আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি - ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি এবং ইসলামে সঞ্চয়ের গুরত্ব সে
সম্পর্কে জানতে চান ? তাই অনেক ওয়েবসাইট ঘুরাঘুরি করছেন কিন্ত সঠিক তথ্য খুজে
পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় ক্লিক করছেন। আপনি যদি এই আর্টিকেল শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন আশা করছি আপনি ও জেনে যাবেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি তাহলে চলুন প্রিয় বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি সে সম্পর্কে।
আমাদের সবার জেনে রাখা উচিত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি এবং
ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কেননা আমরা দৈনন্দিন জীবনে সবাই কিছু না কিছুর সমস্যা
সম্মুখীন হতে হয়। তাই যেকোন সমস্যার সমাধান এর জন্য আমাদের জেনে রাখা উচিত
দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি সে সম্পর্কে।আপনাদের জন্য নিচে বিস্তারিত
সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছঃ
আর্টিকেল সূচিপত্রঃআমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি - ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব
ভূমিকা।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি । ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব
সঞ্চয় কি সঞ্চয় বলতে কি বুঝায় ও সঞ্চয় এর উপকারিতা কি এবং সঞ্চয় আমরা কেন করবো
বা করি তা কি আপনারা কেউ জানেন, না জেনে থাকলে আপনি এই আর্টিকেল যদি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়েন আমি আশা করছি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি এবং
ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবেন এছাড়াও আপনি সঞ্চয়ের মূল
উদ্দেশ্য কি,সঞ্চয় এর উপকারিত, সঞ্চয় কেন করবো,এসমস্ত বিষয় গুলো সুস্পষ্ট
ধারণা পেতে হলে কোথাও না গিয়ে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
সঞ্চয়ের মূল উদ্দেশ্য কি
সঞ্চয়ের মূল উদ্দেশ্য কি? বর্তমান চিন্তা বাদ দিয়ে ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য
ব্যয় কমিয়ে আয় বৃদ্ধিকে সঞ্চয়ের মূল উদ্দেশ্য বলে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষরা যে
সকল উদ্দেশ্য সঞ্চয় করে তা তিনটি উদ্দেশ্য ভাগ করা যেতে পারে। এই পৃথিবীর বসবাস
মানুষদের মধ্য অধিকাংশ মানুষ আছে দরিদ্র। তাই তাদের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের
প্রয়োজন হয়। তাই আজকে আপনাদের জানাবো সঞ্চয়ের মূল উদ্দেশ্য কি তা সম্পর্কে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত জন্ম, মৃত্য,বিয়ে,
শিক্ষা, গৃহ নিমার্ণ, ছেলে মেয়ের বিয়ে, পড়ালেখা, ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত এবং বৃদ্ধ
বয়সে বেচে থাকতে প্রয়োজন অর্থের তাই সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য সবার থাকা উচিত।
সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য জরুরী প্রয়োজনে যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অসুস্থতা, পারিবারিক
সমস্যা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি হতে পারে। তাই সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য সবার থাকতে হবে।
সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য যেমন নতুন ব্যবসা তৈরিতে, ব্যবসা বাণিজ্য, ঘর নির্মাণ
প্রয়োজনীয় বিলাস দ্রব ক্রয়ের জন্য সঞ্চয় প্রয়োজন।
সঞ্চয় বলতে কি বুঝায়
সঞ্চয় হলো আয়ের একটি অংশ যা বর্তমান সময়ে বিলাসিতা বা ভোগ না করে ভবিষ্যতের
জন্য জমা রাখা হয়। কোন একজন ব্যাক্তি পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয় বলতে সেই
ব্যাক্তি কে বোঝানো হয় আয়ের এক অংশ কোথাও বিনিয়গের মাধ্যমে ছোট আয় জমা রাখাকে
মোট আয় বৃদ্ধিকে সহয়তা করে। কোন পরিবারের একজন ব্যাক্তি ইনকাম করলে সব খরচ বাদ
দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু টাকা সঞ্চয় হিসেবে রাখা হয়।
কারণ পরিবারে কোন ব্যাক্তির বিপদ আপদ রোগ বালাই দূরর্ঘটনা থেকে তাৎকালীন কিছু
সঞ্চয় নিয়ে তারা সকল বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সঞ্চয় করে থাকে। আপনি যদি ১০০ জন
মানুষকে সঞ্চয় এর কথা বলেন যে সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তাহলে আপনাকে ৯৯ জন
মানুষ বলে সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু আমরা কত জন নিয়মিত সঞ্চয় করি? তাই
আসুন সঞ্চয় বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে আসি নিচে বিস্তারিত পড়ে সঞ্চয় কত প্রকার
ও কি কি।
সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কি
আপনি কি জানেন সঞ্চয় কিভাবে রাখা যায় কত বছরে সঞ্চয় করতে পারবেন এবং সঞ্চয় কত
প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে থাকুন। উপরের অংশ
থেকে আমরা জানতে পারলাম সঞ্চয় বলতে কি বুঝায় এবারে আমরা জানবো সঞ্চয় কত প্রকার
ও কি কি
বর্তমানে ০৪ প্রকার সঞ্চয় প্রথা চালু রয়েছে বলে জানা গেছে।
- পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশ( পুনঃবিনিয়োগের সুবিধা আছে)
- তিন মাস অন্তর মুনাফা বিত্তিক সঞ্চয়( ৩ বছর মেয়াদী)
- পেনশনার সঞ্চয়পত্র( পাঁচ বছর মেয়াদী)
- পরিবার সঞ্চয়পত্র( ৫ বছর মেয়াদী)
সঞ্চয়পত্র মেয়াদী সীমাঃ সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কি
- তিন মাস মেয়াদী সঞ্চয় জমা করলে মুনাফা ভিত্তিক ও পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের নিয়ম অনুযায়ী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০.০০ লক্ষ টাকা এবং যুগ্ন নামে সর্বোচ্চ ৬০.০০ লক্ষ টাকা প্রদান করে।
- পরিবার সঞ্চয়পত্র জন্য সর্বোচ্চ ৪৫.০০ লক্ষ টাকা প্রদান করে।
- প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয়পত্র ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয় পত্র নিয়ম অনুযায়ী ১০.০০ লক্ষ টাকা ও পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে এমন ধরণের সঞ্চয় জন্য উর্দ্ধসীমা ১০.০০ লক্ষ টাকা প্রদান করে।
সঞ্চয় এর উপকারিতা
আপনারা অনেকই জানেন যে একটি মাত্র সঞ্চয় জীবনে সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। কিন্তু এই
সঞ্চয় করা কি অনেকটাই কঠিন? আচ্ছা আপনি একবার ভাবুন তো আমরা চলাফেরার মাঝে কত
ভাবে টাকা অপচয় করে থাকি। কিন্ত আপনি একবার এইটা ভেবে দেখছেন কি যে আপনি যেই
টাকা গুলো অন্য অপ্রয়োজনীয় কাজে অপচয় করি সেই টাকা গুলো হিসাব আপনি দিন ২০/ ৫০
