দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় - দাঁতে গর্ত হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আপনি কি দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান। যদি আপনি দাঁতের পোকা দূর করতে চান তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য। আপনারা এই আর্টিকেল মাধ্যমে আপনাদের দাঁতে গর্ত হলে করণীয় কি করবেন এবং দাঁতে পোকা হলে দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে আপনি আপনার দাঁতের পোকা এবং দাঁতে গর্ত খুব সহজে দূর করতে পারবেন।
প্রিয় বন্ধুরা দাঁত আমাদের অমূল্য সম্পদ তাই দাঁতে কে সুন্দর এবং দাঁতের গর্ত হলে করণীয় রাখা উচিত এই বিষয়ে জানতে হলে এবং আপনি দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃদাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় - দাঁতে গর্ত হলে করণীয়

দাঁতের ব্যাথা হলে করণীয়

দাঁত আমাদের খাবার চিবিয়ে খাওয়া প্রধান মাধ্যম। আর এই দাঁতে যদি বেথা অনুভব হয় তাহলে পুরো মাথা কান বেথা হয়ে থাকে। দাঁতে বেথা শুরু হলে ঘরোয়া ভাবে আমরা প্রথমে চেষ্টা করি যেন দাঁতে বেথা ভালো হয়। দাঁতে মধ্য খাবার থাকার ফলে রাতে দাঁত ব্রাশ না করে ঘুমিয়ে পড়লে দাঁতে ক্যাবেটি সংক্রমণ ঘটে আর হঠাৎ দাঁতে বেথা শুরু হয়।
তখন অধেক রাতে বা মধ্যে রাতে ডাঃ কাছে যাওয়া সম্ভব হয়না। তখন গরম পানি সাথে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করলে আরাম পাওয়া যায়। দাঁত ভালো করে ব্রাশ করে ঘুমালে বেথা হয়না। লবঙ্গ চিবিয়ে দাঁতের বেথা স্থানে চেপে রাখলে বেথা একটু কম হয়। গুড়া হলুদ বেথা স্থানে দিলে বেথা কম হয়। রসুন কোয়া থেঁতা করে বেথা জায়গায় দিলে বেথা কম হয়। এরকম ছোট অনেক নুসকা ব্যবহার করা যায় দাঁত বেথা হলে।

দাঁতের মাড়ি ক্ষয়রোধ করার ঘরোয়া উপায়

দাঁতের মাড়ি যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন নানা রকমের সমস্যা অনুভব হয়। মাড়ি ফুলে যায় মাড়ি লাল হয়ে যায় যার ফলে দাঁতে বেথা শুরু হয়। মাড়ির ভেতরে খাবার প্রবেশ করলেও মাড়ি ফুলে বেথা শুরু হয়।
গরম পানির সাথে লবণের মিশ্রণ: প্রতিদিন হালকা গরম পানি মধ্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করলে দাঁত সুস্থ থাকে। দাঁতের ক্ষয়রোধ হয় মাড়ি ও ভালো থাকে।
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার: মাড়ি ও দাঁত সুস্থ রাখার প্রধান উপায় ভিটামিন- সি জাতীয় খাবার খাওয়া। ভিটামিন- সি জাতীয় খাবার খাওয়া ফলে দাঁতে ও মাড়ির ক্ষয় হয়না। ভিটামিন-সি দাঁতের সবচেয়ে কার্যকারী একটি উপাদান।
ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার: ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে মাড়ি শক্ত হয় এবং বিভিন্ন প্রকার ক্যাভিটি ও জীবণু থেকে রেহায় পায়।
টুথপেষ্ট: প্রতিদিন নিয়মিত ২ বার ব্রাশ করতে হবে। খাবার খাওয়া পরে ব্রাশ করতে হয় কারণ খাওয়া ফলে দাঁতে খাদ্য কণা লেগে সংক্রমণ করে দাঁতকে এবং দাঁতের ও মাড়ির ক্ষয় করে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে হবে।
চিনি থেকে বিরত থাকা: যেসকল খাদ্য মধ্যে অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি থাকে সেসকল খাবার কম খাওয়া দাঁত সুস্থ রাখার প্রধান উপায়। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া পর ব্রাশ করতে হবে তাহলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকবে।

