ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে
এবং মেট্রোরেলের কোন কোন স্টেশন চালু আছে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা আর যে সকল
বন্ধুরা মেট্রো রেল সম্পর্কে জানেন না তারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন তাহলে নিশ্চয়ই আপনিও জেনে যেতে পারবেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট
কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ চলছে সে সম্পর্কে।
বাংলাদেশের এই সর্বপ্রথম মেট্রোরেল তৈরি হচ্ছে আর সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা
শুধু বাইরের দেশগুলোতে দেখে এসেছি তাই আপনিও এখন চাইলে বাংলাদেশে ঢাকায়
মেট্রোরেলের চোরে উপভোগ করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মেট্রোরেল সম্পর্কে না
জেনে থাকেন তাহলে ঢাকা ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি মেট্রোরেলের
কাজ চলছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত করুন তাহলে আপনিও জেনে যেতে পারবেন
মেট্রোরেল কল কোন স্টেশনে চালু আছে তাই কোথাও না গিয়ে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি
মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে
ভূমিকাঃ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে
বাংলাদেশী মেট্রোরেল প্রথম তৈরী করার প্রকল্পটি 2012 সালে ডিসেম্বর মাসে
অনুমোদিত দেওয়া হয় ঢাকা শহরের যানজট বেশি থাকার কারণে যাতায়াতের সময়
দীর্ঘস্থায়ী হয় তাই এ সময় এবং যানজট কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার
মেট্রোরেল তৈরির প্রকল্প সিদ্ধান্ত নেন।
তাই আজকে আমরা জানবো ঢাকা মেট্রো রেলঢাকা ম্যাচ ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর
অধীনে কতটি মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ চলছে এবং মেট্রোরেল কোথায় থেকে কোথায়
যাবে ও মেট্রোরেল কোন কোন স্টেশনে চালু আছে, মেটরের প্যারাগ্রাফ বাংলা সহ
বিস্তারিত আলোচনা করব। এই পোস্টের নিচে আপনাদের জন্য বিস্তারিত সুন্দরভাবে
আলোচনা করা হয়েছে।
মেট্রোরেল কোন কোন স্টেশনে থামবে
মেট্রোরেল আমাদের দেশের প্রথম মেট্রোরেল তৈরি করার কাজের প্রকল্পটি ২০১২ সালের
ডিসেম্বর মাসে একনেক কতৃক অনুমোদিত হয়। মোট পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়।
মেট্রোরেল প্রায় প্রতিটি উন্নত দেশে চালু আছে এবার আমাদের বাংলাদেশে মেট্রোরেল
ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে যার ফলে সবার চলাচল সহজ এবং সময় কম লাগে।
ঢাকা শহরে যানযট বেশি হওয়ায় মেট্রোরেল তিনি হওয়ায় চলাচলে অনেক বেশি সুবিধা
হয়েছে। মেট্রোরেল এই রুটের ১৬টি স্টেশন হয়েছে - উত্তরা-উত্তর, উত্তরা সেন্টার,
উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও,
বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়,
মতিঝিল এবং কমলাপুর। এই সকল স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে।
ঢাকায় কিছুটা হলেও যানযট নিবরাস হবে এবং সময় বাঁচবে। আগে ঢাকায় ২০০৪ সালে
যানবাহনের গড় গতি ২১ কি.মি/ ঘন্টা। ২০১৫ সালে এসে তা ৭কি.মি/ ঘন্টা। মেট্রোরেল
হওয়ার পর উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। মেট্রোরেল তৈরি
হওয়ায় ঢাকা শহরে কিছুটা হলেও যানযট কম হচ্ছে।
মেট্রোরেল কোথায় থেকে কোথায় যাবে
ঢাকা শহরে যানযটের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন খরচ হয় এবং মানুষের
কর্মঘন্টা নষ্ট হয়। মেট্রোরেল থেকে প্রতি বছর প্রায় ২.৪ বিলিয়ন টাকা সাশ্রয়
করবে এবং রাজস্ব আয় অনেক টাকা হবে। মেট্রোরেল জাতীয় অর্থনীতি, পরিবেশ প্রভৃতিতে
অবদান রাখছে। এছাড়া মানুষের যাতায়াতের খরচ কম হবে সাথে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
মেট্রোরেল একটি মেগা প্রকল্প করা হয় যা আমাদের দেশের অর্থনেতিক উন্নয়ন করার
জন্য করা হয়। প্রতিটা প্রকল্প প্রজেক্টের মুনাফা অর্জন করা হয়। তবে সব প্রকল্প
থেকে মুনাফা অর্জন হবে এমন নয় কিছু প্রকল্প থেকে ক্ষতি সম্মুখীন হতে
হয়।মেট্রোরেল প্রকল্পে লাভ নাকি ক্ষতি হবে এটা নির্ভর করবে এই মেট্রোরেল ভাড়া
নির্ধারণের উপর।বিআরটিসি এ প্রথমে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়, সর্বনিম্ন ভাড়া ২০
টাকা আর সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।
প্রতিদিন মেট্রোরেল পরিচালনা জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয় সেই টাকা যাতে
যাত্রী কাছে থেকে তোলা যায় সেই হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। মেট্রোরেল যাবে
উত্তরা পল্লবী হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত। বাসের বিশেষ লেন হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দর থেকে উত্তরা হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী এই দুটো প্রকল্প
উদ্বোধন করেছেন। মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট
কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
মেট্রোরেলের কোন কোন স্টেশন চালু আছে
মেট্রোরেল চালু হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে উদ্বোধন করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ
হাসিনা। মেট্রোরেল কাজ চালু হয় ২০১৭ সালে নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের সরকার
(২৫ভাগ) ও জাইকা (৭৫ভাগ)।বিআরটিসি এ প্রথমে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়, সর্বনিম্ন
ভাড়া ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত
মেট্রোরেল যায় যার দৈর্ঘ্য ২১.২৬ কিলোমিটার।
উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট। ঢাকা শহরে অতিরিক্ত যানযট