টাকা হিসাব করে দেখেনতো কত টাকা অযথা অপচয় করছেন।
আপনি নিজেই একাবার নিজেকে প্রশ্ন করুন আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন। তাই আমি
আপনাদের আজকের এই আর্টিকেল মাধ্যমে জানবো মানব জীবনে সঞ্চয় এর উপকারিতা কতটুকু
তা সম্পর্কে তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। বর্তমান সময়ে এবং দিনে
দিনে আমাদের সংসার খরচের পরিমাণটা এবং জীবযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি হয়ে গেছে যার
কারণে অনেকেই সঞ্চয় এর কথা চিন্তা করতে পারে না।
কথায় আছে "অর্থই অনর্থের মূল" আমাদের জীবিকার প্রধান উৎস কারণ মানুষ জীবিকা
নির্ভর। জীবনে একটি সময়ে গিয়ে মোটামুটি ভাবে সবাই কমবেশি উপার্জন শুরু করে
কিন্ত সেই উপার্জন অর্থ কিভাবে সঠিক পথে ব্যয় করতে হয় তা অনেকেই জানেনা। আপনি
হইতো আপনার জীবনের বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ৩৫ বছর নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে যুবক
ভাবছেন। কিন্ত হ্যা আপনি হইতো আপনার জীবনের অর্থেক অর্থ পার করে দিয়েছেন।
কিন্ত এখন আপনাকে আপনার অর্থ সঞ্চয় করা উচিত কারণ নিজের ভবিষ্যত ভালো রাখতে হবে
ও নিশ্চিত করতে হবে তা নিয়ে। আপনার অর্থ উপার্জন থেকে অর্থ বাজেট করুন এমন ভাবে
যে আপনি কোন কোন কাজে আপনার অর্থ ব্যয় করবেন সেখানে আপনাকে খরচ করলে এক টাকার
হিসাব ধরতে হবে। আপনার অপ্রয়োজনীয় সকল খাত গুলো হিসাব কমিয়ে আনতে হবে।
তাহলে আপনি আপনার অপ্রয়োজনীয় টাকা থেকে সঞ্চয় করতে পারবেন। দিন শেষে আপনার এই
সঞ্চয় টাকা আপনার কোন দুর্যোগ, র্দুঘটনা, বিপদ আপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে
পারবেন। আশা করছি আপনি সঞ্চয় গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন এবারে আপনাদের জানাবো
সঞ্চয় কেন করবো।
সঞ্চয় কেন করবো
বিপদ কখনো বলে আসে না। আপনি যেমন বিপদের দিনে পাশে শক্ত একটি মানুষ চান তেমনি
ভাবে সঞ্চয় হলো আপনার বিশ্বস্ত একটি হাতিয়ার। সঞ্চয়ের জন্য আপনি যেকোন বিপদ
থেকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। কেননা সঞ্চয় আপনার মনোবল বাড়িয়ে দিবে কয়েক
গুন। আপনার কাছে যখন অতিরিক্ত টাকা হাতে থাকবে খরচের তখন দেখবেন আপনার নিজের
মনের মধ্য আত্নবিশ্বাসী কাজ করবে।
কারণ আপনার আয়ের আরো একটি উৎস হতে পারে সঞ্চয়। আপনি এই সঞ্চয় টাকা দিয়ে
ভবিষ্যতে ব্যবসা করতে পারবেন। তাই সঞ্চয়ের কোন বিকল্প নেই। কারণ টাকা হাতে
থাকলে অনেক অনেক আইডিয়া আসবে আপনার মাথায় কারণ ব্যবসার জন্য টাকা না থাকলে
ব্যবসা করতে অনেক বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আপনার কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে
আপনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করেও আপনি লাভবান হতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ব্যর্থতা থেকে সফলতার উপায় জেনে নিন
অবসর জীবনঃ একটা সময় আমাদের আর চাকরি বা কাজ করার ক্ষমতা থাকে না আমরা অনেকেই
বৃদ্ধ বয়সে টাকার অভাবে ভালো মন্দ খাইতে পারে না। তাদের কনো পারিবারিক অসুস্থা
ও র্দুঘটনা হলে মানুষের দারে হাত পেতে টাকা নিতে হয় । কিন্ত আপনি সঞ্চয় করলে তা
দিয়ে আপনার বাকিটা জীবন কাটাতে পারবেন। এবারে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন সঞ্চয়