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

সাধারণত দাঁতের গর্তকে দাঁতের পোকা বলে চালানো হয়। আমরা যদি ২৪ ঘন্টায় একবারও সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার না করি, তবে নিঃসৃত লালার একটি বিশেষ উপাদান দাঁতের পৃষ্ঠে আঠালভাবে লাগতে শুরু করে। সাধারণভাবে মুখের মধ্যে অসংখ্য সুপ্ত এককোষীয় জীবাণুর বসবাস, তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু ব্যাকটেরিয়া সেখানে বাসা বাঁধে ও দ্রুত বংশবিস্তার করা শুরু করে। এসব জীবাণু খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়।
দাঁতের পৃষ্ঠে জমা হওয়া এসব ব্যাকটেরিয়া যখন মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন চিনির তৈরি খাবার বা চকলেট, এমনকি আলুর চিপস পায়, তখন একে কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রকক্রিয়ায় অ্যাসিড তৈরি করে
তাই আমাদের দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে এবং দাঁতে গর্ত হলে কি করীয় সেকল বিষয়ে আপনাদের প্রাথমিক ধারণা প্রয়োজন, এই অ্যাসিড দাঁতের শক্ত প্রতিরক্ষা আবরণ ক্ষয় করে ডেন্টাল ক্যারিজ বা গর্ত সৃষ্টি করে। তাই আমাদের খাবার পর পর ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে। যাতে করে দাঁতে কোন প্রকার জিবাণু না থাকে । তাইলে আমরা দাঁতের গর্ত থেকে রেহাই পাব।

দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয় কি

দাঁতের গোড়া নানা কারণে ইনফেকশন হয়। যেমন: দাঁত ক্ষয়, মাড়ি ফোলা, মাড়িতে খাবার প্রবেশ, দাঁত ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি কারণে দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হয়। চলুন জেনে আসি গোড়ায় ইনফেকশন হলে কি করবেন।
দাঁত ওয়াশ: প্রতিদিন ২ বার নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁতে প্রবেশ করা খাবার বের হয়ে যাবে। ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ থেকে অনেক সংক্রমণ দূর করা যায়।
হিটিং ওয়াটার ব্যাগ: যে জায়গায় ইনফেকশন সেখানে গরম পানি ব্যাগ দিয়ে সেক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
ডাক্তার পর্রামশ: যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার কাছে নিয়ে পর্রামশ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে। ইনফেকশন থেকে অনেক সময় ক্যান্সার হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। ডাক্তার পর্রামশ অনুযায়ী চলতে হবে। গরম পানি লবণ দিয়ে গড়গড়া করতে হবে।
ঔষধ সেবন : ডাক্তার পর্রামশ নেওয়ার পর সেই মোতাবেক ঔষধ সেবন করতে হবে। বেথা কারণে ঔষধ দিয়ে থাকে সেটা ও এন্টিবায়োটিক খেতে দিলে সেটা সঠিক নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে।

দাঁতের ক্ষয় রোধে কি টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে

আমরা দাঁতে জন্য বিভিন্ন ধরনের টুথপেষ্ট ব্যবহার করে থাকি। দাঁতের ক্ষয়রোধ ও দাঁতকে সুস্থ সুন্দর রাখার জন্য আমরা টুথপেষ্ট ব্যবহার করি। অনেক সময় টুথপেষ্ট নানা ব্রান্ড বা কোম্পানি হয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন রকমের তৈরি করে ফ্লেবার, গুণাগুণ, কার্যকারিতা একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। কিছু কোম্পানিকে ডাঃ বলে থাকে যার যেমন সমস্যা সেটার উপর নির্ভর করে টুথপেষ্ট নিতে বলে। আমাদের দাঁত প্রতিদিন দুবার ব্রাশ করতে হবে এতে দাঁতে জমে থাকা খাবার এবং মুখের দূগন্ধ যেন দূর হয়।
দাঁতের সুরক্ষা জন্য অবশ্যয় ভালো টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে হবে। একেক কোম্পানি একেক গুণাবলি টুথপেষ্ট বানায় থাকে। সমস্যা উপর নির্ভর করে টুথপেষ্ট নির্বাচন করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। দাঁতকে ক্ষয় হাত থেকে বাঁচাতে সর্বপ্রথম আমাদের নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে এটা ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই।

মাজন, ছাই এসব দিয়ে দাঁত চকচকে হলেও এটা কোন গুণাবলি নেই। কিন্তু টুথপেষ্ট থাকা বিভিন্ন উপাদান দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষা করে। সব সময় দাঁতের সমস্যা সমাধান জন্য ডেন্টাল চিকিৎসা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। রাতে মিষ্টি খাবার খেয়ে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে হবে তাহলে দাঁত ক্ষয় হবে না।

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়

আমরা সাধারণত নিজদের শরীরের ত্বকের উপর বেশি নজরদারী করি। মাঝে মাঝে ভুলে যায় আমাদের শরারের বিশেষ একটা অংশ দাঁত। আমরা অনেকে আছি সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ না করে কিছু খেয়ে নি। এমনটা আমাদের একদম করা ঠিক না। এতে করে আমাদের দাঁত অকালে ঝরে পরে যায়। আমাদের দাঁতের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সুষম খাদ্যের একটা বিশেষ যোগাযোগ রয়েছে ।

