বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা - বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন

একটা শিশু জন্মের পর থেকে প্রতিটা মায়ের মনে নানা রকম চিন্তা শুরু হয় বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা কি রাখতে হবে এবং বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন কত হবে তাই আপনাদের সকল চিন্তা দূর করতে আমার এই আর্টিকেল। কোন খাবার শিশুর জন্য ভালো কোনটা খেলে সমস্যা হবে সব কিছু জানার জন্য প্রতিটা নতুন মা কে বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা নির্বাচন করা অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা এবং খাবার কখন দিতে হবে এবং কতটা পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে।
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা
আমরা এই আর্টিকেল আপনাদের জন্য সুন্দর ভাবে প্রস্তাপিত করা হচ্ছে যাতে করে আপনারা নিয়িমিত ঘরে বসে শিশুদের খাবার তালিকা ,যত্ন, শিশুদের পরিপূর্ণতা বিকাশ সুন্দর ভাবে রাখতে হলে কি করণী তার সবকিছু আমরা এখন পড়ে নিব। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃবয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা - বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন

ভূমিকা।বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা । বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন

আপনার হইতো অনেকে সঠিকভাবে বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা এবং বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন  কিভাবে ঠিক করবেন কখন কোন খাবার খাওয়াবেন  এ সমস্ত বিষয়ে জানতে পারবেন। এছাড়াও শিশুদের যত্ন নেওয়ার উপায় কিছু জানতে ইচ্ছা করে যেমন বাচ্চাদের কোন খাবার খেলে ব্রেইন ভালো হয়। কত মাস থেকে বাচ্চাকে বাড়তি খাবার খাওয়াত পারবেন সকল বিষয়ে তাই আমাদের আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

৬ মাসের বাচ্চার খাবার তালিকা 

বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা এবং সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু জন্মের পর তার মায়ের বুকের দুধ ব্যতিত কোন খাবার খেতে পারবেনা। কারণ বাচ্চার হজম হবে না। বাচ্চা জন্মের ১৮০ দিন পর্যন্ত বাচ্চাকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। ১৮১ দিন থেকে বাচ্চাকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খাওয়া শুরু করতে হয়। প্রথমে ফলের পিউরি খাওয়াতে হবে। আপেল, কলা,গাজর, আলুরসহ বিভিন্ন খাবারের পিউরি করে খাওয়াতে হবে বাচ্চাকে।

 যখন কোন খাবার দেওয়া হবে তখন শুধু সেই একটা খাবার এক সপ্তাহ খাওয়াতে হবে এবং বাচ্চার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটা নজর রাখতে হবে। অনেক বাচ্চার অনেক খাদ্য খেলে এলার্জি, ডায়রিয়া, পেট বেথা মত সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই যখনি কোন খাদ্য দেওয়ার পর সমস্যা সৃষ্টি হবে বাচ্চার তখনি সেই খাবার বন্ধ রাখতে হবে কারণ বাচ্চার হজম শক্তি তখনো এত শক্তিশালি হয়ে উঠেনি। 
ফলের পিউরি হল কোন ফলকে সিদ্ধ/ কাঁচা বিলিন্ড করে ম্যাশ করে খাওয়ানোকে পিউরি বলে। ফলের পিউরি পর বাচ্চাকে খিচুড়ি খাওয়ানো অভ্যাস করতে হবে। চাল, ডাল, তেল দিয়ে শুধু খিচুড়ি দিতে হবে। ছয় মাসের বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ পেট ভরেনা।তাই বাচ্চাকে ফল পিউরি তারপর নরমাল খিচুড়ি নরম পাতলা করে দেওয়া শুরু করতে হবে। 
৬ মাসের বাচ্চার খাবার তালিকা এর থেকে বেশি কিছু দেওয়া ঠিক হবে না কারণ তার পরিপাকতন্ত্র তখনো শক্তিশালি হয়ে উঠেনি যে এর থেকে বেশি খাবার হজম করতে পারবে। এসব খাবার অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ তাই এগুলো অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে।

৭-৮ মাসের বাচ্চার খাবার তালিকা 

বাচ্চা ছয় মাস বয়স থেকে নতুন খাবার খাওয়া শুরু হয়। বাচ্চা যেহেতু ছোট তার হজম শক্তি কম থাকায় বাচ্চা ছয় মাস থেকে ভারী ঝাল, লবণ দেওয়া খাবার খাওয়ানো যাবেনা। বাচ্চাকে বিভিন্ন ফলের পিউরি দিতে হবে তার সেটা হজম হলে কোন সমস্যা না দেখা দিলে তার সাথে খিচুড়ি দেওয়া শুরু করতে হবে। খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম থাকে। 