কেন করবো আমরা।
ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব
ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি কেন প্রয়োজন, প্রয়োজন আছে কিনা, কিভাবে ইসলামে
সঞ্চয় করবো করার নিয়ম আমরা আজকেই এই আর্টিকেল থেকে জানবো। ইসলাম বলে ইসলামে
সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে যেমন নিষিদ্ধ তেমনি আবার সম্পদের প্রাচুর্যের অপচয় করা
নিষিদ্ধ। প্রবিত্র কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে অপচয় ত্যাগের জন্য কঠোর নির্দেশ
জারি করে বলা হয়েছে তোমরা আহার পান করো কিন্তু অপচয় করো না তিনি মহান আল্লাহ
অপচয় কারীদের পছন্দ করেন না।
অপচয় ও কৃপণতা দুই টাই ইসলামে অনুমোদিত আছে। তাই এই দুই প্রতিকন্তার মাঝে
মৃত্যুবায়ী হয়ে ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রাখা ইসলামের শিক্ষা। তাই
ইসলামে কৃপণতা হওয়া যেমন নিষিদ্ধ তেমনি ভাবে সম্পদের প্রাচুর্যের অপচয় করা
নিষিদ্ধ।
অপচয় ত্যাগের কোঠর নির্দেশ জারি করে ইরশাদ হয়েছে যে প্রবিত্র কোরআনে তোমরা আহার
ও পান করো কিন্তু অপচয় করো না কেননা তিনি আল্লাহ অপচয়কারীদের আল্লাহ ভালোবাসেন
না। আর যারা অপচয় এবং কৃপণতা পরিহার করে মিতব্যয়ীতার পথে চলবে আল্লাহ তাদের
বান্দা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বণীত যে রাসূলে কারিম (সা.) বলেন যে ব্যক্তি পরিমিত ভাবে ব্যায় করে সে নিঃস্ব হয় না হাদিস। মুসনাদে আহমাদ: ৭/৩০৩
অর্থ উপার্জন, খরচ এবং সঞ্চয় এর মাধ্যম গুলো নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। তবে আপনাকে
মনে রাখতে হবে সঞ্চয় করতে গিয়ে কৃপণতার খাতায় নাম দেওয়া যাবে। সমাজের প্রচলিত
ধারণাটি ভুল কৃপণতা এবং অপব্যয় সম্পর্কে। যাকে বলা হয় গাধার পিঠে চড়ে ঘোড়ায়
পিঠে চড়া ভাবা।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জমি খারিজ করার পদ্ধতি জানুন
কারণ অনেক জন্মদিন, মৃত্যু দিবস, বিয়েবাষিকী পহেলা বৈশাখ ও ভালোবাসা দিবস পালন
করা মতো কাজ গুলো করার ধার দেনা করে এইসমস্ত কাজ করতে পারাই যেন উদারতা এমনটা
না। কারণ এইসমস্ত দিবস গুলো পালন করার জন্য কালো টাকার পেছনে না দৌড়ে চুরি
ডাকাতি আবিষ্কার করা থেকে দূরে থাকতে হবে।
শেষ কথায় যদি বলি হালাল-হারাম পাপ পূর্ণ প্রয়োজন অপ্রয়োজনীয় কাজে বিবেচনা করে
খরচ করুন এবং অপচয় ও অপব্যয় দূরে থাকেন তাকে মনে করা হয় কৃপণ"। স্ত্রী-
সন্তান,বাবা মা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের মতো আল্লাহ নির্দেশিত কাজে খরচ করতে
অবহেলাই করাকে বলা হয় প্রকৃপণতা। অনেকের সামার্থ্য থাকলেও পরিবারের প্রয়োজনীয়
খরচটুকু করে না অভাবী মানুষকে সাহায্য করে না, জরুরী দিন কাজে ব্যয় করে না
তাকেও কৃপণ বলা হয়।
আর এর বাইরে যে ব্যক্তি এসব খাতে করচ করতে দ্বিধাবোধ না করে তবে বিভিন্ন দিবস
উপলক্ষে অপ্রয়োজনীয় ও হারাম কাজে রাজি হন সমাজে লোক তাকে মহাকৃপণ বললেও তিনি
কৃপণ না তিনি মিতব্যয়ী।
- প্রবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে যে তুমি ( কৃপণতা বশে নিজের হাতকে ঘাড়ের সঙ্গে বেধে একেবারে ব্যায় কুণ্ঠ হয়ো না আবার অপব্যয়ী হয়ে একবারে মুক্ত হস্তো হয়ো না তাহলে তুমি তিরস্কৃত নিঃস্ব হয়ে যাবে। সূরা বনি ইসরাইল ২৯
