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেগুলো শাক সবজি ও তাজা মৌসুমি ফল খেতে হবে। যেমন: আপেল,
নাসপাতি, স্ট্রোবেরি, গাজর, অ্যাভোকাডো, কলা, ব্রকলি,শিম ইত্যাদি খেতে
পারবেন।তবে বীজ শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে তাহলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে
থাকে।ডায়াবেটিস যেহেতু কোন ঔষধ আবিষ্কার হয়নি তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জন্য
সঠিক খাদ্য অভ্যাস করতে হবে।
নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে মন ও শরীর ভালো থাকবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে
যেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিজেকে একটু
কষ্ট করতে হবে। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে। তাই খুব সহজে
প্রাকৃতিক ভাবে উপরে সকল কাজ করে ডায়াবেটিস কমানো যাবে।
পরিশেষ মন্তব্যঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস কেন হয়
শরীর ও মন দুটো থাকুক সুস্থ ও প্রফুল্ল। এটি কামনা। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য
তালিকা করে খাবার খেতে হবে এবং ডায়াবেটিস কেন হয় এটা সম্পর্কে জানতে পারলে
আমাদের আর্টিকেল মাধ্যমে। শরীর ভালো থাকলে মন ও ভালো হয়ে যায়।তাই নিজের
জীবনকে একটি সুশৃঙ্খল ও নিয়মানুবর্তী মধ্যে আনতে হবে তাহলে অনেক রোগ থেকে
আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। সবাই ভালো থাকবেন এবং আমাদের পেজটি ভালো লাগলে অবশ্যই
ভিজিট করবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url