চাল, ডাল, তেল দিয়ে শুধু খিচুড়ি খাওয়াতে হবে। তারপর দেখতে হবে তার খিচুড়ি খেলে হজম হচ্ছে কিনা। ৭ মাস থেকে খিচুড়ি দেওয়া শুরু করতে হবে। বাচ্চার যদি হজম হয় তাহলে বাচ্চাকে খিচুড়ি সাথে একটা সবজি মিশিয়ে তিন থেকে চার দিন খাওয়াতে হবে। যদি সেই সবজি বাচ্চার সুট করে কোন শারিরীক সমস্যা না হয় তাহলে সেটা সাথে আরেকটা সবজি দিতে হবে। এভাবে সবজি দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করে খাওয়াতে হবে বাচ্চাকে। বাচ্চা যখন এসব হজম করবে তখন বাচ্চা পুষ্টি পাবে শরীরে। ৮ মাস হয়ে গেলে বাচ্চাকে সবজি খিচুড়ি পাশাপাশি ডিমের কুসুম খাওয়ানো যাবে।

একটি ডিমে প্রায় ১৫০০ ক্যালরি থাকে। যা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সারাদিন জন্য প্রোটিন চাহিদা পূরণ করে। তাই আট মাসের বাচ্চাকে তখন শুধু ডিম কুসুম খাওয়ানো যাবে। বাচ্চার খাবার আস্তে আস্তে সকল সবজি ফল দিতে হবে। কিন্তু এক বছরের আগে বাচ্চাকে গরুর দুধ ও লবণ চিনি দেওয়া যাবেনা। এগুলো বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। ডাক্তার পরামর্শ এক বছর পর থেকে বাচ্চার খাদ্য তালিকায় লবণ,চিনি ও গরুর দুধ রাখতে হবে।

৭ মাসের বাচ্চার খিচুড়ি রেসিপি

খিচুড়ি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। বাচ্চার যখন সাত মাস হয় তখন থেকে বাচ্চাকে খিচুড়ি দেওয়া শুরু করতে হবে। বাচ্চাকে ছোট থেকে সকল খাবার খাওয়াতে অভ্যাস করতে হবে। খিচুড়ি তৈরি জন্য অল্প চাল, মসুরি ডাল/ অন্য ডাল দেওয়া যাবে তবে যে কোন একটা একটা করে দিতে হবে, হলুদ সামান্য তেল সয়াবিন দিতে হবে। এটা মধ্যে কোন প্রকার ঝাল লবণ দেওয়া যাবেনা। তারপর খিচুড়ি চালকে সিদ্ধ করে ডাল ঘুটনি দিয়ে ঘেটে নিতে হবে। 
একদম পাতলা করতে হবে যেন বাচ্চা গলায় না আটকায়। অনায়সে বাচ্চা খেতে পারে। হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। বাচ্চার হজম শক্তি দূবল হওয়ায় তখন বাচ্চাকে যে কোন খাবার অল্প করে দিয়ে দেখতে হবে হজম হয় কিনা, পেট সমস্যা হয় কিনা।

বাচ্চার একটা খাদ্য তিন থেকে চার দিন একই দিতে হবে তারপর অন্য একটা দিতে হবে তার সাথে এভাবে তাকে সব খাবার সাথে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাচ্চাকে সামান্য পরিমাণ পানি ও খাওয়াতে হবে। খিচুড়ি সাথে পানি ও দিতে হবে। বুকের দুধের পাশাপাশি পানি সহ অন্য খাবার খাবে শিশু।

বাচ্চার নুডলস রেসিপি

বাচ্চা যখন এক বছর হয়ে যায় তখন বাচ্চাকে বিকালের নাস্তায় নুডলস দেওয়া যেতে পারে। নুডলস অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি ক্যালরি অনেক রয়েছে। বাচ্চাকে নুডলস খুব সহজে বানানো যায়।
  • ১ প্যাকেট নুডলস
  • তেল পরিমাণ মত
  • ১টা পিঁয়াজ / ১ কাঁচা মরিচ
  • সামান্য লবণ
  • ডিম ১টা
  • সবজি
প্রথমে অল্প পানি দিয়ে সব সবজি যেমন গাজর, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। সবজি যখন সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন ওটার মধ্যে নুডলস দিয়ে ওটাকে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ হয়ে গেছে অন্য প্যানে তেল দিয়ে পিয়াজ ও একটা কাঁচা মরিচ দিয়ে ডিমকে ভেজে নিতে হবে লবণ দিয়ে।