দূরীকরণ, সময়ের অপচয় রোধ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা মেট্রোরেল ভূমিকা পালন
করবে। মেট্রোরেল এর স্টেশন সংখ্যা ১৭টি এবং দুই পাশে ১২টি করে ২৪ টি ট্রেন
যাতায়াত করবে দৈনিক প্রতি স্টেশন থেকে ৪ মিনিট পরপর একটি ট্রেন ছাড়বে।
মেট্রোরেল এখন যে স্টেশন চালু উত্তর, আগারগাঁও, পল্লবী, উত্তরা সেন্টার ও
মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হয়। আর কাজীপাড়া ও মিরপুর -১১ স্টেশন নিয়ে মেট্রোরেলের
ষষ্ঠ ও সপ্তম স্টেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আগারগাঁও পর্যন্ত এখন বাকি দুটি
স্টেশন উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া। মেট্রোরেল প্রায় উন্নত দেশে চালু আছে আমাদের
দেশে চালু হয়েছে।
মেট্রো রেল প্যারাগ্রাফ বাংলা
ঢাকায় অতিরিক্ত যানযট দূরীকরণ, সময়ের অপচয় রোধ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা
মেট্রোরেল ভূমিকা পালন করবে।ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ায় এখানে প্রায় ৪/৫
কোটি মানুষ বসবাস করে কাজের জন্য তাই ঢাকা শহরে যানযট বেশি। ঢাকা শহরকে যানযট
মুক্ত করতে এবং উন্নত শহর করার লক্ষে এই মেগা বাজেট এর প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
এই প্রকল্প কাজ করেছেন মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট
কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।মেট্রোরেল চালু হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে
উদ্বোধন করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল কাজ চালু হয় ২০১৭ সালে
নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের সরকার (২৫ভাগ) ও জাইকা (৭৫ভাগ)।
বিআরটিসি এ প্রথমে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়, সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ
ভাড়া ১০০ টাকা। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল যায় যার দৈর্ঘ্য ২১.২৬
কিলোমিটার। উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট। অতি দ্রুত চলে এই
মেট্রোরেল যা তাড়াতাড়ি গন্তব্য পৌঁছাতে পারে সাধারণ মানুষ।
মেট্রোরেল স্টেশন সংখ্যা ১৭টি এবং দুই পাশে ১২টি করে ২৪ টি ট্রেন যাতায়াত করবে
দৈনিক প্রতি স্টেশন থেকে ৪ মিনিট পরপর একটি ট্রেন ছাড়বে। মেট্রোরেল আমাদের
দেশের অর্থনৈতিক দিক থেকে সাহায্য করবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে
ঢাকা মেট্রোলে হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী পরিবহন ২০১৩ সাল
থেকে ঢাকাই মহানগরীর ক্রম বর্ধমান জনসংখ্যা বেশি থাকাই যানবাহন সমস্যা ও পথের
দুঃসাহ যানজট কমিয়ানার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোরেল ইচ্ছা করে করার ঘোষণা দেওয়া
হয়।মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কতটি
মেট্রোরে নির্মাণ কাজ চলছে।
২০১৬ সালের প্রণীত সংশোধিত পরিবহন পরিকল্পনার অনুসারে ঢাকা মেট্রোরেলের লাইনের
সংখ্যা তিনটি থেকে পাঁচটি করা হয়।প্রথম কাজ নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল
পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমটি লাইন ছয় কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালে
২৬ জন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন ৬ এর কাজ উদ্বোধনী করা হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে এমআরটি লাইন ৬ এর কাজ ঢাকা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ
বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের মাধ্যমে মেট্রোরেল
আংশিকভাবে চালু করা হয় তিনি মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার অংশ ছিলেন অংশ ছিলেন
এবং যা ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ সাল থেকে জনসাধারণের চলাফেরার জন্য মেট্রো রেল চালু
করে দেওয়া হয়।
মেট্রোরেল প্রথমের দিকে শুধু উত্তরা তোর দিয়াবাড়ি এবং আগারগাঁও এই দুইটি
স্টেশনে বেশি থামতো কিন্তু ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ সালে পল্লবী এবং স্টেশন খুলে
দেওয়া হয় মার্চ মাসের শেষের দিকেউত্তরা থেকে আগারগাঁও সব স্টেশন খুলে দেওয়া
হয়।
জায়কা ও ডিএমটিসিএল কাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ছয়টি লাইন
নির্মাণে পরিকল্পনা করেন।আর অনুযায়ী মেট্রোরেল ৫১ টি ওরাল স্টেশন ও ৫৩ টি
ভূগর্ভস্থ স্টেশনে গিয়ে থামবে এবং পরিপূর্ণভাবে ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে
প্রায় 47 লক্ষ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে মেট্রোরেল।
শেষ কথাঃ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে কতটি মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে
প্রিয় পাঠক নিশ্চয়ই আপনি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়ে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন ঢাকা ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে
কতটি মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ চলছে এবং মেট্রোরেলের কোন কোন স্টেশন চালু
আছে সে সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর ভাবে জানতেও বুঝতে পেরেছেন।
তাহলে এখন আপনিও নিশ্চয়ই মেট্রোরেল জার্নি করতে পারবেন।আশা করি এ পোস্টটি
আপনারা অনেক উপকারে আসবে তাই এমন আরো পোস্ট করতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ভিজিট করুন এবং এ পোস্টগুলো আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারা
মেট্রোরেল সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে পারে।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url