তাই আমাদের অনেক সময় ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়। এর মধ্যে হলো ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন, আয়োডিন, ফ্লোরিন, ভিটামিন সি, বি১ বি২ এগুলো দাঁত ভালো রাখতে অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্ত তথ্য উপর ভিত্তি করে আপনারা দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় দাতের ক্ষয় দূর করতে পারবেন।

ক্যালসিয়াম দাঁত এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত করে আমরা হইত সকলে জানি। যেমন দুধ, দই , বিভিন্ন ধরনের শাকে পুইশাক, মসুরির ডাল, ছোট মাছ, এগুলো তে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম চাহিদা পূরণ জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি, আমরা এই ভিটামিন সূর্যের আলো থেকে পেতে পারি। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিম এগুলো আপনার আবার আমার দাঁতকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করবে।

ভিটামিন-এ
ভিটামিন-এ আমাদের মাড়িকে ও দাঁতকে সুস্থ রাখার প্রথম সূচনা। মুখের ভিতর জমে থাকা লালার প্রবাহ ও জীবাণুকে থেকে মুক্তি রাখে। সেই জন্য আমাদের ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খাইতে হবে। যেমন ছোট মাছ, মিষ্টিআলু , মাছের তেল, শাকসবজি, গাজর, ইত্যাদি এগুলোতে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়।

ভিটামিন-বি
ভিটামিন-বি আমাদের দাঁত ও দাঁতের মাড়িকে জীবাণু সংক্রমণ থেকে সুস্থ রাখে। অনেক সময় আমাদের জিবায় ঘা হয়ে থাকে এবং আমরা ঔষধ খায়। কারণ ভিটামিন-বি এর অভাব। তাই আমাদের মাংস,মটরশুটি, শাকসবজি, শিম নিয়মিত ভিটামিন-বি জাতীয় খাবার খাইতে হবে। তাই খাবারের সাথে ভিটামিন-বি খাবার খেতে হবে।

ভিটামিন-সি
ভিটামিন-সি এর অভাবে আমাদের দাঁত ও মাড়ি থেকে কমো শক্তি কমে যাওয়ার কারণে দাঁত এর গোড়া থেকে অনেক সময় রক্ত বের হতে দেখা যায়। তাই আমাদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন পেয়ারা। কমলালেবু,মালটা,আমলকী,করমচা,মালটা, লেবু জাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।

ভিটামিন-ডি আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম ঘাটিত মেটায়। ভিটামিন-ডি আমাদের শরীরের ও দাঁতের জন্য উপকারি। শরীরে থাকা রোগ প্রতিরোধ করে। তাই দাঁতর ক্ষয় থেকে রেহাই পেতে ভিটামিন-ডি খাবার যেমন ডিম, মাছ, পুইশাক,পালংশাক,এছাড়াও সূর্যের আলোও ভিটামিন-ডি থাকে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে আমরা দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়, দাঁতের গর্ত হলে কি করণী করা প্রয়োজন তা আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন।

দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়

একবার গর্ত হয়ে গেলে পরে ভালোভাবে ব্রাশ করে বা ওষুধ সেবনের মাধ্যমেও ঠিক করা যায় না। যত দ্রুত সম্ভব দন্তচিকিৎসকের পরামর্শে ফিলিং(গর্ত ভরাট) নামক চিকিৎসা মাধ্যমে দাঁতকে সুস্থ করা যায়। এটি অতি সাধারণ চিকিৎসা, খরচও স্বল্প। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের গর্ত তেমন কোনো সমস্যা করে না বলে অনেকেই একে অবহেলা করে। পরে দাঁতের ভেতরের ময়লা সংক্রমিত হয়ে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে। তখন রুট ক্যানেল নামক জটিল, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা প্রয়োজন পড়ে।

অনেকে আবার ব্যাথা কমানোর জন্য চিকিৎসা ছাড়াই ফার্মাসি থেকে নানা ওষুধ সেবন করে নানা জটিলতার সৃস্টি করে। তাই চলুন অল্পকিছু হলে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। দাঁতে গর্ত থেকে সংক্রমণ দাঁতের গোড়ায় বা হাড়ের মধ্যে ছড়িয়ে গ্রানুলোমা, পুঁজ, সিষ্ট সেলুলাইটিসসহ নানা জটিলতার সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে।
ভাঙা দাঁতের অমসৃণ অংশ জিহ্বা বা চোয়ালে ক্ষত তৈরি করে। দীর্ঘসময় এই ক্ষত রয়ে গেলে ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সমস্যাও হতে পারে। অতিরিক্ত অবহেলায় দাঁতটির ধারক অবহেলায় দাঁতটির ধারক কলা নষ্ট হয়ে দাঁত হারাতে হয়। তাই সাধারণ অবস্তায় আমাদের প্রাথমিক ভাবে দাঁত পরিস্কার রাখতে হবে। মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খেলে কুলি করে নিতে হবে। দাঁতে গোড়ায় খাবারের ছোট কণা লেগে থাকে যার কারণে ক্যাভেটি হয়। তাই সবাই দাঁতের ব্যাথা কমানোর জন্য দাঁত পরিস্কার রাখতে হবে।