তারপর সবজি সহ সব উপাদানকে সুন্দর করে নেড়ে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। বাচ্চা ছোট তাই নুডলস মসলা না দেওয়া ভালো। এভাবে খুব সহজে অনেক ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাদ্য নুডলস বানিয়ে ছোট সোনাকে পরিবেশন করতে পারেন। এতে রং বেরং সবজি জন্য খাবার আকর্ষণ হবে স্বাদ পরিবর্তন হবে। বাচ্চা রুচিসহ কারে খাবে।

৬ মাসের শিশুর যত্ন

বাচ্চার ১৮০ দিন পর্যন্ত তাকে খুব যত্নসহ কারে রাখতে হবে। বাচ্চা যেহেতু মায়ের গর্ভে থাকে মায়ের নাড়ি দিয়ে খাদ্য খেত মা যা খাবার খেত।তাই সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু কিন্তু পৃথিবীতে আসার পর নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথম ছয় মাস বা ১৮০ দিন শুধু মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট বাচ্চার জন্য। পানি বা অন্য কোন খাবার খাওয়ানো দরকার নেই। যেদিন থেকে ১৮১ দিন হবে বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা নির্বাচন করতে হবে। বাচ্চার যত্ন আরো বেশি করতে হবে। 

যেমন তাকে খাবার দুধের পাশাপাশি অন্য ফল পিউরি ও খিচুড়ি খাওয়াতে অভ্যাস করতে হবে। বাচ্চাকে পানি ও দিতে হবে অল্প পরিমাণ। ছয় মাসের বাচ্চারকে ১০০/২৫০ এমএল পানি সারাদিন খাওয়ালে যথেষ্ট। এভাবে বাচ্চাকে বাড়তি খাবার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কোন খাবার খেলে কি সমস্যা হচ্ছে তা বুঝতে হবে। বাচ্চা যেহেতু কথা বলতে পারেনা তাই বাচ্চা কখন পেট বেথা জন্য কান্না করছে কখন খাবার জন্য কান্না এসব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

বাচ্চাকে কুসুম গরম পানি দিয়ে দুপুরে মধ্যে গোসল করাতে হবে। বাচ্চাকে গোসল করায় সাথে সাথে না খাবার দিয়ে একটু পর খাওয়া ঘুম দিতে হবে। এসব কাজ যত্ন নিতে হবে। বাচ্চার জন্য একটি সারাদিন কিভাবে খাওয়ানো গোসল ঘুম একটা চার্ট বানায় নিতে হবে বা পূব পরিকল্পনা করতে হবে।

কত মাস থেকে বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দিতে হয়

বাচ্চা জন্ম পর থেকে ছয় মাস বা ১৮০ দিন মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট। তারপর ছয় মাসের থেকে বা ১৮১ দিন থেকে বাচ্চাকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেওয়া শুরু করতে হবে। তবে অবশ্যই বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে। কারণ  বাড়তি খাবার ছাড়া বাচ্চার পেট ভরবেনা তখন বাচ্চা বড় হয়। বাচ্চার শরীরে গ্রোথ বাড়ে বাচ্চার বাড়তি খাবার প্রতি চাহিদা বাড়ে। 
তাই বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি ও গ্রোথ জন্য বাচ্চাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। একটা বাচ্চা বেড়ে উঠার জন্য সঠিক পুষ্টি ও ভিটামিন দরকার। বাচ্চা বয়সে সাথে সাথে বাচ্চার খাদ্য পরিবর্তন হয়। ছয় মাস বয়সে বাচ্চা ফলের পিউরি খিচুড়ি এসব দিয়ে খাবার শুরু করতে হয় শিশুর

৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা

বাচ্চা জন্ম পর থেকে ছয় মাস বা ১৮০ দিন কোন প্রকার খাবার দেওয়া যাবেনা। বাচ্চার পরিপাকতন্ত্র ভালোভাবে শক্তিশালি হয়না।তাই খাবার হজম করতে পারেনা। পাঁচ মাস বয়সে বাড়তি খাবার না দেওয়ায় ভালো। মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট না হলে তখন বাড়তি খাবার দিতে হয়।বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার পর ও বাচ্চার পেটে খিদা থাকলে বুঝতে পারবেন এখন বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। 