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি তা কি আমরা জানি আপনি জানের সঞ্চয়ের
অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রতি বছর ৩০ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী সঞ্চয় দিবস পালন করা
হয় যা, মিতব্যয়ী দিবস World Thrift Day। ১৯২৪ সালের ৩০ অক্টোবর প্রথম বারের মতো
আন্তর্জাতিক সঞ্চয় ব্যাংকে কংগ্রেসে বিশ্ব সঞ্চয় দিবস এবং মিতব্যয়ী দিবসের
ধারণাটি ইতালির এক অথ্যাপ ফিলিপো রাভিজ্জা প্রস্তাব করেন।
সঞ্চয় এবং সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে বিশ্বের অনেক দেশে দিবসটি উৎযাপন করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি স্পেন, এমন দেশ গুলো অনেক আনন্দের সাথে মিতব্যয়ী
দিবস পালন করে থাকে। সমাজ রাষ্ট্র পরিবার কথা ভেবে মনে করে দেওয়ার জন্য এই
সঞ্চয় দিবস বা মিতব্যয়ী দিবস পালন করা হয়।জাতীয় উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীন সম্পদ
বৃদ্ধি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অভ্যন্তরীন সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দুটি উপায় আছে এক স্বেচ্ছায় সঞ্চয় ও কর সংগ্রহের
মাধ্যমে বাধ্যতামূলক সঞ্চয়। অনেক অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যেসকল ব্যক্তি
স্বেচ্ছা সঞ্চয় সাথে সঙ্গে ট্যাক্স বা রাজস্বের সাথে নির্ভরতা হ্রাস পায় এতে
করে বিশ্বের উন্নত দেশ এই নিয়মের উপর ভিত্তি করে তাদের উন্নতি করছে।
একটি মানুষ যত বেশি করে সঞ্চয় করবে, সে ব্যক্তি তত বেশি ব্যক্তিগত, সামাজিক
পারিবারিক নিরাপত্তা বেশি থাকবে। বিশ্বায়ের এই প্রযুক্তি নির্ভর যুগে সঞ্চয় এর
কোন বিকল্প নেই। তাই আপনার যেকোন সঞ্চয় আপনার অগ্রগতি ও উন্নয়নে জন্য বিশেষ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি আপনি অনেকই বিলাস বহুল জীবন যাপনের জন্য
অপ্রয়োজনীয় অর্থ অপচয় করি যা আমাদের সবার জীবনের জন্য অমঙ্গল হতে পারে।
তাই আসুন নিয়ম মেনে সঞ্চয় করি নিজেদের ছেলে সন্তানদের অন্যর ভরোসায় না রেখে
নিজেকে কিছু কিছু সঞ্চয় করি যাতে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের দোয়ারে না যেতে হয়। তাই
আমি আশা করছি আপনি হইতো আর্টিকেল পুড়ো পড়ে বুঝতে পেরেছেন। আমাদের দৈনন্দিন
জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি এবং কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ কথাঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি ও ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব
প্রিয় পাঠক আপনি এতক্ষণে আমাদের সাথে ধর্য ধরে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয় এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতে পেরেছেন সঞ্চয় কেন করবো
এবং সঞ্চয় এর উপকারিতা,ইসলামে সঞ্চয়ের গুরুত্ব সহ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
সঞ্চয়ের গুরুত্ব কি সে সম্পর্কে। আশা করছি আপনার এই আর্টিকেল অনেক উপকারে আসবে।
তাই এমন আরো অনেক আর্টকেল ও টিপস পেতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ও পোস্ট
গুলো অন্যদের পড়ে উপকৃত করার জন্য শেয়ার করুন। আজ এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন
সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url