দাঁতের মাড়ি শক্ত করার জন্য কি করতে হবে

দাঁত আমাদের খাদ্য গ্রহণ করার সর্বপ্রথম ধাপ। যার ফলে দাঁতের সাথে থাকা মাড়ি আমাদের জন্য জরুরি সেটার কোন সমস্যা হলে দাঁতের ও সমস্যা সৃষ্টি হবে। দাঁতের সাথে মাড়ি সংযুক্ত। মাড়ি শক্ত করার প্রধান কাজ ভিটামিন-সি যুক্ত খাবর ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। খাদ্য তালিকায় অবশ্যয় তাজা সবুজ শাক সবজি রাখতে হবে। 

খাদ্যকে চিবিয়ে খেতে হবে এতে করে দাঁতে পোকা হয়ার সম্ভবনা থাকে তাই দাঁতের পোকা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। মাড়ি শক্ত করার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন এবং দিনে দুবার ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশ নির্বাচনে সময় অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। শক্ত ব্রাশে মাড়ি ক্ষতি করে। সবশেষ চিকিৎসাকের পরামর্শ নিতে হবে এবং দাঁতের মাড়ি স্কেলিং যদি দরকার হয় সেটা করে নিতে হবে। এটা ছাড়া ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করলে ও মাড়ি সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়া যায়।

দাঁতের প্রয়োজনীয় ভিটামিন কি কি

দাঁত আমাদের শরীরের এমন একটি অংশ যা সমস্যা সৃষ্টি হলে শরীরে সব কিছু খারাপ হয়ে যায়। দাঁত থেকে মাথা কান নাক সব সংযুক্ত থাকে যার ফলে দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি হলে ওসব অংশে ও বেথা অনুভব হয়। তাই দাঁতকে সুরক্ষা জন্য ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন বি১, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি প্রয়োজন।
একটা শিশুর ৮/৯ মাস থেকে দাঁত উঠা শুরু হয় তখন থেকে বাচ্চার খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রাখতে হবে। ছোট থেকে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় তাই সে সময় ভিটামিন -সি ও ডি খাওয়াতে হবে। দাঁতকে সুস্থ রাখার জন্য সবুজ ও টক জাতীয় খাবর খেতে হবে এসবপ প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে।

দাঁতে গর্ত না হওয়ার উপায়

শুরুতেই দাঁতে গর্ত যেন না হয় তার জন্য আমাদের দাঁতের যত্ন নিতে হবে সবসময়, প্রথমে সেই চেষ্টা করতে হবে যাতে কোনভাবে দাঁতে গর্ত না হয়। সে জন্য সকালে নাশতার পর ও রাতে খাবার শেষে দুই মিনিট ধরে ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেষ্ট ও নরম টুথব্রাশ দিয়ে দাঁতের মোট পাঁচটি পৃষ্ঠ পরিষ্কার করতে হবে। দাঁতের ফাঁকে খাবার ঢুকলে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা জরুরি। যাঁদের মুখ শুষ্ক থাকে বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, বিষণ্ণতা, ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারে।

এতে করে আপনারা দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় মেনে । এবং দাঁতে গর্ত হলে করণীয় অসম বা উঁচুনিচু ফাঁকা দাঁত পরিষ্কারের সঠিক পদ্ধতি আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। মিষ্টিজাতীয় খাদ্যের পরিবর্তে মৌসুমি ফলমুল শাকসবজি, ছোট মাছ,সামুদ্রিক মাছ, টকদইজাতীয় খাবার খেতে হবে। 

ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।জরুরি বিষয় হচ্ছে, ব্যথা হোক বা না হোক, বছরে অন্তত একবার বৈধ দন্তচিকিংসকের পরামর্শ নিতে হবে।কোনো অবৈজ্ঞানিক বা কুসংস্কারে বিশ্বাসী হয়ে বা অসাধু হাতুরে ডাক্তারের খপ্পরে অপচিকিৎসায় অতি মূল্যবান দাঁত হারানো যাবে না। দাঁতে পোকা বলে কিছু নেই। পোকা বের করার গল্পও তাই ধোঁকাবাজি বই কিছু নয়।

লেখকের কথাঃ দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় - দাঁতে গর্ত হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয় আপনি পুরো আর্টিকেল পড়ে দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন ও দাঁতে গর্ত হলে করণীয় কি আমাদের সকলের তা জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আমাদের এই পোস্ট ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে সবাই তাদের দাঁতের সমস্যা দূর করতে পারে। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url