তখন বাচ্চাকে বুকলেট দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দিবেন। কিন্ত ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে বাড়তি খাবার দেওয়া শুরু করা ভালো। আমেরিকার বা ইউরোপ দেশগুলোতে ওরা পাঁচ মাস থেকে ফলের টাটকা জুস দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ছয় মাস থেকে খাবার দিতে বলে ডাক্তার। তবে কিছু শিশুর হজম শক্তি ভালো হলে তারা পাঁচ মাস থেকে বাড়তি খাবার খায় এবং হজম ও করে সকল খাবার।

৫ বছরের শিশুর খাবার তালিকা 

শিশুর যখন বেড়ে উঠে তখন তার সবচেয়ে জরুরি খাবার। তার সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে সঠিক নিয়ম খাবার খাওয়া। বাচ্চা সঠিকভাবে খাবার খাবে ও সকল পুষ্টি সরবরাহ হবে তখনই তার শারিরীক মানসিক বিকাশ করতে সাহায্য পাবে শরীর। শরীরে পুষ্টি ও ভিটামিন খুব দরকার বাচ্চার ১ -৫ বছর ব্রেন বিকাশ হয়। তাই এ সময় বাচ্চাকে প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। সঠিক বিকাশ জন্য বাচ্চাকে খেলাধুলা করতে দিতে হবে।চলুন এক নজরে জেনে আসি ৫ বছরের বাচ্চার খাবার তালিকা কি কি থাকা উচিত।
  • সকাল: রুটি/ পরোটা/সবজি খিচুড়ি /সবজি ভাজি/ সিদ্ধ ডিম/ ফল
  • টিফিন : মৌসুমি ফল/ পাউরুটি / বিস্কুট / কেক/ খেজুর
  • দুপুর : ভাত/ সবজি/ মাছ/ মাংস/
  • বিকাল: নুডলস, চা মুড়ি, ফল, হালুয়া, সেমাই / বাদাম
  • রাত: ভাত/ মাছ/ ঝোল তরকারি / সালাত/
  • সব শেষ ঘুমানো আগে এক গ্লাস দুধ খেয়ে ব্রাশ করে ঘুম দিতে হবে।

বাচ্চার কী খাবার খেলে ব্রেন ভালো হয়

বাচ্চার সঠিক ভাবে বেড়ে উঠা জন্য প্রতিটা বাবা মা যত্নশীল হয়। তারা চাই বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি হোক। কিন্তু অনেক মা জানেনা যে কোন খাবার খেলে বাচ্চা সঠিক ভাবে বেড়ে উঠবে। বাচ্চাকে সঠিক ভাবে বেড়ে তুললে যে সকল খাবার নিয়মিত খাওয়াতে হবে এবং বাচ্চার যত্ন করতে হবে তবেই বাচ্চা ব্রেন ভালো হবে। চলুন জেনে আসি কোন খাবার খেলে বাচ্চার ব্রেন ভালো হয়।
  • বাদাম: বাদাম প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম,প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনোশিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যা বাচ্চার ব্রেন বিকাশ করতে খুব সাহায্য করে। বাচ্চার শরীরে ও ব্রেন যা যা পুষ্টি দরকার কম বেশি সকল উপাদান বাদামে আছে।
  • খেজুর: খেজুর একটি পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিন নিয়মিত বাচ্চাকে ২ টা করে খেজু সকালে বা   রাতে খাওয়াতে হবে। খেজুরে থাকা ভিটামিন বাচ্চার ব্রেন বিকাশে খুব কার্যকারী।
  •  ডিম: বাচ্চা শুধু বিকাশ জন্য নয় প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে বাচ্চার সারাদিন ক্যালরি পায় এবং বাচ্চার প্রোটিন চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। বাচ্চার শরীর বৃদ্ধি ও বিকাশ জন্য নিয়মিত প্রতিদিন   তার খাবার তালিকায় ডিম রাখতে হবে।
  • গরুর দুধ: বাচ্চার এক বছর পর থেকে গরুর দুধ হজম করতে পারে তাই তখন থেকে বাচ্চার খাবারে গরুর দুধ রাখতে হবে। গরুর দুধের থাকা ক্যালসিয়াম ভিটামিন বাচ্চার হাঁড় ও মাংসপেশি শক্ত করে এবং লম্বা করতে পারে।বাচ্চার অনেক রোগ প্রতিরোধ করে গরুর দুধ।

বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশে করণীয় কি

বাচ্চা যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন থেকে তার শরীরে ও মস্তিষ্ক সব কিছু গঠন হয়। পেট থেকে হওয়ার পর তার শরীর ও মস্তিষ্কের গঠন হতে থাকে। একটা বাচ্চার সবচেয়ে বেশি মস্তিষ্কের গঠন বা বিকাশ হয় এক থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে। তারপর থেকে মস্তিষ্কের বিকাশের হার কমতে থাকে।তবে এই পাঁচ বছরে বাচ্চার মস্তিষ্ক খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়। বাচ্চাকে এই সময় বেশি বেশি যত্ন নিতে হয়। সুষম খাবার তার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। 
মস্তিষ্কের বিকাশে যেন বাঁধা না সৃষ্টি হয় তাই সব কিছু সঠিকভাবে পাচ্ছে কিনা সেদিকে বাবা মাকে খেয়াল রাখতে হবে। মস্তিষ্কের বিকাশ জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করে যে সকল খাবার সেগুলো নিয়মিত বাচ্চার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে এবং খাওয়াতে হবে। যেমন: মৌসুমি ফল কলা, আম, আমড়া, পিয়ারা, লালশাক, কচুশাক, সবুজ শাক, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমরা, লাউ, বাদাম, খেজুর, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবার খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাকে অবশ্যই ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এটা সবচেয়ে বেশি মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশ করতে সাহায্য করে। বাচ্চাকে খেলাধুলা করতে দিতে হবে। খোলামেলা পরিবেশ থাকতে দিতে হবে। নতুন কিছু দেখলে তা জানতে বুঝতে সাহায্য করতে হবে এভাবে বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশ হবে।

৫ মাসের বাচ্চাকে কি সুজি খাওয়ানো যাবে

বাচ্চা জন্মের পর থেকে ছয় মাস তাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটা ছাড়া অন্য কোন খাবার খাওয়ানো যাবেনা। অন্য কোন খাবার সুজি, সাবু জাতীয় খাবার না বুঝে প্রায় মা খাওয়ায়।এতে পরে সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। কারণ সুজি কোন পুষ্টিকর খাবার না যে সেটা বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। আর পাঁচ মাস বয়সী বাচ্চাকে সুজি খাওয়ানো যাবে না।

ছয় মাসের আগে বাচ্চাকে বাইরে কোন খাবার দেওয়া যাবেনা। সুজি আটা থেকে হয় আটার মধ্যে থাকে গ্লুটেন যা এত ছোট বাচ্চার হজম সমস্যা করে এবং বাচ্চার এলার্জি থাকলে প্রচুর ক্ষতি হয়। বাচ্চাকে অনেক মা সুজি খাওয়ায় এটা খেলে বাচ্চা মোটা হয় ভেবে। গ্লুটেন খাওয়ার ফলে বাচ্চার শরীর মোটা হয় কিন্তু তার নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। 

তাই বাচ্চা মোটা পাতলা নয় সুস্থ বাচ্চা জন্য সঠিক খাবার সঠিক সময়ে দিতে হবে। এর মানে এই নয় যে বাচ্চাকে পাঁচ মাস বয়সে খাবার দিতে হবে। ১৮০ দিন পর থেকে বাচ্চাকে বিভিন্ন ফলের পিউরি ও খিচুড়ি দেওয়া শুরু করতে হবে পর্যায়ক্রমে।

বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা কত হওয়া উচিত


বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন ও উচ্চতা চার্ট


শেষ কথাঃ বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা - বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন

নিশ্চয়ই আপনারা সন্দর ও সঠিক ভাবে  বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা ও বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন বৃদ্ধি করা ছাড়াও  আপনার শিশু কিভাবে সুস্থ এবং সুন্দরময় করে রাখবেন তা জানতে পারলেন। যদি আমাদের এই আর্টিকেল ভালো লাগে তাহলে আপনি আমাদের ওয়েরসাইট শেয়ার করুন যাতে করে অন্য একজন সঠিক একটি আর্টিকেল পড়তে পারবে। সবাই ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url